বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসে মুজিবনগর সরকার তথা অস্থায়ী সরকার গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে বিবেচিত হয়ে থাকে। ইতিহাসে এটি মুজিবনগর বা প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার নামে পরিচিত। মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন এই প্রশ্নটিই অনেকেই জানেনা। মুজিবনগর সরকারের কে কোন পদে ছিলেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত তারচেয়ে আর্টিকেলটির ধারাবাহিক পর্বে।
মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসে একটি অধ্যায়ের মুজিবনগর সরকার মুজিবনগর সরকার একটি অস্থায়ী বা প্রবাসী সরকার নামে পরিচিত থাকলেও মুজিবনগর সরকার স্বাধীনতার সেবা হাতিয়ার হিসেবে কাজ করেছিল। মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তাজউদ্দিন আহমেদ, তাজউদ্দিন আহমেদ মুজিবনগর সরকারের প্রধান হিসেবে থাকলেও মুজিবনগর সরকারের মূল ভূমিকায় ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
আরো পড়ুনঃ মোটা
হওয়ার ইন্ডিয়ান গুড হেলথ কিনতে ক্লিক- এখনই কিনুন
আরো পড়ুনঃ মোটা
হওয়ার ইন্ডিয়ান গুড হেলথ কিনতে ক্লিক- এখনই কিনুন
মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি কে ছিলেন
একটি দেশের শাসনের রাষ্ট্রপতির ভূমিকা অনেক বেশি থাকে তেমনি মুজিবনগর সরকার বা অস্থায়ী সরকার গঠনে একজনকে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। তাজউদ্দিন আহমেদকে প্রধানমন্ত্রী করে মুজিবনগর সরকার গঠন করা হলো জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন রাষ্ট্রপতি।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কে কেন্দ্র করে রাষ্ট্রপতি করে গঠিত এই সরকারের উপরাষ্ট্রপতি ছিলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম এবং তাজউদ্দিন আহমেদ ছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
আরো পড়ুনঃ ২০ মিনিট করার ভিগা স্প্রে
কিনতে ক্লিক- এখনই কিনুন
আরো পড়ুনঃ ২০ মিনিট করার ভিগা স্প্রে
কিনতে ক্লিক- এখনই কিনুন
মুজিবনগর সরকারের প্রধান সেনাপতি কে ছিলেন
আদতে মুজিবনগর সরকার একটি অস্থায়ী সরকার হিসেবে গঠিত হলেও এটি একটি পূর্ণাঙ্গ সরকার বা পূর্ণাঙ্গ সরকারি কমিটি ছিল যার রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী উপরাষ্ট্রপতি অর্থমন্ত্রী ছাড়াও প্রধান সেনাপতি ছিল।
মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ রাষ্ট্রপতি হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং সেনাপতিদের দায়িত্ব পালন করেন কর্নেল ওসমানী। বাংলাদেশের ইতিহাসে কর্নেল ওসমানী নামটি স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে স্বাধীনতার যুদ্ধে এনেছিলে মুজিবনগর সরকারের প্রধান সেনাপতি।
মুজিবনগর সরকার
মুজিবনগর সরকার মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য গঠিত বাংলাদেশের প্রথম সরকার। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণার পর ১০ এপ্রিল এ সরকার গঠিত হয়। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলা গ্রামে মুজিবনগর সরকার শপথ গ্রহণ করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে বৈদ্যনাথতলা গ্রামের নামকরণ হয় মুজিবনগর। মুজিবনগর সরকারের কর্মকান্ড বাংলাদেশ ভূখন্ডের বাইরে থেকে পরিচালিত হয়েছিল বলে এ সরকার প্রবাসী মুজিবনগর সরকার হিসেবেও খ্যাত।
সরকার গঠন ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড তথা প্রধান নেতৃবৃন্দকে নিয়ে একটি সরকার গঠিত হয়। ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের মুক্তাঞ্চল বৈদ্যনাথতলায় সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আবদুল মান্নান এম.এন.এ এবং স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন অধ্যাপক ইউসুফ আলী এম.এন.এ। নবগঠিত সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামকে এখানে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
মন্ত্রীদের দপ্তর বণ্টন ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল সরকার গঠন এবং ১৭ এপ্রিল সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হলেও মন্ত্রীদের মধ্যে দপ্তর বণ্টন হয় ১৮ এপ্রিল। এদিন সরকারের কাঠামো ছিল নিম্নরূপ:
মুজিবনগর সরকারকে ১৫টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগে ভাগ করা হয়। এছাড়া কয়েকটি বিভাগ মন্ত্রিপরিষদের কর্তৃত্বাধীনে থাকে। মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কার্যক্রম নিম্নরূপ:
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্রপতি
সৈয়দ নজরুল ইসলাম উপরাষ্ট্রপতি (রাষ্ট্রপতি পাকিস্তানে অন্তরীণ থাকার কারণে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা, দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনের দায়িত্বপ্রাপ্ত)
তাজউদ্দীন আহমদ প্রধানমন্ত্রীএবং প্রতিরক্ষা, তথ্য, সম্প্রচার ও যোগাযোগ, অর্থনৈতিক বিষয়াবলি, পরিকল্পনা বিভাগ, শিক্ষা, স্থানীয় সরকার, স্বাস্থ্য, শ্রম, সমাজকল্যাণ, সংস্থাপন এবং অন্যান্য যেসব বিষয় কারও ওপর ন্যস্ত হয়নি তার দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী
খন্দকার মোশতাক আহমদ মন্ত্রী, পররাষ্ট্র, আইন ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়
এম মনসুর আলী মন্ত্রী, অর্থ, শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়
এ এইচ এম কামরুজ্জামান মন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র, সরবরাহ, ত্রাণ ও পুনর্বাসন এবং কৃষি মন্ত্রণালয়
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি করে গঠিত এ সরকারে সৈয়দ নজরুল ইসলাম উপরাষ্ট্রপতি, তাজউদ্দিন আহমেদ প্রধানমন্ত্রী, এম মনসুর আলী অর্থমন্ত্রী এবং এ এইচ এম কামরুজ্জামান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া পান। এম এ জি ওসমানী প্রধান সেনাপতির দায়িত্ব পান।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন