স্বপ্নদোষ হলে কি রোজা ভেঙ্গে যায় |
প্রশ্ন : স্বপ্নদোষ হলে কি রোজা ভেঙ্গে যায় ?
উত্তর : রোজা রাখা অবস্থায় যদি স্বপ্নদোষ হয় থাকে তাহলে তাতে রোজার কোন ক্ষতি হয় না। কারন স্বপ্ন তো অনিচ্ছাকৃতভাবেই হয়েছে এখানে ব্যক্তির কোনভাবে সম্পৃক্ততা নেই বা কোনো ইচ্ছা নেই তাই এখানে রোজা ভাঙ্গার কোন সম্ভাবনা নেই । যে কোনো আমলের মধ্যে যদি ইচ্ছেকৃত বিষয় না থাকে বা অনিচ্ছাকৃত কোনো আমল বান্দার কাছ থেকে হয়ে যায়, এটা যদি সিয়াম ভঙ্গকারী হয়ে থাকে, তাহলে এর মাধ্যমে সিয়াম নষ্ট হয় না।
যেসব বিষয় রোজা ভঙ্গের কারণ নয়
- অনিচ্ছাকৃত গলার ভেতর ধুলা-বালি, ধোঁয়া অথবা মশা-মাছি প্রবেশ করা।
- অনিচ্ছাকৃত কানে পানি প্রবেশ করা অনিচ্ছাকৃত বমি আসা অথবা ইচ্ছাকৃত অল্প পরিমাণ বমি করা (মুখ ভরে নয়)।
- বমি আসার পর নিজে নিজেই ফিরে যাওয়া চোখে ওষুধ বা সুরমা ব্যবহার করা।
- ইনজেকশন নেয়া, ভুলক্রমে পানাহার করা।
- সুগন্ধি ব্যবহার করা বা অন্য কিছুর ঘ্রাণ নেয়া, নিজ মুখের থুথু, কফ ইত্যাদি গলাধঃকরণ করা।
- শরীর ও মাথায় তেল ব্যবহার করা ঠাণ্ডার জন্য গোসল করা।
- মিসওয়াক করা। যদিও মিসওয়াক করার দরুন দাঁত থেকে রক্ত বের হয়। তবে শর্ত হলো গলার ভেতর না পৌঁছানো।
- ঘুমের মাঝে স্বপ্নদোষ হলে স্ত্রীলোকের দিকে তাকানোর কারণে কোনো কসরত ছাড়া বীর্যপাত হলে।
- স্ত্রীকে চুম্বন করলে, যদি বীর্যপাত না হয় (রোজা না ভাঙলেও এটা রোজার উদ্দেশ্যের পরিপন্থী)।
- দাঁতের ফাঁকে আটকে থাকা গোশত খেয়ে ফেললে (যদি পরিমাণে কম হয়), পরিমাণ বেশি হলে রোজা ভেঙে যাবে।
আরো খবর পরুনঃ আল কুরানের কোন সূরায় বিসমিল্লাহ বলা নিষেধ
স্বপ্নদোষ হলে কি করতে হবে
রোজা রেখে স্বপ্নদোষ হলে যেহেতু রোজা ভেঙে যায় না অবশ্যই পুরো সম্পূর্ন ভাবে পালন করতে হবে। যারা মনে করে থাকেন রোজা রেখে স্বপ্নদোষ হলে রোজা ভেঙ্গে যায় এজন্য রোজার তারা ভেঙে ফেলে এ কাজটি কখন করা উচিত হবে না এতে রোজা ভেঙ্গে ফেলার গুনাহ হবে। এজন্য স্বপ্নদোষ হওয়ার পর যত দ্রুত সম্ভব পাক-পবিত্র হয় রোজা পালন করুন।
মহান আল্লাহ আমাদেরকে ইসলামের সব বিষয়গুলো সঠিকভাবে জানার ও বোঝার তৌফিক দিন আপনি যদি ইসলামের কোন বিষয়ে সঠিক তথ্য জেনে থাকেন সেটা আপনি কমেন্টের মাধ্যমে অন্যদের সাথে শেয়ার করতে পারেন।
আরো খবর পরুনঃ রোগ মুক্তির দোয়া আরবি ও বাংলায় উচ্চারণ সহ……….
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন