যে ১০ টি ঔষধ সবসময় বাসায় রাখবেন

 

যে ১০ টি ঔষধ সবসময় বাসায় রাখবেন 


আমাদের যেকোন সমস্যা বা রোগের প্রকোপ দেখা দিতে পারে সাথে সাথে ডাক্তারের কাছে যাওয়া কষ্টসাধ্য হয়। আপনি আপনার হাতের নাগালে এই ১০টি ঔষধ রাখতে পারেন বা এই ১০টি ঔষধ সম্পর্কে আপনার সাধারন জ্ঞান থাকলে খুব সহজেই আপনি এগুলো ব্যাবহার করতে পারবেন।


১। প্যারাসিটামল/Paracetamol

 নাপা, এইস, এক্সেল, প্যারাপাইরল, জেরিন প্যারাসেট, প্যানাডল  জ্বরের জন্য প্রথমে একটি প্যারাসিটামল খেতে পারেন।  অধিক ব্যবহার যকৃতের জন্য ক্ষতিকর।দৈনিক সর্বোচ্চ 4000 mg (৪ গ্রাম) পর্যন্ত গ্রহণ করা যায় এর বেশি না। 

আরো  খবর পরুনঃ দাউদ রোগের চিকিৎসায় ৫টি ঘরোয়া উপায় বিস্তারিত……

২। ট্রামাডল /Tramadol

কোন প্রকার ঝুঁকি ছাড়াই ট্রামাডল পেইনকিলার হিসেবে নেয়া যায়; এমনকি অ্যাসমা রোগীরাও এটি নিতে পারবেন।


৩। সিল্ভার সালফাডিয়াযিন / Silver sulfadiazine

হালকা পুড়ে গেলে প্রথমে পোড়া জায়গাটি কলের পানির নিচে ধরুন। পানি শুকিয়ে গেলে যত্ন সহকারে পোড়া জায়গায় সিলভার সালফাডিয়াযিন অয়ন্টমেন্ট দিন। 


৪। পভিডন-আয়োডিন মলম / Povidone-iodine ointment

হালকা রক্তপাত সহ ছোটখাটো কাটা-ছেড়ার ক্ষেত্রে ক্ষতটি শুকনা পরিষ্কার কাপড় দিয়ে চেপে ধরে রাখুন। রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে গেলে কাটা জায়গায় পভিডন-আয়োডিন অয়ন্টমেন্ট দিন।

আরো  খবর পরুনঃ দাউদ রোগের চিকিৎসায় ৫টি ঘরোয়া উপায় বিস্তারিত……

 ৫। টাইমোনিয়াম সালফেট /Tiemonium sulphate

যেকোন প্রকার পেটে ব্যাথার ক্ষেত্রে বিশেষ করে পিরিয়ডের প্রথম কয়েক দিনের ব্যাথার জন্য এটি অত্যন্ত কার্যকর একটি ওষুধ।


৬, এসোমিপ্রাযল/ওমিপ্রাযল / Esomeprazole/Omeprazole

অধিকাংশ মানুষই কোন না কোন সময় বুক জ্বলা বা গ্যাসের সমস্যায় ভুগতে হয়; বিশেষ করে ভরপেট খাওয়ার পর। এসোমিপ্রাযল/ ওমিপ্রাযল পাকস্থলীতে অ্যাসিড গঠন কমিয়ে বুক জ্বলা কমাতে সাহায্য করে। 


৭। অ্যালুমিনিয়াম হাইড্রক্সাইড সাস্পেনশন / Aluminum hydroxide suspension

বুক জ্বলা এবং গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য ২ চামচ করে অ্যালুমিনিয়াম হাইড্রক্সাইড সাস্পেনশন খেতে পারেন। সাস্পেনশন্টি ফ্রিজে রাখতে পারবেন এবং ঠাণ্ডা খেলেই বেশি আরাম পাবেন।

আরো  খবর পরুনঃ দাউদ রোগের চিকিৎসায় ৫টি ঘরোয়া উপায় বিস্তারিত……

৮। ওরস্যালাইন/ Oral Rehydration Saline

ডায়রিয়ার সময় খুব সহজেই শরীর থেকে অনেক পানি বেরিয়ে যায়। প্রত্যেকবার পাতলা পায়খানা হওয়ার পর স্যালাইন খাওয়া উচিত। শরীরে পানিশূন্যতা হলে নানারকম জটিলতা দেখা দিতে পারে।


৯। ফেক্সোফেনাডিন/রুপাটিডিন / Fexofenadine/Rupatadine

 যাদের অ্যালারজিক রাইনিটিস (ধুলা, পরাগ, তেলাপোকা ইত্যাদির সংস্পর্শে আসলে হাঁচি হওয়া) আছে তারা রাতে একবার ফেক্সোফেনাডিন বা রুপাটিডিন নিলে হাঁচি ও নাক থেকে পানি পড়ার উপশম হবে।

আরো  খবর পরুনঃ দাউদ রোগের চিকিৎসায় ৫টি ঘরোয়া উপায় বিস্তারিত……


১০।অ্যাসপিরিন / Aspirin

আকস্মিক বুকে ব্যথা এবং পরবর্তীতে বাম হাত, চোয়াল বা গলার বাম দিকে ব্যথা হওয়া হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ। হার্ট অ্যাটাকের যেকোন লক্ষণ দেখা দিলে সাথে সাথে ২/৩ টি বেবি অ্যাসপিরিন খেয়ে নিন এবং যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে যাওয়ার চেষ্টা করুন।


ওষুধ সেবনে সতর্কতা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া 

আপনার সামান্য একটু অসাবধানতা অনেক বড় ঝুকি নিয়ে আসতে পারে আপনার অজান্তেই তাই জেনে নিন ঔষধ কখন খাবেন  এবং এর পরবর্তীতে কি কি খাওয়া উচিত আর কি উচিত না !

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন