গভীর ঘুমে কথা বলার কারণ কী |
গভীর ঘুমে কথা বলার কারণ কি, মানুষ কেন গভীর ঘুমে অচেতন হলে নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কথা বলতে শুরু করে তা সবকিছু আজকে জেনে নিন।
অনেকেই রয়েছেন যারা ঘুমের মধ্যে কথা বলেন কিন্তু এরা নিজেরাই জানেন না যে এরা আসলে ঘুমের মধ্যে কথা বলতেছেন। অনেক সময় দেখা যায় এরা খুব স্বল্প স্বরে কথা বলেন আবার অনেক সময় দেখা যায় অতিরিক্ত চিৎকার চেঁচামেচি করে কথা বলে। এরকম হতে পারে যে ঘুমের মধ্যে এমন কিছু বলে ফেলো যা একান্ত গোপনীয় আবার।
সম্প্রতি গবেষকরা একটি গবেষণাপত্র এটি দাবি করেছেন যে ঘুমের ঘোরে মানুষ যে সকল কথা বলে থাকে তার অধিকাংশ কথাই হচ্ছে অপমানজনক ও নেতিবাচক কথা বার্তা। গবেষকরা এটা জানান যে ঘুমের মধ্যে যে সকল লোক কথা বলেন তাঁদের বেশির ভাগ রয়েছে ডিসঅর্ডার বা প্যারাসমনিয়া।
ঘুমের মধ্যে মানুষ কি কি কথা বলে তা জানার জন্য কয়েকজনের ঘুমন্ত অবস্থার কথা রেকর্ড করা হয়। এতে দেখা যায় অনেকেই আপত্তিজনক কথা এমনকি গালিগালাজ পর্যন্ত করে। যতজনের পরীক্ষা করা হয়েছে তাদের মধ্যে ৫৯ শতাংশ বিড়বিড় করে কথা বলে আবার কারোর কথা জড়িয়ে যায়।
মানুষ ঘুম-এর মাঝে কথা বলে কেন ?
এই গবেষণায় দেখা যায় 24% নেতিবাচক কথা বলে থাকে 22% বিভিন্ন অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে থাকে এবং বাকি 10% লোক না শব্দটি বেশি বলে থাকে। তবে কেউ কেউ কথার মধ্যে অট্টহাসি দেন কেউ আবার কথা বলার সময় জড়িয়ে ফেলে। সকলের কথা স্পষ্ট বোঝা যায় না অনেকের কথা ফিসফিস শব্দ শোনা যায়।
আমেরিকান একটি রিচার্জে দেখা যায় যারা অবসাদে ভোগে বিষাদগ্রস্ত কোন কিছু থেকে বঞ্চিত মনে করেন তারাই ঘুমের মধ্যে বেশি কথা বলে থাকে। আবার অনেকের মধ্যে জিনগত প্রবনতার কারণে এই কথা বলার অভ্যাস কি দেখা যায়। তবে কথা বলার অভ্যাস পুরুষ এবং শিশুদের মধ্যে বেশি দেখা যায় মেয়েদের মধ্যে এরকম কথা বলার অভ্যাস একেবারেই কম।
ঘুমের মধ্যে কথা বলা থেকে রক্ষা পেতে কি করবেন।
গবেষকরা ঘুমের মধ্যে কথা বলার কারণ উদ্ঘাটন করলে এর কিছু সমাধান দিয়েছেন, যেগুলো হলো করার মাধ্যমে ঘুমের ঘোরে কথা বলার কাব্যের অনেকটাই দূর করা সম্ভব।
১, নিজেকে সবসময় চিন্তামুক্ত হাসি খুশি রাখুন, যদি কোন প্রকার মানসিক সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে অতিসত্বর একজন মনোবিদদের পরামর্শ নিন।
২, অনেক সময় দেখা যায় পর্যাপ্ত ঘুমের সমস্যার কারণে এটি হয়ে থাকে তাই ঘুম কম হয় তাকে পর্যাপ্ত ঘুমের অভ্যাস করুন।
৩, ঘুমানোর পূর্বে যদি মদ খাওয়া কিংবা মিষ্টি খাওয়ার অভ্যাস থাকে তাহলে এই অভ্যেস পরিত্যাগ করুন।
ঘুমের মধ্যে কথা বলার অভ্যাস রয়েছে এগুলো দেখা যায় এমনিতেই অনেকের সেরে যায় আবার অনেকের বৃদ্ধ বয়স পর্যন্ত এই গুলো থেকে যায়। আপনি যদি এটি নিয়ে অনেক অসস্থি বোধ করেন তাহলে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
চিরতরে গ্যাস্ট্রিক কমানোর উপায় গুলো জেনে নিন…….
১০ টি জ্বরের ঔষধের নাম ও খাওয়ার নিয়ম……..
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন