সালাতুল তাসবিহ নামাজের নিয়ম ? সালাতুল তাসবিহ নামাজের নিয়ত
সালাতের মধ্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সালাত হচ্ছে সালাতুল তাসবিহ তাসবিহ নামাজ। সালাতুল তাজবির নামাজের ফজিলত অনেক বেশি বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন প্রতিদিন একবার নয়তো সপ্তাহে ১ বার মাসে একবার নয় তো জীবনে একবার হলেও সালাতুল তসবির নামাজ আদায় করতে বলেছেন। হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সালাতুল তাজবি নামাজ পড়ার গুরুত্ব থেকে বুঝা যায় এছাড়া তাজবীর ফজিলত কত বেশি। মেয়েদের ব্রা কালেকশন মাত্র ৮০ টাকা থেকে শুরু ব্রা প্যান্টি কিনতে ক্লিক করুন - এখনই ব্রা কিনুন
সালাতুল তাসবিহ নামাজঃ সালাতুল তাসবিহ নামাজ চার রাকাত এই চার রাকাত নামাজে প্রতি রাকাতে নিয়মিত সুরা কেরাত ব্যতীত 75 বার করে একটি দোয়া পাঠ করতে হয় এভাবে চার রাকাত নামাজে সর্ব মোট 300 বার দোয়া পড়তে হয়। চলুন সালাতুল তাজবি নামাজ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নেই নামাজ নেই কখন পড়তে হয় ফজিলত কি পড়ার নিয়ম সবকিছু।
সালাতুল তাসবিহ নামাজের নিয়ম
সালাতুত তাসবীহ চার রাকাত। প্রতি রাকাতে ‘সুবাহানাল্লাহ, ওয়াল হামদুলিল্লাহ, ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াল্লাহু আকবার’ তাসবীহগুলো ৭৫ বার পড়তে হয়। চার রাকাতে মোট ৩০০ বার পড়তে হয়। -
(سُبْحَانَ اللهِ وَالْحَمْدُ لِلهِ وَلَا اِلهَ اِلَّا اللهُ وَاللهُ اَكْبَرُ )
সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার।
>> প্রথম রাকাতে সানা পড়ার পর ১৫ বার পড়তে হবে
>>তারপর সূরা ফাতিহা তারপর কোরআন থেকে কেরাত পাঠ (সুরা মিলানো) সম্পন্ন হবার পর দাঁড়ানো অবস্থায় রুকুতে যাওয়ার পুর্বে ১০ বার।
>>রুকু করবে এবং রুকু অবস্থায় দোয়ার পর (এ তাসবিহ) ১০ বার পাঠ করতে হবে।
>>রুকু থেকে মাথা ওঠানোর পর সোজা হয়ে দাঁড়ানো অবস্থায় (রাব্বানা লাকাল হামদ পড়ার পর)এ তাসবিহ ১০ বার পাঠ করতে হবে।।
>>তারপর সিজদায় যাবে এবং সিজদা অবস্থায় এ তাসবীহ ১০ বার পাঠ করবে।
>>সিজদা থেকে মাথা ওঠানোর পর ১০ বার।
>>পুনরায় সিজদা গিয়ে ১০ বার
সিজদা থেকে মাথা ওঠিয়ে আবার দ্বিতীয় রাকাতে 15,10,10,10,10,10,10 একি ভাবে তাসবিহ পাঠ করতে হবে।
এ তাসবিহ প্রত্যেক রাকাআতে ৭৫ বার করে ৪ রাকাআত নামাজের প্রতি রাকাআতেই এক নিয়ম অনুসারে আদায় করতে হবে।
সালাতুল তাসবিহ নামাজের তাসবিহ
(سُبْحَانَ اللهِ وَالْحَمْدُ لِلهِ وَلَا اِلهَ اِلَّا اللهُ وَاللهُ اَكْبَرُ )
সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার।
সালাতুল তাসবিহ নামাজের নিয়ত আরবিতে
আরবি-উচ্চারন
نَوَايْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلَّّهِ تَعَالَى ارْبَعَ رَكَعَاتِ صَلَوةِ التَّسْبِيْحِ سُنَّةُ رَسُوْلِ اللَّهِ تَعَالَى مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِيْفَةِ اَللَّهُ اَكْبَرُ
বাংলা-উচ্চারন
নাওয়াইতু আন উসালি্লয়া লিল্লাহি তা’আলা আরবা’আ রাকা’আতাই সালাতিল সালাতুল-তাসবী সুন্নাতু রাসূলিল্লাহি তা’আলা মুতাওয়াজ্জিহান ইলাজিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।
বাংলা অর্থ
আমি সালাতুল-তাসবী -চার-রাক’আত সুন্নত নামাজ আদায় করার উদ্দেশ্যে কিবলামুখী হয়ে নিয়্যত করলাম,আল্লাহু আকবার।
সালাতুল তাসবিহ নামাজের ফজিলত
সালাতুল তাসবিহ নামাজের ফজিলত এত বেশি যে রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর চাচা হযরত আব্বাস রাদিআল্লাহু তায়ালাকে বলেন চাচা আপনি সালাতুল তাজবি নামাজ শপ্তাহে 1 বার তা না হলে মাসে একবার যদি তাও না পারেন, তাহলে অন্তত বছরে একবার সালাতুল তাসবিহ আদায় করবেন, যদি বছরে একবার সালাতুল তাজবির নামাজ আদায় করতে অক্ষম হন তাহলে সারা জীবনে একবার হলেও এই নামাজ পড়বেন।
নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চাচা হযরত আব্বাস রাদিআল্লাহু তায়ালা আনহুকে রাসুল পাক সাঃ সালাতুল তাসবিহ নামাজ জীবনে একবার হলেও পড়তে বলেছেন। এ থেকে বুঝা যায় সালাতুল তাজবির নামাজের ফজিলত কত বেশি এই নামায দ্বারা জীবনের ছোট বড় স্বেচ্ছায় অনিচ্ছায় নতুন পুরানো সকল প্রকার গুনাহ আল্লাহ তায়ালা মাফ করে দেন।
সালাতুল তাজবি নামাজের এত বেশি ফজিলত যে নামায টি আমাদের সকলেরই পড়া উচিৎ নামাজ পড়ার এই হাদিসটি মুহাদ্দিসগণ জাল ও যয়িফ বলেছেন। মনে রাখতে হবে সালাতুল তাসবিহ নামাজ কিন্তু সুন্নত নয় বরং এটি একটি নফল ইবাদত মহান আল্লাহ তা'আলা আমাদের সকলকে জীবনে একবার হলেও সালাতুল তসবির আদায় করার তৌফিক দিন।
সালাতুল তাসবিহ নামাজের সময়
সালাতুল তাজবি দিনের কোন অংশের পড়তে হবে তা নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি। তবে এটি জীবনে অন্তত একবার হলেও পড়ার জন্য মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার চাচা হযরত আব্বাস রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু কে বলেছেন। দিনের যেকোনো অংশে অর্থাৎ যে সময় নামাজ পড়া নিষিদ্ধ নয় এরকম সময় আপনি সালাতুল তাজবি পড়তে পারেন তবে রাতের বেলায় নামাজ পড়ার সবচাইতে ভালো।
সালাতুল তাসবিহ নামাজ কি সুন্নত
অধিক ফজিলত সম্পূর্ণ সালাতুল তাসবিহ নামাজ সম্পর্কে অনেকেই ভুল ধারণা পোষণ করে থাকেন সালাতুল তাসবিহ নামাজ সুন্নত নামাজ। সঠিক উত্তর হচ্ছে সালাতুল তাসবিহ নামাজ সুন্নত নামাজ নয় এটি একটি নফল ইবাদত এটি আপনি পড়লে অধিক অধিকারী হবেন যদি না পারেন তাহলে গুনাহগার হবে না।
সালাতুল তাসবিহ নামাজের হাদিস
ইবনে আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ لِلْعَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ: يَا عَبَّاسُ، يَا عَمَّاهُ، ” أَلَا أُعْطِيكَ، أَلَا أَمْنَحُكَ، أَلَا أَحْبُوكَ، أَلَا أَفْعَلُ لَكَ عَشْرَ خِصَالٍ إِذَا أَنْتَ فَعَلْتَ ذَلِكَ، غَفَرَ اللَّهُ لَكَ ذَنْبَكَ أَوَّلَهُ وَآخِرَهُ، وَقَدِيمَهُ وَحَدِيثَهُ، وَخَطَأَهُ وَعَمْدَهُ، وَصَغِيرَهُ وَكَبِيرَهُ، وَسِرَّهُ وَعَلَانِيَتَهُ، عَشْرُ خِصَالٍ: أَنْ تُصَلِّيَ أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ، تَقْرَأُ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ وَسُورَةٍ، فَإِذَا فَرَغْتَ مِنَ الْقِرَاءَةِ فِي أَوَّلِ رَكْعَةٍ، قُلْتَ وَأَنْتَ قَائِمٌ: سُبْحَانَ اللَّهِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ وَلَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَاللَّهُ أَكْبَرُ خَمْسَ عَشْرَةَ مَرَّةً، ثُمَّ تَرْكَعُ فَتَقُولُ وَأَنْتَ رَاكِعٌ عَشْرًا، ثُمَّ تَرْفَعُ رَأْسَكَ مِنَ الرُّكُوعِ فَتَقُولُهَا عَشْرًا، ثُمَّ تَهْوِي سَاجِدًا فَتَقُولُهَا وَأَنْتَ سَاجِدٌ عَشْرًا، ثُمَّ تَرْفَعُ رَأْسَكَ مِنَ السُّجُودِ فَتَقُولُهَا عَشْرًا، ثُمَّ تَسْجُدُ فَتَقُولُهَا عَشْرًا، ثُمَّ تَرْفَعُ رَأْسَكَ مِنَ السُّجُودِ فَتَقُولُهَا عَشْرًا، فَذَلِكَ خَمْسَةٌ وَسَبْعُونَ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ، تَفْعَلُ فِي أَرْبَعِ رَكَعَاتٍ، إِنِ اسْتَطَعْتَ أَنْ تُصَلِّيَهَا فِي كُلِّ يَوْمٍ مَرَّةً فَافْعَلْ، فَإِنْ لَمْ تَسْتَطِعْ فَفِي كُلِّ جُمُعَةٍ مَرَّةً، فَإِنْ لَمْ تَفْعَلْ فَفِي كُلِّ شَهْرٍ مَرَّةً، فَإِنْ لَمْ تَفْعَلْ فَفِي عُمُرِكَ مَرَّةً
রাসূলুল্লাহ ﷺ আব্বাস ইবনে আব্দিল মুত্তালিবকে বলেছেন, হে চাচা! আমি কি আপনাকে দেব না? আমি কি আপনাকে প্রদান করব না? আমি কি আপনার নিকটে আসব না? আমি কি আপনার জন্য দশটি সৎ গুণের বর্ণনা করব না যা করলে আল্লাহ তাআলা আপনার আগের ও পিছনের, নতুন ও পুরাতন, ইচ্ছায় ও ভুলবশত কৃত, ছোট ও বড়, গোপন ও প্রকাশ্য সকল গুনাহ মাফ করে দেবেন?
সালাতুল তাসবিহ নামাজের সময় কখন
জাওয়াল, সুর্যাস্ত, সূর্যোদয়, নামায এর জন্য নিষিদ্ধ ও মাকরুহ সময় বাদে দিন অথবা রাতের যেকোন সময় একবারে চার রাকাত এ এই নামায আদায় করতে হয়। এখন সালাতুল তাসবিহ নামাজ পড়ার নিয়মাবলি আমরা জেনে নিতে পারি।
👉👉 প্রতিদিন
রসুন
খাওয়ার
৭
উপকারীতা
? রসুন
খেলে
।
👉👉 ছারপোকা তাড়ানোর
৭টি
ঘরোয়া
সহজ
উপায়
👉👉 দাড়ি
গজানোর
তেল
মাত্র
৩৫০
টাকায়
👉👉 চিরতরে গ্যাস্ট্রিক কমানোর উপায়
👉👉 ইসলামে
স্বামী
স্ত্রী
সহবাসের
দোয়া
ও
ফজিলত
👉👉
হিটলার কেন অসংখ্য ইহুদিদের হত্যা করেছিল হত্যার কারণ কি, ?
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন