কালোজিরার তেল এর গুণগান ও উপকারিতা |
কালোজিরা তেল এর গুরুত্ব ও উপকারিতা অনেক। ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া থেকে শুরু করে শরীরের কোষ ও কলা বৃদ্ধিতে কালোজিরার সাহায্য করে থাকে। কালোজিরা শুধু স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী নয় বরং কালোজিরা চুলের জন্য ত্বকের জন্য সমানভাবে উপকারী। আমাদের দেশ সহ অনেক দেশেই প্রতিটি রান্নাঘরের কালোজিরা থাকে যা খাবারকে সুস্বাদু করার কাজে ব্যবহার করা হয়।
কালোজিরা এতটাই উপকারী একটি তেল যে এটি সম্পর্কে বিশ্ব নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন কালোজিরা মৃত্যু ব্যতীত সকল রোগের ঔষধ। সুতরাং আপনি বুঝতে পারছেন কালোজিরার গুরুত্ব কতটা রয়েছে এর মানব শরীরের জন্য কতটা উপকারী একটি তেল। আসুন আজকে জেনে নেই কালোজিরার আশ্চর্য এমন কিছু উপকারিতা ও কালোজিরার কার্যকারী গুণ সম্পর্কে।
শক্তি বৃদ্ধি করতে
স্মরণশক্তি বৃদ্ধিতে কালোজিরার তেলের গুরুত্ব অপরিসীম স্মরণশক্তি বৃদ্ধি করার জন্য আপনি নিয়মিত কালোজিরা এবং কালোজিরা তেল সেবন করতে পারেন। 1 চা চামচ পুদিনা পাতার রস বা কমলার রস বা এক কাপ রঙ চা এর সাথে 1 চা চামচ কালোজিরার তেল মিশিয়ে দিনে তিনবার করে নিয়মিত সেবন করুন। কালোজিরার চিন্তা দূর করে এছাড়াও কালোজিরা মেধার বিকাশ এর জন্য কাজ করে কালোজিরা নিজে একটি অ্যান্টিবায়োটিক বা এন্টিসেপটিক। কালোজিরার মধ্যে থাকা গুনাগুন মস্তিস্কের রক্ত সঞ্চলন বৃদ্ধির মাধ্যমে স্মরণ শক্তি বাড়িয়ে তুলে। কালোজিরা খেলে আমাদের দেহে রক্ত সঞ্চালন সঠিক মত হয়ে থাকে এতে করে মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় যা আমাদের স্মৃতিশক্তিকে অনেক গুণ বাড়িয়ে তোলে।
সর্দি সারাতে
সর্দি নিরাময়ে কালোজিরা খুবই কাজ করে থাকে কালোজিরা এর সাথে মধু মিশিয়ে দৈনিক তিনবার মাথা ও ঘাড়ে রোগ সেরে না যাওয়া পর্যন্ত মালিশ করতে হবে। এতে ঘাড়ে ও মাথায় থাকা ব্যথা খুব সহজেই সেরে যাবে। এছাড়া এ চা চামচ কালো জিরে সঙ্গে 3 চা চামচ মধু 2 চা-চামচ তুলসী পাতার রস মিশিয়ে খেলে জ্বর সর্দি কাশির সমস্যা দূর হয়। সর্দি অনেক দিন হয়ে গেলে কালোজিরা বেটে কপালে প্রলেপ দিন। পরিষ্কার কাপড়ে কালোজিরা বেঁধে সুখতে থাকুন দেখবেন তরল বের হয় ঝরে পড়বে আরো দ্রুত ফল পেতে বুকে ও পিঠে কালোজিরার তেল মালিশ করুন।
মাথা ব্যাথা নিরাময়ে
এক বা দুই চা-চামচ কালোজিরার তেল মাথায় ভালোভাবে লাগাতে হবে এবং 1 চা চামচ কালোজিরার তেল সমপরিমাণ মধু মিশিয়ে দিনে দুই থেকে তিনবার খেতে হবে। নিয়মিত এভাবে কালোজিরার তেল লাগালে এবং খেলে কয়েকদিনের মধ্যেই আপনার মাথাব্যথা সম্পূর্ণরূপে কমে যাবে।
বাতের ব্যাথা দূরীকরণে
পুরানো বাতের ব্যথা রয়েছে তারা আক্রান্ত স্থান ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে তাতে কালোজিরার তেল ম্যাসাজ করবেন। চা চামচ কাঁচা হলুদের রস এর সাথে সমপরিমাণ কালোজিরার তেল সমপরিমাণ মধু একসাথে দৈনিক তিনবার করে দুই থেকে তিন সপ্তাহ একটানা খেতে হবে। কিভাবে টানা দুই থেকে তিন সপ্তাহ সেবন করার ফলে পুরাতন বাতের ব্যাথা সহ নানা ধরনের বাতের ব্যথা থেকে আপনি খুব সহজেই উপশম পাবেন।
বিভিন্ন প্রকার চর্মরোগ সারাতে
চর্মরোগ সারাতে কালোজিরা খুব ভালো উপকারী একটি পথ্য হতে পারে, জন্য আপনাকে আক্রান্ত স্থান ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে সেখানে মালিশ করতে হবে অথবা আপনি কালোজিরার তেল এর চা-চামচ কাঁচা হলুদের সাথে সমপরিমাণ কালোজিরার তেল নিয়ে বা এর সাথে সমপরিমাণ মধু মিশিয়ে দৈনিক দুই থেকে তিন সপ্তাহ পান করুন, তবে চর্মরোগ সারাতে আপনি কালোজিরার তেল চর্মরোগে আক্রান্ত স্থানে ভালো করে মালিশ করলে সবচাইতে ভাল উপকার পাওয়া যায়।
হার্টের বিভিন্ন সমস্যার ক্ষেত্রে
সমস্যার জন্য এক চা-চামচ কালোজিরার তেল সহ এক কাপ দুধ দৈনিক দুইবার করে চার থেকে পাঁচ সপ্তাহ সেব্য, এছাড়াও কালোজিরার তেলে কোন কিছু না মিশিয়ে শুধু ওরজিনাল তেলটি আপনাকে বুকে ম্যাসাজ বা মালিশ করে নিতে হবে। কালোজিরার তেল ম্যাসাজ করা এবং খাওয়া উভয় করা যেতে পারে এতে হার্ট ভালো থাকে এবং হার্টের বিভিন্ন সমস্যা থেকে রক্ষা পাবেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন