আনারসের উপকারিতা ও অপকারিতা |
আনারস আমাদের অতি পরিচিত একটি ফল ফলটি ইংরেজিতে পাইনাপেল নামে পরিচিত। বিশেষ করে বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতে প্রচুর আনারসের চাষ হয়ে থাকে। বাংলাদেশের সবচাইতে মিষ্টি আনারসের চাষ হয়ে থাকে মৌলভীবাজার জেলায়।
সুস্বাদু মিষ্টি ফলটিতে রয়েছে নানান পুষ্টি উপাদান খনিজ ও মিনারেল এর উপকারিতা ও অপকারিতা দুটো দিকই রয়েছে যদি আপনি সঠিকভাবে আনারস না খেয়ে থাকেন। চলুন জেনে নেই আনারসের উপকারিতা ও অপকারিতা গুলো কি কি।
আরো পড়ুনঃ
টাইটান
জেল
পুরুষের
লিঙ্গ
১
থেকে
৩
ইঞ্চি পর্যন্ত বড় ও
মোটা
করে।
আরো
পড়ুনঃ বিনা জামানতে ঋণ দেয়
কোন ব্যাংক
আনারসের উপকারিতা
আজকে আমরা আনারসের পাঁচটি উপকারিতা সম্পর্কে জানব যদিও এর বাহিরেও আনারসের আরও নানান উপকারিতা রয়েছে তবু আজকে আমরা গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি উপকার আপনাদের সামনে তুলে ধরছি।
১, ওজন কমায়
আনারসে পাওয়া যায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এসব ফাইবার শরীরের বাড়তি মেদ ও ওজন কমাতে সাহায্য করে। সকালে ফলমূলের তালিকা আনারস রাখলে এবং অন্যান্য খাবারে আনারস খাওয়ার অভ্যাস থাকলে খুব দ্রুতই শরীরের অতিরিক্ত মেদ চর্বি কমতে শুরু করবে। বিষয়টি শুনতে আশ্চর্য মনে হলেও এটাই সত্যি।
আরো পড়ুনঃ পুরুষের লিঙ্গ ১-২ ইঞ্চি
লম্বা করার আধুনিক ঔষধ।
২, হাড়ের সুস্থতা নিশ্চিত করে
আনারসে বিভিন্ন খনিজ ছাড়াও রয়েছে বিপুল পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম শরীরের হাড়ের ক্ষয় রোধ করতে হাড়ের বৃদ্ধি করতে এবং হাড়ের নানা প্রকার সমস্যা থেকে রেহাই পেতে সহায়তা করে। গবেষণায় দেখা যায় নিয়মিত আনারস খেলে হাড়ের নানা প্রকার সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
৩, দাত ও মাড়ির সুরক্ষায়
দাঁত ও মাড়িতে ইনফেকশন এর যেসব ব্যাকটেরিয়া দায়ী এগুলোকে আনারস সহজেই দূর করতে সাহায্য করে। এর ফলে দাঁত ও মাড়ির নানা প্রকার ইনফেকশনের সম্ভাবনা অনেক কম দেয় যার ফলে দাঁত ও মাড়ি ভালো থাকে।
৪, চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায়
গবেষণায় দেখা যায় আমাদের চোখের ম্যাকুলাস ডিপ্রেশন হওয়া থেকে আনারস রক্ষা করে। এই ম্যাকুলাস ডিপ্রেশন আমাদের চোখের রেটিনা কে নষ্ট করে দেয় যার ফলে আস্তে আস্তে আমরা দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলে অন্ধ হয়ে যাই। প্রতিদিন আনারস খেলে এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা 30 শতাংশ পর্যন্ত কমে যায় এতে আমাদের চোখ সুস্থ থাকার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
৫, সর্দি কাশি দূর করে
আনারসের ভিটামিন-সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এটি সর্দি-কাশি প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।
উপরোক্ত পাঁচটি উপকার ছাড়া আনারস খেলে মাড়ির সুস্থতায় শরীরের ওজন কমা সহ, হজম শক্তি বৃদ্ধি হজমশক্তি জনিত নানা সমস্যা শরীলের স্নায়ু সমস্যা মস্তিষ্কের সমস্যা উপশমেও আনারস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে থাকে।
আরো পরুনঃ ডুমুর ফল ? ডুমুর ফলের উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম
আনারসের অপকারিতা
আনারসের উপকারিতা পাশাপাশি অপকারিতা রয়েছে বিশেষ করে কিছু লোককে আনারস বাড়িয়ে তোলে আবার অনেক সময় আনারস প্রয়োজনের তুলনায় বেশি পরিমাণে খাওয়া হলে সকল সমস্যা দেখা দিতে পারে তো চলুন আনারসের অপকারিতা গুলো জেনে নেই।
১, অ্যালার্জীর আক্রমণ
আনারস খাওয়ার ফলে শরীরে এলার্জির পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে বিশেষ করে যাদের শরীরে অ্যালার্জিজনিত সমস্যা রয়েছে তাদের এই সমস্যাটি অতি প্রকট আকারে দেখা দিতে পারে। যাদের এসকল সমস্যা রয়েছে তারা আনারস খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই আনারস কেটে ভালো করে লবণ দিয়ে ধুয়ে নিবেন এতে এই সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায় অবশ্যই আনারস অল্প পরিমাণে খাবেন।
২, রক্তে চিনির পরিমান বৃদ্ধি
আনারস অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে ডায়াবেটিস রোগীদের সমস্যা হতে পারে কারণ আনারসের চিনির অন্যতম উপাদান সুক্রোজ এবং ফুক্টোজ ডায়াবেটিসের জন্য অনেক ক্ষতিকর। এই ক্ষতির পরিমাণ কমবেশি নির্ভর করবে আনারস খাওয়ার উপরে আনারস বেশি খেলে সমস্যা বেশি হতে পারে আর কম খেলে আনারস কম হতে পারে।
আরো পড়ুনঃ ছেলেদের
লিঙ্গ পেনিস বড় করার হোমিও চিকিৎসা
৩, মুখও গলার জন্য ক্ষতিকর
আনারসে প্রচুর পরিমাণে এসিডিটি রয়েছে যেগুলো মুখ ও গলার প্রকার শ্লেমা সৃষ্টি করে। আনারস খাওয়ার পর পেটে ব্যথা হতে পারে।
৪, দাতের জন্য ক্ষতিকর
অনেক সময় আনারস আমাদের দাঁতের উপকার না করে অপকারের কারণ হয়ে থাকে। বিশেষ করে যাদের দাঁতে কে বেটি সমস্যা রয়েছে তাদের দাঁতে ব্যথা বা শিরশির জনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আনারস খাওয়ার নিয়ম
আনারস নিঃসন্দেহে আমাদের শরীরের জন্য উপকারী যদি আমরা সঠিকভাবে আনারস খেতে পারি এর ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে ধারণা রাখে তাহলে অবশ্যই আনারস আমাদের জন্য উপকারী।
তো আজকের পর্বে আপনারা জানতে পারলেন আনারসের উপকারিতা ও অপকারিতা আনারস কি পরিমাণে খেলে উপকার হয় কি পরিমাণে খেলে উপকার হয় সবকিছু সম্পর্কে হয়তো আজকে জানতে পেরেছেন।
আরো পরুনঃ ড্রাগন ফল ? ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন