কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম |
কালোজিরা এই নামটি শুনেনি বা কালোজিরা খাইনি এমন লোক হয়তো খুব কমই রয়েছে কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেনা কালোজিরা খাওয়ার সঠিক নিয়ম কিভাবে কালোজিরার তেল, কালোজিরা খেতে হয়।
কালোজিরা কোন কোন রোগ সারাতে কাজ করে কি রোগ সারাতে কালোজিরার তেল কিভাবে খেতে হবে তার সবকিছু নিচে বিশদভাবে আলোচনা করা হয়েছে, আপনি খুব সহজভাবেই কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে ও বুঝতে পারবেন। নিয়মিত কালোজিরা সেবনে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা ডায়াবেটিস থাকলে ডায়াবেটিসের সমস্যা একজিমা অ্যালার্জি ইত্যাদির নিয়ন্ত্রণে থাকে।
ছাড়াও কালোজিরায় রয়েছে নানান ভিটামিন, স্ফটিকল নাইজেলোন অ্যামিনো এসিড, প্রোটিন, ফ্যাটি এসিড, এর মত আরো নানা উপাদান। এছাড়াও রয়েছে অলিক এসিড আয়রন সোডিয়াম পটাশিয়াম ক্যালসিয়াম, এসব উপাদান শরীর-মন স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। কালোজিরা খাওয়ার নিয়মঃ
১, ডায়াবেটিসঃ
ডায়াবেটিস খুব বিপদজনক একটি রোগ হিসেবে পরিচিত হয়েছে, কিন্তু এই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখতে কালোজিরার তেল বিশেষ ভূমিকা রেখে থাকে। আপনি কালোজিরার তেল প্রতিদিন সকালে এক কাপ চায়ের সঙ্গে তেল মিশিয়ে প্রতিদিন পান করার অভ্যাস থাকলে দেখবেন আপনার ডায়াবেটিস অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা এখনো দেখা দেয়নি তারা এই অভ্যেসটি তৈরি করলে অনেক ভালো উপকার পাবেন।
২, যারা ডায়েট খেতে পছন্দ করেনঃ
যারা ডায়েট খেতে পছন্দ করেন তারা তরকারি রান্নার জন্য কালোজিরার তেল ব্যবহার করতে পারেন। তবে কালোজিরার তেল অনেক দামী তাই এটি অনেকেই তরকারির সাথে ব্যবহার নাও করতে পারেন। তো আপনি অবশ্যই কালোজিরার তেল ওটমিল টক দইয়ের সঙ্গে যুক্ত করে খেতে পারেন এতে খুব ভালো উপকার পাবেন।
৩, ত্বকের সমস্যার জন্যঃ
ত্বকের সমস্যার জন্য বা ত্বক প্রাণবন্ত রাখার জন্য আপনি কালোজিরার তেল ও লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করলে ত্বকের সমস্যার সমাধান পেয়ে যাবেন। কালোজিরার তেল লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করলে ত্বকের ব্রণ দাগ হয়ে যায়, এক্ষেত্রে আপনাকে দিনে দুইবার করে ব্যবহার করতে হবে।
৪, সাধারণ মাথা ব্যথাঃ
সাধারণ মাথা ব্যথা দূর করতে কালোজিরার তেল এর জুড়ি নেই। এজন্য আপনি মাথা ব্যথা শুরু হলে মাথার ত্বকে কালোজিরার তেল নিয়ে ম্যাসাজ শুরু করুন দেখবেন আস্তে আস্তে ব্যাথা কমে যেতে শুরু করছে।
৫, হাটু বাতের ব্যথাঃ
যাদের হাটুতে বাতের ব্যথা রয়েছে তারা এই ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে কালোজিরার তেল একটু হালকা সরিষার তেলের সাথে গরম করে নিয়ে ভালোভাবে ম্যাসাজ করতে পারেন, এভাবে কয়েকদিন মেসেজ করলে আস্তে আস্তে ব্যাথা কমে যাবে।
৬, লিভার ও কিডনি সুরক্ষিত রাখতেঃ
কালোজিরা রয়েছে নানা ধরণের এন্টি-অক্সিডেন্ট যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে একই সাথে লিভার সুরক্ষিত রাখতে সহায়তা করে। কালোজিরা রাসায়নিক বিষাক্ততা কমাতে পারে লিভার ও কিডনি ক্ষতির হাত থেকে বাঁচায়। লিভার সুস্থ রাখতে অবশ্যই কালোজিরার তেল নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন।
৭, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাঃ
কালোজিরায় থাকা উপাদানগুলো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে তুলে। নিয়মিত কালোজিরা সেবনে শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সতেজ থাকে, এতে করে শরীর যে কোন জীবানুর বিরুদ্ধে লড়াই করার মত সঠিক ও সুস্থ ভাবে তৈরি থাকে।
৮, সর্দি-কাশিঃ
সর্দি-কাশি থেকে থাকলে প্রতিদিন কালোজিরার তেল এক-চামচ মধু একসঙ্গে মিশিয়ে দিনে তিনবার খান। এছাড়া যদি সর্দি বেশি জমে থাকে তাহলে কালোজিরার তেল বা কালোজিরা একটি কাপড়ের মধ্যে নিয়ে নাকের সামনে নিয়ে বড় বড় নিঃশ্বাস নিন। বুকে কফ বসে গেলে কালোজিরা বেটে মোটা করে প্রলেপ দিন।
আরো খবর পরুনঃ যে তিন সময় নামাজ পড়া হারাম নামাজ পড়া যাবে না…….
৯, হাঁপানি শ্বাসকষ্টঃ
হাঁপানি শ্বাসকষ্ট সমস্যা দূর করার জন্য কালোজিরা অনেক বেশি উপকারী। আপনার খাদ্য তালিকায় নিয়মিত কালোজিরা রাখুন কালোজিরার ভর্তা খেতে পারেন, অথবা কালোজিরা খেতে পারেন অথবা কালোজিরা পানির সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন তবে কালোজিরা অবশ্যই খাওয়ার অভ্যাস রাখুন।
১০, রক্ত সঞ্চালন সঠিক ভাবে প্রবাহিত করতেঃ
শরীরের রক্ত সঞ্চালন সঠিক ভাবে প্রবাহিত করতে ও কালোজিরা বিশেষ ভূমিকা রেখে থাকে। শরীরের রক্ত চলাচল সঠিক ভাবে প্রবাহিত থাকলে মস্তিষ্ক সঠিকভাবে কাজ করতে পারে তাই মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখতে কালোজিরার তেল এর বিকল্প নেই।
১১, শিশুর দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধিতেঃ
শিশুর দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধিতে কালোজিরার তেল অনেক ভালো কাজ করে। এছাড়াও শিশুর মস্তিষ্কের তোতা এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে কালোজিরার অনেক ভালো উপকারী।
১২, বুকের দুধ বৃদ্ধি করতেঃ
যেসব মায়ের বুকে পর্যাপ্ত দুধ উৎপাদন হয় না বা পর্যাপ্ত দুধ নেই তাদের জন্য কালোজিরা এক মহা ঔষধ হিসাবে কাজ করে। প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে 5 থেকে 10 গ্রাম কালোজিরা দুধের সাথে মিশিয়ে খেলে মাত্র 10 থেকে 15 দিন এভাবে খেলে স্তনের দুধের প্রবাহ আগের থেকে অনেক বেড়ে যাবে। আপনি যদি দুধের সাথে মিশিয়ে না খেতে পারেন তাহলে সমস্যা নেই। আপনি পাঁচ থেকে দশ গ্রাম সমপরিমাণ কালোজিরার ভর্তা করে খেলে উপকার পাবেন।
১৩, চুল পড়া সমাধানেঃ
যাদের চুল পড়া চুল নিয়ে সমস্যা রয়েছে চুল ফেটে যাওয়া চুল উঠে যাওয়া এসব সমস্যার সমাধানেও কালোজিরার তেল অনেক ভালো কাজ করে ।এজন্য আপনি কালোজিরার তেল চুলের গোড়ায় ভালোভাবে ম্যাসাজ করতে পারেন বা কালোজিরার তেলের সাথে বা অন্য কোন কিছুর সাথে মিশিয়ে খেলে চুলের ভালো উপকার পাবেন।
১৪,আমাশয় নিরাময়েঃ
আমাশয় রোগের চিকিৎসা করতে কালোজিরার ব্যবহার অনেক পুরোনো। এক চা-চামচ কালোজিরার তেল সমপরিমাণ মধু সহ দিনে ৩ বার করে ২/৩ সপ্তাহ খাবেন।
১৫, অনিয়মিত মাসিক সমস্যায়ঃ
এক কাপ কাঁচা হলুদের রস বা সমপরিমাণ আতপ চাল ধোয়া পানির সাথে এক কাপ চা চামচ কালোজিরার তেল মিশিয়ে দৈনিক ৩ বার করে খেলে কার্যকারীতা বুঝতে পারবেন।
কালোজিরার তেল আপনি নানা ভাবে খেতে পারেন, যেমন রান্নার কাজে কালোজিরার তেল ব্যবহার করতে পারেন অথবা পানির সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন অথবা কালোজিরার তেল প্রতিদিন খালি পেটে কাঁচা খেতে পারেন এতে সমান উপকার পাবেন।
মানসিক রোগের ওষুধ চিকিৎসা লক্ষণসমূহ বিস্তারিত………
ডিম কেক রেসিপি তৈরি করুন বাসায় বসে……
লিচুর উপকারিতা পুষ্টিগুণ ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া…..
কোন বয়সে মেয়েদের সেক্স পাওয়ার বেশি থাকে থাকে…….
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন