হাঁসের ডিমের উপকারিতা ভিটামিন |
ছোটবেলা থেকেই আমরা একটি কথা শুনে আর ছি সেটি হল বড়দেরকে সম্মান করবে ছোটরা। তেমনি যারা মনে করে তাতে হাঁসের ডিমের তুলনায় মুরগির ডিমে ভিটামিন বেশি তাদের জন্য এই উপদেশটি কাজে দিতে পারে। মুরগির ডিম নয় হাঁসের ডিমের উপকারিতা অনেক বেশি।
হাঁসের ডিম মুরগির ডিমের তুলনায় আকারে একটু বড় হয় এছাড়াও হাঁসের ডিমের খোসা মুরগির ডিমের তুলনায় বেশি শক্ত। হাঁসের ডিমের খোসা শক্ত থাকার কারণে হাঁসের ডিম ছয় সপ্তাহ পর্যন্ত রেখে খাওয়া যায় কোন প্রকার ফিজি না করে যদিও টাটকা ডিম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
হাঁসের ডিমের উপকারিতা যারা বেশি কুসুম খেতে চান বা বেশি প্রোটিন পেতেচান তারা মুরগির ডিম নয় বরং হাঁসের ডিম খান হাঁসের ডিমের উপকারিতা অনেক বেশি কুসুমের পরিমাণ প্রোটিনের পরিমাণ মুরগির ডিমের তুলনায় অনেক বেশি।
হাঁস না মুরগির ডিমে পুষ্টি বেশি ?
১০০ গ্রাম হাঁসের ডিম থেকে ১৮৫ কিলো ক্যালরি এনার্জি পাওয়া যায়। যেখানে ১০০ গ্রাম মুরগির ডিম থেকে পাওয়া যায় ১৪৯ কিলো ক্যালরি এনার্জি। কার্বহাইড্রেট ও মিনারেলের পরিমাণ সমান হলেও হাঁসের ডিমে প্রোটিনের পরিমাণ সামান্য বেশি থাকে।
হাঁস, মুরগি উভয়ের ডিমেই থিয়ামিন, নিয়াসিন, রাইবোফ্লোভিন, প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড, ফোলেট, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন ডি, ভিটামিন ই, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি১২ ও রেটিনল থাকলেও হাঁসের ডিমে সব ভিটামিনের পরিমাণই বেশি থাকে।
আরো খবর পরুনঃ
গোপনাঙ্গ থেকে
লোম দূর করার ঘরোয়া উপায়…………….
জন্ডিস কেন হয় ? জন্ডিসের লক্ষ্মণ ও ঔষধ…………….
১০০ গ্রাম হাঁসের ডিমে ক্যালসিয়াম ৭০ মিলিগ্রাম, লৌহ ৩ মিলিগ্রাম, ভিটামিন এ ২৬৯ মাইক্রোগ্রাম। অন্যদিকে মুরগির ডিমে ক্যালসিয়াম ৬০ মিলিগ্রাম, লৌহ ২ দশমিক ১ মিলিগ্রাম, ভিটামিন এ ২৯৯ মাইক্রোগ্রাম।
হাঁসের ডিমের উপকারিতা ? ও আশ্চর্য পুষ্টিগুণ
হাঁসের ডিম মেয়েদের স্তন ক্যান্সার থেকে রক্ষা করে, যারা প্রতি সপ্তাহে 6 টি করে হাঁসের ডিম খায় তাদের স্তন ক্যানসারের সম্ভাবনা 40 শতাংশ কমে যায়। হাঁসের ডিমের মধ্যে থাকা ভিটামিন ডি স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে।
হাঁসের ডিম মেয়েদের মাসিক নিয়মিত করতে ভূমিকা রাখে, গবেষণায় দেখা গেছে যারা নিয়মিত হাঁসের ডিম খায় তাদের মাসিকে সমস্যা দেখা দেয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়।
যাঁদের ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় রুক্ষ হয়ে যায় তারা হাঁসের ডিমের তৈরি স্যুপ খেলে ত্বক শুষ্ক হওয়ার দূর করতে পারে, বিশেষ করে শীতকালে হাঁসের ডিমের তৈরি স্যুপ ত্বক মোলায়েম ও কোমল রাখতে সহায়তা করে।
সন্তান প্রসব করার পর মায়েদের শরীর অনেকটা ভেঙ্গে পড়ে দুর্বল হয়ে যায় এবং শরীরে রক্ত স্বল্পতা দেখা দিতে পারে। মা হওয়ার 7 থেকে 10 দিন পর্যন্ত নিয়মিত হাঁসের ডিমের তৈরি স্যুপ খেলে হারানো শক্তি ফিরে পাবেন ব্রাউন সুগার ও ডিমের মিশ্রিত সুপ দুধ উৎপাদনে সহায়তা করে।
হাঁসের ডিম রান্না করে খাওয়া ভালো না কাঁচা খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়, গবেষকদের মতে ডিম রান্না করে খাওয়া কাঁচা খাওয়ার থেকে বেশি ভালো কারণ কাঁচা ডিম খেলে এতে বিভিন্ন উপাদান থাকে যা শরীরে প্রবেশ করে শরীরের ক্ষতি করতে পারে।
অপরদিকে ডিম সিদ্ধ করে বা রান্না করে খাওয়ার ফলে ডিমে থাকা ক্ষতিকর উপাদানগুলো যেমন ধ্বংস হয়ে যায় সেই টিমে থাকা পুষ্টি উপাদানগুলো শরীরের জন্য ভালো ভাবে প্রস্তুত হয়।
গবেষকরা সব সময় ডিম সিদ্ধ করে রান্না করে খাওয়া কি ভালো মনে করেন তো আপনি ডিম কোন ভাবে খেতে পছন্দ করেন সেটি অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে আমাদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন