Valobashar Kobita
বন্ধুরা আজকে আমরা জানবো Valobashar Kobita ভালোবাসার কবিতা রবি ঠাকুরের? ভালোবাসার কবিতা এসএমএস? ভালোবাসার ছোট কবিতা? ভালোবাসার কবিতা ছবি? অসমাপ্ত ভালবাসার কবিতা? ভালোবাসার কবিতা কষ্টের? 18 + প্রেমের কবিতা?ভালোবাসার মানুষের জন্য রোম্যান্টিক কবিতা ইত্যাদি
Valobashar Kobita পড়তে কার না ভালো লাগে বলুন ? আমার আপনার সবার জীবনেই তো কখনো না কখনো ভালোবাসা এসেছে, তাই না ? আর সেই ভালোবাসার জন্য মনে একটা আলাদাই অনুভূতি করে । তাই আপনার জন্য Best Bengali Love Poem এর সুন্দর কালেকশন ।
সম্মানিত পাঠক গন আশা করি সবাই ভাল আছেন। ভালোবাসার কবিতা বলতে সেই কবিতা কি বুঝায় যে কবিতায় তোর নিহিত থাকে মানুষের প্রেমের ভালোবাসার আবেগ অনুভূতি বিরহ ভালোবাসার কবিতা কে রোমান্টিক বা প্রেমের কবিতা বলা হয়। ভালোবাসা হচ্ছে মানবিক অনুভূতি ও আবেগ। ভালোবাসার সাথে নিঃস্বার্থতা স্বার্থপরতা বন্ধুত্ব ও মিলন পারিবারিক বন্ধন নিবিড়ভাবে জড়িত। ভালোবাসার কবিতা মূলত মানুষের মনকে জাগ্রত করে। ইংরেজিতে ভালোবাসার কবিতা কে Bengali love poem অথবা bangla love poem বলে থাকে।
ভালোবাসার কবিতা কষ্টের
তোমাকে ভালবাসি
প্রেমের কবিতা,
আমি কখনোও বলবোনা তোমাকে ভালবাসি হৃদয় ডাকছে তোমার কাছে আসি শুধু আমার চোখের দিকে একবার তাকিয়ে দেখ চোখ কি বলে? তখনই বুঝবে তুমি কতটা ভালবাসি তোমায় আমি। আমি কখনোও বলবোনা তোমাকে ভালবাসি কাছে এসো একবার তোমায় দেখি। শুধু কান দিয়ে নিরবে আমার কথা শুনো শ্রুতি কেমন, কন্ঠ কি বলে ? ...
ভালোবাসা মানে __
ভালোবাসা মানে নতুন কোন কষ্টে জড়ানো সুখের আশায় দুঃখের সাগরে ঝাপ দেওয়ানো উত্তাল ঢেউ এর মধ্যে দু’জন একসাথে সাঁতরানো একজনের সুখে অন্য জনের ভাগ বসানো একজনের দুঃখে অন্য জনের কাতর হওয়ানো।। ভালোবাসা মানে দুঃখের মাঝে সুখের ঘ্রাণ নেওয়ানো সুখের মাঝে দুঃখকে লুকানো হাসির মাঝে মধু মাখানো চোখের জলে বুক ভাসানো ...
আমাকে ভালোবাসার পর – হুমায়ুন আজাদ
প্রেমের কবিতা, ভালোবাসার কবিতা, রোমান্টিক কবিতা,
আমাকে ভালবাসার পর আর কিছুই আগের মত থাকবে না তোমার, যেমন হিরোশিমার পর আর কিছুই আগের মতো নেই উত্তর থেকে দক্ষিণ মেরু পর্যন্ত। যে কলিংবেল বাজে নি তাকেই মুর্হুমুহু শুনবে বজ্রের মত বেজে উঠতে এবং থরথর ক’রে উঠবে দরোজাজানালা আর তোমার হৃৎপিন্ড। পরমুহূর্তেই তোমার ঝনঝন-ক’রে ওঠা এলোমেলো রক্ত ঠান্ডা হ’য়ে ...
Bangla Romantic Kobita
আরো পড়ুনঃ কিভাবে স্ত্রী সহবাস করতে হয়
ভালোবাসায় নেই কো ভুল
খুলে দিয়ে মনের দখিণা দ্বার
শুল্কসন্ধ্যা চৈত্রমাসে,
মধুমাসের মধু মিলনে বাসন্তীরং এ
কবির মনে প্রেম আসে।
একলা দাঁড়ায়ে বকুল তলায়
বাতাসে উড়িয়ে লাল শাড়ি,
প্রভাতী মেঘে ফের বায়না ধরে
মেয়ে তোমার কোথায় বাড়ি।
জানতে চাইলে সবুজ বন
বলবে তখন কবির মন
ভালবাসি রাশি রাশি
মেয়ের রেশম কালো চুল,
তখন সবুজের বন দিবে উপমা
ভালবাসায় নেই কো ভুল।
সোনায় সোহাগা মেয়ের রূপ
কাজল বরণ আঁখি,
সুরের দানে মান অভিমানে
তুমি যে আমার পাখি।
হাজার বছরের স্বর্ণালী প্রেম
কাচের চুড়ি যেচে,
প্রেমিক পুরুষ তা আনিতো কিনে
প্রেমিকা নিতো নেচে।
তেমনি হওয়া চাই মেয়ের প্রেম
জড়িয়ে কবির কোল,
তখন আহ্লাদে প্রাণ ধরিবে যে গান
ভালবাসার নেই কো ভুল।
একান্ত ব্যক্তিগত
তখন নীল ধ্রুবতারা জাগেনি
ঘুমন্ত ঘড়ির পানে চেয়ে বসে
অন্ধকারের প্রতীক্ষায়
দিন পেরোনোর অগোছালোতা
সন্ধ্যার স্তব্ধতাটাকে গ্রাস করছে |
একে একে সবাই চলে গেছে-
ঘুম ভাঙানো সাইরেন,
নীল পাড়ের শাড়ির তুমি |
এই সময়টা আমার
একান্ত ব্যক্তিগত..
তুমি মুখ বাড়িও না প্লিজ..
ভয় লাগে |
এখানে আসা তোমার বারণ
আরো পড়ুনঃ সিনথিয়া নামের অর্থ কি। sinthiya
namer ortho ki
আরো পড়ুনঃ মেহেদী নামের অর্থ কি | Mehedi
namer ortho ki
আরো পড়ুনঃ মিতু নামের অর্থ কি | Mitu namer
ortho ki
আরো পড়ুনঃ রাইদা নামের অর্থ কি । Raida name meaning in Bengali
আরো পড়ুনঃ জায়ান নামের অর্থ কি । Zayan name meaning in Bengali
Love Poem Bangla
দু টাকার গোলাপ
প্রতি নিয়ত শিখছি..
বেঁচে থাকার কায়দা..
কখনো জানলাতে চোখ রেখে..
কখনো বা মেঘটা কে দেখে..
তোমার রূপকে আড়াল করার ক্ষমতা আমার নেই…
কিছুক্ষণের জন্যও তুমি শুধু আমার…
তোমার কথার চার দেওয়ালে বন্দী..
ফোনের প্রেমালাপ চলত..
মাঝরাতে তোমার টানে আমি মিথ্যুক সেজেছি…
সব কথা বলা হয়নি…
ওগুলো না বলাই থাক…
পাপড়ি গুলো শুকিয়ে গেছে..
মূল্য হারিয়েছে দু টাকার গোলাপ ।
মেঘ তোমাকে নিয়ে লিখতে চাই
'মেঘ' নামে কবিতা লিখেছি
এইত কিছুদিন আগে,
মাঝে মাঝে কবিতা লিখতে
বেশ ভালই তো লাগে।
ক্লাসের মাঝে কবিতাটা আমি
দিলাম বন্ধুর হাতে,
কেউ আবার জানতে চাইল,
'কি লিখেছিস ওতে?'
লেখাটুকু পড়া হলে পরে
বন্ধু আমাকে শুধায়,
'লেখার মধ্যে কেমন যেন
দুখী লাগলো তোমায়?'
আমি বলি, 'হঠাৎ কেন
এরূপ মনে হল তোমার?
সত্যি বলছি এখন আর
কোন দুঃখ নেই আমার'।
অতীতে আমি করেছিলাম
ভীষণ একটা ভুল,
চড়া মুল্যে আজো দিচ্ছি
সেই ভুলের মাশুল।
কি হয়েছিল যদিও তোমারা
সকলেই তা জানো,
এরপরও দু'একটা কথা
বলছি তবে শোনো।
বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়ে
করে ফেলেছিলাম পাপ,
বিবেককে আজ দংশন করে
সেই মহা অভিশাপ।
শুধুই বন্ধু হতে চেয়েছিলাম
স্বার্থ ছিলনা কোন,
সে তো ভেবেছিল, আমি এক
প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলাম যেন!
মিথ্যার আড়ালে বাস করে সে
নিদারুণ স্বার্থপর,
স্বার্থের মোহে আজ সে
আপনকেই করেছে পর।
একদিন যাকে না দেখলে
কিছুই লাগতোনা ভাল,
আজ আমার তাকে দেখলেই
মুখ হয়ে যায় কালো।
বন্ধুত্বের মধুর সম্পর্ক সে
করেছে কলঙ্কিত,
বিষাক্ত ছোবলে সে করেছে
বন্ধুত্ব প্রশমিত।
ছদ্মবেশের আড়ালে সে
খুঁজে নিয়েছে স্বজন,
আমাদের মাঝে তৈরি করেছে
দূরত্ব হাজার যোজন।
কত দক্ষতায় করেছে সে
হিসাব লাভ আর ক্ষতি,
সে কি ভেবেছে তাকে ছাড়া
নাই আমাদের গতি?
সে ভেবেছে করে ফেলেছে
দারুণ বাজিমাত,
নিজের কাজে একদিন সে
হবেই কুপোকাত।
বহুদিন থেকে সে আমাকে
দিয়ে এসেছে ধোঁকা,
তখন বুঝিনি, আজ বুঝেছি
আমিএ ছিলাম বোকা।
তোরা ভেবেছিস হয়ত আমি
কিছুটা বদলে গিয়েছি,
আগেও যেমন ছিলাম আমি
এখনও তেমনি আছি!
জীবনে যখন ঘনিয়ে এল
দুঃখের কালো রাত,
তোরাই তখন বাড়িয়ে দিলি
বন্ধুত্বের সেই হাত।
বর্তমানকে সাথে করে
অতীত গিয়েছি ভুলে,
মনে করতে চাই না কিছু,
এত ভাবলে কি আর চলে?
উলটা-পালটা প্যাঁচাল পেড়ে
নষ্ট করলাম সময়,
লেখাটা পড়া হলে পরে
মারবি না তো আমায়?
আমাকে তোরা বন্ধু করে
তোদের কাছেই রাখিস,
তোরাই আমার বন্ধু ছিলি
তোরাই বন্ধু থাকিস।
এখন ভালোবাসি তোমায়
কালো মেঘ ছেয়ে গেছে
নীল আকাশটা জুড়ে,
আঁধার যেন গ্রাস করেছে
শূন্যের বুকটা ছিঁড়ে।
নিস্তব্ধ হয়েছে কেন
বিষন্ন এই পৃথিবী?
কেন আজ হারিয়েছে
তার মাধুর্য সবই?
বাতাস যেন ভুলেছে তার
অবিরাম পথ চলা,
কঠোর হাতে কে করছে
এই নিষ্ঠুর লীলাখেলা?
ক্লান্ত পথিক হেঁটে যেতে
বিমর্ষ চোখে চায়-
একটু আশার আলো যদি
কোথাও খুঁজে পায়!
থেমে গেছে কেন আজ
পাখিদের কলরব?
আকাশ কেন হয়েছে আজ
কেবলি নিশ্চুপ নীরব?
পথিক ভাবে হঠাৎ আজ
কে করলো দ্রোহ?
উত্তর না পেয়ে তার
ভেঙ্গে গিয়েছে মোহ।
নিরব রাস্তা একাকী রয়
এতটুকু নাই প্রাণ-
দেখে তাই পথিকের মন
করে ওঠে আনচান।
সূর্য্য অভিমান করে কেন
লুকিয়ে ফেলেছে মুখ?
কিসের এত ব্যথা বেদনা,
কিসের এত দুখ?
চলতে চায় না যে আর
থমকে গিয়েছে সময়,
বারবার কেন যেন
মনে পড়ছে সময়!
মনের আকাশেও আজ তাই
কালো মেঘ গেছে ছেয়ে,
শূন্য হৃদয় হাহাকার করে
শুধু তোমায় না পেয়ে...
তোমার তরে হাসিমুখ
একদিন দেখেছিলাম সুন্দর এক স্বপ্ন,
নদীর তীরে আমরা বসেছিলাম মগ্ন!
যখন তুমি ধরেছিলে আমার হাত-
পুষ্পসম প্রস্ফুটিত হয়েছিল প্রভাত!
কানে কানে বলেছিলে চুপি চুপি-
মৃদু বাতাস করেনি কোন কারচুপি!
আমার হৃদয়ে লেগেছিল এক সাড়া-
তুমিই আমার অন্তরে দিয়েছিলে নাড়া!
তোমার জন্য ফুল তুলতে চাইলাম একটি,
তখন শুরু হয়ে গেল মুশল ধারে বৃষ্টি!
আমি তোমাকে বলেছিলাম, ‘এস প্রিয়তম!’
লজ্জা পেয়ে তুমি হয়েছিলে অবনত!
আমার জীবনে তুমি দিয়ে দিয়েছো দোলা
আমার জীবনে যদিও ছিল কত ঝামেলা!
তোমাকে কত ভালবাসি, এটা রেখ স্মরণ,
তোমার তরে হাসিমুখে মৃত্যু করবো বরণ।
আশা করছি ভালোবাসায় মাখানো এই কবিতাগুলি আপনাদের এল লেগেছে। ..
ভালো লাগলে ভালোবাসার মানুষ অথবা প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করুন। .
আর আপনার পছন্দের কবিতা সম্পর্কে নিচের কমেন্ট সেকশনে লিখুন আমরা। ..
ভালো থাকুন, কবিতায় থাকুন।..
প্রেমে ভালোবাসার কবিতা কষ্টের
১. আমাকে কষ্ট দিতে চাও? দাও!
আমি কষ্ট নিতেই এসছি।
আমাকে কাঁদাতে চাও? কাঁদাও!
আমি কাঁদতেই এসেছি।
আমাকে হারাতে চাও?
হারাও! আমি হারতেই এসেছি।
আমাকে সাগরে ভাসাতে চাও?
ভাসাও! আমি ভাসতেই এসেছি।
আমাকে পোড়াতে চাও? পোড়াও!
আমি পুড়তেই এসছি।
আমাকে বুকে টেনে নাও নিবে না?
আমি সবকিছু সয়েই এসছি।
২. আমার কিছু কষ্ট আছে কিনবে নাকি তুমি?
কিছু কষ্ট খুব পুরনো -হীরের চেয়েও দামি।
কিছু কষ্ট খুব স্পস্ট -কিছু কষ্ট ফিকে
একটা কষ্ট ভালবেসে হাত বাড়াবে তোমার দিকে
যখন তুমি ছুঁতে যাবে-অম্নি দেখ নাই!
তুমি আমার কষ্টটারে ভালোবাসো নাই।
কিছু কষ্ট তুমি আমি- কিছু কষ্ট একা
কিছু কষ্ট বুকের মাঝে-চোখে যায় না দেখা,
কিছু কষ্ট পাথর কোমল-কিছু কষ্ট নাজুক
একটা কষ্ট কেঁদে কেটে ভেজাবে দুই চোখ,
যখন তুমি ছুঁতে যাবে-অম্নি দেখ নাই!
তুমি আমার কষ্টটারে ভালোবাসো নাই।
আমার কিছু কষ্ট আছে কিনবে নাকি তুমি?
কিছু কষ্ট খুব পুরনো -হীরের চেয়েও দামি।
কিছু কষ্ট উড়ছে উড়ুক-কিছু কষ্ট পাশে
কিছু কষ্ট ইশারাতে ডাকবে তোমায় কাছে,
যখন তুমি ছুঁতে যাবে-অম্নি দেখ নাই!
তুমি আমার কষ্টটারে ভালোবাসো নাই।
কিছু কষ্ট পাহার সমান-কিছু কষ্ট নদী
কিছু কষ্ট বরফ শীতল-ছুঁয়ে দেখতে যদি।
নীল কষ্টটা দুষ্ট ভীষণ-লাল কষ্টটার সাথে
কিছু কষ্ট দিনের বেলায়-কিছু কষ্ট রাতে,
যখন তুমি ছুঁতে যাবে-অম্নি দেখ নাই!
তুমি আমার কষ্টটারে ভালোবাসো নাই।
কষ্ট আমার ওষ্ঠ ভেজা-কষ্ট মরুভূমি
কষ্ট আমার হাতের রেখায়- কষ্ট আমার তুমি,
বৃষ্টি ফোঁটায় কষ্ট ঝরে -কষ্ট নীলা খামে
নষ্ট প্রেমের কষ্টটারে বেচবো অনেক দামে,
যখন তুমি ছুঁতে যাবে-অম্নি দেখ নাই!
তুমি আমার কষ্টটারে ভালোবাসো নাই।
৩. কেউ যদি আমাকে প্রশ্ন করে, সুখ কি?
আমি হয়তো সঠিক উত্তর দিতে পারবো না।
কেউ যদি আমায় প্রশ্ন করে, দুঃখ কি?
বলবো আমি খানিক হেসে,
সেতো আমার আপনজন, নিত্যদিনের সাথী।
আমি দুঃখকে আপন পেয়েছি,
যখন আমার বয়স ছিলো, নয় কিংবা দশ,
বাবাকে হারিয়ে ছিলাম তখন অকালে,
বঞ্চিত হয়েছিলাম চিরতরে পিতার স্নেহ থেকে।
আমি দুঃখকে পেয়েছি,
যখন অভাব-অনটনে থাকতে হয়েছিল অনাহারে তখন।
আমি দুঃখকে পেয়েছি,
যখন অর্থাভাবে বন্দ হয়ে যেতে বসেছিলো আমার লেখা-পড়া,
অভাবের আগুনে পুড়ছিল আমার উচ্চশিক্ষা লাভের স্বপ্ন তখন।
আজ যখন মন থেকে,
সকল দুঃখ স্মৃতি মুছে ফেলে,
সুন্দর জিবনের স্বপ্ন দেখছি,
তখন দুঃখ স্মৃতি উকি মারে মন মাঝে।
ভাঙতে চায় আমার সাজানো স্বপ্ন।
এমনি করেই কি জিবন যাবে?
ভাবছি অবিরত,
দুঃখ আর আমি সইবো কত।
পাবো না কি সুখের ছোঁয়া এ জিবনে,
জানবো না কি কভু আমি সুখের মানে।
অসমাপ্ত ভালোবাসার কবিতা
অসমাপ্ত ভালোবাসা
- সুকন্যা তিশা
জানি আর আসবে না ফিরে
তবুও ভালোবাসি তোমায় তেমনি করে
যেমনটি বেসেছিলাম ভালোবাসার প্রথম প্রহরে ,
জানি আর কোন দিন রাখা হবে না হাতে হাত ,
কাঁধে মাথা, পাওয়া হবে না ভালবাসার আঁলতো পরশ
“তবুও”, তুমি আমার সেই পৃথিবী
যার এক প্রান্ত থেকে আর এক প্রান্ত শুধুই তুমি
যার দেয়া দু:খ, কষ্ট, বিষাদ
কোন কিছুই সাধে না ভালোবাসায় বাঁধ,
তাইতো ক্ষনিকেই অভিমান ভুলে
বারবার ফিরে আসি তোমারই পানে,
যেমনি করে ছোট্ট ঘরে
সোনালী মাছটি বাঁচে নতুনের সন্ধানে ।
তেমনি করে বারে বারে নতুন করে
ভালবেসেছি তোমায়
জানি এ ভালোবাসা পূর্ণতার নয়
তবুও আজো ভালোবাসি তোমায়।
অসমাপ্ত কবিতা – নির্মলেন্দু গুণ
অসমাপ্ত কবিতা
নির্মলেন্দু গুণ
মাননীয় সভাপতি ....
সভাপতি কে? কে সভাপতি?
ক্ষমা করবেন সভাপতি সাহেব,
আপনাকে আমি সভাপতি মানি না।
তবে কি রবীন্দ্রনাথ ?
সুভাষচন্দ্র বসু ? হিটলার ?
মাও সে তুং ? না, কেউ না,
আমি কাউকে মানি না,
আমি নিজে সভাপতি এই মহতী সভার।
মাউথপিস এখন আমার হাতে,
আমি যা বলবো
আপনারা তাই শুনবেন।
উপস্থিত সুধীবৃন্দ,
আমার সংগ্রামী বোনেরা,
(একজন অবশ্য আমার
প্রেমিকা এখানে আছেন)
আমি আজ আপনাদের কাছে কিছু বলতে চাই।
আপনারা জানেন, আমি কবি,
রবীন্দ্রনাথ, শেক্সপীয়ার,
এলিয়েটের মতোই
আমিও কবিতা লিখি এবং মূলত কবি,
কবিতা আমার নেশা,
পেশা ও প্রতিশোধ গ্রহণের
হিরুময় হাতিয়ার!
আমি কবি, কবি এবং কবিই।
কিন্তু আমি আর কবিতা লিখবো না।
পল্টনের ভরা সমাবেশে
আমি ঘোষণা করছি,
আমি আর কবিতা লিখবো না।
তবে কি রাজনীতি করবো ? কান্ট্রাক্টারি ?
পুস্তক ব্যবসায়ী ও প্রকাশক ?
পত্রিকার সাব-এডিটর?
নীলক্ষেত কলাভবনের খাতায় হাজিরা ?
বেশ্যার দালাল ?
ফ্রী স্কুল স্ট্রীটে
তেল-নুন-ডালের দোকান ?
রাজমিস্ত্রি ? মোটর ড্রাইভিং ? স্মাগলিং ?
আন্ডারডেভেলপমেন্ট স্কুলে শিক্ষকতা ?
নাকি সবাইকে ব্যঙ্গ করে,
বিনয়ের সব চিহ্ন-সূত্র
ছিঁরে-খুঁড়ে প্রতিণ্ঠিত বুড়ো, বদ-কবিদের
চোখ-নাকে-মুখে কিংস্টর্কের কড়া ধোঁয়া ছুঁড়ে দেব ?
—অর্থাৎ অপমান করবো বৃদ্ধদের ?
আপনারা কেউ বেশ্যাপাড়ায়
ভুলেও যাবেন না,
এরকম প্রতিশ্রুতি দিলে
বেশ্যার দালাল হতে পারি,
রসোন্মত্ত যৌবন অবধি-, একা-একা।
আমার বক্তব্য স্পট,
আমার বিপক্ষে গেলেই
তথাকথিত রাজনীতিবিদ,
গাড়ল বুদ্ধিজীবি,
অশিক্ষিত বিজ্ঞানী,
দশতলা বাড়িওয়ালা ধনী-ব্যবসায়ী
সাহিত্য-পত্রিকার জঘন্য সম্পাদক,
অতিরিক্ত জনসমাবেশ
আমি ফুঁ দিয়ে তুলোর মতো উড়িয়ে দেবো।
আপনারা আমার সঙ্গে
নদী যেমন জলের সঙ্গে
সহযোগিতা করে,
তেমনি সহযোগিতা করবেন,
অন্যথায়
আমি আমার ঘিরা পাঞ্জাবির গভীর পকেটে
আমার প্রেমিকা এবং ‘আ মরি বাংলা ভাষা’ ছাড়া
অনায়েসে পল্টনের ভরাট ময়দান তুলে নেবো।
ভাইসব,
চেয়ে দেখুন
বাঙলার ভাগ্যাকাশে
আজ দুর্যোগের ঘনঘটা,
সুনন্দার চোখে জল,
একজন প্রেমিকার খোজে আবুল হাসান
কী নিঃসঙ্গ ব্যাথায় কাঁপে রাত্রে, ভাঙে সূর্য,
ইপিআরটিসি’র বাস, লেখক সংঘের জানালা
প্রেসট্রাস্টের সিঁড়ি, রাজীয়ার বাল্যকালীন প্রেম।
আপনারা কিছুই বোঝেন না,
শুধু বিকেল তিনটা এলেই
পল্টনের মাঠে জমায়েত,
হাততালি, জিন্দাবাদ,
রক্ত চাই ধ্বনি দিয়ে একুশের জঘন্য সংকলন,
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার কিনে নেন।
আমি শেষবারের মত বলছি
আপনারা যার-যার ঘরে,
পরনে ঢাকাই শাড়ি
কপালে— সিঁদুরে ফিরে যান।
আমি এখন অপ্রকৃতিস্থ
পূর্ব বাঙলার অন্যতম
ভীষণ মাতাল বক্তা একজন,
ফুঁ দিয়ে নেভাবো আগুন,
উন্মাদ শহর,
আপনাদের অশ্লীল-গ্রাম্য-অসভ্য সমাবেশে,
লালসালু ঘেরা স্টেজ,
মাউথ অর্গান, জিআইটি,
গল স্টেডিয়াম, এমসিসি’র খেলা,
ফল অফ দি রোমান
এ্যাম্পায়ারের নগ্ন পোষ্টার।
এখন আমার হাতে কার্যরত
নীল মাইক্রোফোন
উত্তেজিত এবং উন্মাদ।
শ্রদ্ধেয় সমাবেশ,
আমি আমার সাংকেতিক
ভয়াবহ সান্ধ্য আইনের সাইরেন
বাজাবার সঙ্গে সঙ্গে
মাধবীর সারা মাঠ খালি করে দেবেন।
আমি বড় ইনসিকিওরড,
যুবতী মাধবী নিয়ে
ফাঁকা পথে ফিরে যেতে চাই ঘরে,
ব্যক্তিগত গ্রামে, কাশবনে।
আমি আপনাদের নির্বাচিত নেতা।
আমার সঙ্গে অনেক টাকা,
জিন্নাহর কোটি কোটি মাথা;
আমি গণভোটে নির্বাচিত বিনয় বিশ্বাস,
রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্ণর,
অথচ আমার কোনোসিকিউরিটি নেই,
একজন বডিগার্ড নেই,
সশস্ত্র হামলায় যদি টাকা কেড়ে নেয় কেউ
—আমি কী করে হিসেব দেবো জনতাকে?
স্বর্ণের মূল্য বৃদ্ধি হলে
কন্যার কাঁকন যাবে খোয়া,
আপনার আমার সকলের ক্ষতি হবে,
সোনার হাতে
সোনার কাঁকন আর উঠবে না।
আপনার ভাবেন,
আমি খুব সুখে আছি
কিন্তু বিশ্বেস করুন, হে পল্টন,
মাঘী পূর্ণিমার রাত থেকে
ফাল্গুনের পয়লা অবধি
কী ভীষণ দুর্বিষহ আগুন
জ্বলছে আমার দুখের দাড়িতে,
উষ্কখুক চুলে,
মেরুদণ্ডের হাড়ে,
নয়টি আঙুলে,
কোমরে,
তালুতে,
পাজামার গিঁটে,
চোখের সকেটে।
দেখেছি তো কাম্যবস্তু স্বাধীনতা,
প্রেমিকা ও গণভোট হাতে পেয়ে গেলে
নির্জন হীরার আগুনে
পুলিশের জীপ আর টায়ারের মতো
পুড়ে-পুরে যাই,
অমর্যাদা করি তাকে
যাকে চেয়ে ভেঙেছি প্রসাদ,
নদী, রাজমিস্ত্রী এবং গোলাপ।
আমি স্বাধীনতা পেয়ে গেলে
পরাধীন হতে ভালোবাসি।
প্রেম এসে যাযাবর কন্ঠে চুমু খেলে মনে হয়
বিরহের স্মৃতিচারণের মতো সুখ কিছুই নেই।
বাক-স্বাধীনতা পেলে
আমি শুধু প্রেম, রমণী, যৌনতা
ও জীবনের অশ্লীলতার কথা বলি।
আমি কিছুতেই বুঝিনা,
আপনারা তবু কোন বিশ্বাসে
বাঙলার মানুষের ভবিষ্যৎ
আমার স্কন্ধ চাপিয়ে দিলেন।
আপনারা কী চান?
ডাল-ভাত-নুন?
ঘর-জমি-বউ?
রূপ-রস-ফুল?
স্বাধীনতা?
রেফ্রিজারেটর?
ব্যাংক-বীমা-জুয়া?
স্বায়ত্তশাসন?
সমাজতন্ত্র ?
আমি কিছুই পারি না দিতে,
আমি শুধু কবিতার অনেক স্তবক,
অবাস্তব অন্ন বস্ত্র বীমাহীন জীবনের
ফুল এনে দিতে পারি সকলের হাতে।
আমি স্বাভাবিক সুস্থ সৌভাগ্যের
মুখে থুথু দিয়ে
অস্বাভাবিক অসুস্থ
শ্রীমতী জীবন বুকে নিয়ে
কি করে কাটাতে হয়
ঝড়ের রাত্রিতে
তার শিক্ষা দিতে পারি।
আমি রিজার্ভ ব্যাংকের সবগুলো টাকা
আপনাদের দিয়ে দিতে পারি,
কিন্তু আপনারাই বলুন
অর্থ কি বিনিময়ের মাধ্যম ?
জীবন কিংবা মৃত্যুর ?
প্রেম কিংবা যৌবনের ?
অসম্ভব,
অর্থ শুধু অনর্থের বিনিময় দিতে পারে।
স্মরণকালের বৃহত্তম সভায়
আজ আমি সদর্পে ঘোষণা করছি,
হে বোকা জমায়েত,
পল্টনের মাঠে আর কোনোদিন সভাই হবে না,
আজকেই শেষ সভা,
শেষ সমাবেশে শেষ বক্তা আমি।
এখনো বিনয় করে বলছি,
সাইরেন বাজাবার সঙ্গে সঙ্গে
আপনারা এই মাঠ খালি করে দেবেন।
এই পল্টনের সারা মাঠে
আমার প্রেমিকা ছাড়া
আর যেন কাউকে দেখি না কোনোদিন।
এই সারা মাঠে আমি একা,
একজন আমার প্রেমিকা।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন