বাসন্তিকা কবিতা
সম্মানিত পাঠক গন আজ আমরা আজকে আপনাদের সাথে কথা বলবো বসন্তের কবিতা নিয়ে।
কথা বলব বসন্ত নিয়ে কবিতা? ফুল নিয়ে গানের লাইন? মন্দির আর মসজিদ ওই শয়তানের মন্ত্রণাগার? বসন্ত নিয়ে ক্যাপশন? বাসন্তিকা কবিতা? বসন্তের গান ও কবিতা? আজি হতে শতবর্ষ আগে? ইত্যাদি। প্রিয় পাঠকগণ এছাড়াও আমাদের ওয়েবসাইটটি আপনারা ভিজিট করে কিনে নিতে পারেন কম দামে যেকোনো পণ্য। আমাদের সাইটে ভিজিট করতে ভিজিট করুন www.gazivai.com এখানে পেয়ে যাবেন আপনার প্রয়োজনীয় সব পন্য
তো চলুন বন্ধুরা আমাদের কবিতাগুলো পড়ি
বসন্তের কবিতা (bosonter kobita): যে কবিতা লেখা হয় ঋতুরাজ বসন্তের আগামনী বার্তা বা বসন্তের রূপ বৈচিত্র নিয়ে তাকে বসন্তের কবিতা বলে। বসন্ত বংলা ষড়ঋতু সর্বশেষ ঋতু। ফাল্গুন ও চৈত্র মাস মিলে হয় ঋতুরাজ। সুভাষ মুখোপাধ্যায় এর লেখা ‘ফুল ফুটুক না ফুটুক আজ বসন্ত’ হচ্ছে সবচেয়ে জনপ্রিয় বসন্তের কবিতা
বসন্ত নিয়ে কবিতা
হাজার বছর পরে
দূর-বহুদূরে তারায় ভরা আকাশ
আমি তাকিয়ে থাকি আনমনে
কি এক জোছনা বিলাস।
তুমি কি শুনছ?
আবার নীল কোন কি স্বপ্ন বুনছ?
হাজার বছর পরে দেখা হবে।
কথা হবে-
দুহাত বাড়িয়ে
আজ এ নি:শ্বাসের
কথায় সাজাব স্বপ্ন
সেদিন।
পাতাবাহারের গল্প- লাল জবার গল্প
কিংবা মাধুবীলতা, বা লাল চেরী ফুল- ফল।
জান গোলাপ বাগানটা ভরা নানা রঙ্গের গোলাপে,
আমি ফিরেও তাকাই না। ওখানে আমি তোমার
এলো চুলের গন্ধ পাই। শুধু চোখের জল লুকাই।
এখন আর আমাকে আজিজের স্যাঁতসেতে ম্যাচে
থাকতে হয় না। নিউমার্কেটের ফুটপাতে দাঁড়িয়ে
বিদেশী ম্যাগাজিন পড়তে হয়না-হাত বাড়ালেই পাই।
সাথে বিলেতী লাল টকটকে জল।
সুন্দরী রমনীকূলরা
প্রাইভেট টিউটরকে একটু ফল দিত।
খেতাম করুনা উপেক্ষা করেও।
আজ কতো রমণীকূল মেসেঞ্জার ভরিয়ে দেয়,
কতো না আকুতি থাকে। তারা কিন্তু উর্বশী-উর্মিলা।
আমি ব্যস্ত থাকি রঘুদের খাবার বা রক্ত কিনতে।
যে স্বপ্ন সাজাতে
কতো না বিক্ষত করেছিলে
নিজকে।
আজ সবই আছে
নেই শুধু সেই তুমি।
আরো পড়ুনঃ অর্পিতা নামের অর্থ কি | Arpita
namer ortho ki
আরো পড়ুনঃ ইয়ামিন নামের অর্থ কি | Yamin
namer ortho ki
আরো পড়ুনঃ আয়ান নামের অর্থ কি । Ayan namer ortho ki
আরো পড়ুনঃ অথৈ নামের অর্থ কি
? Othoi namer ortho ki
আরো পড়ুনঃ ইয়াসিন নামের অর্থ কি | Yasin
namer ortho ki
আরো পড়ুনঃ ইবনাত নামের অর্থ কি | Enabnat
namer ortho ki
আরো পড়ুনঃ ইসরাত নামের অর্থ কি | Israt
namer ortho ki
আরো পড়ুনঃ আহনাফ নামের
অর্থ কি
। Ahnaf namer ortho ki
আরো পড়ুনঃ অঙ্কিতা নামের অর্থ কি। Ankita namer
ortho ki
আরো পড়ুনঃ সিনথিয়া নামের অর্থ কি। sinthiya
namer ortho ki
আরো পড়ুনঃ মেহেদী নামের অর্থ কি | Mehedi
namer ortho ki
আরো পড়ুনঃ মিতু নামের অর্থ কি | Mitu namer
ortho ki
আরো পড়ুনঃ রাইদা নামের অর্থ কি । Raida name meaning in Bengali
আরো পড়ুনঃ জায়ান নামের অর্থ কি । Zayan name meaning in Bengali
ফুল নিয়ে গানের লাইন
বসন্ত বন্দনা – নির্মলেন্দু গুণ
হয়তো ফুটেনি ফুল রবীন্দ্র-সঙ্গীতে যতো আছে, হয়তো গাহেনি পাখি অন্তর উদাস করা সুরে বনের কুসুমগুলি ঘিরে । আকাশে মেলিয়া আঁখি তবুও ফুটেছে জবা,–দূরন্ত শিমুল গাছে গাছে, তার তলে ভালোবেসে বসে আছে বসন্তপথিক । এলিয়ে পড়েছে হাওয়া, ত্বকে কী চঞ্চল শিহরণ, মন যেন দুপুরের ঘূর্ণি-পাওয়া পাতা, ভালোবেসে অনন্ত সঙ্গীত স্রোতে পাক
মন্দির আর মসজিদ ওই শয়তানের মন্ত্রণাগার
'মন্দির ও মসজিদ'
কাজী নজরুল ইসলাম
আজ শয়তান বসিয়াছে স্রষ্টার সিংহাসনে।
একস্থানে দেখিলাম, ঊনপঞ্চাশ জন ভদ্র-অভদ্র হিন্দু মিলিয়া একজন শীর্ণকায় মুসলমান মজুরকে নির্মমভাবে প্রহার করিতেছে, আর একস্থানে দেখিলাম, প্রায় ওই সংখ্যাক মুসলমান মিলিয়া একজন দুর্বল হিন্দুকে পশুর মতো মারিতেছে। দুই পশুর হাতে মার খাইতেছে দুর্বল অসহায় মানুষ। ইহারা মানুষকে মারিতেছে যেমন করিয়া বুনো জংলি বর্বরেরা শূকরকে খোঁচাইয়া মারে। উহাদের মুখের দিকে তাকাইয়া দেখিলাম, উহাদের প্রত্যেকের মুখ শয়তানের চেয়েও বীভৎস, শূকরের চেয়েও কুৎসিত! হিংসায়, কদর্যতায় উহাদের গাত্রে অনন্ত নরকের দুর্গন্ধ!
উহাদের দুই দলেরই নেতা একজন, তাহার আসল নাম শয়তান। সে নাম ভাঁড়াইয়া কখনও টুপি পরিয়া পর-দাড়ি লাগাইয়া মুসলমানদের খ্যাপাইয়া আসিতেছে, কখনও পর-টিকি বাঁধিয়া হিন্দুদের লেলাইয়া দিতেছে।
দেখিলাম, আল্লার মসজিদ আল্লা আসিয়া রক্ষা করিলেন না, মা-কালীর মন্দির কালী আসিয়া আগলাইলেন না! মন্দিরের চূড়া ভাঙিল, মসজিদের গম্বুজ টুটিল!
আল্লার এবং কালীর কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া গেল না। আকাশ হইতে বজ্রাঘাত হইল না মুসলমানদের শিরে, ‘আবাবিলের’ প্রস্তর-বৃষ্টি হইল না হিন্দুদের মাথার উপর।
এই গোলমালের মধ্যে কতকগুলি হিন্দু ছেলে আসিয়া গোঁফ-দাড়ি-কামানো দাঙ্গায় হত খায়রু মিয়াঁকে হিন্দু মনে করিয়া ‘বলো হরি হরিবোল’ বলিয়া শ্মশানে পুড়াইতে লইয়া গেল, এবং কতকগুলি মুসলমান ছেলে গুলি খাইয়া হত দাড়িওয়ালা সদানন্দ বাবুকে মুসলমান ভাবিয়া ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু’ পড়িতে পড়িতে কবর দিতে লইয়া গেল।
মন্দির এবং মসজিদ চিড় খাইয়া উঠিল, মনে হইল যেন উহারা পরস্পরের দিকে চাহিয়া হাসিতেছে!
মারামারি চলিতেছে।
বসন্ত নিয়ে ক্যাপশন
দিতেই পারি একরত্তি বসন্ত। বোঝাতে পারিলাম নাই তোমায় মোরান্তের ভালোলাগার কথা। ইশারার ভাষাতে ভাঙ্গিল না তোমার এই নিরবতা। সখী মোর হৃদয়ের সকল প্রনয়াভাস খানি তোমার আছে জানা, তবুও আমি স্পর্শ করিতে পারিলাম নাই তোমার ঐ মর্মান্তের এক কোণ খানি,হয়ত বা মোর বাক্যে জমিয়াছে হৃদয়ে অসন্তোষ,এই অন্তরঙ্গের সোহাগী প্রনয় যে সত্যি
বসন্তের গান ও কবিতা
আজি বসন্ত জাগ্রত দ্বারে – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
আজি বসন্ত জাগ্রত দ্বারে। তব অবগুণ্ঠিত কুণ্ঠিত জীবনে কোরো না বিড়ম্বিত তারে। আজি খুলিয়ো হৃদয়দল খুলিয়ো, আজি ভুলিয়ো আপনপর ভুলিয়ো, এই সংগীত-মুখরিত গগনে তব গন্ধ তরঙ্গিয়া তুলিয়ো। এই বাহির ভুবনে দিশা হারায়ে দিয়ো ছড়ায়ে মাধুরী ভারে ভারে। অতি নিবিড় বেদনা বনমাঝে রে আজি পল্লবে পল্লবে বাজে রে– দূরে গগনে কাহার ...
চারিদিকে নব সাজ ফাগুনের দিন অাজ,
প্রকৃতির মাঝারেতে নিত্য নতুন সাজ।
পাখিদের কলতানে মুখরিত এভুবন,
গাছে গাছে ফুল ফল পাখিদের কন্ঠে গান।
নতুনের বার্তা নিয়ে এসেছে অাজ ফাগুন,
পুরাতনের বিদায় নতুনের জয়গান।
প্রকৃতি সেজেছে ভাই নতুন নতুন সাজ,
অাবার সাড়া ফেলেছে দেখ দিকে দিকে অাজ
আরো পড়ুনঃ তানিয়া নামের অর্থ কি | Tania
namer ortho ki
আরো পড়ুনঃ Ssc এর পূর্ণরূপ কি ? ssc full meaning
আরো পড়ুনঃ অ নামের
ছেলেরা কেমন
হয়
আরো পড়ুনঃ অ নামের
মেয়েরা কেমন
হয়
আরো পড়ুনঃ আয়াত নামের অর্থ কি । Ayat namer ortho ki
বসন্ত নিয়ে গান
জীবনের কবি জীবনানন্দের কবিতায় বসন্ত স্বরূপে এসেছে, কবিতার ছত্রে ছত্রে বলে দিচ্ছে তিনিও নীরবে নিগুড় বসন্ত প্রেমিক। তার কবিতায় বার বার এসেছে বচন্তের কথা। ‘সবিতা’ কবিতায় জীবননানন্দ বসন্তকে তুলে ধরেছেন এভাবে ‘সবিতা, মানুষ জন্ম আমরা পেয়েছি/মনে হয় কোন এক বসন্তের রাতে/ ভূমধ্যসাগর ঘিরে সেই সব জাতি/ তাহাদের সাথে/ সিন্ধুর আঁধার পথে করেছি গুঞ্জন।’
আবার কবি সুভাস মুখোপাধ্যায়ের কবিতার খাতায় তাই উঠে আসে-‘ফুল ফুটুক আর নাই ফুটুক আজ বসন্ত’র মতো কবিতা।
কবি মহাদেব সাহা আবার বসন্তকে কবির সঙ্গে তুলনা করে বলেন, ‘বসন্তকে আমি বলি কবি, তার হাতে রচিত হয় /পৃথিবীর প্রেমের কবিতা।’
আমাদের বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিম গেয়ে ওঠেন ‘বসন্ত বাতাসে সই গো/ বসন্ত বাতাসে/ বন্ধুর বাড়ির ফুলের গন্ধ আমার বাড়ি আসে।’
বসন্ত এলে আমাদের মন উচাটন হয়ে ওঠে। কুমার বিশ্বজিৎ আধুনিক গানে বসন্ত প্রেমের উতলা হাওয়া বইয়েছেন ‘যেখানে সীমান্ত তোমার/ সেখানে বসন্ত আমার/ ভালোবাসা হৃদয়ে নিয়ে/ আমি বারে বার আসি ফিরে/ ডাকি তোমায় কাছে।’
বসন্ত বাংলা সাহিত্যের যেমন আছে তেমনি আছে বাংলা ছায়াছবিতেও। ‘আইল ধারুন ফাগুনরে, লাগলো মনে আগুনরে, একা একা ভালো লাগে না।’ বসন্তে প্রিয় মানুষটিকে কাছে না পাওয়ায় যন্ত্রণা এভাবেই ধরা দিয়েছে বাংলা ছায়াছবিতে।
ওপার বাংলাতেও ফাগুনের অনেক কবিতা আছে, আছে গান, যেমন ‘ফাগুনের মোহনায় মন মাতানো মহুয়ায়/
আজি হতে শতবর্ষ আগে
আজি হতে শতবর্ষ পরে
কে তুমি পড়িছ বসি আমার কবিতাখানি
কৌতূহলভরে--
আজি হতে শতবর্ষ পরে।
আজি নববসন্তের প্রভাতের আনন্দের
লেশমাত্র ভাগ--
আজিকার কোনো ফুল, বিহঙ্গের কোনো গান,
আজিকার কোনো রক্তরাগ
অনুরাগে সিক্ত করি পারিব না পাঠাইতে
তোমাদের করে
আজি হতে শতবর্ষ পরে।
তবু তুমি একবার খুলিয়া দক্ষিণদ্বার
বসি বাতায়নে
সুদূর দিগন্তে চাহি কল্পনায় অবগাহি
ভেবে দেখো মনে--
একদিন শতবর্ষ আগে
চঞ্চল পুলকরাশি কোন্ স্বর্গ হতে ভাসি
নিখিলের মর্মে আসি লাগে--
নবীন ফাল্গুনদিন সকল বন্ধনহীন
উন্মত্ত অধীর--
উড়ায়ে চঞ্চল পাখা পুষ্পরেণুগন্ধমাখা
দক্ষিণসমীর--
সহসা আসিয়া ত্বরা রাঙায়ে দিয়েছে ধরা
যৌবনের রাগে
তোমাদের শতবর্ষ আগে।
সেদিন উতলা প্রাণে, হৃদয় মগন গানে,
কবি এক জাগে--
কত কথা পুষ্পপ্রায় বিকশি তুলিতে চায়
কত অনুরাগে
একদিন শতবর্ষ আগে।
আজি হতে শতবর্ষ পরে
এখন করিছে গান সে কোন্ নূতন কবি
তোমাদের ঘরে?
আজিকার বসন্তের আনন্দ-অভিবাদন
পাঠায়ে দিলাম তাঁর করে।
আমার বসন্তগান তোমার বসন্তদিনে
ধ্বনিত হউক ক্ষণতরে
হৃদয়স্পন্দনে তব ভ্রমরগুঞ্জনে নব
পল্লবমর্মরে
আজি হতে শতবর্ষ পরে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন