কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসার কারণ ও প্রতিরোধে করণীয় |
শরীরে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসার কারণ হচ্ছে ম্যালেরিয়া রোগ, কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসা থেকে কিভাবে রেহাই পাবেন কিভাবে কাপুনি জ্বর আসলে চিকিৎসা নেবেন কাপুনি জ্বর প্রতিরোধের ব্যবস্থায় বাকি সব কিছু থাকছে আজকে আর্টিকেলটিতে
প্রথমেই আমরা জানবো জ্বর কেন আসে এবং জ্বর আসলে কিভাবে বুঝবেন আপনার শরীরে জ্বর। মূলত জ্বর হলে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায় অনেক সময় শরীরের তাপমাত্রা এত অতিরিক্ত মাত্রা বেড়ে যায় যে 108 পর্যন্ত হয়ে থাকে। শরীরে নানাবিধ কারণে জ্বর হতে পারে।
আশেপাশের কারো জ্বর থাকলে সে জীবাণু আপনার শরীরে প্রবেশ এর মাধ্যমে জ্বর হতে পারে কিংবা অন্য কোন সমস্যা হইলে দেখা দিলে তার প্রাথমিক উপসর্গ হিসেবে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যেতে পারে। এজন্য নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না আসলে শরীরের তাপমাত্রা বা জ্বর কোন কারণে হয়ে থাকে।
তবে বিশেষজ্ঞরা একটি বিষয় দেখেছেন সেটি হচ্ছে শরীরে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসার মূল কারণ হচ্ছে ম্যালেরিয়া। আমরা ম্যালেরিয়া জ্বর সম্পর্কে আলোচনা করব জ্বর থাকে শরীরে এক প্রকার ভাইরাস প্রবেশ এর মাধ্যমে আর এই রোগের প্রভাব শরীরের জ্বর আসার পূর্বে শরীরে কাঁপন সৃষ্টি হয়।
আরো খবর পরুনঃ rx এর অর্থ কি ? প্রেসক্রিপশনে rx লেখা থাকে কেন
প্রশ্নঃ কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসার কারণ
উওরঃ কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসার কারণ হচ্ছে ম্যালেরিয়া রোগ।
ম্যালেরিয়া হচ্ছে পৃথিবীর প্রাচীনতম এবং পরজীবী বাহিত ভয়ঙ্কর একটি রোগ এই রোগের প্রাদুর্ভাব দক্ষিণ এশিয়া ও আফ্রিকায় প্রতিবছর বিপুল পরিমাণে মানুষের মৃত্যু হয়।
ম্যালেরিয়া রোগের কারণঃ
১, ম্যালেরিয়া রোগ সাধারণত মশার মাধ্যমে ছড়ায়।
২, মূলত স্ত্রী মশা কামড়ালে এই রোগ হয়ে থাকে তবে স্ত্রি মশা জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হলে কেবল এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
৩,
এপর্যন্ত র্শাট প্রজাতির বেশি ম্যালেরিয়া রোগের জীবাণু পাওয়া গেছে তবে এর মধ্যে চারটি প্রজাতি মানুষের জন্য হুমকি স্বরূপ।
৪, ম্যালেরিয়ার জীবাণু বহন করে কোন মশা যখন কোন ব্যক্তিকে কামড়ায় তখন ওই ব্যক্তি ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়।
৫, প্লাজমোডিয়াম ভাইভাক্স, ফ্যালসিপ্যারাম, ম্যালেরি ও ওভাল-এর যেকোনো একটি জীবাণু বহনকারী মশার দংশনে ম্যালেরিয়া হতে পারে।
৬, ফ্যালসিপ্যারাম ম্যালেরিয়ার জটিলতা সবচেয়ে বেশি, এমনকি মস্তিষ্ক আক্রান্ত করে জীবনসংহারী হতে পারে।
আরো খবর পরুনঃ rx এর অর্থ কি ? প্রেসক্রিপশনে rx লেখা থাকে কেন
ম্যালেরিয়া রোগের লক্ষণঃ
প্রাথমিক অবস্থায় ম্যালেরিয়া রোগের রোগের নমুনা দেখে বোঝা যায় আসলে তার রোগটি ম্যালেরিয়া কিনা। অন্য রোগের তুলনায় ম্যালেরিয়া রোগের প্রভাব একটু বেশি আলাদা হয়ে থাকে যার ফলে এটিকে সহজেই বোঝা সম্ভব হয়।
১, নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর শরীরে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসা এই রোগের প্রধান লক্ষণ।
২, এই ঝড় নির্দিষ্ট সময় বলতে তিন থেকে চার ঘণ্টা পরপর 1 থেকে 2 দিন পর পর এরকম অসময়ে ও হতে পারে তবে অবশ্যই জ্বরের পূর্বমুহূর্তে শরীরে কাপুনি দেখা দেবে।
৩, জ্বর সেরে যাওয়ার পর শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের ফিরে আসবে আবার কখনো এই তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কমে যেতে পারে।
৪, মাঝারি থেকে তীব্র কাঁপুনি অনুভব গায়ে প্রচন্ড ব্যথা মাথা ব্যথা ও খাবারের প্রতি আগ্রহ কমে যাওয়া ক্ষুধামন্দা কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৫, অনেক সময় ম্যালেরিয়া রোগের প্রভাবে রক্তশূন্যতার মতো সমস্যা দেখা যায়।
৬, ম্যালেরিয়া রোগ কয়েকদিন পরে জন্ডিস শ্বাসকষ্ট রক্তে খিচুড়ি গ্লুকোজ কমে যাওয়ার লক্ষণ প্রকাশ পায়।
ম্যালেরিয়া রোগ নির্ণয়ঃ
প্রাথমিক অবস্থায় ঘরোয়াভাবে ম্যালেরিয়া হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত তবে যদি ঘরোয়াভাবে এ রোগ নির্ণয় করা সম্ভব না হয় তাহলে দেরি হয় উদ্বিগ্ন না হয়ে নিকটস্থ ডাক্তারের চিকিৎসা নেয়া উচিত৷ প্রাথমিক অবস্থায় ম্যালেরিয়া রোগ সম্পর্কে বেশি উদ্বিগ্ন না হওয়া ভালো কারণ এর উক্তি প্রতিকার ও প্রতিরোধ যোগ্য।
ম্যালেরিয়া রোগ প্রতিরোধে করণীয়
এখন পর্যন্ত ম্যালেরিয়া রোগ প্রতিরোধের জন্য কোন টিকা আবিষ্কার হয়নি তবে এই রোগটি প্রতিরোধ এবং সারিয়ে তোলা সম্ভব। এজন্য আপনাকে
১, মশাবাহিত রোগ থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকতে সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে।
২, মশায় কামড়ানো বা মশা দ্বারা আক্রান্ত হওয়া থেকে দূরে থাকার মাধ্যমেই রোগ থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব।
৩, দিনে বা রাতে যখনই ঘুমাতে যান অবশ্যই কোন স্প্রে ব্যবহার করে মশা প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলুন।
৪, সর্বদা সতর্ক থাকুন এবং নিশ্চিত থাকুন যে আপনি কোন মশা দ্বারা আক্রান্ত না হন।
৫, মশা প্রতিরোধ করার জন্য আপনার আশেপাশের ঝোপঝাড় পরিষ্কার রাখুন যেখানে মশা বাসা বাঁধে সে গুলোকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে তুলুন।
৬, ম্যালেরিয়া রোগ মশা দ্বারা ছড়ায় সুতরাং আপনি আশেপাশের এলাকাকে মশামুক্ত রাখার জন্য ঔষধ বা অন্য ব্যবস্থা নিতে পারেন।
আরো খবর
পরুনঃ আলফালফা
ঔষধ খেলে কী উপকার হয় ?
ম্যালেরিয়া রোগের বর্তমান সময় পর্যন্ত যেহেতু কোন অধিকার নেই সুতরাং এই রোগ হলে নাগাড়ে সঠিক চিকিৎসা নিয়ে ডাক্তারের পরামর্শ মত জীবন ধারণ করলে এই রোগ অল্পসময়ের মধ্যেই সেরে যায়। আর্টিকেলটি সম্পর্কে আপনার কোন মন্তব্য থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে আমাদেরকে জানান
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন