Ginton Capsule | 500 mg | জিনটোন ক্যাপসুল ৫০০
প্রিয় পাঠকগণ আসসালামুয়ালাইকুম আজ আমরা আপনাদের সাথে কথা বলবো Ginton 500 ট্যাবলেট নিয়ে। যেমন Ginton Capsule |500 mg| ? জিনটোন ক্যাপসুল 500? জিনসেং কি? জিনসেং এর প্রকারভেদ? জিনসেং এর উপকারিতা? জিনসেং এর পুষ্টিগত মান? জিনসেং কোথায় থেকে কিনবেন? জিনসেং কতটা পরিমাণ খাবেন? জিনসেং এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া? জিনসেং এর উপকারিতা? সম্পর্কে আপনাদের সাথে কথা বলবো
অনলাইনে ছেলেদের ও মেয়েদের যাবতীয় পার্সোনাল ও গোপনীয় পণ্যসামগ্রী সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কসমেটিক সামগ্রী দেশের সবচেয়ে কম দামে ক্রয় করতে ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট Www.gazivai.com
জিনসেং মাংসল মূলবিশিষ্ট এক ধরনের বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ। এটি উত্তর গোলার্ধে পূর্ব এশিয়াতে, বিশেষ করে চীন, কোরিয়া ও পূর্ব সাইবেরিয়াতে, ঠাণ্ডা পরিবেশে জন্মে। শক্তিবর্ধক টনিক হিসেবে বিভিন্ন দেশে জিনসেংয়ের প্রচলন আছে। জিনসেং শব্দটা উচ্চারণের সাথে যে দেশটির নাম উচ্চারিত হয় সেটি হলো কোরিয়া।
শারিরিক শক্তি বাড়ায় এবং দুশ্চিন্তা ও হতাশা দূর করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
পুরুষের লিংগোত্থানে অক্ষমতা রোধ করে।
পুরুষদের দ্রুত বীর্যস্খলন রোধ করে।
বিভিন্ন মানসিক ক্ষমতা বৃদ্ধি করে যেমন মনযোগ, স্মৃতিশক্তি, কথা শোনার সাথে সাথে বুঝতে পারার ক্ষমতা,কল্পনাশক্তি, শেখার ক্ষমতা, বিচারবুদ্ধি, চিন্তা শক্তি ও সমস্যা সমাধান করে কোন একটা সিদ্ধান্তে পৌছানোর ক্ষমতা।
কোলেস্টেরল এর মাত্রা কমাতে সহায়তা করে।
জিনসেং বিভিন্ন এন্টি-এজিং ক্রীম ও স্ট্রেচ মার্ক ক্রীম এ ব্যবহৃত হয়। এইসব ক্রীম ত্বকের বলিরেখা প্রতিরোধ করে।
মেয়েলি হরমোন বৃদ্ধি, রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা বৃদ্ধি ও শক্তি বর্ধক হিসেবে জিনসেং দারুন কার্যকরী।
আরো পড়নঃ কাটা
দাগ
- সিজারের কাটা
দাগ
দূর
করার
ক্রিম
আরো পরুনঃ মেয়েদের
চেহারা
সুন্দর
করার
ক্রিম
আরো পড়ুনঃ চুল গজানোর ঔষধ কিনতে ক্লিক করিন এখনই কিনুন
ব্যবহারবিধিঃ
University of Maryland Medical Center এর মত অনুযায়ী এশিয়ান জিনসেং পূর্নবয়স্করা ২-৩ সপ্তাহ টানা খেয়ে ২ সপ্তাহ বিরতি দিয়ে আবার খেতে পারবেন। আমেরিকান জিনসেং টানা ৮ সপ্তাহ খেয়ে ২ সপ্তাহ বিরতি দিয়ে আবার খেতে পারবেন। যেহেতু এটি একটি অতি কার্যকরী ওষুধ, তাই দীর্ঘদিন ব্যবহারের কোন রকম ক্ষতি হতে পারে ভেবে এটি বেশিদিন ব্যবহার করতে মানা করা হয় (যদিও দীর্ঘ ব্যবহারে ক্ষতির কথাটার কোন বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই).. জিনসেং সাধারণত ট্যাবলেট, পাউডার, ড্রিঙ্কস হিসেবে খাওয়া হয়, এবং এদের গায়েই ব্যবহারবিধি লেখা থাকে।
ট্যাবলেট বা পাউডার এর জন্য ডোজঃ University of Michigan Health System এর রিপোর্ট অনুযায়ী, মানসিক ক্ষমতা বৃদ্ধি ও লিংগ উত্থান এর জন্য ৯০০ মিগ্রা পাউডার করে দৈনিক ৩ বার, শক্তি বা স্ট্যামিনা বৃদ্ধি ও ডায়বেটিস এর জন্য এর ডোজ হলো ২০০ মিগ্রা পাঊডার করে দিনে ১ বার, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ১০০ মিগ্রা করে দিনে ২ বার।
ss cream এর জন্য ডোজ হলো ০.২ মিগ্রা। সরাসরি মূল খেলে ০.৫-২ গ্রাম মুল খাওয়া যাবে দৈনিক ১ বার। মূল কিনে খাওয়া টাই সবচেয়ে সাশ্রয়ী হয়। মূল টা চিবিয়ে খাওয়া যায়, গুড়া করে জিভের নীচে রেখে দিয়ে খাওয়া যায়, পানিতে এক ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে পানি সহ খাওয়া যায় অথবা পানিতে ৫ মিনিট ফুটিয়ে পানি সহ খাওয়া যায়।
জিনটোন ক্যাপসুল ৫০০
জিনসেংকে অনেকে কোরিয়ান ভায়াগ্রা বলে থাকে। জিনসেং হলো গাছের মূল। হাজার হাজার বছর ধরে কোরিয়াতে জিনসেং ওষুধি গুণাগুণের জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। জিনসেং গাছের মূল রোগ প্রতিরোধক এবং ইংরেজিতে বললে বলতে হয় Proactive tool in warding off disease। জিনসেংকে কোরিয়ানরা বিভিন্নভাবে খেয়ে থাকে। এর পুরো মূল সুপে দিয়ে দেয়, সিদ্ধ মূল খেতে হয়। চিবিয়ে চিবিয়ে এর নির্যাস নিতে হয়। এছাড়াও জিনসেং-এর রয়েছে নানাবিধ খাদ্য উপকরণ।
জিনসেং কে বলা হয় wonder herbs বা আশ্চর্য লতা। চীনে সহস্র বছর ধরে জিনসেং গাছের মূল আশ্চর্য রকম শক্তি উতপাদনকারী পথ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এছাড়াও এর রয়েছে নানাবিধ গুন। চীন থেকে কেউ বেড়াতে আসলে সাধারণত দেখা যায় জিনসেং ও সবুজ চা কে গিফট হিসেবে নিয়ে আসতে।
সেইরকম একটা গিফট পাওয়ার পরে ভাবলাম যে এই আশ্চর্য লতার গুন কে আসলে বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমাণিত নাকি এ শুধুই প্রাচীন চাইনিজ মিথ? ঘাটতে গিয়ে পেলাম নানা তথ্য। আমাদের দেশের মানুষেরা এটা সম্পর্কে কম-ই জানেন। তাই জিনসেং সম্পর্কে একটি পরিপূর্ণ ধারণা দেওয়ার উদ্দেশ্যে আজকের পোস্ট
জিনসেং অবসন্নতা ও স্নায়বিক চাপ কমায়, এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে জীবনীশক্তি বাড়ায়। এটি দীর্ঘকালীন জ্বরজনিত দুর্বলতায় নির্দেশিত। এটি যৌনাকাংখা বৃদ্ধি করে, শারীরিক সহিষ্ণুতা বৃদ্ধি করে, সন্তান উৎপাদনে অক্ষমতা প্রতিরোধ করে। এটি ডায়াবেটিস রোগে সহায়ক ঔষধ হিসেবে নির্দেশিত।
জিনসেং কী ?
জিনসেং এর প্রকারভেদ
জিনসেং এর উপকারিতা
জিনসেংয়ের পুষ্টিগত মান
জিনসেং শিকড় কীভাবে ব্যবহার করবেন
জিনসেং কতটা পরিমাণে খাবেন
জিনসেং কোথায় থেকে কিনবেন
জিনসেংয়ের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
জিনসেং এর উপকারিতা
আরো পরুনঃ মোটা হওয়ার পিউটন সিরাপ কিনুন ৩০০ টাকা
আরো পড়ুনঃ যে কোন মানুষকে এক মিনিটের মধ্যে অজ্ঞান করে ফেলার ঔষধ।
আরো পড়ুনঃ আর এফ এল কোম্পানি চাকরি ? মাসে বেতন কত
আরো পড়ুনঃ প্রান কোম্পানি
চাকরি
? মাসে
বেতন
কত
আরো পড়ুনঃ তানিয়া নামের অর্থ
কি | Tania namer ortho ki
আরো পড়ুনঃ Ssc এর পূর্ণরূপ
কি ? ssc full meaning
আরো পড়ুনঃ অ নামের ছেলেরা কেমন হয়
এনার্জি বাড়ায় : এনার্জি বাড়াতে এবং অবসন্নতা কাটিয়ে উঠতে জিনসেং ভূমিকা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। যারা মানসিক এবং শারীরিকভাবে ক্লান্ত বোধ করছেন তাদের জন্য এই ভেষজ উপাদানটি দারুণ কার্যকরী। পরীক্ষায় দেখা গেছে, জিনসেং ক্যানসার আক্রান্ত রোগীদের দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করে
২. ক্যানসার প্রতিরোধ করে : টিউমার বৃদ্ধি রোধ করার ক্ষমতা একে ক্যানসারের অন্যতম শক্তিশালী প্রতিরোধক হিসেবে গড়ে তুলেছে। জিনসেং টি সেল এবং এনকে সেলগুলির (প্রাকৃতিক ঘাতক কোষ) কার্যকারিতা বাড়িয়ে কোষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করে। এটি অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের বিরুদ্ধেও লড়াই করে এবং ক্যানসার কোষের মৃত্যু ঘটায় (৩)।
পরীক্ষায় আরও দেখা গেছে, জিনসেংয়ের মধ্যে উপস্থিত জিনসেনোসাইডগুলি ফুসফুসের ক্যানসার প্রতিরোধ করে এবং কিডনি, ডিম্বাশয়, পেট, ত্বক এবং জরায়ুর ক্যানসার প্রতিরোধ করতে পারে (৪)।
৩. ওজন কমায় : জিনসেং পরিপাক ক্ষমতা বাড়ায় এবং শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একটি পরীক্ষায় দেখা গেছে, কীভাবে জিনসেং ইঁদুরের দেহের ওজন কমাতে পারে (৫)। অন্যান্য পরীক্ষায় এর স্থূলতা বিরোধী প্রভাবও প্রমাণিত হয়েছে (৬)। তবে কিছু ক্ষেত্রে এটি ক্ষুধা হ্রাস করে যা এর অন্যতম একটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।
৪. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে : বেশকিছু পরীক্ষায় দেখা গেছে অ্যামেরিকান জিনসেং টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে (৭)। পরীক্ষায় আরও দেখা গেছে, জিনসেং ইনসুলিন সংবেদনশীলতার উন্নতি করে এবং যাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য এটি সুস্বাস্থ্যকর (৮)।
৫. যৌনক্ষমতা বাড়ায় : জিনসেংকে অনেকে ভেষজ ভায়াগ্রা বলে থাকে, এর পিছনে অবশ্য কারণও রয়েছে। গবেষণায় প্রমাণিত এটি ইরেকটাইল (বা যৌন) কর্মহীনতার চিকিৎসার ক্ষেত্রে এটি কার্যকারিতা গুরুত্বপূর্ণ (৯)।
আরেকটি উপায়েও এটি পুরুষদের যৌনক্ষমতা বৃদ্ধি করে তা হল এটি নাইট্রিক অক্সাইডের মাত্রা বাড়ায়, যা লিঙ্গকে শিথিল করে এবং রক্তপ্রবাহকে উদ্দীপিত করে। এই চা উদ্ভিদ উৎস থেকে প্রাপ্ত ফাইটো টেস্টোস্টেরনের উৎস। জিনসেং শুক্রাণু গণনাকে উন্নত করে এবং এড্রেনাল এবং প্রোস্টেট গ্রন্থিগুলির কার্যকারিতা বাড়ায় (১০)।
৬. মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ায় : জিনসেং মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে (১১)। দক্ষিণ কোরিয়ার একটি গবেষণায় দেখা গেছে, অ্যালজাইমার সমস্যা সমাধান করতে পারে (১২)।
৭. স্ট্রেস কমায় : পরীক্ষায় দেখা গেছে, জিনসেং মুড ঠিক রাখতে এবং মানসিক চাপ কমাতে কার্যকরী (১৩)।
৮. প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় : পরীক্ষায় প্রমাণিত, জিনসেং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে সর্দি-কাশির সমস্যা কম করে (১৪)। আরও একটি কোরিয়ার গবেষণায় দেখা গেছে, জিনসেং ম্যাক্রোফেজস, প্রাকৃতিক ঘাতক কোষ, টি সেল, বি সেল, ডেন্ড্রিটিক সেল সহ বিভিন্ন ধরণের প্রতিরোধক কোষকে নিয়ন্ত্রণ করে। জিনসেংয়ের এই উপাদান জ্বালা যন্ত্রণা কমায় এবং জীবাণু সংক্রান্ত সমস্যা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে (১৫)।
৯. অ্যান্টি এজিং : গবেষণা অনুযায়ী, জিনসেং অ্যান্টি এজিং উপাদান হিসেবে কাজ করে। ভেষজ এই ঔষধি কোলাজেন বাড়িয়ে তুলতে পারে, যা ত্বককে বলিরেখা মুক্ত করে এবং উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
১০. জ্বালা–যন্ত্রণা কমায় : জিনসেংয়ের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে এই প্রভাব জিনসেসোসাইডের ভূমিকাকে প্রভাবিত করে (১৬)। যাদের আর্থারাইটিস বা গাটের ব্যথা রয়েছে তাদের জন্য এটি উপকারী (১৭)। তাছাড়াও এটি পেটে ব্যথা ও অন্ত্রে জ্বালা-যন্ত্রণা কমাতে দারুণ কাজ করে।
১১. ফুসফুস কার্যকারিতা উন্নত করে : পরীক্ষায় দেখা গেছে, জিনসেং ফুসফুসে ব্যকটেরিয়ার সংক্রমণ প্রতিরোধ করে এবং ফুসফুসের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে (১৮)।
Chronic obstructive pulmonary disease (COPD) হচ্ছে ফুসফুসের অন্যতম সাধারণ একটি সমস্যা। এক্ষেত্রে রোগীদের শ্বাস নিতে কষ্ট হয়, বুকে কফ জমে, কারও ক্ষেত্রে ফুসফুসের ক্ষয় গটে। জিনসেং গ্রহণে সার্বিকভাবে COPD এর অবস্থার উন্নতি হয় বলে গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে (১৯)।
১২. ত্বকের সুস্বাস্থ্য : জিনসেংয়ের অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান রোজেসিয়া সহ ত্বকের নানা সমস্যা সমাধানে দারুণ কাজ করে (২০)। ত্বকে পুষ্টি জোগায় এবং উজ্জ্বল করে তোলে।
১৩. চুলের যত্ন : জিনসেং চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। জিনসেং এক্সট্রাক্ট চুলের ফলিকলগুলিকে শক্তিশালী করে এবং চুল পড়া রোধ করে (২১)। স্কাল্পের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখে এবং চুলে পুষ্টি জোগায়।
আরো পড়ুনঃ biomanix সরাসরি কিনতে ক্লিক করুন –এখনই কিনুন
আরোপড়ুনঃ 15 দিনে উচ্চতা বাড়ানোর ঔষধ কিনুন মাত্র ৭০০ টাকায়
আরোপড়ুন:15 দিনে নিজের ওজন কমানোর ঔষধ কিনুন মাত্র ৯০০ টাকায়
আরোপড়ুনঃ15 দিনে নিজের ওজন বাড়ানোর ঔষধ কিনুন মাত্র ৬০০ টাকায়
আরো পড়ুনঃ মোটা হওয়ার বডি বিল্ডো ঔষধ কিনতে ক্লিক করুন – এখনই কিনুন
আরো পড়ুনঃ জাপানি নীল / ব্লু সিল্ক শাড়ি মাত্র ৪৫০ টাকা
জিনসেংয়ের পুষ্টিগত মান
পুষ্টিগুণ পরিমাণ RDI (Recommended Daily Intake)
ক্যালোরি ২৫
ফ্যাট থেকে ক্যালোরিগুলি ০ ০%
টোটাল ফ্যাট ০.০ g. ০%
স্যাচুরেটেড ফ্যাট ০.০ g. ০%
কোলেস্টেরল ০.০ g. ০%
সোডিয়াম ৫ mg. ০%
কার্বোহাইড্রেট ৬.০ g. ২%
ডায়েটারি ফাইবার ০.০ g. ০%
সুগার ৬.০ g. ২%
প্রোটিন ০.০ g. ০%
ভিটামিন এ ০.০ g. ৪%
ভিটামিন সি ৬%
ক্যালসিয়াম ০%
আয়রন ০%
জিনসেং শিকড় কীভাবে ব্যবহার করবেন
জিনসেং চা হিসেবে গ্রহণ করা সবচেয়ে সেরা। এই উপায়ে আপনি সবচেয়ে বেশি উপকার পাবেন। কাছাকাছি কোনও দোকান থেকে এর টি ব্যাগ কিনে ব্যবহার করতে পারেন। এই উপায়ে ব্যবহার করতে পারেন –
শিকড়ের খোসা ছাড়িয়ে নিন। তারপর গুঁড়ো বা শুকনো করে শিকড় ব্যবহার করতে পারেন।
এক চামচ শিকড়ের গুঁড়ো নিন এবং একটি ধাতব পাত্রে রাখুন।
ভালো করে ফুটিয়ে নিন এবং ২ থেকে ৩ মিনিটের জন্য ঠান্ডা হতে দিন।
একটি চায়ের কাপে ঢেলে নিন এবং চুমুক দিয়ে খান।
জিনসেং চা ছাড়াও আপনি জিনসেং পাওডার খেতে পারেন।
জিনসেং কতটা পরিমাণে খাবেন
যাদের টাইপ ২ ডায়াবেটিস রয়েছে, প্রতিদিন ২০০ মিলিগ্রাম ব্যবহার করুন।
যাদের যৌন সমস্যা রয়েছে তারা সারাদিনে তিনবার ৯০০ মিলিগ্রাম জিনসেং নিতে পারেন।
ক্লান্তি বা স্ট্রেস যাদের ভোগান্তির কারণ তারা প্রতিদিন ১ গ্রাম জিনসেং নিন।
প্রয়োজনে ডাক্তারের সঙ্গে এবিষয়ে পরামর্শ নিন।
জিনসেং কোথায় থেকে কিনবেন
জিনসেংয়ের জনপ্রিয়তা যেভাবে দিন দিন বেড়ে চলছে, বাজারে যে কোনও বড় হেল্থ ফুড স্টোরে সহজেই এটি পেয়ে যাবেন। আজকাল অনলাইনেও কিনতে পারেন
জিনসেংয়ের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
এর উপকারিতা যেমন রয়েছে তেমনই খারাপ প্রভাবও রয়েছে। জিনসেংয়ের অন্যতম পাশ্বপ্রতিক্রিয়া হল ঘুমের সমস্যা। চা, কফির মতো এর থেকে ঘুম আসতে দেরি হয়। জিনসেং স্নায়ুতন্ত্রকে উত্তেজিত করে ও মানসিক ক্ষমতা বাড়ায়। এর অন্যান্য সাধারণ সমস্যা হল ডায়ারিয়া, মাথাব্যথা, হার্ট বিট বাড়ে এবং ব্লাড প্রেসারে সাময়িক তারতম্য হয়। এছাড়াও যে যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায় –
বাচ্চাদের সমস্যা
ছোটো বাচ্চাদের জন্য জিনসেং নিরাপদ নয়। তাই যতটা সম্ভব তাদের থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করুন।
গর্ভবতী এবং মায়েদের সমস্যা
জিনসেংয়ের মধ্যে কিছু উপাদান রয়েছে যা গর্ভপাতের কারণ হতে পারে। যারা সন্তানকে স্তন্যপান করান সেইসমস্ত মায়েদের জিনসেং এড়িয়ে চলা ভালো।
হার্ট কন্ডিশন
জিনসেং হার্টরেট এবং ব্লাড প্রেসারকে প্রভাবিত করতে পারে। যাদের হার্টের সমস্যা রয়েছে তারা এটি ব্যবহারের আগে অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
ডায়াবেটিস
জিনসেং ব্লাড সুগারের মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে, বিশেষ করে যারা ব্লাড সুগারের ওষুধ খাচ্ছেন তাদের।
অঙ্গ প্রতিস্থাপনের সময় সমস্যা
জিনসেং যেহেতু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, তাই অস্থায়ীভাবে ইমিউন সিস্টেমের কার্যকারিতা হ্রাস করার জন্য প্রদত্ত ওষুধের কার্যকারিতা হ্রাস করতে পারে।
রক্তপাতের সমস্যা
জিনসেং রক্ত জমাট বাঁধার ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করতে পারে। তাই যদি রক্তক্ষরণের সময় এর ব্যবহার এড়িয়ে চলুন।
জিনসেং এর উপকারিতা পেতে সতর্কভাবে এর ব্যবহার করুন। জিনসেংয়ের গুণ বর্ণনা করে বলা হয় যে এটি “Adaptogen” অর্থাৎ এটি সব পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাওয়াতে সাহায্য করে। এটি ব্যবহারে মানুষের দেহে শারীরিক শক্তি-সামর্থ্য, মানসিক ক্ষমতা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
প্রায়শই জিজ্ঞাস্য প্রশ্নাবলী :
জিনসেং কি ক্ষতিকারক হতে পারে ?
জিনসেং এর থেকে যে সমস্ত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায় সেহেতু সাধারণত হালকা। এর থেকে অনিদ্রা, মাথা ব্যথা, মাথা ঘোরা, পেট খারাপ ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে তেমন মারাত্মক কোনও সমস্যা হয় না।
আমি কী প্রায়শই এবং উচ্চ মাত্রা জিনসেং নিতে পারি ?
জিনসেং ব্যবহারের অন্যতম আকর্ষণীয় বিষয় হল, কম মাত্রায় এর ব্যবহার করলে এর উপকারিতা সবচেয়ে বেশি। সম্প্রতি একটি পরীক্ষায় ডোজ অনুসারে এর ফলাফলের বিভিন্নতা দেখা গেছে। ৪০০ মিলিগ্রামের তুলনায় ২০০ মিলিগ্রাম অনেক বেশি কার্যকর হিসেবে প্রমাণিত।
জিনসেংয়ের প্রভাব অনুভব করতে কতক্ষণ সময় লাগে?
এর কাজ শুরু হতে ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় লাগবে না। তবে আপনি ১২-৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রভাব অনুভব নাও করতে পারেন। আপনার শারীরিক অবস্থা এবং ডোজের উপর এর প্রভাব নির্ভর করছে।
প্রতিদিন জিনসেং চা খাওয়া কি ঠিক?
সাধারণত জিনসেং এবং গ্রিণ টি পরিমিতভাবে খাওয়া নিরাপদ। তবে অতিরিক্ত পরিমাণে নয়। তবে বাচ্চাদের, গর্ভবতী মহিলা এবং যাদের ডায়াবেটিস ডায়াবেটিস অথবা হাই ব্লাড প্রেসার রয়েছে তাদের অবশ্যই এটি এড়িয়ে চলা উচিৎ।
জিনসেং কী লিভারের জন্য খারাপ?
জিনসেংয়ের নানা উপকারিতা রয়েছে। এটি সিরোসিস, ফ্যাটি লিভার এবং দীর্ঘস্থায়ী হেপাটাইটিসের মতো সাধারণ লিভারের রোগের চিকিৎসায় উপকারী।
আমি কি রাতে জিনসেং গ্রহণ করতে পারি?
এটি অনিদ্রার কারণ হতে পারে। নিয়মিত রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে জিনসেং খেলে ঘুমের সমস্যা হতে পারে। এই সমস্যা এড়াতে ঘুমাতে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে গ্রহণ করুন।
জিনসেং এত মূল্যবান কেন?
জিনসেং চাষের জন্য দরকার সঠিক পরিবেশ। অনুকূল পরিবেশ ছাড়া তা সম্ভব নয়, সেই জন্য কেবলমাত্র কিছু জায়গায় এর চাষ হয় এবং দামও বেশি হয়।
জিনসেং কী লিভারের জন্য খারাপ
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য জিনসেং উপকারী, এটি ব্লাড সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু ক্যাফাইনের সঙ্গে একসঙ্গে নিলে উচ্চরক্তচাপের কারণ হতে পারে, যা সরাসরি কিডনির ক্ষতি করতে পারে।
জিনসেং কি হার্টের জন্য খারাপ?
জিনসেংয়ের কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হার্টের সমস্যা। হার্টরেট বাড়াতে পারে, পাশাপাশি রক্তচাপ বাড়িয়ে বা কমিয়ে সমস্যা ডেকে আনতে পারে।
সাধারণ জিনসেং এবং কোরিয়ান জিনসেংয়ের মধ্যে পার্থক্য কী?
সাধারণ জিনসেংয়ের তুলনায় কোরিয়ান জিনসেংয়ের আরও শক্তিশালী প্রভাব রয়েছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন