রোমান্টিক বিরহের কবিতা |
সম্মানিত পাঠক গন আশা করি সবাই ভাল আছেন আজ আপনাদের সাথে কথা বলবো। রোমান্টিক বিরহের কবিতা নিয়ে।যেমনঃরোমান্টিক বিরহের কবিতা?সেরা বিরহের কবিতা?রোমান্টিক প্রেমের কবিতা?রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিরহের কবিতা? বিখ্যাত কবিদের বিরহের কবিতা? বৃষ্টি বিরহের কবিতা?বিরহের কষ্টের কবিতা?বাংলা ছোট বিরহের কবিতা?বসন্তের বিরহের কবিতা? ইত্যাদি সম্পর্কে বলুন বন্ধুরা আমরা আমাদের মূল আলোচনায় চলে যাই।
রোমান্টিক বিরহের কবিতা
অনলাইনে ছেলেদের ও মেয়েদের যাবতীয় পার্সোনাল ও গোপনীয় পণ্যসামগ্রী সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কসমেটিক সামগ্রী দেশের সবচেয়ে কম দামে ক্রয় করতে ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট gazivai.com
কেবলই বুকের দুকুল ভেঙ্গেছ নারী??
তোমার জন্যতো আমার চারিধারই তৈরি ছিল।
প্রতিদিন চাদঁটা তোমার জন্য হাজির করতাম।
আর তুমি কিনা এক ফালি জোছনাতেই খুশি।
কতদিন তোমার অপেক্ষায় আছি।
তোমায় বিষের বীণে আমার হৃদয় ফালি ফালি হবে
আর তুমি কিনা কোলে তুলে নিলে??
কেবল হৃদয় নিয়েছ নারী??
আমি তো তোমার জন্য জীবন রেখেছি বাজী।
তুমি চাইলে স্বর্গের সুখ, পাতালের সুর,
বির্সজন দিতে পারি।।
তুমি কেবলই স্বর্গ দিলে যদি
আমি তোমার সাথে নরকের হতে পারি সাথি।
এরপর বেলা শেষে চৈত্রের ঘ্রাণ
আমি আকণ্ঠ তৃষিত চিরকাল, তোমার জন্য একাল, সেকাল
একটু সুখই চেয়েছি কেবল, তাও দিতে পারনি??
আমার জীবন, স্বর্গ নরক সবই তোমাকে দিলাম
এক মুঠো সুখ খুব বেশি দাবি ছিল কি বলো একবার??
হে অন্তপ্রান
বিষবাষ্প আছে কি? হৃদয় গহিন তলে,
বাজে কি বিষের বাঁশি? লাগে কি টান সিনায় সিনায়??
প্রখর চৈত্রের শেষে, বৃষ্টির ঘ্রাণে
উন্মাতাল হতো যে চাতকের চোখ
আজ তার কেবলই শূন্য দৃষ্টি।
বদলে যায়, থেমে যায় হৃদয়ের সব কলতান।
উড়ন্ত বলাকার দুরন্ত ডানায়
উঠত যে ঝড়, আপ্রাণ আগ্রহ বিশ্ব দেখার
আছে কি আজ সেই তৃষ্ণা??
তবে কি ধেয়ে আসছে? নেমে আসছে??
সবই কি তবে কেন্দ্রের প্রতি ধাবমান?
পার কি কিছু শুধাতে হে অন্তপ্রান?
গুটি গুটি পায়ে ছুটে চলে অভিসারে
উল্টে দেয়া, হৃদয়ের বেলা ভূমি
উর্বর হয়ে উঠে, নোনতা ফলের চাষে,
কিন্তু তাও থেকে যায় অনাবাদি,
আবার কখনো হয় আবাদ
এ মন বড়ই উচাটন, বার বার চায় বার বার
রসদ ফুরালো জড়ালো জীবন
বেলা শেষে ক্লান্ত সবাই, একে একে নীড়ে পানে
তুমি ও কি আছ সেই দলে??
জীবনের পথে, জীবনের রথে, সদা চলমান।
তোমরা তারে বল প্রেম
প্রাণের বিনিময়ে প্রাণ দান
আর আমি চলি উল্টো পথে উল্টো রথে
আমার অন্ধ আঁখি, সবই হৃদয়ের অনুধাবন
আমি বলি, এ প্রেম নয়, দান নয়, মহা প্রয়াণ।।
প্রেমহীন ভালবাসা
প্রেমহীন ভালবাসা সুখের আশ্বাসে
দীর্ঘ সংগমে রাত্রি জাগরণ শেষে
ক্লান্ত আঁখি খুঁজে ফেরে আবারও সুখের প্রদীপ
হৃদয়ে প্রেম নেই শুধুই ভালবাসা,
ক্ষণিকের জ্বালা-দ্বীপ।
প্রেম হীন দীর্ঘ রজনি চাই না,
চাই না চোখ ধাঁধানো আলোর ঝিলিক
স্বচ্ছ স্রোতস্বিনী জলের ন্যায় অবগাহনের জল চাই,
হোক নিভু নিভু ছোট্ট প্রেমের প্রদীপ
হোক না কয়েক পলক হোক কিছু সময়
তবুও প্রেম থাকুক বেঁচে
লোম ক‚পে ছুঁয়ে যাওয়া ছোট্ট প্রহর
এতটুকুই চাই, শুধু সুখকে যেচে।।
রাত যেন এমনই হয়
রাত যেন এমনই তবে, নির্জন অতনু প্রসাদ
রমণের করে সমর্পিত বিনোদিনীর অবসাদ
শিয়রে সি-থানে, অনায়াসে ছুতে পারা চাঁদ
বিনোদিনীর কপোলে উদাসী অবসাদ।
নিতম্বে আঁকা রুপোর উল্কি, স্মরণে মরণ ফাঁদ
হৃদয়ে জেগে উঠা জোৎন্সা কুমারীর, আজন্ম শত পাপ।
কমল শোভিত কুঞ্চিত কেশ রাশি, পায়ের রুপোর মল
সুবাসিতার অতলে ডোবার সাধে, হৃদয় ছলছল।
বুকের ভেতর জমিয়া থাকা, কষ্টের যত ঢালি
উথলিয়া উঠে ব্যাকুল প্রাণ, সপিঁতে পরান খানি
মূর্ছিত রমণের প্রাণ, শ্র“তিয়া নূপুরের সিঞ্জনে
রুপোর বিছায় লাগিয়ে ফাঁস মরিবার সাধ জাগে।।
এ আমার ভ্রান্তি। ক্ষমা করো........
যদি ভুল করে ভালবেসে থাকি
এ আমার ভ্রান্তি। ক্ষমা করো............
কতটা ছিলাম হিয়ার মাঝে
ভুলে না হয় একবার স্মরো।
যদি ভুল করে এসে থাকি
নেড়ে থাকি কড়া তব হৃদয়ের
তবে আবারও বিনম্র চিত্ত,
ফেলে আসা দিন গুলি থাক স্মরণে
আর নয় ভুল, আর নয় কস্ট অবগাহন
তবে দ্বার খোল, মনকে বলো আবারও
যদি ভুল করে দুরে সরে থাকি
এ আমার ভ্রান্তি। ক্ষমা করো......
আমার যদি একটা আট রঙা রংধনু থাকতো
আমার যদি একটা আট রঙা রংধনু থাকতো
আমি শেষ রংটার নাম দিতাম নন্দিনী
সুমিন হলে অবশ্য অন্ত্রিলা রাখত।
আমার রংধনুটার শেষ রংটা দেখতে ময়ুরকন্ঠী নীল হতো।
ওই রংটা তিনবার চিনেছিলাম নন্দিনীর কাছে।
প্রম চিনেছি নীল টিপ পড়ে আমার সামনে এসেছিল
এরপর যখন ভালবাসার নীল রং মনে ছুঁয়ে গেল।
এরপর বার বার দেখছি সেই রংটা।
তার অনুপস্থিতি আমাকে কাঁদায়
হৃদয়ে বেদনা জাগায়।
কষ্টে দোলায় ঠিক ময়ুর কণ্ঠের মতো
যেমন টা ঝড় দেখলে ময়ুররা করে।
তার সাথে হৃদয়ে অনুভব করি বিষের নীল রং।
আমার যদি একটা আট রঙা রংধনু থাকতো
আমি শেষ রংটার নাম দিতাম নন্দিনী।
আটটি রঙ্গকে বাধার জন্য সাতটি গিঁট লাগতো
তার এলোচুলে বিনুনিতে সাতটি ফুল তুলে দিতাম
সাত দিন অপেক্ষায় থাকতাম আর.......
সপ্তম দিনে দেখা হলে সাতটি সাদা বেলি ফুল তুলে দিতাম
সাত রঙা পাড়ের শাড়িতে জড়িয়ে সাতটি প্যাঁচ দিতাম।
তার মোহনিয় হাসি দেখার জন্য কমপক্ষে সাত বার বলতাম
ভালবাসি,ভালবাসি............
আমার যদি একটা আট রঙা রংধনু থাকত
আহ একটা আট রঙা রংধনু।
সেরা বিরহের কবিতা
কাছে যতটুকু পেরেছি আসতে, জেনো
দূরে যেতে আমি তারো চেয়ে বেশী পারি।
ভালোবাসা আমি যতটা নিয়েছি লুফে
তারো চেয়ে পারি গোগ্রাসে নিতে ভালোবাসা হীনতাও
আরো পড়ুনঃ মোটা হওয়ার বডি বিল্ডো ঔষধ কিনতে ক্লিক করুন – এখনই কিনুন
জসীমউদ্দীন
কবর – জসীমউদ্দীন
এই খানে তোর দাদির কবর ডালিম-গাছের তলে,
তিরিশ বছর ভিজায়ে রেখেছি দুই নয়নের জলে।
এতটুকু তারে ঘরে এনেছিনু সোনার মতন মুখ,
পুতুলের বিয়ে ভেঙে গেল বলে কেঁদে ভাসাইত বুক।
এখানে ওখানে ঘুরিয়া ফিরিতে ভেবে হইতাম সারা,
সারা বাড়ি ভরি এত সোনা মোর ছড়াইয়া দিল কারা!
সোনালি ঊষার সোনামুখ তার আমার নয়নে ভরি
লাঙল লইয়া খেতে ছুটিলাম গাঁয়ের ও-পথ ধরি।
যাইবার কালে ফিরে ফিরে তারে দেখে লইতাম কত
এ কথা লইয়া ভাবি-সাব মোরে তামাশা করিত শত।
এমনি করিয়া জানি না কখন জীবনের সাথে মিশে
ছোট-খাট তার হাসি ব্যথা মাঝে হারা হয়ে গেনু দিশে।
বাপের বাড়িতে যাইবার কাল কহিত ধরিয়া পা
আমারে দেখিতে যাইও কিন্তু উজান-তলীর গাঁ।
শাপলার হাটে তরমুজ বেচি পয়সা করি দেড়ী,
পুঁতির মালার একছড়া নিতে কখনও হত না দেরি।
দেড় পয়সার তামাক এবং মাজন লইয়া গাঁটে,
সন্ধাবেলায় ছুটে যাইতাম শ্বশুরবাড়ির বাটে!
হেস না হেস না শোন দাদু, সেই তামাক মাজন পেয়ে,
দাদি যে তোমার কত খুশি হত দেখিতিস যদি চেয়ে!
নথ নেড়ে নেড়ে কহিত হাসিয়া, এতদিন পরে এলে,
পথ পানে চেয়ে আমি যে হেথায় কেঁদে মরি আঁখিজলে।
আমারে ছাড়িয়া এত ব্যথা যার কেমন করিয়া হায়,
কবর দেশেতে ঘুমায়ে রয়েছে নিঝঝুম নিরালায়!
হাত জোড় করে দোয়া মাঙ দাদু, আয় খোদা! দয়াময়,
আমার দাদীর তরেতে যেন গো ভেস্ত নসিব হয়।
>তারপর এই শূন্য জীবনে যত কাটিয়াছি পাড়ি
যেখানে যাহারে জড়ায়ে ধরেছি সেই চলে গেছে ছাড়ি।
শত কাফনের, শত কবরের অঙ্ক হৃদয়ে আঁকি,
গণিয়া গণিয়া ভুল করে গণি সারা দিনরাত জাগি।
এই মোর হাতে কোদাল ধরিয়া কঠিন মাটির তলে,
গাড়িয়া দিয়াছি কত সোনামুখ নাওয়ায়ে চোখের জলে।
মাটিরে আমি যে বড় ভালবাসি, মাটিতে মিশায়ে বুক,
আয়-আয় দাদু, গলাগলি ধরি কেঁদে যদি হয় সুখ।
এইখানে তোর বাপজি ঘুমায়, এইখানে তোর মা,
কাঁদছিস তুই? কী করিব দাদু! পরাণ যে মানে না।
সেই ফালগুনে বাপ তোর এসে কহিল আমারে ডাকি,
বা-জান, আমার শরীর আজিকে কী যে করে থাকি থাকি।
ঘরের মেঝেতে সপটি বিছায়ে কহিলাম বাছা শোও,
সেই শোওয়া তার শেষ শোওয়া হবে তাহা কী জানিত কেউ?
গোরের কাফনে সাজায়ে তাহারে চলিলাম যবে বয়ে,
তুমি যে কহিলা বা-জানরে মোর কোথা যাও দাদু লয়ে?
তোমার কথার উত্তর দিতে কথা থেমে গেল মুখে,
সারা দুনিয়ার যত ভাষা আছে কেঁদে ফিরে গেল দুখে!
তোমার বাপের লাঙল-জোয়াল দুহাতে জঢ়ায়ে ধরি,
তোমার মায়ে যে কতই কাঁদিতে সারা দিনমান ভরি।
গাছের পাতার সেই বেদনায় বুনো পথে যেতো ঝরে,
ফালগুনী হাওয়া কাঁদিয়া উঠিত শুনো-মাঠখানি ভরে।
পথ দিয়া যেতে গেঁয়ো পথিকেরা মুছিয়া যাইত চোখ,
চরণে তাদের কাঁদিয়া উঠিত গাছের পাতার শোক।
আথালে দুইটি জোয়ান বলদ সারা মাঠ পানে চাহি,
হাম্বা রবেতে বুক ফাটাইত নয়নের জলে নাহি।
গলাটি তাদের জড়ায়ে ধরিয়া কাঁদিত তোমার মা,
চোখের জলের গহীন সায়রে ডুবায়ে সকল গাঁ।
ঊদাসিনী সেই পল্লী-বালার নয়নের জল বুঝি,
কবর দেশের আন্ধারে ঘরে পথ পেয়েছিল খুজি।
তাই জীবনের প্রথম বেলায় ডাকিয়া আনিল সাঁঝ,
হায় অভাগিনী আপনি পরিল মরণ-বিষের তাজ।
মরিবার কালে তোরে কাছে ডেকে কহিল, বাছারে যাই,
বড় ব্যথা র’ল, দুনিয়াতে তোর মা বলিতে কেহ নাই;
দুলাল আমার, যাদুরে আমার, লক্ষী আমার ওরে,
কত ব্যথা মোর আমি জানি বাছা ছাড়িয়া যাইতে তোরে।
ফোঁটায় ফোঁটায় দুইটি গন্ড ভিজায়ে নয়নজলে,
কী জানি আশিস করে গেল তোরে মরণব্যথার ছলে।
ক্ষণপরে মোরে ডাকিয়া কহিল আমার কবর গায়
স্বামীর মাথার মাথালখানিরে ঝুলাইয়া দিও বায়।
সেই যে মাথাল পচিয়া গলিয়া মিশেছে মাটির সনে,
পরাণের ব্যথা মরে নাকো সে যে কেঁদে ওঠে ক্ষণে ক্ষণে।
জোড়মানিকেরা ঘুমায়ে রয়েছে এইখানে তরুছায়,
গাছের শাখারা স্নেহের মায়ায় লুটায়ে পড়েছে গায়।
জোনকিমেয়েরা সারারাত জাগি জ্বালাইয়া দেয় আলো,
ঝিঁঝিরা বাজায় ঘুমের নূপুর কত যেন বেসে ভালো।
হাত জোড় করে দোয়া মাঙ দাদু, রহমান খোদা! আয়;
ভেস্ত নসিব করিও আজিকে আমার বাপ ও মায়!
রোমান্টিক প্রেমের কবিতা
আরোপড়ুনঃ 15 দিনে উচ্চতা বাড়ানোর ঔষধ কিনুন মাত্র ৭০০ টাকায়
আমি তোর রূপে মজে থাকি
কল্পনাতে শুধু তোর ছবি আঁকি,
কন্ঠ যেন তোর তোলে কলতান
গিটারেতে তুলি সুর, বাধি কিছু গান।
দৃষ্টি যেন তোর বিধে হৃদয়ে
নিজেকে খুঁজে ফিরি যেন হারিয়ে,
তোর পদধ্বনি বারায় হৃদকম্পন
অনুভূতি লুকাতে মোর কত না যতন।
প্রিয়তমা, সত্যি বলছি শোন
তোকে চাই আমার আজীবন,
ফিরিয়ে দিসনা আমায় আজ
হৃদয়ে তোর আমি করতে চাই রাজ।
ভালোবাসি আমি তোকে প্রাণাধিক
সুখে রাখবো আমি তোকে ঠিক,
বাড়িয়ে দে প্রিয়া হাত,
তোর সামনে আমি কিস্তিমাত।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিরহের কবিতা
আরো পরুনঃ মেয়েদের
চেহারা
সুন্দর
করার
ক্রিম
হেরি অহরহ তোমারি বিরহ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর–(গীতাঞ্জলি)
হেরি অহরহ তোমারি বিরহ
ভুবনে ভুবনে রাজে হে।
কত রূপ ধ’রে কাননে ভূধরে
আকাশে সাগরে সাজে হে।
সারা নিশি ধরি তারায় তারায়
অনিমেষ চোখে নীরবে দাঁড়ায়,
পল্লবদলে শ্রাবণধারায়
তোমারি বিরহ বাজে হে।
ঘরে ঘরে আজি কত বেদনায়
তোমারি গভীর বিরহ ঘনায়,
কত প্রেমে হায় কত বাসনায়
কত সুখে দুখে কাজে হে।
সকল জীবন উদাস করিয়া
কত গানে সুরে গলিয়া ঝরিয়া
তোমারি বিরহ উঠিছে ভরিয়া
আমার হিয়ার মাঝে হে।
>বিখ্যাত কবিদের বিরহের কবিতা
মেয়েটি দেখছে রোদ
রোদটা হৃদয় ছুই ছুই,
বৃষ্টি নিবে প্রতিশোধ
মেঘটা বলছে তুই তুই।
মেয়েটি দেখছে মেঘ
মেঘটা আকাশ ছুই ছুই,
ঘুড়িটা উড়ছে তবু বেশ
পাখিটা বলছে তুই তুই।
মেয়েটি দেখছে পাখি
পাখিটা দুঃক্ষ ছুই ছুই,
লোনা জলে ডোবে আঁখি
বৃষ্টিটা বলছে তুই তুই।
আরো পড়ুনঃ যে কোন মানুষকে এক মিনিটের মধ্যে অজ্ঞান করে ফেলার ঔষধ।
বৃষ্টি বিরহের কবিতা
“কবি ও প্রেম”
এক বুক কবিতা নিয়ে পথে পথে হাঁটে কবি
দুই চোঁখ কবিতা নিয়ে বৃষ্টিতে ভিজে কবি
তিন ইন্দ্রিয় কবিতার সম্মোহনে বুঁদ হয়ে রয়,
জল রঙে কতোটুকু আঁকা যায় তারে,
কতটুকু ধরা দেয় আর মুদ্রণ অক্ষরে?
ইচ্ছে করে আকাশে এক ঝাঁক তীর ছুড়ে বুক পেতে ধরি।
এফোঁড় ওফোঁড় করে বন্ধা মাটিতে গাঁথুক সেই সব তীর,
সেই খানে ফুল ফুটুক, রঙ ঝড়ুক
সেই ফুলে মধু ভরুক, ভোমরা উড়ুক,
ভোমরার গুঞ্জরণে বাতাসে উঠুক ঢেউ
সে ঢেউয়ের লোনা জলে সমুদ্র দেখুক কেউ
দেখুক সবুজ অরন্যের দ্বীপ দূর সমুদ্র গহ্বরে
এক ঝাঁক মেঘ এসে ঢেকে দিয়ে গেছে তারে,সে মেঘে বৃষ্টি আসে প্রেমের মতন; যদি কেও ভিঁজে যাও
তোমরাও তখন দিব্যলোকে কবিতা দেখতে পাও!
“বৃষ্টি”
বৃষ্টি এসে জানালার শার্শিতে
নুপুর বাজায় !
বৃষ্টি এসে চোখের পাপড়িতে নাচে
বৃষ্টি নামায়!
ভিঁজে ঘাস, ভিঁজে মাটি,
ভেঁজা কবুতর গুঁটি শুটি
নাচের মুদ্রায় দোলে গাছ
গাছের পাতায় বৃষ্টির নাচ,
উৎসব! উৎসব!
বৃষ্টি নেমেছে! বৃষ্টি!
বৃষ্টি ভেঁজাবে সব!
আরো পড়ুনঃ নুপুর নামের অর্থ কি
বিরহের কষ্টের কবিতা
শুধুই অভিনয় - বিদায় কবিতা
হয়তো একদিন খুঁজবে আমাকে তুমি
সে দিন আর পাবে না আমাকে।
ওই নীল আকাশে তারার মাঝে
ভেসে রব আমি ।
মিটিমিটি জ্যোৎস্নার আলোতে
চোখের দুটি পলকে ভাসবো
সেদিন আর পাবে না আমাকে।
কি দোষ ছিলো আমার বলো না তুমি
কেন গেলে ছেরে।
তোমার বিরহ ব্যাথা সইতে না পেরে,
আজ আমি চলে এসেছি ওই দূর নিল আকাশে
ভালবাসার প্রতিদান একি দিলে তুমি
তোমাকে ছেড়ে আছি আজ আমি বহুদূর
তুমি তো আছো অন্যের ঘরে বহু সুখে
একি ভালবাসা ছিল তোমার শুধুই অভিনয়
ছলনা মহি তুমি অভিনেত্রী তোমাকে জানাই সালাম
তোমার পথ চেয়ে
আজ যদি আমি সব ছেড়ে চলে যাই
তবে তোমাকে দুর থেকে ভালোবাসবো।
আমি তোমাকে দূর থেকে ভালোবেসে যাব।
আর কেনই বা কষ্ট পাবে বল আমি তো তোমার মাঝেই বেঁচে আছি ........!!
মনে পরে তোমায় আজও তবুও তোমার স্মৃতি নিয়ে পড়ে আছি।
পুরনো স্মৃতির বেদনায় কেটে যায় কত রাত।
বুকের নীরব কষ্টগুলো কাউকে বোঝাতে পারিনা
এভাবেই সহ্য করে যাব স্মৃতি গুলো।
আছে যতদিন এই জীবন বেঁচে
মরনের পরে তো আর আসব না ফিরে।
পারব না তোমাকে ভালবাসতে
এই জনমের ভালোবাসায় হয়তো পাবো না তোমাকে
পরকালে যদি আরেক জনম দেয় ওই বিধাতা আমাকে
তবুও রব তোমার পথ চেয়ে।
মনের সুখে গান
বুঝবে সেদিন তুমি আমি যখন হেরে যাব
তুমি তখন প্রাণ খুলে হেসো কেন হেরে যাই, তুমি কী তা জানো ? তোমার হাসার মাঝেই আমার হাসিও বিরাজ করে; আর আমিও তখন জিতে যাই গলায় পরি বিজয়ের পুষ্পিত মালা। আমি যখন কষ্টে থাকি তুমি তখন পুতুলের মতো নাচো কেন কষ্টে থাকি? তুমি কি তা বুঝো? তোমার খুশির মাঝেই আমার খুশিও আর আমিও তাই জিতে যাই ঝরে বিষাদের মাঝেও তোমার খুশি আমায় করে আলিঙ্গন। আমার দুচোখে যখন অশ্রু ঝরে তুমি তখন মনের সুখে গান ধরো কেন অশ্রু ঝরে, তুমি কি তা খোঁজো তোমার সুখের মাঝেই আমার সুখও উথলে উঠে আর আমিও তখন জিতে যাই কষ্টের মাঝেও তোমার সুখ আমায় দেয় শান্তির পরশ। আসল রহস্যটা বুঝবে যেদিন তুমি সেদিনই হবে আমার চূড়ান্ত বিজয় আর তখনই পরম শান্তির ভেলায় চড়ে হারিয়ে যাবো দুজন দূর ঐ নীলিমায়।
বাংলা ছোট বিরহের কবিতা
প্রথম প্রেম তুমি
জীবনের প্রথম ভালোবাসা প্রথম প্রেম তুমি
বলে লোকে প্রথম ভালোবাসা কভু যায়না ভোলা
কিভাবে পারলে তুমি এই প্রতিদান দিতে
কষ্টের নিরব রাতগুলি আজ দিয়ে গেলে তুমি উপহার হিসাবে
পারবোনা আমি ভুলতে তোমাকে
প্রথম প্রেম ছিলে তুমি আমার জীবনে
কিভাবে বল ভুলে যাই তোমাকে এত সহজে
তুমি তো ছিলে এই বুকের মাঝে পুরো হৃদয় জুড়ে
চলে যাবে যাও বাধা দিব না শুধু এতটুকু মনে রেখো
মন ভাঙ্গা কষ্ট তুমি বুঝবে একদিন।
সেদিন আর পাবে না আমাকে দুটি চোখের জলে নদী হয়ে যাবে।
আকাশের তারার মাঝে খুজবে সেদিন তুমি আমাকে
ভালোবেসে তুমি চলে গেলে আমাকে ছেড়ে।
( kosto ) নিয়েই মানুষের জীবন। মানুষের জীবনে কষ্ট থাকার দরকার আছে। কারণ কষ্ট ছাড়া কেউ বড় হতে পারে না। অন্ধকার আছে বলেই আলোর এত মূল্য। তাই কষ্ট নিয়ে বেশি মন খারাপের নেই। মেঘ যেমন আকাশে স্থায়ী হয় না ঠিক তেমনিভাবে কষ্টও সাড়া জীবন থাকে না। রাতের পর দিন আসবেই , আকাশে নতুন সূর্য উদয় হবেই। তাই কষ্টের সময় নিজেকে শক্ত করে কঠোর পরিশ্রম করুন। আপনিও দেখিয়ে দেন কষ্টকে কিভাবে জয় করতে হয়। কষ্টের সময় ভেঙ্গে পড়তে নেই, হতাশ হতাশ হতে নেই।
আর এসময় ভেঙ্গে পড়লে কষ্ট নিজেকে আরও ভালো করে গ্রাস করে ফেলে, কষ্টের জীবন আরও দীর্ঘায়ীত হয়। এক এক জনের কষ্ট (kosto) এক এক রকম। কারো ভালোবাসার কষ্ট , কারো টাকার কষ্ট, কারো পারিবারিক কষ্ট। কষ্টের আসলে শেষ নেই। আর সব সময় এই কষ্টের কথা কাউকে বলাও যায় না, কেউ কষ্টের কথা শুনতে চায় না।
আবার মানুষের কছে কষ্টের কথা যত বলবেন তাঁরা আপনাকে আস্তে আস্তে এড়িয়ে চলতে থাকবে। তাই এই কষ্টকে বা কষ্টের জীবন কে মেনে নিয়েই সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে, ভেঙ্গে দিতে হবে কষ্টের দেওয়াল। কষ্টের উক্তি বা কষ্টের বাণী পড়ে সাময়িকভাবে আপনার কষ্ট আরো বেড়েও যেতে পারে তবে এই কষ্টের উক্তি আপনাকে নতুন করে জেগে উঠতে সাহায্য করবে। কষ্টের উক্তি , কষ্টের বাণী :
০১। পৃথিবিতে সব চেয়ে অসহায় সে, যে নিজের রাগ,অভিমান, কষ্ট কাউকে দেখাতে পারেনা একটু চিৎকার করে কাঁদতে পারেনা শুধু চোখের জল লুকিয়ে হাসে।
-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
০২। ভবিষ্যতে যার কাছ থেকে তুমি সবচেয়ে বড় কষ্টটি পাবে, আজ সে তোমার সবচেয়ে কাছের কোন একজন।
-রেদোয়ান মাসুদ
০৩। একজন আহত ব্যক্তি তার যন্ত্রনা যত সহজে ভুলে যায়, একজন অপমানিত ব্যক্তি তত সহজে অপমান ভোলে না।
-জর্জ লিললো
০৪। কিছু মানুষের কষ্ট চোখ দিয়ে ঝরে, কিছু মানুষের কষ্ট মেজাজ দিয়ে প্রকাশ করে, কিছু মানুষের কষ্ট হৃদয়ের মাঝে শুকিয়ে মরে , তবে কষ্টকে যারা প্রকাশ করতে না পারে, তারাই জীবনে সবচেয়ে বেশি কষ্ট করে।
-রেদোয়ান মাসুদ
০৫। নরম কাঁদা একবার পুড়ে যদি ইট হয়ে যায়, তারপর যতই পানি ঢালা হোক না কেন, তা আর গলে না বরং শক্তিশালী হয়। মানুষের মনও একই রকম, একবার কষ্ট পেলে এরপর শত আবেগেও তার কোন পরিবর্তন হয় না।
– টার্মস টমাস
০৬। জীবনে কিছু কিছু প্রশ্ন থাকে যার উত্তর কখনও মিলেনা, কিছু কিছু ভুল থাকে যা শোধরানো যায়না, আর কিছু কিছু কষ্ট থাকে যা কাউকে বলা যায়না।
– হুমায়ূন আহমেদ
বসন্তের বিরহের কবিতা
প্রথম যৌবনে যেদিন পা দিয়েছিলাম
সেদিন একটু একটু বুঝতে পেরেছিলাম ।
বুকটা সেদিন কাউকে যেন খুঁজছিল … ।
মুখ আর হাতের একটুখানি পরশ পেতে
বুকের ভিতর আলুথালু করে উঠেছিল ।
সেই যে চাওয়া …
চাওয়া’টা চাওয়া’ই থেকে গেলো । পাওয়া
হয়ে ওঠেনি । কত যে চেয়েছি…কত ভাবে !
হিসেব নেই । বুকের আগুন বুকেই নিভে দেই
যদিও বারেবার নানা ভঙ্গিমায় জ্বলে উঠেছিল ।
খামাখা একজনের চোখ দেখেই পছন্দ করে
ফেলে এই মন । অতঃপর বুকে নেওয়ার
স্বপ্ন দেখে । তারপর কারো কারো ভ্রু দেখে
প্রেমে পড়া । কারো’বা হাসি । কারো’বা
গায়ের রঙ । কারো’বা মুখ আর ঠোঁট দেখে ।
যখন যাহাকে যেভাবেই দেখেছি সেভাবেই
প্রেমে পড়েছি । যৌবনের ধাক্কা’টা এত বেশী
ছিল যে কারো মন দেখার অবকাশ’ই দেয়নি ।
একবার ঊর্মির প্রেমে পড়েছিলাম । ধর্ম
দেখার অবকাশ ছিল না । যদিও সে হিন্দু
ছিল । তার মিষ্টি মিষ্টি কথায় এমনভাবে
আবেগে ভেঙে পড়লাম সেই কাহিনীতে
আজো চোখ’টা ভিজিয়ে যায় , বুকটা সেই
শীতল জলে ভেসে শীতল হয়ে যায় ।
যেভাবেই হোক তাকে পেতেই হবে । শুরু
হল কবিরাজের বাড়ি বাড়ি ছুটে চলা ।
কী রোদ কী বৃষ্টি আর কী ঝড় ওসবের
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন