সকালে খালি পেটে খেজুর এবং কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা কী

সকালে খালি পেটে খেজুর এবং কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা


সকালে খালি পেটে খেজুর এবং কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা কী রোজা শেষে শরীরে প্রয়োজনীয় ভিটামিনেরও জোগান দেওয়া ও ক্লান্তি দূর করার জন্য খেজুরের গুরুত্ব অপরিসীম। সকালে খালি পেটে খেজুর খেলে যে উপকারগুলো হয় । মোটা ও লম্বা হওয়ার ঔষধ  মাত্র ২২০ টাকা থেকে শুরু ঔষধ কিনতে ক্লিক করুন  - এখনই ঔষধ কিনুন


    সকালে খালি পেটে খেজুর এবং কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা 


    খেজুরে আছে প্রচুর শক্তি, এমিনো এসিড, শর্করা ভিটামিন ও মিনারেল। প্রতিদিন রোজায় আমাদেরকে দীর্ঘ সময় খালি পেটে থাকতে হয় যার কারণে আমাদের দেহে প্রচুর গ্লুকোজের ঘাটতি দেখা দেয়। তখন এই খেজুর আমাদের শরীরে প্রয়োজনীয় গ্লুকোজের ঘাটতি যোগান দিতে সাহায্য করে। চলুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক খেজুরের পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা- মেয়েদের ব্রা পেন্টি নাইটি কালেকশন  মাত্র ৮০ টাকা থেকে শুরু ব্রা প্যান্টি কিনতে ক্লিক করুন  - এখনই ব্রা কিনুন


    কোলেস্টেরল এবং ফ্যাট - খেজুরে কোন কোলেস্টেরল এবং বাড়তি পরিমাণে চর্বি থাকে না। যার ফলে আপনি যখন সহজেই খেজুর খাওয়া শুরু করবেন তখন অন্যান্য ক্ষতিকর ও চর্বি জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকতে পারবেন।

    সকালে খালি পেটে খেজুর  খাওয়ার উপকারিতা


    প্রোটিন - আমাদের শরীরের জন্য প্রোটিন অত্যাবশ্যকীয় একটি প্রয়োজনীয় উপাদান। খেজুর হল প্রোটিন সমৃদ্ধ। ফলে আমাদের পেশী গঠন করতে সহায়তা করে এবং শরীরের জন্য খুব অপরিহার্য প্রোটিন সরবরাহ করে।


    সকালে খালি পেটে খেজুর  খাওয়ার উপকারিতা 


    ভিটামিন - খেজুরে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যাবশ্যক। যেমন, বি১, বি২, বি৩ এবং বি৫। এছাড়াও ভিটামিন এ১ এবং সি ভিটামিন পাওয়ার আরও একটি সহজ মাধ্যম হচ্ছে খেজুর। সেই সাথে খেজুরে দৃষ্টি শক্তি বাড়ায়। সেই সঙ্গে রাতকানা রোগ প্রতিরোধেও খেজুর অত্যন্ত কার্যকর।


    আয়রন - আয়রন মানব দেহের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। খেজুর প্রচুর আয়রন রয়েছে। ফলে এটা হৃৎপিণ্ডের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। তাই যাদের দুর্বল হৃৎপিণ্ড, তাদের জন্য খেজুর হতে পারে সবচেয়ে নিরাপদ ওষধ।

    সকালে খালি পেটে কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা কী


    ক্যালসিয়াম - ক্যালসিয়াম হাড় গঠনে সহায়ক। আর খেজুরে আছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম। যা হাড়কে মজবুত করে। খেজুর শিশুদের মাড়ি শক্ত করতে সাহায্য করে।


    সকালে খালি পেটে  কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা


    ক্যানসার প্রতিরোধ - খেজুর পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এবং প্রাকৃতিক আঁশে পূর্ণ। এক গবেষণায় দেখা যায়, খেজুর পেটের ক্যানসার প্রতিরোধ করে। আর যারা নিয়মিত খেজুর খান তাদের বেলায় ক্যানসারে ঝুঁকিটাও কম থাকে। খুব সম্প্রতি একটি গবেষণায় উঠে এসেছে যে খেজুর Abdominal ক্যান্সার রোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করে এবং অবাক করা বিষয় হচ্ছে এটি অনেক সময় ওষুধের চেয়েও ভাল কাজ করে।

    সকালে খালি পেটে  কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা


    ওজন হ্রাস - মাত্র কয়েকটা খেজুর কমিয়ে দেয় ক্ষুধার জ্বালা। এবং পাকস্থলীকে কম খাবার গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করে। এই কয়েকটা খেজুরই কিন্তু শরীরের প্রয়োজনীয় শর্করার ঘাটতি পূরণ করে দেয়।


    কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে: খেজুরে আছে এমন সব পুষ্টিগুণ। যা খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করে। এবং কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে। কখনও কখনও ডায়রিয়ার জন্যেও এটা অনেক উপকারী।


    সংক্রমণ - যকৃতের সংক্রমণে খেজুর উপকারী। এছাড়া গলা ব্যথা, বিভিন্ন ধরনের জ্বর, সর্দি, এবং ঠাণ্ডায় খেজুর উপকারী। খেজুর অ্যালকোহল জনিত বিষক্রিয়ায় বেশ উপকারী। ভেজানো খেজুর খেলে বিষক্রিয়ায় দ্রুত কাজ করে।


    সকালে খালি পেটে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা কী


    রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ - প্রচুর মিনারেল সঙ্গে আয়রন থাকার কারণে খেজুর রক্তশূন্যতা রোধ করে। তাই যাদের হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কম তারা নিয়মিত খেজুর খেয়ে দেখতে পারেন।


    কর্মশক্তি বাড়ায় - খেজুরে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক চিনি থাকার কারণে খেজুর খুব দ্রুত শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। সারাদিন রোজা রাখার পর রোজাদাররা যদি মাত্র ২টি খেজুর খান তবে খুব দ্রুত কেটে যাবে তাদের ক্লান্তি।


    স্নায়ুতন্ত্রের কর্মক্ষমতা বাড়ায় - খেজুর নানা ভিটামিনে পরিপূর্ণ থাকার কারণে এটি মস্তিষ্কের চিন্তাভাবনার গতি বৃদ্ধি রাখে, সঙ্গে স্নায়ুতন্ত্রের কর্মক্ষমতা বাড়ায়। একটি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ছাত্র-ছাত্রী যারা নিয়মিত খেজুর খায় তাদের দক্ষতা অন্যদের তুলনায় ভাল থাকে।


    হৃদরোগ প্রতিরোধ - খেজুরে রয়েছে পটাশিয়াম যা বিভিন্ন ধরণের হৃদরোগ প্রতিরোধ করে এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, খেজুর শরীরের খারাপ ধরণের কোলেস্টেরল কমায় (LDL) এবং ভাল কোলেস্টেরলের (HDL) পরিমাণ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।। খেজুরের উপকারিতাগুলো তো জানলেনই, তাই শুধু রমজান মাসেই নয়, আমাদের খেজুর খাওয়া উচিত সারাবছর, প্রতিদিন।


    খালি পেটে কিসমিস ভেজানো পানি খাওয়ার উপকারিতা


    ১) কিসমিসে পর্যাপ্ত পরিমাণে কার্বহাইড্রেট থাকে। কিসমিস ভেজানো জল তাই মহিলাদের পক্ষে উপকারী। মহিলারা রক্তাল্পতায় ভোগেন। তাই চিকিৎসকরা তাঁদের কিসমিস খাওয়ার পরামর্শ দেন।


    ২) কিসমিস ভেজানো জল খেলে কিডনির নানা সমস্যা থেকে দূরে থাকা যায়। লিভারও সুস্থ থাকে।


    ৩) কিসমিসে পটাশিয়াম থাকে, যা হার্টকে ভাল রাখে। শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলকেও দূরে রাখে কিসমিস।


    ৪) যাঁরা নিয়মিত পেটের ও হজমের সমস্যায় ভোগেন, তাঁদের জন্য এই টোটকা খুবই উপকারী। এতে পেট পরিষ্কার থাকে।


    সকালে খালি পেটে কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা কী


    ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকেঃ নিয়মিত খেজুর খাওয়া শুরু করলে দেহের ভিতরে পটাশিয়ামের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, যার প্রভাবে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসতে সময় লাগে না। তাই যাদের পরিবারে এই মারণ রোগের ইতিহাস রয়েছে, তাদের রোজের ডায়েটে এই ফলটি থাকা অত্যাবশ্যকীয়।


    অ্যাসিডিটির প্রকোপ কমে


    কিসমিসে উপস্থিত পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম শরীরে প্রবেশ করার পর রক্তে অ্যাসিডিটির মাত্রা কমতে সময় লাগে না। এক কথায় সার্বিকভাবে শরীরকে চাঙ্গা রাখতে কিসমিসের কোনো বিকল্প হয় না ।


    দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটে


    বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, খেজুর খাওয়ার পাশাপাশি যদি নিয়মিত এই ফলটির পাতা খাওয়া যায়, তাহলে শরীরের ভিতরের এমন কিছু উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে যে দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটে । সেই সঙ্গে রাতকানাসহ অন্যান্য চোখের রোগের প্রকোপ কমাতে সাহয্য করে।


    অ্যানিমিয়ার রোগের প্রকোপ কমে


    কিসমিসে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় আয়রন, যা শরীরে প্রবেশ করার পর লোহিত রক্ত কণিকার উৎপাদনকে বাড়িতে দেয়। ফলে রক্তাল্পতার মতো সমস্যা কমতে সময় লাগে না। নারীদের মধ্যে যে হারে অ্যানিমিয়ার প্রকোপ বাড়ছে, তাতে প্রত্যেকেরই যে কিসমিস খাওয়ার প্রয়োজন বেড়েছে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।


    এবং কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা 


    ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পায়


    খেজুরে ডায়াটারি ফাইবার, পটাশিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং আরও নানাবিধ উপকারি উপাদান উপস্থিত। যার ফলে শরীরে প্রবেশ করার পর মস্তিস্কে কোষের ক্ষমতাকে এতটাই বাড়িয়ে তোলে যে ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পায়। তাই যদি একটু বেশিই বুদ্ধিমান হয়ে উঠতে চান, তাহলে প্রতিদিন ২-৩টা করে খেজুড় খেতে ভুলবেন না যেন।


    হার্টের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়


    ডায়াটারি ফাইবারে সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে নিয়মিত খেজুর খেলে শরীরে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে শুরু করে। ফলে হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের আশঙ্কা হ্রাস পায়। সেই সঙ্গে এতে উপস্থিত পটাশিয়াম আরও সব হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও কমায়।



    অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ঘাটতি দূর হয়


    খেজুরে প্রচুর মাত্রায় প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা একাধিক রোগকে দূরে রাখার পাশাপাশি শরীরের গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এখানেই শেষ নয়, এই ফলটিতে বেশ কিছু অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রপার্টিজও রয়েছে, ফলে নিয়মিত খেজুর খেলে সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও অনেকাংশে হ্রাস পায়।


    হাড় শক্তপোক্ত হয়ে ওঠে


    কিসমিসে উপস্থিত ক্যালসিয়াম ও বোরন নামক উপাদান হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। অল্প বয়সেই যদি অস্টিওপরোসিস বা অন্য কোনো হাড়ের রোগে আক্রান্ত হতে না চান, তাহলে নিয়মিত এক মুঠো করে কিসমিস খেতে ভুলবেন না যেন।


    ক্যান্সার দূরে থাকে


    বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন তিনটি করে খেজুর খেলে শরীরে ভিতরের কিছু উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। যার প্রভাবে ক্যান্সার কোষের জন্মে নেওয়ার আশঙ্কা যায় কমে।


    ত্বক সুন্দর হয়ে ওঠে


    খেজুরে উপস্থিত ভিটামিন সি ও ডি ত্বক টানাটান রাখতে সহায়তা করে। সেই সঙ্গে বলিরেখাও গায়েব হতে শুরু করে। ফলে ত্বক প্রাণবন্ত ও উজ্জ্বল হয়ে উঠতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, এই ফলটিতে উপস্থিত অ্যান্টি-এজিং প্রপাটিজ, ত্বকের বয়স ধরে রাখতেও নানাভাবে সাহায্য করে থাকে।


    নানাবিধ পেটের রোগের প্রকোপ কমায়


    খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকার কারণে নিয়মিত এই ফলটি খেলে বাওয়েল মুভমেন্টে মারাত্মক উন্নতি ঘটে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই কোনো ধরনের পেটের রোগই আর মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে না।


    প্রতিদিন তিনটি করে খেজুর খেলে শরীরে ভেতরে উপকারি ব্যাকটেরিয়ায় মাত্রা বৃদ্ধি পায়। ফলে বদ-হজম, কোলাইটিস ও হেমোরয়েডের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়।

    Post a Comment

    নবীনতর পূর্বতন