গ্রামে কি ব্যবসা করা যায়: এমন ১০টি গ্রামিন ব্যবসার আইডিয়া

 

গ্রামে কি ব্যবসা করা যায় ১০টি গ্রামিন ব্যবসার আইডিয়া

অনেকেই হয়তো এটি ভাবছে যে কিভাবে গ্রামে বসে সল্প পুজিতে কি কি ব্যবসা করা যায়।  আসলে গ্রামে বসে অনেক ব্যবসা করা সম্ভব এগুলোর পুজিও বেশি দরকার পড়ে না। 


 তবে গ্রামে ব্যবসা শুরু করার পূর্বে আপনাকে অবশ্যই কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে কারণ গ্রামে ব্যবসা করতে হবে আপনাকে অবশ্যই বেশি পরিশ্রম করতে হবে, আর আপনি স্টাইলিশ কিংবা ভবঘুরে হলে গ্রামে ব্যবসা করে ভালো কিছু করতে পারবেন না। 

 গ্রামের ব্যবসায় মূলধনের পরিমাণ বেশি না লাগলেও গ্রামে ব্যবসা গুলোর একটি চ্যালেঞ্জিং হয় থাকে এখানে দক্ষ এবং পরিশ্রমের মাধ্যমে কেবল টিকে থাকা সফল হওয়ার সম্ভব। 

 চলুন জেনে নেই গ্রামে করা যায় এমন ১৫টি ব্যবসা সম্পর্কে।


১, মাছের চাষ

গ্রামে সবচাইতে লাভজনক যে এই ব্যবসাটি রয়েছে এটি হচ্ছে মাছ চাষ।  শহরে যত মাছ আমদানি করা হয় বা আমরা দেখতে পাই এর 90% এসে থাকে গ্রামে চাষ করা মাছ।  আর মাছ চাষ করার জন্য সবচাইতে উপযুক্ত পরিবেশ হচ্ছে গ্রাম আপনি গ্রামে নিজের জমিতে মাছের চাষ করতে পারেন, অথবা গ্রামের বিভিন্ন পুকুর আপনি ইজারা নিয়ে সেখানে মাছ চাষ করে ভালো মুনাফা অর্জন করতে পারেন। 

 গ্রামের মাছ চাষ শুরু করার পূর্বে আপনাকে অবশ্যই মৎস্য সম্পদ অধিদপ্তর বা আপনার গ্রামীণ বসতি দপ্তর থেকে মাছ চাষের জন্য প্রশিক্ষণ নিয়ে শুরু করতে হবে।  মাছ চাষের নানা নিয়ম রয়েছে তেমনি মাছের নানা রোগব্যাধি ঝুঁকিও রয়েছে তো আপনাকে অবশ্যই এ বিষয়ে দক্ষ হয় তবে মাছ চাষ শুরু করা যায়।


২, মাছ হাঁস মুরগির মিশ্র চাষ

এই পদ্ধতিতে মাছ চাষে সাথে সম্পূর্ন ভিন্ন আঙ্গিকের বলা চলে।  এই পদ্ধতিতে অবশ্যই আপনাকে মাছের খামার তৈরি করতে হবে খামারের উপরে আপনাকে তৈরি করতে হবে ঘর যেখানে আপনি পালন করতে পারেন মুরগি হাঁস।  হাঁসের খাবার একদিকে ব্যবহার হবে মাছের খাদ্য হিসাবে আর আপনি এই হাঁস-মুরগি থেকে বাড়তি আয় করতে পারবেন অতিরিক্ত জমি ব্যবহার ছাড়াই। 

মিশ্র চাষ পদ্ধতি অনেক জনপ্রিয় এবং একটি লাভজনক পদ্ধতি ক্ষেত্রে অনেক সাফল্য অর্জন করা সম্ভব। যদি এজন্য আপনার ভালো জানাশোনা বা অভিজ্ঞতা থাকে তবে অনুপ্রাণিত হয় এই মিশ্র চাষ টি শুরু করার পূর্বে আপনাকে অবশ্যই ট্রেনিং এর মাধ্যমে অভিজ্ঞ হওয়া জরুরী।  এর জন্য আপনার নিজের জমি না থাকলেও আপনি অন্যের জমি লিজ নিয়ে খামার তৈরি করতে পারেন আর আপনি আস্তে আস্তে শুরু করার পর একসময় সরকারি লোন পাবেন বড় করার জন্য।


৩, সবজি চাষ

 মাছ চাষ কিংবা হাঁস মুরগি চাষের মতে সবজি চাষ একটি লাভজনক ব্যবসা তবে সবজি চাষের জন্য আপনার উপযুক্ত জমির প্রয়োজন হবে এক্ষেত্রে সবচেয়ে উপযুক্ত জমি হয় ফরিদপুর এবং বাংলাদেশের উত্তর অঞ্চলগুলোতে।  আপনি যদি এই সকল এলাকার লোক হয়ে থাকে তো আপনি ঢাকায় চাকরি করার চেয়ে এরকম একটি ব্যবসা শুরু করতে পারেন।  এক্ষেত্রে আপনাকে একটু বেশি মেহনত করতে হতে পারে তবে এতে আপনার লাভের পরিমানই বেশি তেমনি কাজ করে নিজের মধ্যে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন। 

 সবজি যেহেতু নিত্যপ্রয়োজনীয় একটি পণ্য তাই এটি বাজার নিয়ে আপনার চিন্তার কোন কারণ নেই কারণ এটির সব সময় বাজারে প্রচুর বিক্রি হয় যার ফলে আপনার উৎপাদিত পণ্য আপনি খুব সহজেই বিক্রি হয়ে যাবে, আর আপনার অধিক জানাশোনা থাকলে এই পণ্য আপনি বাংলাদেশের বিভিন্ন মার্কেটে ভালো দামে সেল করতে পারবেন।


৪, গ্রামে পোলট্রি খামার এর ব্যবসা

পোল্ট্রি খামারের ব্যবসা খুব পরিচিত একটি ব্যবসা এই ব্যবসাটি তে ঝুঁকির পরিমাণ কম থাকে যদি আপনার সঠিক জানাশোনা থাকে তাহলে।  এই ব্যবসাটি আপনি সহজেই শুরু করতে পারেন মাত্র কয়েক লক্ষ টাকা দিয়েই আর এই পর্নো আপনি আপনার নিকটস্থ বাজার পাইকারি বাজারে বিক্রি করতে পারবেন। 

 পোল্টির ব্যবসা আপনি মিশ্র পদ্ধতিতে করতে পারেন যেমন মাছের সাথে এই ব্যবসাটি করা যায় আবার একক পদ্ধতিতেই ব্যবসাটি করা যায় তবে আপনি অবশ্যই কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে নিবেন। 


৫, গ্রামে স্টেশনারি / লাইব্রেরি

 আপনার এলাকায় যদি গ্রামীন শহরে হয়ে থাকে বা আপনার আশেপাশে যদি কোন স্কুল বা কলেজ থাকে তাহলে আপনি একটি স্টেশনারির বিজনেস শুরু করতে পারেন।  বলে রাখি স্টেশনারি বিজনেসে লাভের পরিমাণ অনেক বেশি শতকরা 40 শতাংশ পর্যন্ত লাভ করা সম্ভব স্টেশনারি ব্যবসা থেকে। 

 স্টেশনারি পণ্য বিক্রি করে আপনি ভালো একটি প্রফিট প্রতি মাসেই করতে পারেন।এর পাশাপাশি আপনি আরও নানান ব্যবসা একসাথে শুরু করতে পারেন আপনার স্টেশনারি দোকান থেকেই।  গ্রামের জন্য স্টেশনারি ব্যবসা কে একটি আদর্শ ব্যবসা বলা চলে যেহেতু এটি তে খরচ কম আবার লাভের পরিমাণ অনেক বেশি।

৬, কৃষি পণ্যের পাইকারী-খুচরা ব্যবসা

গ্রামে আপনি অল্প পুজিতে এই কৃষি পণ্যের পাইকারি খুচরা ব্যবসা শুরু করতে পারেন কারন গ্রামে কৃষিপণ্যের সহজলভ্যতা অনেক বেশি।  আপনার গ্রামে কোন পণ্যের বিক্রি সবচাইতে বেশি এমন পণ্যের তালিকা তৈরি করে আপনি খুচরা শুরু করতে পারেন অথবা আপনার এলাকায় কোন পণ্যের উৎপাদন সবচেয়ে বেশি সেগুলো নিয়ে আপনি পাইকারি ব্যবসা শুরু করে দিতে পারেন। 

আরো  খবর পরুনঃ   পুরুষের vimax capsule - vimax এর উপকারিতা কি?

৭, গ্রামে চা-পাতা এর ব্যবসা

 চা একসময় শহরকেন্দ্রিক হলে এখন গ্রামের চায়ের  আড্ডা শহরে থেকে অনেক বেশি হয়।  গ্রামের মানুষ চায়ের ব্রান্ড সম্পর্কে এখনো অতটা ভালো জানিনা তো আপনি গ্রামের মানুষকে সহজ ভাবে বুঝিয়ে তাদের সাথে ভাল সম্পর্ক তৈরী করে চা পাতার ব্যবসা শুরু করে দিতে পারেন চা পাতার ব্যবসা ভাল প্রফিট থাকে এবং এই পর্নো নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি নেই।  কঠোর কর্মসূচির জন্য চা পাতার ব্যবসা গ্রামে একটি আদর্শ ব্যবসায় বলা যায়।


৮, মোবাইল মেরামত এর ব্যবসা

আগেও বলেছি যে এখন জন প্রতি অন্তত একটা মোবাইল মানুষ ব্যবহার করে। আর যন্ত্র নষ্ট হবে এটাই স্বাভাবিক। হলে আমাদের কে টাউনে যেতে হয় মেরামত করানোর জন্য। আপনি চিন্তাও করতে পারবেন না এখানে কত কাজ রয়েছে।

আপনি যদি একটা দোকান দিয়ে বসেন আশাকরি কাজ করে শেষ করতে পারবেন না। এবং লসের কোন সম্ভাবনাই নেই। কেননা এই ব্যবসা আপনি আপনার ঘরে বসেই করতে পারবেন।


৯,ফার্মেসী ব্যবসা

ঔষদের চাহিদা যেহেতু গ্রাম আর শহরের সবখানে সমান রয়েছে আপনি একটু জানাশোনা হলে সহজে একটি ঔষধের দোকান দিতে পারেন।  ওষুধের দোকানের ক্ষেত্রে আপনাকে পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকা দরকার আর আপনি যদি এ বিষয়ে ভাল অভিজ্ঞতা থেকে থাকেন আপনার যদি ঔষধ নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা সনদ থাকে তাহলে আপনি কোন প্রকার ঝামেলা ছাড়াই এটি শুরু করে দিন। 


১০, কাপড় সেলাইয়ের কাজ

 কাপড় সেলাই এর ব্যবসা এটি পৃথিবী যতদিন থাকবে ততদিন থাকবে আপনি একজন দক্ষ কাপড় মিস্ত্রি  হয়ে যান আর শুরু করে দিন এই ব্যবসা।  একসময় স্বল্প পরিসরে শুরু করল আপনার কাজের দক্ষতা এবং কাজের যোগ্যতার ফলে দেখবেন এক সময় এখান থেকেই আপনি অনেক টাকা ইনকাম আসবে। 

 আমরা উপরে যে দশটি ব্যবসার কথা বললাম,  এই ব্যবসাটি শুরু করার পূর্বে আপনি অবশ্যই  অভিজ্ঞতা বা প্রশিক্ষণ নিয়ে তবেই শুরু করবেন কারণ ব্যবসা শুরু করার পূর্ব দক্ষতা প্রশিক্ষণ এবং এ সম্পর্কে আপনার জ্ঞান আপনাকে সফল হতে অনেক সহযোগিতা করবে।

আরো  খবর পরুনঃ   মাত্র ৮০০ টাকায় মিনি সেলাই মেশিন কিনুন



Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন