ফজরের নামাজের সময় ও ফজরের নামাজের ফজিলত |
নামাজের মধ্যে সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত সময় হচ্ছে মাগরিবের সময়। মাগরিবের ওয়াক্ত এর চেয়ে ফজরের নামাজের ওয়াক্ত একটু বড় হলেও এই ওয়াক্ত শুরু হয় সূর্য ওঠার আগে তাই এই ওয়াক্তে নামাজ পড়া নিয়ে অনেকের মধ্যে সন্ধিহান রয়েছে। চলুন ফজরের ওয়াক্ত বা ফজরের নামাজ সম্পর্কে আমাদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর জেনে নেই।
প্রশ্ন: ফজরের ওয়াক্ত কখন শুরু হয় ও কখন শেষ হয়?
সমাধান: ফজরের ওয়াক্ত সুবহে সাদিক থেকে নিয়ে সূর্যদয় পর্যন্ত বাকী থাকে।
ব্যাখাঃ ফজরের নামাজের ওয়াক্ত শুরু হয় সুবেহ সাদিকের পর থেকে আর নামাজের সময় থাকে সূর্যোদয়ের পূর্ব পর্যন্ত। তবে সূর্যোদয়ের কতক্ষণ পূর্বে এই নামায আপনাকে শেষ করতে হবে এর সঠিক ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে সূর্যোদয়ের পূর্বে আপনার এই নামাজ যদি ভুল হয়ে থাকে তবে যেন পুনরায় আদায় করার সুযোগ থাকে ঠিক এতটুকু পূর্বে এই নামায আদায় করে নেওয়া ভালো। সুবেহ সাদিক শুরু হয় পূর্ব আকাশে একপ্রকার আলোর রেখা দেখাবে আলোর রেখা দেখেই বুঝা যায় যে সুবেহ সাদিকের সময় শুরু হয়েছে।
বর্তমান সময় গুলোতে অনেক ক্যালেন্ডার রয়েছে যেখানে নামাজের সঠিক সময় সূর্যোদয়ের সঠিক সময় সম্পর্কে বলা আছে আপনি এগুলোকে ফলে সঠিক সময়ে নামাজ আদায় করতে পারবেন।
প্রশ্ন: সূর্য উদয়ের কতক্ষণ পূর্বে ফজরের নামাজ শেষ করা উচিৎ
সূর্য উদয়ের এতোটুকু পূর্বে ফজরের নামাজ শেষ করা উচিত যদি কোনো কারণবশত নামাজ শেষ হয়ে যায় তাহলে দ্বিতীয়বার আদায় করার সময় থাকে ঠিক এতটুকু সময় পূর্বে আদায় করা উত্তম। তোমাদের উচিত নামাজ আদায়ের শেষ সময়ের পূর্বেই নামাজ আদায় করে নেয় এতে করে নামাজ আদায় সম্পর্কিত আমাদের যে মনের ভিতর এক প্রকার অজানা ভয় কাজ করে সেটি থাকার কোন সুযোগ থাকে না।
আরো খবর
পরুনঃ আল
কুরানের কোন সূরায় বিসমিল্লাহ বলা নিষেধ
আরো খবর পরুনঃ রোগ মুক্তির দোয়া আরবি ও বাংলায় উচ্চারণ সহ……….
ফজর নামাজ পড়তে না পারলে করণীয়
ফজরের নামাজের সময় যেহেতু মানুষের বিশ্রামের সময় তো এই সময়টিতে অনেক সময় দেখা যায় নামাজ ইচ্ছা করে বা ভুলবশত হোক কিংবা ঘুমের বশত নামাজ ছুটে যায়। সুতরাং ঘুম থেকে জাগ্রত হতে না পারলে নামাজ ছুটে গেলে তার উপর কাযা করা ওয়াজিব হয়ে যায়।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে ব্যক্তি নামায আদায় করতে ভুলে যায় সে সময় ঘুমিয়ে থাকায় তা ছুটে যায় তার কাপ্পারা হল যখন মনে হবে তখন সঙ্গে সঙ্গে নামাজ আদায় করে নেবে।
ইচ্ছাকৃত নামাজ আদায় না করা গুনাহে কবিরা আর প্রতিদিন ইচ্ছা করে নামাজ আদায় না করে কাফফারা বা কাজা নামাজ আদায় করা গ্রহনযোগ্য নয়। মহান আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেন দুর্ভোগ সেসব নামাজের যারা তাদের নামাজ সম্পর্কে উদাসীন। (সুরা মাউন)
এই আয়াতের তাফসীরে তাফসিরবিদ আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু তা'আলা বলেন উল্লেখিত আয়াতে যেসব নামাজের কথা বলা হয়েছে তারা হল যারা নামাজের নির্দিষ্ট সময় থেকে দেরিতে নামাজ আদায় করে।
ফজরের নামাজের ফজিলত
ফজরের নামাজ আদায় কারীদের জন্য দশটি বিশেষ পুরস্কারের ব্যবস্থা রয়েছে
১, যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ জামায়তে আদায় করল সে যেন সারা রাত জেগে নামাজ পড়লে।
২, যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ পড়বে সে আল্লাহর জিম্মায় থাকবে।
৩, ফজরের নামাজ কেয়ামতের দিন নূর হয়ে দেখা দিবে।
৪, যে ব্যক্তি দুই শীতল নামাজ পড়বে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে আর এই দুই শীতল নামাজ হলো ফজর ও আসর।
৫, ফজরের নামাজ আদায় করলে রিজিক বৃদ্ধি পায়।
৬, ফজরের নামাজ পড়া ব্যক্তিদের নাম সরাসরি মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে আলোচিত হবে।
৭, ফজরের নামাজ আদায় করলে দুনিয়া ও আখেরাতের সেরা বস্তু অর্জিত হয়।
৮, ফজরের নামাজ পড়ে দিনের শুরু করলে পুরো দিনটা বরকতময় একটি দিনের সূচনা হয়।
আমাদের সকলের উচিত নামাজ সম্পর্কে সঠিক মাসআলা-মাসায়েল জেনে নেয়া নামাজের ওয়াক্ত সম্পর্কে সঠিকভাবে জেনে ঠিক সময়ে নামাজ আদায় করা।
আরো খবর
পরুনঃ আল
কুরানের কোন সূরায় বিসমিল্লাহ বলা নিষেধ
আরো খবর পরুনঃ রোগ মুক্তির দোয়া আরবি ও বাংলায় উচ্চারণ সহ……….
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন