গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তির উপায় ? গ্যাস্ট্রিক কমানোর উপায় ? |
গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তির উপায় গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কম-বেশি সবারই হয়। গ্যাস্ট্রিকের লক্ষণগুলো হল পেটে জ্বালা-পোড়া করা, বদহজম, বমি বমি ভাব, বমি করা, পেটে ক্ষুধা, ক্ষুধা হ্রাস পাওয়া, খাওয়ার পর উপরের পেট বেশি ভরে গিয়েছে অনুভূতি হওয়া ইত্যাদি। খাবার সময়মতো খাওয়া হয়না, বাইরের ভাজা-পোড়া বেশি খাওয়া, জাঙ্কফুড খাওয়া, পরিমাণ মতো পানি না খাওয়া ইত্যাদি কারণে গ্যাস্ট্রিক এর সমস্যা দেখা দেয়। গ্যাস্ট্রিকের হাত থেকে নিস্তার পেতে জেনে রাখুন কিছু গ্যাস্ট্রিক কমানোর উপায় ঘরোয়া উপায়
গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তির উপায়
আলুর রস
১. গ্যাস্ট্রিক সমস্যা রোধ করার অন্যতম ভাল উপায় হল আলুর রস। আলুর অ্যালকালাইন উপাদান গ্যাস্ট্রিক সমস্যার লক্ষণগুলো রোধ করে থাকে।
২. একটি বা দুটো আলু নিয়ে গ্রেট করে নিন। এর গ্রেট করা আলু থেকে রস বের করে নিন। এরপর আলুর রসের সাথে গরম পানি মিশিয়ে নিন। এই পানীয় দিনে ৩ বার পান করুন। প্রতি বেলায় খাবার ৩০ মিনিট আগে খেয়ে নিন আলুর রস। তবে অন্তত ২ সপ্তাহ পান করুন এই পানীয়।
গ্যাস্ট্রিক কমানোর উপায়
আদা
১. আদাতে আছে এমন কিছু উপাদান যা গ্যাস্ট্রিক সমস্যায় জ্বালাপোড়া হলে তা রোধ করতে সাহায্য করে। আদা খেলে বমি সমস্যা, বদ হজম, গ্যাস হওয়া কমে যায়।
২. আদার রসের সাথে মধু মিশিয়েও খেতে পারেন। দুপুরে ও রাতে খাওয়ার আগে এটি খেয়ে নিন।
৩. আদা কুচি করে পানি দিয়ে ফুটিয়ে নিন। ১০ মিনিট ডেকে রাখুন, এরপর সামান্য মধু মিশিয়ে চায়ের মতো বানিয়ে নিন। এই পানীয়টি দিনে ২/৩ বার পান করুন উপকারিতা পেতে।
৪. আপনি চাইলে আস্ত আদা ধুয়ে কেটে চিবিয়েও খেতে পারেন।
মোটা হওয়ার ইন্ডিয়ান গুড হেলথ কিনতে ক্লিক - এখনই কিনুন
গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়
দই
১. প্রতিদিন ২/৩ চামচ দই খেয়ে নিন।
২. দই আমাদের পাকস্থলীকে `এইচ পাইলোরি ব্যাকটেরিয়া` থেকে রক্ষা করে যা গ্যাস্ট্রিক হওয়ার অনতম কারণ। তাছাড়া দই আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
৩. আপনি চাইলে কলা, দই ও মধু একসাথে পেস্ট করে খেতে পারেন দ্রুত গ্যাস্ট্রিক সমস্যা রোধ করার জন্য।
গ্যাস্ট্রিক আলসার
রসুন-গ্যাস্ট্রিক সমস্যার সমাধানে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে রসুনের রস যা আপনার আলসার বা পেটের সমস্যা থাকলে রসুনের রস অনেকটাই উপকারী হিসেবে কাজ করে।খালি পেটে রসুন এর এক কোয়া চিবিয়ে খেয়ে নিন। রোজ একটি করে রসুন খালি পেটে খেলে আপনার পেটের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমাবে এবং হজম শক্তি অধিক পরিমাণে বাড়বে।
লম্বা হওয়ার ঔষধ কিনতে ক্লিক- এখনই কিনুন
গ্যাস্ট্রিক আলসারের ঔষধ
লবঙ্গ এলাচ এবং জিরে-লবঙ্গ এলাচ এবং জিরে একসাথে নিয়ে গুঁড়ো করে একটি পাউডার বানিয়ে নিন তারপর রোজ সকালে হালকা গরম জলে 1 চা চামচ গুঁড়ো মিশিয়ে খেতে হবে এতে কি হবে আপনার মুখের সুগন্ধি আসবে এবং আপনার পেট সুষ্ঠুভাবে পরিষ্কার হয়ে যাবে।
দারুচিনি- বদহজম বা গ্যাস্ট্রিক সমস্যার সমাধানে দারুচিনি খুবই উপকারী। দারুচিনি একগ্লাস জলে আধা থেকে এক চা চামচ দারুচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে 2 থেকে 3 বার দিনে খেলে গ্যাস্ট্রিক সমস্যা অনেকটাই কমে যাবে।
অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিক এর লক্ষণ
পুদিনা পাতা-পাঁচটি পুদিনা পাতা এক কাপ জলে দিয়ে কিছুক্ষণ ফুঁটিয়ে নিন তারপর সেই পানীয় পান করতে হবে এরপর পেট ফাঁপা বা বমি ভাব আপনার ধারের কাছেও আসবেনা।
আরো পড়ুনঃ গোপনাঙ্গ ফর্সা করার ক্রিম কিনতে ক্লিক- এখনই কিনুন
ব্যায়াম-ঘরোয়া টোটকা সেবনের পাশাপাশি যদি আপনি স্পট জগিং বা একই জায়গায় দাঁড়িয়ে যদি জগিং করা যায় বা হালকা করে লাফানো-এ ধরণের ব্যায়ামও খুব উপকারী গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাকে দূরে রাখার জন্য।
গ্যাস্ট্রিক হলে কি কি খাওয়া যাবে না
কলা: যারা বেশি করে লবণ খান, তাদের গ্যাস ও হজমে সমস্যা হতে পারে। কলায় যে পটাশিয়াম থাকে, তাতে শরীরের সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের ভারসাম্য বজায় থাকে। কলা হজমে সাহায্য করে। দেহ থেকে দূষিত পদার্থ দূর করে দেয়।
শসা: শসা পেট ঠাণ্ডা রাখতে অনেক বেশি কার্যকরী। এতে রয়েছে ফ্লেভানয়েড ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা পেটে গ্যাসের সমস্যা কমায়।
আনারস: আনারসে রয়েছে ৮৫ শতাংশ পানি এবং ব্রোমেলিন নামক হজমে সাহায্যকারী প্রাকৃতিক এনজাইম যা অত্যন্ত কার্যকরী একটি পাচক রস। এটি পরিপাকতন্ত্র পরিষ্কার রাখে। এছাড়া আনারস ত্বকের জন্যও বেশ উপকারী।
গ্যাস্ট্রিক আলসারের হোমিও ঔষধ
হলুদ: হজম সংক্রান্ত সব ধরনের সমস্যা সমাধানে হলুদ বেশ কার্যকর। এটি চর্বিজাতীয় খাবার হজমে সাহায্য করে।
ডাবের পানি: ডাবের পানি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা অনেকটাই দূর করতে সাহায্য করে। এতে রয়েছে ফাইবার, যা হজমশক্তি বাড়ায় এবং পাশাপাশি অ্যাসিডিটি কমায়। এছাড়াও বুক জ্বালা পোড়া ও পেটে ব্যথা কমাতে ডাবের পানি অত্যন্ত কার্যকরী।
গ্যাস্ট্রিক সমস্যার সমাধান
পানি: পানি পানের সুফলের কথা সবাই জানেন। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে দুই গ্লাস করে পানি পান করবেন, দেখবেন সারাদিন আর গ্যাস্ট্রিকের যন্ত্রণা সহ্য করতে হবে না। কারণ পানি হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। তাছাড়া পানি পরিপাকতন্ত্র পরিষ্কার রাখতেও কাজ করে।
পেঁপে: পেঁপেতে রয়েছে পেপেইন নামক এনজাইম যা হজমশক্তি বাড়ায়। তাই নিয়মিত পেঁপে খাওয়ার অভ্যাস করলে গ্যাসের সমস্যা কমতে থাকবে।
কি খেলে গ্যাস্ট্রিক ভাল হয়
জিরা : জিরা পেটের গ্যাস, বমি, পায়খানা, রক্তবিকার প্রভৃতিতে অত্যন্ত ফলপ্রদ। জ্বর হলে ৫০ গ্রাম জিরা আখের গুড়ের মধ্যে ভালো করে মিশিয়ে ১০ গ্রাম করে পাঁচটি বড়ি তৈরি করতে হবে। দিনে তিনবার এর একটি করে বড়ি খেলে ঘাম দিয়ে জ্বর সেরে যাবে।
আরো পড়ুনঃ অ নামের ছেলেরা কেমন হয়
আরো পড়ুনঃ অ নামের মেয়েরা কেমন হয়
মৌরির পানি : মৌরি ভিজিয়ে সেই পানি খেলে গ্যাস থাকে না।
কমলা : কলা ও কমলা পাকস্থলির অতিরিক্ত সোডিয়াম দূর করতে সহায়তা করে। এতে করে গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এ ছাড়াও কলার সলুবল ফাইবারের কারণে কলা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ক্ষমতা রাখে। সারাদিনে অন্তত দুটি কলা খান। পেট পরিষ্কার রাখতে কলার জুড়ি মেলা ভার।
তোবন্ধুরা সব মিলিয়ে এই ক’টি ঘরোয়া উপায় বা হোম রেমেডি নিয়মিত ফলো করতে পারলে আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা,পেটে ব্যথা, পেট ফাঁপা, পেট ঠিক ভাবে পরিষ্কার না হওয়া থেকে মুক্তি অবশ্যই পাবেন।এইসব ঘরোয়া উপায় গুলি বিভিন্ন গবেষণা দ্বারা এবং ডাক্তার দ্বারা প্রমাণিত বা অনুমোদিত। তা হলেও এগুলি সম্পূর্ণ নিজের দায়িত্বে সেবন করবেন। ধন্যবাদ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন