বাংলা কবিতা |প্রেমের কবিতা |
সম্মানিত পাঠক গন আশা করি সবাই ভাল আছেন আজ আপনাদের সাথে কথা বলবো। বাংলা কবিতা, প্রেমের কবিতা নিয়ে।যেমনঃবাংলা কবিতা |প্রেমের কবিতা?ভালবাসা কবিতা?বিখ্যাত কবিতা?বিরহের কবিতা? ছোট কবিতা? বাংলা শর্ট কবিতা? নতুন কবিতা?জীবনমুখী কবিতা?বাংলার কবিতা? ইত্যাদি সম্পর্কে বলুন বন্ধুরা আমরা আমাদের মূল আলোচনায় চলে যাই।
বাংলা কবিতা ও প্রেমের কবিতা
অনলাইনে ছেলেদের ও মেয়েদের যাবতীয় পার্সোনাল ও গোপনীয় পণ্যসামগ্রী সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কসমেটিক সামগ্রী দেশের সবচেয়ে কম দামে ক্রয় করতে ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট gazivai.com
কাব্য বা পদ্য হচ্ছে শব্দ প্রয়োগের ছান্দসিক কিংবা অনিবার্য ভাবার্থের বাক্য বিন্যাস--- যা একজন কবির আবেগ-অনুভূতি, উপলব্ধি ও চিন্তা করার সংক্ষিপ্ত রুপ এবং তা অত্যাবশ্যকীয়ভাবে উপমা-উৎপ্রেক্ষা-চিত্রকল্পের সাহায্যে আন্দোলিত সৃষ্টির উদাহরণ।
শিকড় – দেবব্রত সিংহ – কেঁদুলির মেলা পেরাই তখেন আমাদে রাঙামাটির দেশে ফাগুনা হাওয়া বইছে, কচি পলাশের পারা রোদ উঠেছে ঝলমলা, সেই রোদ ধুলা পথে কানা বাউলের আখড়ায় যাতে যাতে থমকে দাঁড়ালেক মাস্টর, কিষ্টনগরের সুধীর মাস্টর,
আরশিতে সর্বদা এক উজ্জল রমনী -পুর্নেন্দু পত্রী – আরশিতে সর্বদা এক উজ্জল রমণী বসে থাকে। তার কোনো পরিচয়, পাসপোর্ট, বাড়ির ঠিকানা মানুষ পায়নি হাত পেতে। অনুসন্ধানের লোভে মুলত সর্বতোভাবে তাকে পাবে বলে অনেক মোটর গাড়ি ছুটে গেছে পাহাড়ের ঢালু পথ চিরে অনেক মোটর গাড়ি চুরমার ভেঙে গেছে নীল সিন্ধুতীরে
কবিতা এমন – আল মাহমুদ – কবিতা তো কৈশোরের স্মৃতি। সে তো ভেসে ওঠা ম্লান আমার মায়ের মুখ; নিম ডালে বসে থাকা হলুদ পাখিটি পাতার আগুন ঘিরে রাতজাগা ভাই-বোন আব্বার ফিরে আসা, সাইকেলের ঘন্টাধ্বনি–রাবেয়া রাবেয়া– আমার মায়ের নামে খুলে যাওয়া দক্ষিণের ভেজানো কপাট!
সুখে থাকো – শক্তি চট্টোপাধ্যায় – চক্রাকারে বসেছি পাঁচজনে মাঠে, পিছনে পড়ছে আলো অন্ধকার সন্ধ্যা নামে বিড়ালের মতো ধীর পায়ে তুমি এসে বসেছো আসনে অকস্মাৎ।
এই যে তুমি মস্ত মুমিন মুসলমানের ছেলে – আখতারুজ্জামান আজাদ– এই যে তুমি মস্ত মুমিন, মুসলমানের ছেলে; বক্ষ ভাসাও, ফিলিস্তিনে খুনের খবর পেলে। রোহিঙ্গাদের দুঃখে তুমি এমন কাঁদা কাঁদো; ভাসাও পুরো আকাশ-পাতাল, ভাসাও তুমি চাঁদও! অশ্রু তোমার তৈরি থাকে— স্বচ্ছ এবং তাজা; হ্যাশের পরে লিখছ তুমি— বাঁচাও, বাঁচাও গাজা।
সবিনয় নিবেদন – শঙ্খ ঘোষ – আমি তো আমার শপথ রেখেছি অক্ষরে অক্ষরে যারা প্রতিবাদী তাদের জীবন দিয়েছি নরক করে।
নিছক প্রেমের গল্প – সুদীপ্ত বন্দ্যোপাধ্যায় – দু’আনা তার দুঃখ ছিল। চোদ্দো আনা সুখ জানালাপারের গন্ধমাখা। চম্পাবরণ মুখ সেও যদি যায় ঝাপসা হয়ে সমীকরণ স্পষ্ট দু’আনা তার সুখ বাঁচে ‘আর চোদ্দো আনা কষ্ট
তেজ -দেবব্রত সিংহ – ‘মু জামবনির কুঁইরি পাড়ার শিবু কুঁইরির বিটি সাঁঝলি বটে।’ কাগজওয়ালারা বইললেক, “উঁ অতটুকু বইললে হবেক কেনে? তুমি এবারকার মাধ্যমিকে পত্থম হইছ। তোমাকে বইলতে হবেক আরো কিছু।” পঞ্চায়েতের অনি বৌদি, পধান, উপপধান, এইমেলে, এম.পি- সব একেবারে হামলিয়ে পড়ল আমাদের মাটির কুঁইড়েঘরে।
আরো পড়ুনঃ যে কোন মানুষকে এক মিনিটের মধ্যে অজ্ঞান করে ফেলার ঔষধ।
ভালবাসা কবিতা
“দূরে গেলে তুমি,
হারিয়ে যাবাে আমি।
ভালােবাসি তােমায়,
বােঝনা কেন তুমি।
ছােট্ট এই জীবনে,
একটাই শুধু চাওয়া।
তােমাকে আপন করে,
আমার শুধু পাওয়া।”
আরো পরুনঃ মেয়েদের চেহারা সুন্দর করার ক্রিম
চোখের আড়াল হতে পারো, মনের আড়াল নয়,
মনে আমার সবসময় তোমার কথা কয়,
মনকে যদি প্রশ্ন করি আমার আপনকে ?
মন বলে এখন তোমার এসএমএস পড়ছে যে।
আমার জীবনে কেউ নেই তুমি ছাড়া,
আমার জীবনে কোন সপ্ন নেই তুমি ছাড়া,
আমার দুচোখ কিছুই দেখেনা তুমি ছাড়া,
আমার মন কিছু ভাবতে পারেনা তুমি ছাড়া,
আমি কিছু লিখতে পারিনা তুমি ছাড়া,
আমি কিছু বুঝতে চাইনা তুমি ছাড়া ।
চোখের আড়াল হতে পারো, কিন্তু মনের আড়াল নয়.!
মন যে আমার সবসময় তোমার কথা কয়.!
মনকে যদি প্রশ্ন করি, তোমার প্রিয় মানুষটি কে?
মন বলে, এখন তোমার এসএম পড়ছে যে..!
আমার জীবনে কেউ নেই তুমি ছাড়া, আমার জীবনে আর কেউ নেই তুমি ছাড়া,
আমার এই দুই চোখ অন্য কিছু খোঁজে না শুধু তুমি ছাড়া,
আমি কিছু ভাবতে’ই পারিনা শুধু তুমি ছাড়া।
এক পৃথিবী চেয়েছি তোমাকে, এক সাগর ভালবাসা রয়েছে এই বুকের ভিতরে,
যদি কাছে আসতে দাও, অনেক ভালবাসতে দাও,
এক জনম নয় হাজার জনম ভালবাসবো তোমাকে।
বিখ্যাত কবিতা
মনটা দিলাম তোমার হাতে, যতন করে রেখো.!
হৃদয় মাঝে ছোট্র করে আমার ছবি এঁকো,
স্বপ্ন দিলাম তাকে আরও দিলাম আশা,
মনের মত সাজিয়ে নিয়ো আমার ভালবাসা।
আরোপড়ুনঃ 15 দিনে উচ্চতা বাড়ানোর ঔষধ কিনুন মাত্র ৭০০ টাকায়
তুমি কি জানো তুমি আমার কাছে কি?
তুমি আমার হৃদয়ে থাকা এক সুপ্ত বাসনা।
এক অপূর্ন ইচ্ছে একটি বারের জন্য
আমার অস্তিত্বকে খুব কাছে থেকে উপলব্ধি করার।
জীবনে হয়েতো তুমি অনেক কিছু পাবে,
আবার অনেক কিছু হরাবে, কিন্ত কিছু পাওয়ার জন্য
তোমার জীবনের এমন কাউকে হারিওনা, যে
তেমাকে অনেক বেশী ভালবাসে।
বিরহের কবিতা
অনেকদিন দেখা হবে না তারপর একদিন দেখা হবে। দুজনেই দুজনকে বলবো, ‘অনেকদিন দেখা হয় নি’। এইভাবে যাবে দিনের পর দিন বত্সরের পর বত্সর। তারপর একদিন হয়ত জানা যাবে বা হয়ত জানা যাবে না, যে তোমার সঙ্গে আমার অথবা আমার সঙ্গে তোমার আর দেখা হবে না।
নিজেকে আজ বড় অসহায় মনে হচ্ছে আজ যেন কিসের অভাব হৃদয়ে নাড়াচাড়া দিয়ে উঠেছে। কিছুই ভাল লাগছেনা না কোকিলের সূর, না সেই মন ভুলানো উত্তাল হাওয়া, জানালার দিকে তাকিয়ে তাই আকাশের দিকে মুখ ফিরিয়ে আছি। কই আকাশে তো আজ সূর্যের দেখা নেই? দূর থেকে গর্জন শুনছি মেঘের চারিদিকে তাহলে মেঘেই
যদি কখনও হারিয়ে যাই না ফেরার দেশে, আমার কথা কখনও কি পড়বে তোমার মনে। যদি কখনও খবর পাও আমার চলে যাওয়ার কথা, হৃদয়ে জাগবে কি তোমার একটুখানি ব্যাথা? চলে গেলে দিও বিদায় হাসি ভরা মুখে, আমার জন্য এক ফোটা জল ফেলোনা ঐ চোখে। আকাশের দিকে তাকিয়ে বলবে, লক্ষ তারার মাঝে,
আরো পড়ুনঃ চুল গজানোর ঔষধ কিনতে ক্লিক করিন এখনই কিনুন
আমি নীরবেই কাঁদব নীরবেই হাসব, কখনও বলব না আর আমার কান্না পাচ্ছে দেখে যাও একবার । . আমি নীরবেই জ্বলব নীরবেই মরব কখন বলব না আর মরার বেলা এই তৃষ্ণার্ত ঠোটে একফোটা জল দাও একবার। . আমি নীরবেই সইব নীরবেই দেখব কখনও বলব না আর পোড়া হৃদয়খানি দেখে যাও একবার
হারিয়ে গেছে সে কোন এক মেঘলা দিনে বৃষ্টির সাথে ঝড়ো হাওয়া হয়ে রোদ্রের সাথে কোন এক ভোরবেলায় কুয়াশা হয়ে কোন এক শেষ বিকেলে গোধূলি লগনে। হারিয়ে গেছে সে কোন এক অমাবস্যার রাতে ভয়ংকর কালো অন্ধকার হয়ে ঘন কালো মেঘের আড়ালে কোন এক বর্ষা কালে কোন এক অচেনা নদীর স্রোতের সাথে।
ছোট কবিতা
আমি আর কতোটুকু পারি ?
কতোটুকু দিলে বলো মনে হবে দিয়েছি তোমায়,
আপাতত তাই নাও যতোটুকু তোমাকে মানায়।
ওইটুকু নিয়ে তুমি বড় হও,
বড় হতে হতে কিছু নত হও
নত হতে হতে হবে পৃথক পাহাড়,
মাটি ও মানুষ পাবে, পেয়ে যাবে ধ্রুপদী আকাশ।
আমি আর কতোটুকু পারি ?
এর বেশি পারেনি মা
ভালবাসার সময় তো নেই
- রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
নিশাচর ভালবাসার সময় তো নেই
ব্যস্ত ভীষন কাজে,
হাত রেখো না বুকের গাড় ভাজে।
ঘামের জলে ভিজে সাবাড় করাল রৌদ্দুরে,
কাছএ পাই না, হৃদয়- রোদ দূরে।
কাজের মাঝে দিন কেটে যায়
কাজের কোলাহল
তৃষ্নাকে ছোয় ঘড়ায় তোলা জল।
নদী আমার বয় না পাশে
স্রোতের দেখা নেই,
আটকে রাখে গেরস্থালির লেই।
তোমার দিকে ফিরবো কখন
বন্দী আমার চোখ
পাহারা দেয় খল সামাজিক
Kobita তো অনেকেই পছন্দ করেন । সে প্রিয়জনকে SMS করেই পাঠানোই হোক কিংবা কিংবা কাউকে উইশ করতে । সবমিলিয়ে সবসময় বড় বড় কবিতা পড়তে খুব একটা ভালো লাগেনা । কি তাই তো ? তো, চলুন আপনার জন্য আজকে নিয়ে এসেছি বাংলার সেরা সব কবিদের লেখা ছোট কবিতার এক সুন্দর কালেকশন । তো, দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক
পৃথক পাহাড়
– হেলাল হাফিজ
আমি আর কতোটুকু পারি ?
কতোটুকু দিলে বলো মনে হবে দিয়েছি তোমায়,
আপাতত তাই নাও যতোটুকু তোমাকে মানায়।
ওইটুকু নিয়ে তুমি বড় হও,
বড় হতে হতে কিছু নত হও
নত হতে হতে হবে পৃথক পাহাড়,
মাটি ও মানুষ পাবে, পেয়ে যাবে ধ্রুপদী আকাশ।
আমি আর কতোটুকু পারি ?
এর বেশি পারেনি মা
ভালবাসার সময় তো নেই
- রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
নিশাচর ভালবাসার সময় তো নেই
ব্যস্ত ভীষন কাজে,
হাত রেখো না বুকের গাড় ভাজে।
ঘামের জলে ভিজে সাবাড় করাল রৌদ্দুরে,
কাছএ পাই না, হৃদয়- রোদ দূরে।
কাজের মাঝে দিন কেটে যায়
কাজের কোলাহল
তৃষ্নাকে ছোয় ঘড়ায় তোলা জল।
নদী আমার বয় না পাশে
স্রোতের দেখা নেই,
আটকে রাখে গেরস্থালির লেই।
তোমার দিকে ফিরবো কখন
বন্দী আমার চোখ
পাহারা দেয় খল সামাজিক
আজ বরষায় অন্যরকম আমেজে
সেজেছো তুমি, মনের মিতালী মিতু-
ঘন-কালো অন্ধকার করবীতে
হাসনাহেনার সুবাস
আমাকে করেছে ব্যাকুল-
আমি আলোতে পথ হারিয়ে ফেলি
তোমার নয়ন-পানে চাইলে।
বাংলা শর্ট কবিতা
দুপুরের রবি পড়িয়াছে ধলে অস্ত- পথের কোলে
শ্রাবনের মেঘ ছুটে এল দলে দলে
উদাস গগন-তলে
বিশ্বের রবি, ভারতের কবি,
শ্যাম বাংলার হৃদয়ের ছবি
তুমি চলে যাবে বলে।
তব ধরিত্রী মাতার রোদন তুমি শুনেছিলে না কি,
তাই কি রোগের ছলনা করিয়া মেলিলে না আর আঁখি?
আজ বাংলার নাড়িতে নাড়িতে বেদনা উঠেছে জাগি’;
কাঁদিছে সাগর নদী অরন্য, হে কবি, তোমার লাগি’।
তব রসায়িত রসনায় ছিল নিত্য যে বেদ-বতী
তোমার লেখনি ধরিয়াছিলেন যে মহা সরস্বতী,
তোমার ধ্যানের আসনে ছিলেন যে শিব-সুন্দর,
তোমার হৃদয় কুঞ্জে খেলিত সে মদন-মনোহর,
যেই আনন্দময়ী তব সাথে নিত্য কহিত কথা,
তাহাদের কেহ বুঝিলনা এই বঞ্ছিতদের ব্যথা?
কেমন করিয়া দিয়া কেড়ে নিল তাঁদের কৃপার দান,
তুমি যে ছিলে এ বাংলার আশা প্রদীপ অনির্বাণ।
তোমার গরবে গরব করেছি, ধরারের ভেবেছি সরা;
ভুলিয়া গিয়াছি ক্লৈব্য দীনতা উপবাস ক্ষুধা জরা।
মাথার উপরে নিত্য জ্বলিতে তুমি সূর্যের মত,
তোমারি গরবে ভাবিতে পারিনিঃ আমরা ভাগ্যহত।
এত ভালোবাসিতে যে তুমি এ ভারতে ও বাংলায়,
কোন অভিমানে তাঁদের আঁধারে ফেলে রেখে গেলে,
হায়।
কিন্তু ব্যাপারটা হচ্ছে, তুমি আমার সামনে দাড়ালেই আমি
তোমার ভিতরে একটা বুনো ঝোপ দেখতে পাই।
ওই ঝোপে একটা মৃতদেহ ঢাকা দেওয়া আছে।
অনেকদিন ধ’রে আছে। কিন্তু আশ্চর্য যে
এই মৃতদেহ জল, বাতাস, রৌদ্র ও সকলপ্রকার
কীট-বীজাণুকে প্রতিরোধ করতে পারে। এরপচন নেই।
বন্য প্রাণীরাও এর কাছে ঘেঁষে না।
রাতে আলো বেরোয় এর গা থেকে।
আমি জানি, মৃতদেহটা আমার।
কিন্তু ব্যাপারটা হচ্ছে, এই জারিজুরি এবার ফাঁস হওয়া প্রয়োজন।
আর তা হবেও, যেদিন চার পায়ে গুঁড়ি মেরেগিয়ে
পা কামড়ে ধ’রে, ওটাকে, ঝোপ থেকে
টেনে বার করব আমি।
নতুন কবিতা
পরিত্যক্ত বিকেলে একটি ঝাঁক বৃষ্টি
হুড়মুড় করে ঝাঁপিয়ে পড়লো এসে।
সাত তাড়াতাড়ি গোধূলি রঙবাহার
পাহাড়ি আলখাল্লায় লুকিয়ে পড়লো,
পাহাড় জবুথবু যেন জানে না কিছু।
এবার বৃষ্টি কেবল বৃষ্টি ঝমাঝম
ইউক্যালিপটাসের সরু দীঘল পাতা পিছলে
সকালের চৈতী রোদ্দুর ছলকে ঝাঁপিয়ে পড়লো
টংঘরের দুয়ারে চিত্রার্পিত ধনবতী রিয়াংএর পেটে।
চার চারটে সুদীর্ঘ দিন রাত নৌকো বেয়ে পার হলো
ফেরেনি মরদ চাল নিয়ে উপরের লুসাই বস্তি থেকে
প্রেমে স্বাচ্ছন্দ্যে বৈভবে থেকেও দেখেছি
কোন আগুনে না পুড়েও বুকে ছিল তাঁর
অনির্দেশ্য অনির্বচনীয় কোন এক দহনজ্বালা
তাই হঠাৎ রাতের আঁধারে নাক্ষত্রিক আকাশে
কোন্ যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়েছ তুমি
হে কালপুরুষ! কালের অতন্দ্র প্রহরী!
সেজেছো কী অদ্ভুত অলৌকিক সাজে,
তোমার ভয়াবহ প্রস্তুতি কাঁপিয়ে দেয়
আমাকে আমার লৌকিক এই জগতকে,
বিড়ম্বিত অস্তিত্ব নিয়ে আমি রুদ্ধশ্বাস!
কবিকে দুঃখ দিওনা হে নারী
লঙ্কাকাণ্ড ঘটিয়ে দিতে পারে সে,
রটিয়ে দেবে গ্রহ, নক্ষত্রে
গ্রামে, গঞ্জে, শহরে, বন্দরে।
এগুতে পারবেনা এক পা’ও
পেছানোরও পথ বন্ধ পাবে।
জীবনমুখী কবিতা
মামুনি দাস
আমি এক কন্যা-
এনেছি মায়ের জীবনে বন্যা।
মা বলেন- তিনি আমায় কতই না ভালোবাসেন!
কিন্তু সময় এলে ঠিক চেপে বসেন।
তিনি আমার কাছে রাতে ঝড়ে পড়া তারা-
আজ আমার ডাকে দেয়না সে সাড়া।
তিনি বলেন আমি তার কন্যা-
সবার সেরা।
সময়ে অসময়ে একটু হয় যে দিশে হারা।।
রাত্রি শেষে ভোরের আলোয়-
আমি একা একটি তারা।
দিব না কারো ডাকে-
আমি আর কোনো সাড়া।।
ছাড়পত্র
আমার যখন বয়স সবে নয়,
তখনই আমার জীবনে প্রথম প্রেমের উদয়।
তার সুন্দর কাজল-কালো চোখ দেখে-
নীরব হয়ে চেয়ে থাকতাম,বিস্মিত হয়ে।
তার মিষ্টি গলার স্বরে-
ভিজিয়ে রাখত সে আমায় সারাটা দিন ধরে।
তার সুন্দর হাসির সুর-
এখনও যে আমার কানে লাগে সু-মধুর।
অবশেষে একদিন,
চিরতরে সে গেল চলে,
আমাকে একা ফেলে।
আমার ভালোবাসায় ছিলনা কোনো কামের আশা,
যা ছিল তা কেবল, নিঃস্বার্থ ভালোবাসা’।
আর আজ,
মাত্র কয়েকটি বছর পড়ে,
ভালোবাসায় কত কি শামিল হয়েছে-
পার্কে যুগলের কামার্ত ভালোবাসা দেখে-
চোখ বন্ধ হয়ে আসে অশ্রুজলে।
একি পরিবর্তন, আজ ভালোবাসাতে!
কেউ কি পাড়েনা বাসতে ভালো নিঃস্বার্থে?
বদলে গেছে আজ ভালোবাসার ধরণ,
মন থেকে এখন আর কেউই কাউকে করেনা যে বরণ।
দুই মিনিটের সুখে ভূমিষ্ঠ হবে, যে পৃথিবীতে-
ক্ষণিক পড়ে স্থান হবে তার ডাস্টবিনে।
হাঁ, আরও কত কি যে দেখায়,
হায়রে এই পাগল-
মডার্ন ভালোবাসায়।
বাংলার কবিতা
বাংলা কবিতা বাংলা সাহিত্যের এক অনবদ্ধ সৃষ্টি। সেই প্রাচীন কাল থেকেই বাংলার কবিরা এই জনপদের আপামর জনসাধরনের যাপিত জীবন নিয়ে বিভিন্ন ভঙ্গিতে কবিতা রচনা করেছেন। বাংলা কবিতায় স্থান পেয়েছে মানুষের সুখ, দুঃখ- বেদনা, বিরহ- ভালবাসা, প্রেম- বঞ্ছনা, স্বাধীনতা, বিদ্রোহ, মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা আন্দোলনের কথা।
দুঃখ বুকে আমি
.........শরীফ মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান
মনে হয় ইচ্ছেমতো কাঁদি
নিজের কাছে নিজে অপরাধি
কি করে বলো ধরে রাখি
ঝরে শুধু মোর দুই আঁখি
বুকের মাঝে জমেছে কাঁদন নদী।।
পাখিরা এসে ভালোবেসেছিল
ফুলেরা মোরে ভালোবেসেছিল
আমি আশাবাদি হয়েছিলাম
মোর স্বপ্নের তরী ভাসিয়েছিলাম
তবু হেরে গেলাম হলাম অপরাধি।।
কষ্ট নিয়ে শুধু নীরবে কাঁদি একা
সবকিছু লাগে মোর কাছে ফাঁকা
চাওয়া পাওয়া সবই হারালাম
দুঃখ বুকে আমি নীরবে রইলাম
আজ দিবাযামী শুধু একা একা কাঁদি।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন