ডেঙ্গু কি ? ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ, প্রতিকার ও চিকিৎসা

 

 ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ, প্রতিকার ও চিকিৎসা 

মে থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত, বিশেষ করে গরম এবং বর্ষার সময়ে ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ বেশি থাকে। শীতকালে সাধারণত এই জ্বর হয় না বললেই চলে। শীতে লার্ভা অবস্থায় এই মশা অনেক দিন বেঁচে থাকতে পারে। 

ডেঙ্গু কি

ডেঙ্গু জ্বর হলে ডেঙ্গু বা এডিস মশা বাহিত একটি রোগ। ডেঙ্গু রোগের জীবাণু বাহক কোন মশা যদি কাউকে কামড়ায় তাহলে 1 থেকে 6 দিনের মধ্যে ওই ব্যক্তি এই জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ডেঙ্গু জ্বর সাধারণত দুই প্রকার হয়ে থাকে একটি হচ্ছে ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গু ফিভার দ্বিতীয় টি হেমোরেজিক ফিভার।

ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ

 ২০০৯ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডেঙ্গু রোগের কিছু খারাপ লক্ষণ প্রকাশ করেছিল, সেগুলো হলো :

১, তীব্র পেট ব্যথা।

২, মাত্রাতিরিক্ত বমি হওয়া (২৪ ঘণ্টায় তিনবারের বেশি হলে)।

৩, শরীরে পানি জমে যাওয়া।

৪, মুখের ভেতরে, চোখের সাদা অংশে রক্তের ছাপ দেখা যাওয়া।

৫, প্রচণ্ড ক্লান্তি বা দুর্বলতা অনুভব করা।

৬, লিভার দুই সেন্টিমিটারের চেয়ে বড় হয়ে যাওয়া।

৭, Hct বেড়ে যাওয়া, প্লাটিলেট কমে যাওয়া।


ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসা 

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত  রোগী ৫থেকে ১০ দিনের মধ্যে নিজে নিজেই ভালো হয়ে যায়। সাধারণত লক্ষণ বুঝেই চিকিৎসা দেওয়া হয়।

১,সম্পূর্ণ ভালো না হওয়া পর্যন্ত বিশ্রামে থাকতে হবে।

২,যথেষ্ট পরিমাণে পানি, শরবত, ডাবের পানি ও অন্যান্য তরল জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে।

৩,খেতে না পারলে দরকার হলে শিরাপথে স্যালাইন দেওয়া যেতে পারে।

৪,জ্বর কমানোর জন্য শুধুমাত্র প্যারাসিটামল-জাতীয় ব্যথার ওষুধই যথেষ্ট। এসপিরিন বা ডাইক্লোফেনাক-জাতীয় ব্যথার ওষুধ কোনোক্রমেই খাওয়া যাবে না। এতে রক্তক্ষরণের ঝুঁকি বাড়বে।

৫,জ্বর কমানোর জন্য ভেজা কাপড় দিয়ে গা মোছাতে হবে।

ডেঙ্গু রোগের প্রতিকার 

যেহেতু একটি মশা বাহিত রোগ তাই মশার কামড় থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখতে পারলে ডেঙ্গু রোগের প্রকপ অনেকটাই কমে আসে। এজন্য আপনিঃ

১, সবসময় বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন। 

২, বাড়ির পাশের ছাদের টবে কোথায় যেন প্রাণই এক সপ্তাহের অধিক জমে না থাকলে সেটি লক্ষ রাখুন। 

৩, ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারী টাঙিয়ে ঘুমাবে। 

৪, দিনের বেলায় ঘুমানোর অভ্যাস পরিত্যাগ করুন। 

৫, সর্বোপরি লক্ষ রাখুন যাতে আপনাকে আমার সোনা কামড়াতে পারে কারণ মশার মাধ্যমে এই রোগটি ছড়িয়ে থাকে

৬,মশা নিধনের স্প্রে, কয়েল, ম্যাট ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে মশার কামড় থেকে বাঁচার জন্য দিনে ও রাতে মশারি ব্যবহার করতে হবে।

৭,ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীকে অবশ্যই সব সময় মশারির মধ্যে রাখতে হবে, যাতে করে কোনো মশা কামড়াতে না পারে।

আরো  খবর পরুনঃ

কোন বয়সে মেয়েদের সেক্স পাওয়ার বেশি থাকে থাকে…….

মেয়েদের সেক্স বাড়ানোর ঔষধ এর দাম কত………..

 দীর্ঘক্ষন সহবাসের ৫ টি ঘরোয়া উপায়……….

জেনে নিন স্ত্রী সহবাসের নিষিদ্ধ সময় গুলো গুলো………..


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন