জরায়ু রোগ সমূহ সংক্রমণ ও প্রতিরোধে করণীয়



মেয়েদের জরায়ু রোগ সংক্রমণ হচ্ছে সিআইডি এবং ডিম্বনালীতে জীবাণুর সংক্রমণ মাঝে মাঝে এই সংক্রমণ ডিম্বাশয় কেউ আক্রান্ত করতে পারে। 


জরায়ু কি 

জরায়ু হচ্ছে মেয়েদের গোপন অঙ্গ বা যৌনস্থান, মূলত জরায়ুর মাধ্যমে একজন মেয়ে বাচ্চা প্রদান করতে পারে।

জরায়ু রোগ সমূহ 

জরায়ু রোগ সমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো জরায়ু ক্যান্সার, জরায়ুর মুখ খুলে যাওয়া,জরায়ু ফুলে যাওয়া জরায়ু ইনফেকশন জরায়ু টিউমার হওয়া ইত্যাদি।  


জরায়ু সমস্যা কেন হয়

জরায়ু রোগীর ক্ষেত্রে নানা ধরনের সংক্রমণ হতে পারে জীবাণুর মাধ্যমে সংক্রমণ হতে পারে অথবা যৌনবাহিত রোগের মাধ্যমে এই জীবাণু সংক্রমণ হয়ে থাকে। এছাড়াও গর্ভপাত অপারেশন অনিরাপদ শারীরিক সম্পর্ক ইত্যাদির মাধ্যমে জীবাণু শরীরে প্রবেশ করতে পারে। 


জরায়ু ইনফেকশনের লক্ষণ 

মেয়েদের জরায়ু সংক্রমণের লক্ষণ হলো তলপেটে ব্যথা জ্বর সাদাস্রাব অনিয়মিত পিরিয়ড বা মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণসহ পেটে ব্যথার সহবাসের সময় ব্যথা ইত্যাদি অনুভূত হতে পারে। অনেক সময় এই সমস্যাগুলো প্রকট আকারে দেখা দেয় আবার অনেক সময় একেবারে এর কোন লক্ষণ প্রকাশ পায় না। 


জরায়ুর সংক্রমনের পরীক্ষা

জরায়ুর রোগগুলো যদি অতি প্রকট আকারে দেখা দেয় কিংবা না দেখা দেয় তবুও কিছু পরীক্ষার মাধ্যমে এই রোগটি নির্ণয় করা সম্ভব হয়। মূত্রনালী থেকে ডিসচার্জ নিয়ে পরীক্ষা করে জীবাণুর উপস্থিতি নির্ণয় করা যেতে পারে। ছাড়াও রক্তের ইউরিন পরীক্ষা পেটের আলট্রাসনোগ্রাম এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে ল্যাপারস্কপি পরীক্ষার মাধ্যমে এ রোগের উপস্থিতি জানা যায়। 


জরায়ু রোগের চিকিৎসা

প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে এন্টিবায়োটিক এবং পেইনকিলার দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। তবে ঔষধ গুলো সেবনের পূর্বে আপনি অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিবেন। আপনি আপনার সঙ্গিনীর শরীরের চেকআপ করে নিবেন যে তার শরীরে কোন প্রকার সমস্যা রয়েছে কিনা। 

আরো পড়ুনঃ ১০ টি ঘুমের ঔষধের নাম  জেনে নিন


জরায়ু রোগ প্রতিরোধ করার উপায়

 নিরাপদ শারীরিক সম্পর্ক এবং কনডম ব্যবহার করে জরায়ুকে রোগের হাত থেকে রক্ষা করা যায়। রোগের লক্ষণ প্রকাশ পাওয়া মাত্রই ডাক্তারের চিকিৎসা নেওয়া উচিত। 


জরায়ু চিকিৎসা নেয়া জরুরি কেন

জরায়ু সমস্যা দেখা দেয়ার পর আপনি যদি দ্রুত জরায়ু চিকিৎসা না নিয়ে থাকেন তাহলে একসময় আপনার মধ্যে বন্ধাত্ব  সন্তান জন্মদানের অক্ষমতায দেখা দিতে পারে। এছাড়াও দ্রুত গর্ভপাত এবং সময়ের আগে বাচ্চা প্রসব কম ওজনের বাচ্চা জন্মদান এ সমস্যাগুলো হতে পারে


আরো পড়ুনঃ ১০ টি ঘুমের ঔষধের নাম  জেনে নিন


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন