জন্ডিসের লক্ষ্মণ ও ঔষধ |
মানব শরীরের জন্য যত ক্ষতিকর রোগ রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম নীরব ঘাতক হলো জন্ডিস। জন্ডিসে প্রভাবেএকসময় লিভার ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে।
নীরব ঘাতক টি যদি আপনি সঠিক পরিচর্যা এবং এ সম্পর্কে যদি আপনার ভালো ভাবে জানা না থাকে তাহলে এটি আপনার প্রাণনাশের কারণ হতে পারে। জন্ডিসের সব খুঁটিনাটি আজকে আমরা তুলে ধরার চেষ্টা করব।
জন্ডিস কেন হয়
আমাদের শরীরে যখন রক্তে বিলিরুবিনের পরিমাণ বেড়ে যায় তখন জন্ডিস দেখা দেয়। বিলুরুবিন হলো রক্তের এমন একটি বজ্র পদার্থ যার শরীর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কথা কিন্তু শরীরের অসামঞ্জস্যতার কারণে এই বিলুরুবিন যখন বেরিয়ে যেতে পারে না তখন শরীরে এই ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। এটি যখন জমতে জমতে অধিক পরিমাণে পাওয়া যায় তখন শরীরের জন্ডিসের প্রভাব দেখা দেয় মূলত লিভারের কোন দোষের বা সমস্যা থাকলে এই সমস্যাটি দেখা দিতে পারে।
জন্ডিসের লক্ষ্মণ
জন্ডিস হলে যেসব লক্ষণগুলো দেখা দেয় সেগুলো হলো
১, জন্ডিস হলে সবার আগে যে লক্ষণ প্রকাশ পায় সেটি হলো চোখের বর্ণ হলুদ হয়ে যাওয়া!
২, এছাড়াও প্রস্রাবের রঙ অতিরক্ত হলুদ হয়ে যাওয়া এবং মল থেকে দুর্গন্ধ বের হয়।
৩, জন্ডিস হলে শরীরের ওজন খুব দ্রুতই কমে যায় এবং শরীরের শক্তি হ্রাস পায়।
৪, পেটের মধ্যে ব্যথা অনুভূত হয় সারা হাত পায়ে ব্যথা অনুভূত হয়।
৫, শরীরে জ্বর চলে আসে মাঝে মধ্যে জ্বরের সাথে কাঁপুনি ভাব দেখা দেয়।
৬, জন্ডিস হলে সবসময় একটিভ বমি বমি ভাব এর সৃষ্টি হয় যেন বমি চলে আসে এরকম মনে হয়।
জন্ডিস হলে করনীয়
জন্ডিস হলে অতি দ্রুত এর চিকিৎসা নিন এর প্রতিকারের চেষ্টা করুন নয়তো এটি আপনার জীবনের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।
এজন্য আপনি ঘরোয়া কিছু টিপস রয়েছে সেগুলো মেনে চলতে পারেন অথবা একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।
আরো খবর পরুনঃ চিরতরে গ্যাস্ট্রিক কমানোর উপায় গুলো জেনে নিন…….
জন্ডিসের ঔষধ
ঘরোয়া কিছু টিপস রয়েছে সেগুলো মেনে চলতে পারেন
আখের রস
জন্ডিসের নেপথ্যে একটা বড় ভূমিকা আছে লিভারের। আখের রস এই লিভারের স্বাভাবিক কাজ নিয়ন্ত্রণ করে। এর পাশাপাশি বিলিরুবিনের মাত্রাও কম করে আর ঘন ঘন প্রস্রাব হতে সাহায্য করে। আর প্রস্রাব হলেই টক্সিন শরীর থেকে বেরিয়ে যায়।
আদার রস
আদাও জন্ডিসে খুব ভালো কাজ দেয়। এটি আসলে মুখের রুচি ফিরিয়ে আনতে বেশ উপকারে আসে। আদার রস খুব একটা ভালো নয় খেতে। তাই রোজ এই সময়ে আদার রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খান এতে ভালো লা উপকার পাওয়া যাবে।
গাজরের রস
জন্ডিস হলে শরীর খুবই দুর্বল হয়ে যায় এই সময়ে শরীরের জোর খুব দরকার। গাজরে থাকা ভিটামিন সেই জোর দেবে শরীরে। যকৃতের কাজও স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে আসবে। রোজ এক গ্লাস করে গাজরের রস তাই এই সময়ে অবশ্যই খাওয়া উচিৎ।
আরো খবর পরুনঃ চিরতরে গ্যাস্ট্রিক কমানোর উপায় গুলো জেনে নিন…….
আনারস
আনারস খুব ভালো ভাবে পরিশোধনের কাজ করে। জন্ডিসের মূল কারণই তো হল অশুদ্ধি, অর্থাৎ বিলিরুবিন ঠিক ভাবে বেরিয়ে না যাওয়া। আনারস সেই পরিশুদ্ধির কাজ করে। রস করে হোক বা এমনিই আনারস হোক, অন্তত সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন আনারস খেতেই হবে।
বেদানা
বেদানা শরীরে রক্ত হতে সাহায্য করে। এই সময়ে আমাদের শরীরে জোর হওয়ার জন্য, সুস্থ থাকার জন্য রক্তের ভারসাম্য থাকা খুবই দরকার যা বেদানা থেকে আসবে। বেদানায় আছে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আর প্রচুর সোডিয়াম। এই উপাদানগুলি জন্ডিস নিরাময়ে খুব ভালো কাজ দেয়।
এই খাবারগুলো আর খুব জল নিয়ম করে খান, শরীর ঠাণ্ডা রাখার চেষ্টা করুন রোদে বেরোবেন তাহলেই দেখবেন আপনি উপকার পাচ্ছেন।
চিরতরে গ্যাস্ট্রিক কমানোর উপায় গুলো জেনে নিন…….
১০ টি জ্বরের ঔষধের নাম ও খাওয়ার নিয়ম……..
মেয়েদের জরায়ু রোগ সমূহ সংক্রমণ ও প্রতিরোধে করণীয়………..
মেয়েদের
সেক্স বাড়ানোর ঔষধ প্রতি পিস ১০০ টাকা মাত্র……..
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন