পিরিয়ডে অতিরিক্ত রক্তপাত হলে কি করণীয় |
সম্মানিত পাঠক গন আশা করি সবাই ভাল আছেন আজ আপনাদের সাথে কথা বলবো। পিরিয়ডে অতিরিক্ত রক্তপাত হলে কি করণীয় তা নিয়ে।যেমনঃপিরিয়ডে অতিরিক্ত রক্তপাত হলে কি করণীয়?বাচ্চা হওয়ার পর পিল খাওয়ার নিয়ম?পিল খাওয়ার পর মাসিক না হওয়ার কারণ?ইমারজেন্সি পিল এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া?নোরিক্স পিল খাওয়ার নিয়ম? ইমার্জেন্সি পিল বেশি খেলে কি হয়? ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার কত দিন পর মাসিক হয়?ইত্যাদি সম্পর্কে বলুন বন্ধুরা আমরা আমাদের মূল আলোচনায় চলে যাই।
পিরিয়ডে অতিরিক্ত রক্তপাত হলে করণীয়
অনলাইনে ছেলেদের ও মেয়েদের যাবতীয় পার্সোনাল ও গোপনীয় পণ্যসামগ্রী সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কসমেটিক সামগ্রী দেশের সবচেয়ে কম দামে ক্রয় করতে ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট gazivai.com
পিরিয়ডের সময় অনেক নারীই অতিরিক্ত রক্তপাতের সমস্যায় ভোগেন। কিন্তু তারা এটা স্বাভাবিক ধরে নেন। কারণ কী পরিমাণ রক্তপাত হলে তাকে অতিরিক্ত ধরা হবে, তার নির্দিষ্ট সংজ্ঞা জানা নেই অনেকেরই। প্রত্যেক প্রাপ্ত বয়স্ক নারীর পিরিয়ডের সময়কার রক্তপাতের পরিমাণ আলাদা হয়। তবে গড় হিসাব করলে একটি ঋতুচক্র মোটামুটিভাবে দিন পাঁচেক স্থায়ী হওয়ার কথা। মোট রক্তপাতের পরিমাণ ২-৩ টেবিল চামচের বেশি হওয়ার কথা হয়।
যদি দেখেন যে প্রতিবার প্রায় সাতদিন স্থায়ী হচ্ছে ঋতুকাল, একবার ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই আবার শুরু হয়ে যাচ্ছে, প্রতি ঘণ্টায় প্যাড বা ট্যাম্পন পালটাতে হচ্ছে, রক্তের চাকা বেরোচ্ছে প্রায়ই, রাতে ঘুমের মাঝে উঠে দেখছেন যে প্যাড ভিজে গিয়ে জামাকাপড় বা বিছানায় দাগ ধরছে, তা হলে বুঝে নিন যে আপনার অতিরিক্ত রক্তপাতের সমস্যা আছে।
বাড়তি রক্তপাত বা মেনোরেজিয়ার কারণ:
* ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন হরমোনের ভারসাম্যই ইউটেরাসের ভিতরের লাইনিং বা এন্ডোমেট্রিয়াম গঠন করে। মাসিক ঋতুচক্রের সময়ে এই এন্ডোমেট্রিয়ামটাই নির্গত হয় শরীর থেকে, কিছুদিনের মধ্যে ফের গড়ে ওঠে। হরমোনের স্তরে কোনো গোলমাল হলে এন্ডোমেট্রিয়াম মোটা হয়ে যায়, ফলে রক্তপাতও বেশি হয়।
ওভারিতে কোনো সমস্যা থাকে, ইউটেরাসে ফাইব্রয়েড বা পলিপ তৈরি হয় তা হলে অতিরিক্ত রক্তপাত হতে পারে।
* অনেক সময়ে নন-হরমোনাল ইন্ট্রা ইউটেরাইন ডিভাইস শরীরে প্রবেশ করালে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবেও হেভি ব্লিডিং হতে পারে।
* প্রেগন্যান্সির মধ্যে রক্তপাত হলে বুঝতে হবে যে কোথাও কোনো সমস্যা তৈরি হয়েছে বলেই তেমনটা হচ্ছে।
অতিরিক্ত রক্তপাত থেকে কিন্তু অ্যানিমিয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই ডাক্তার দেখানো বা তার পরামর্শ মেনে চলার পাশাপাশি আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খান।
* খুব বেশি রক্তক্ষয় হলে ক্লান্তিবোধ থাকবে, নিয়মিত কাজকর্ম করতে পারবেন না। সেক্ষেত্রে বিশ্রাম নিন, জোর করে কাজ করতে যাবেন না। ব্যায়াম করাও বন্ধ রাখুন কয়েকদিন।
* খুব বেশি রক্তপাত হলে কিন্তু আপনার কোষগুলো যথেষ্ট অক্সিজেন পাবে না, সেক্ষেত্রে শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তাই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে একেবারেই দেরি করবেন না।
বাচ্চা হওয়ার পর পিল খাওয়ার নিয়ম
এই পিল বাচ্চা জন্মের ২১ দিন পর থেকে খাওয়া শুরু করতে হবে। এই পিল প্রতিদিন একই সময় খেতে হবে। যদি ২১ দিনের পর পিল খাওয়া শুরু করেন তাহলে প্রথম দুই দিন আপনি সম্পূর্ণ ভাবে নিরাপদ থাকবেন না এবং তখন প্রথম দুই দিন আপনাকে কনডম ব্যবহার করতে হবে। এই পিল বাচ্চার কোন ক্ষতি করেনা।
আরো
পড়ুনঃ মাত্র ৫ সপ্তাহে লম্বা হওয়ার ঔষধের দাম 600 টাকা এখনই পরুন
অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণের ঝুঁকি এড়াতে আজকাল জরুরি গর্ভনিরোধক পিল খাওয়ার একটা বেশ চল হয়েছে। অনেকে গর্ভধারণের ঝুঁকিপূর্ণ সময়ে একই মাসে এ ধরনের জরুরি গর্ভনিরোধক পিল একাধিকবার খেয়েছেন চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই। সাধারণত অরক্ষিত শারীরিক সম্পর্কের ৭২ থেকে ১২০ ঘণ্টার মধ্যে এই পিল খেতে হয়।
আরো পড়ুনঃ
৭
দিনে ফর্সা
হওয়ার 4k হোয়াইটেনিং
ক্রিম ৬৫০
টাকা
পিল খাওয়ার পর মাসিক না হওয়ার কারণ
সাধারণত প্রতি ২৮ থেকে ৩৫ দিন পর পর একজন নারীর পিরিয়ড বা মাসিক হয়ে থাকে। ১২ থেকে ৫৫ বছর বয়সী নারীদের ক্ষেত্রে এমনটিই হয়ে থাকে।
প্রাপ্তবয়স্ক একজন নারীর নিয়মিত ও সময়মতো মাসিক হওয়াটা সুস্বাস্থ্যের লক্ষণ। তা যদি অনিয়মিত হয়ে পড়ে, তার মানে হয়তো শারীরিক কোনও সমস্যা আছে।
আরো পড়ুনঃ টাইটান
জেল পুরুষের
লিঙ্গ ১
থেকে ৩
ইঞ্চি পর্যন্ত
বড় ও
মোটা করে।
মাসিক কতোটা দেরি হলে তাকে ‘লেট’ বলা যায়? বেশিরভাগ মাসিকের চক্র একই থাকে। তবে এক সপ্তাহ দেরি হওয়াটা স্বাভাবিক বলেই ধরা যায়। যেমন একজন নারীর মাসিক হয় ২৫ দিন পর পর। কোনও এক মাসে ৩০ দিন বা ৩১ দিন পর তার মাসিক হতেই পারে। আট দিন বা তার বেশিদিন দেরি হলে তাকে ‘লেট’ বলে গণ্য করতে পারেন।
দেরি হওয়ার কারণ
বেশ কিছু কারণে পিরিয়ড সাময়িক বন্ধ থাকতে পারে বা দেরি হতে পারে। যেমন-
গর্ভাবস্থা: পিরিয়ড দেরি হলে প্রথমেই নিশ্চিত হোন আপনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন কিনা।
বয়স: টিনেজ বয়সী ও মধ্যবয়সী নারীদের মধ্যে অনিয়মিত পিরিয়ডের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর পেছনের কারণটি হলো হরমোন।
স্টেস: লম্বা সময়ে স্ট্রেসে থাকলে অনেকেই মাসিক দেরিতে হতে পারে।
আর্লি প্রেগন্যান্সি লস: একজন নারী গর্ভবতী হয়ে পড়েছিলেন, কিন্তু তা জানতেন না। এরপর নিজে থেকেই তার মিসক্যারিজ বা গর্ভপাত হয়ে যেতে পারে। এ ঘটনায় সাধারণ পিরিয়ডের তুলনায় কিছু দিন পর ভারী রক্তপাত হতে পারে, যাকে অনেকেই দেরিতে মাসিক হওয়া বলে ধরে নেন।
কম ওজন: ওজন কম হলে সময়মতো পিরিয়ড নাও হতে পারে। এমনকি কিছুদিন বন্ধও থাকতে পারে।
ফাইব্রয়েডস: জরায়ুতে টিউমার ধরনের এক ধরনের বৃদ্ধি হলো ফাইব্রয়েডস। এগুলো পিরিয়ডের স্বাভাবিক চক্রকে বাধা দিতে পারে।
ইমারজেন্সি পিল এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
তাই বারবার পূর্ণ মাত্রায় সেবন করলে কার্যকারিতা কমে যায়। ফলে গর্ভধারণের ঝুঁকি বাড়ে। তা ছাড়া মাসিক অনিয়মিত হয়ে যেতে পারে। বমি, মাথাঘোরা ইত্যাদি সমস্যাও হতে পারে।
গর্ভনিরোধক ওষুধকে অনেকে ‘মর্নিং আফটার পিল’ও বলে থাকেন। তবে এই ওষুধ সঙ্গমের পরের দিন সকালেই খেতে হবে এমন কোনো কথা নেই। রাতে সঙ্গমের পরও খেতে পারেন। যত তাড়াতাড়ি খাবেন, তত ভালো কাজ করবে গর্ভনিরোধক ওষুধ।
আরো
পড়ুনঃ একটানা 15 থেকে 30 মিনিট
সহবাস করার
ঔষধ।
২. গর্ভনিরোধক ওষুধ গর্ভপাত করায় না, শুধু ডিম্বস্ফোটন বা ওভিউলেশনের সময় পিছিয়ে দিয়ে গর্ভধারণের ঝুঁকি এড়াতে সাহায্য করে। তাই গর্ভধারণের পর এই জাতীয় ওষুধ খেলে কোনো কাজ হবে না।
৩. গর্ভনিরোধক ওষুধ খেলে ওজন বেড়ে যাবে ভেবে অনেকেই ভয় পান। যদিও এর সঙ্গে ওজন বাড়ার কোনো সম্পর্ক নেই।
৪. কোনো গর্ভনিরোধক ওষুধই গর্ভধারণ রোধ করার শতভাগ প্রতিশ্রুতি দেয় না।
তাই কিছু ক্ষেত্রে ওষুধ খাওয়ার পরও প্রেগন্যান্ট হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
সবশেষ কথা হলো, অপরিকল্পিতভাবে যৌন মিলনের পর প্রথমেই গর্ভনিরোধক ওষুধ না খেয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
নোরিক্স পিল খাওয়ার নিয়ম
অরক্ষিত সহবাসের পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নোরিক্স 1 দশমিক 5 মিলিগ্রাম ঔষধ সেবন করতে হবে। তবে যৌন মিলনের 72 ঘন্টা পর কোনভাবেই আর এই ঔষধ কাজ করবেনা। অনিরাপদ সময়ে সহবাস করার ৭২ ঘন্টার মধ্যে সেবন করতে হবে । এই পিল ১টা সেবন করে পিল খাওয়ার ৭২ ঘন্টার মধ্যে কয়েক বার সহবাস করতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ
মেয়েদের
যোনি টাইট
করার ক্রিম
কিনতে ক্লিক-
এখনই কিনুন
ইমার্জেন্সি পিল বেশি খেলে কি হয়
এটি কোনো দীর্ঘমেয়াদি বা স্বাভাবিক জন্মনিরোধক পদ্ধতি নয়। তাই বারবার পূর্ণ মাত্রায় সেবন করলে কার্যকারিতা কমে যায়। ফলে গর্ভধারণের ঝুঁকি বাড়ে। তা ছাড়া মাসিক অনিয়মিত হয়ে যেতে পারে।
০১. ইমার্জেন্সি কন্ট্রাসেপটিভ পিল কিন্তু অ্যাবরশন করায় না। শুধু ওভিউলেশন পিছিয়ে দিয়ে প্রেগন্যান্সি রুখতে পারে। তাই গর্ভধারণের পর এই পিল খেলে কোনও লাভ হবেনা।
০২. অনেকেই এই সব পিলকে মর্নিং আফটার পিলও বলে থাকেন। কিন্তু পিল পরদিন সকালেই খেতে হবে এর কোনও মানে নেই। রাতে সেক্সের পরও খেতে পারেন। বরং যত তাড়াতাড়ি খাবেন তত ভাল কাজ করবে ইমার্জেন্সি কন্ট্রাসেপটিভ পিল।
০৩. ইমার্জেন্সি পিলই কিন্তু শেষ কথা নয়। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকর কপার আইইউডি। ১০ বছর পর্যন্ত প্রেগন্যান্সি রুখতে পারে।
০৪. ইমার্জেন্সি পিলের কিন্তু রয়েছে বেশ কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া। পিল খাওয়ার পর মাথা ধরা, গা বমি, ক্র্যাম্প ধরার সমস্যায় ভুগতে পারেন।
০৫. সাধারণত ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়াই পাওয়া যায় ইমার্জেন্সি কন্ট্রাসেপটিভ পিল।
০৬. যদি নিজে থেকে পিল খেয়ে ঝুঁকি নিতে না চান, তাহলে ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন নিয়ে নিন। এমনও অনেক পিল রয়েছে বাজারে যা ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন দেখেই দেওয়া হয়।
আরোপড়ুনঃযে
কোন মানুষকে
এক মিনিটের
মধ্যে অজ্ঞান
করে ফেলার
ঔষধ।
ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার কত দিন পর মাসিক হয়
অনেক সময় এর প্রভাবে মাসিকে আগে বা পরে হতে পারে আবার ঠিক সময়েও হতে পারে। কেননা সব ধরনের ইমারজেন্সী পিলেই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বিদ্যমান। এটা নিয়ে দুশ্চিন্তার করার কোনো প্রয়োজন নেই। বা ৮/১০ দিন পিছিয়ে যেতে পারে। .
মাসিক হওয়ানোর জন্য ইমারজেন্সী পিল খাওয়ানো হয়না।অনাকাঙ্খিত গর্ভধারণ রোধ করার জন্য ইমারজেন্সী পিল সেবন করা হয়।তবে অনেক সময় এর প্রভাবে মাসিকে আগে বা পরে হতে পারে আবার ঠিক সময়েও হতে পারে।কেননা সব ধরনের ইমারজেন্সী পিলেই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বিদ্যমান।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন