ছোটদের হাসির কবিতা
সম্মানিত পাঠক গন আজকে আমরা জানবো শিশুদের মজার মজার মজার কবিতা ছোটদের হাসির কবিতা চাঁদমামা ।তাই তাই তাই মামা বাড়ি যাই। কেউ বাকবাকুম পায়রা ।ও আয়রে আয় টিয়ে। এছাড়াও হাট্টিমাটিম টিম। খোকন খোকন ডাক পাড়ি। আম পাতা জোড়া জোড়া। বাবুরাম সাপুড়ে সুকুমার রায়ের কবিতা সুকুমার রায়ের হাসির কবিতা। দম ফাটানো হাসির কবিতা কুমড়ো পটাশ ইত্যাদি সম্পর্কে janbobd24.com বর্তমান সময়ে বাংলা কবিতার সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সমৃদ্ধ ওয়েব পোটাল আমাদের সাইটে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের নামের অর্থ। কবিতাপ্রেমী বন্ধুদের জন্য রয়েছে আমাদের এই ওয়েবসাইটে নানা ধরনের বিভিন্ন রকমের কবিতা। আমাদের এই ওয়েবসাইটটি আপনাদের জানার জন্যই তৈরি করা হয়েছে আপনারা যাতে এখান থেকে জ্ঞান অর্জন করতে পারেন সে জন্য এটি তৈরি করা হয়েছে
ছোটদের হাসির কবিতা চাঁদ মামা
আয় আয় চাঁদ মামা
টিপ দিয়ে যা।
চাঁদের কপালে চাঁদ টিপ দিয়ে যা।
ধান ভাঁনলে কুঁড়ো দেবো,
মাছ কাটলে মুঁড়ো দেবো,
কালো গাইয়ের দুধ দেবো,
দুধ খাবার বাটি দিবো
চাঁদের কপালে চাঁদ টিপ দিয়ে যা।
তাই তাই তাই
তাই তাই তাই,
মামা বাড়ি যাই।
মামি দিল দুধ ভাত,
পেট ভরে খাই।
বাক বাকুম পায়রা
বাক বাকুম পায়রা
মাথায় দিয়ে টায়রা,
বৌ সাজবে কাল কী?
চড়বে সোনার পালকি।
আয়রে আয় টিয়ে
আয়রে আয় টিয়ে
নায়ে ভরা দিয়ে।
নাও নিয়া গেল বোয়াল মাছে,
তাই না দেখে ভোদড় নাচে।
ওরে ভোদড় ফিরে চা,
খুকুর নাচন দেখে যা।
হাট টিমা টিম টিম
হাট টিমা টিম টিম,
তারা মাঠে পাড়ে ডিম।
তাদের খাড়া দুটো সিং,
তারা হাট টিমা টিম টিম।
খোকন খোকন ডাক পাড়ি
খোকন খোকন ডাক পাড়ি,
খোকন মোদের কার বাড়ি?
আয়রে খোকন ঘরে আয়,
আম পাতা জোড়া জোড়া
আম পাতা জোড়া জোড়া,
মারব চাবুক চড়ব ঘোড়া।
ওরে বুবু সড়ে দাঁড়া,
আসছে আমার পাগলা ঘোড়া।
পাগলা ঘোড়া ক্ষেপেছে,
চাবুক ছুড়ে মেরেছে।
হাসির কবিতা
এক যে আছে মজার দেশ, সব রকমে ভালো,
রাত্তিরেতে বেজায় রোদ, দিনে চাঁদের আলো !
আকাশ সেথা সবুজবরণ গাছের পাতা নীল;
ডাঙ্গায় চরে রুই কাতলা জলের মাঝে চিল !
সেই দেশেতে বেড়াল পালায়, নেংটি-ইঁদুর দেখে;
ছেলেরা খায় ‘ক্যাস্টর-অয়েল’ -রসগোল্লা রেখে !
মণ্ডা-মিঠাই তেতো সেথা, ওষুধ লাগে ভালো;
অন্ধকারটা সাদা দেখায়, সাদা জিনিস কালো !
ছেলেরা সব খেলা ফেলে বই নে বসে পড়ে;
মুখে লাগাম দিয়ে ঘোড়া লোকের পিঠে চড়ে !
ঘুড়ির হাতে বাঁশের লাটাই, উড়তে থাকে ছেলে;
বড়শি দিয়ে মানুষ গাঁথে, মাছেরা ছিপ্ ফেলে !
ছোটদেকবিতার
ও আমার জানের ময়না পাখি
তুমি ছাড়া কেমনে একা থাকি,
আমাকে দিও না আর ফাঁকি
এখনো অনেক কথা বলা বাকী ,
জানিনা তোমাকে কখনো বলছি নাকি-
তোমাকে দেখে হৃদয় খায় ঝাঁকি,
সারা টা দিন তোমারি নাম ডাকি
পরানেতে তোমারই ছবি আঁকি,
তোমাকে পেয়ে আমি কত লাকি
সারা জীবন যেন তোমারই সাথে থাকি,
এসো তোমাকে কোলে বসাই রাখি—
ও আমার জানের ময়না পাখি ।
হাসির কবিতা আবৃত্তি
হাসির ছন্দ ও মজার কিছু ছন্দ নিয়ে আমাদের আজকের আয়োজন । আশাকরি আপনাদের কাছে হাসির ছন্দ গুলো অনেক ভালো লাগবে । পড়তে পড়তে অনেক হাসি পাবে
হাসির ছন্দ ও ছোট কবিতা :
আমাদের ভালোবাসা হয়ে গেলো ঘাস
খেয়ে গেলো গরু দিয়ে গেলো বাস ।
তুমি গাছ আমি পাখি
তুমি অশ্রু আমি আঁখি,
তুমি নদী আমি ঢেউ
তুমি শসা আমি লাউ,
তুমি গাই আমি গরু
তুমি মোটা আমি সরু,
তুমি পাকা আমি কাঁচা
তুমি মুরগি আমি খাঁচা,
তুমি চুল আমি শ্যাম্পু
তুমি ট্রাক আমি টেম্পু,
তুমি ফ্যান আমি লাইট
তুমি ডে আমি নাইট,
তুমি বই আমি খাতা
তুমি লতা আমি পাতা,
তুমি চা আমি কাপ
তুমি মা আমি বাপ
বাবুরাম সাপুড়ে – সুকুমার রায়
বাবুরাম সাপুড়ে – সুকুমার রায় বাবুরাম সাপুড়ে, কোথা যাস্ বাপুরে? আয় বাবা দেখে যা, দুটো সাপ রেখে যা— যে সাপের
হাসির কবিতা সুকুমার রায়
আধুনিক বাংলা শিশুতোষ সাহিত্যের অন্যতম পথিকৃৎ সুকুমার রায়। ছোটবেলায় যে তাঁর লেখা কত মজার ছড়া পড়েছি তার ইয়ত্তা নেই। অনেক দিন পর হঠাৎ করেই কোন প্রসংক্রমে তাঁর কিছু কবিতা মনে পড়ে গেল। কবিতাগুলো ছোটদের জন্যে লেখা, কিন্তু বুড়োরা যে এসবে অর্থ খুঁজে পাবে না তা নয়। আমি তো অন্তত কিছু কিছু মানে খুঁজে পাই। হয়তো যথেষ্ট পরিণত হইনি বলে। যাই হোক, বাংলা সাহিত্যের অদ্ভুতুড়ে কিন্তু ক্ষেত্রবিশেষে গভীর অর্থবহ কোণটির উদযাপনে এই লেমেয়েদের নিয়ে হাসির কবিতা
শিশুদের ছড়া কবিতা
অসম্ভব নয় !
এক যে ছিল সাহেব, তাহার
গুণের মধ্যে নাকের বাহার ।
তার যে গাধা বাহন, সেটা
যেমন পেটুক তেমনি ঢ্যাঁটা ।
ডাইনে বললে যায় সে বামে
তিন পা যেতে দুবার থামে ।
চল্তে চল্তে থেকে থেকে
খানায় খন্দে পড়ে বেঁকে ।
ব্যাপার দেখে এম্নিতরো
সাহেব বললে, “সবুর করো-
মামদোবাজি আমার কাছে ?
এ রোগেরও ওষুধ আছে ।”
এই না ব’লে ভীষণ ক্ষেপে
গাধার পিঠে বস্ল চেপে
মুলোর ঝুঁটি ঝুলিয়ে নাকে ।
আর কি গাধা ঝিমিয়ে থাকে ?
মুলোর গন্ধে টগবগিয়ে
দৌড়ে চলে লম্ফ দিয়ে-
যতই চলে ধরব ব’লে
ততই মুলো এগিয়ে চলে!
খাবার লোভে উদাস প্রাণে
কেবল ছোটে মুলোর টানে-
ডাইনে বাঁয়ে মুলোর তালে
ফেরেন গাধা নাকের চালে ।
দম ফাটানো হাসির কবিতা
কুমড়ো পটাশ
(যদি) কুম্ড়োপটাশ নাচে-
খবরদার এসো না কেউ আস্তাবলের কাছে ;
চাইবে নাকো ডাইনে বাঁয়ে চাইবে নাকো পাছে ;
চার পা তুলে থাকবে ঝুলে হট্টমুলার গাছে !
(যদি) কুম্ড়োপটাশ কাঁদে-
খবরদার! খবরদার! বসবে না কেউ ছাদে ;
উপুড় হয়ে মাচায় শুয়ে লেপ কম্বল কাঁধে ;
বেহাগ সুরে গাইবে খালি ‘রাধে কৃষ্ণ রাধে’ !
(যদি) কুম্ড়োপটাশ হাসে-
থাকবে খাড়া একটি ঠ্যাঙে রান্নাঘরের পাশে ;
ঝাপ্সা গলায় ফার্সি কবে নিশ্বাসে ফিস্ফাসে ;
তিনটি বেলা উপোস করে থাকবে শুয়ে ঘাসে
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন