টিউমার চেনার উপায় অনেকের শরীরেই দেখা দেয় ছোট ছোট মাংসপিণ্ড, যা হতে পারে টিউমার । যদিও প্রথম দিকে অনেকেই সেগুলোকে পাত্তা দিতে চান না । এমন টিউমার ব্যথাহীন হয়ে থাকে বলে কেউ সেভাবে আমলে নেয় না । তবে সবারই উচিত শরীরের ফোলা ব্যথাহীন টিউমার থাকলে তা পরীক্ষা করে দেখা এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ।
আরও পড়ুন: মাথা ব্যথার ১০ টি ঔষধের নামের তালিকা
আরো
পড়ুনঃ কাশির ১০ টি ঔষধের নাম ও দাম জেনে নিন
এ ধরনের টিউমারকে বলা হয় বিনাইন টিউমার । যদিও এই টিউমার শরীরের অন্যান্য অংশকে প্রভাবিত করে না । তবে উপেক্ষা করা হলে এ ধরনের মাংসপিণ্ড বিপজ্জনক হতে পারে! চলুন তবে জেনে নিন এমন টিউমারের লক্ষণ ও কারণ সম্পর্কে-
টিউমার চেনার উপায়
বিনাইন টিউমার : টিউমার দু ’ ধরনের হয় । এক ধরনের টিউমার শরীরের এক জায়গাতেই শুধু বেড়ে ওঠে । এদের বলে বিনাইন টিউমার । এমন টিউমার তেমন ক্ষতিকারক নয় ।
আরো পড়ুনঃ ১০ টি কৃর্মির ঔষধের
নাম ও দাম
আরো
পড়ুনঃ মোটা হওয়ার
ঔষধের নাম ও দাম
আরেক প্রকার টিউমারের ভেতর থাকা অস্বাভাবিক কোষগুলো রক্ত কিংবা লিম্ফ নামক কিছু রাসায়নিক পদার্থের মাধ্যমে শরীরের অন্য কোনো অংশে গিয়ে জমা হয়ে, সেই অংশের স্বাভাবিক কাজে ব্যাঘাত ঘটায় ।
নতুন কোনো টিউমার তৈরি করে সেখানে; তখন তাদের বলে ম্যালিগন্যান্ট টিউমার । এ ম্যালিগন্যান্ট টিউমারকে অন্যভাবে বলে ক্যান্সারাস টিউমার । কাজের সুবিধায় সংক্ষেপে ক্যান্সার বলে ।
বিনাইন টিউমার হওয়ার কারণ কী?
এ ধরনের টিউমারের উৎপত্তি ঘটে শরীরের যেকোনো স্থানে আঘাত লাগা, প্রদাহ, সংক্রমণ, জীবনযাত্রা, জেনেটিক অর্থাৎ জিনগত এবং বিকিরণের সংস্পর্শের মাধ্যমে । ম্যালিগন্যান্ট টিউমারকে অন্যভাবে বলে ক্যান্সারাস টিউমার ।
আরো পড়ুনঃ সাহাবিদের নামের তালিকা জেনে নিন
আরও পড়ুন: লিংগ মোটা করার উপায়
এই টিউমারটি শরীরের যে কোনো অংশে বৃদ্ধি পেতে পারে । তবে মস্তিষ্ক, স্তন, ঘাড়, নাক, পেট ও শ্বাসযন্ত্রেই বেশিরভাগ এই টিউমারের হদিস মেলে ।
বিনাইন টিউমারের লক্ষণসমূহ-
দৃষ্টি সমস্যা
শীতল অনুভূত হওয়া
> অস্বস্তি বা ব্যথা অনুভব করা
ক্লান্তি ও বিষণ্নতা
জ্বর হওয়া
ক্ষুধা কমে যাওয়া
> রাতে ঘাম হওয়া
ওজন কমে যাওয়া
হঠাৎ মাথাব্যথা
কীভাবে শনাক্ত করা হয় বিনাইন টিউমার?
চিকিৎসকরা বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করেন এই টিউমার শনাক্ত করেন । এই টিউমারটি ম্যালিগন্যান্ট কি- না তা কেবল পরীক্ষার পরে জানা যায় । এটি আপনার দীর্ঘস্থায়ী রোগের লক্ষণসমূহ মাথায় রেখে পরীক্ষা করা হয় । এর জন্য, চিকিৎসক সিটি স্ক্যান; এম আর আই স্ক্যান; ম্যামোগ্রাম ও এক্স- রে করানোর পরামর্শ দেন ।
আরো পড়ুনঃ ঘুমের ঔষধের নাম ও ছবি দেখে
নিন
আরও পড়ুন: সর্দির ১০ টি ভালো ঔষধ নাম
কখন চিকিৎসকের দরকার
যখনই শরীরের কোনো অংশে অস্বস্তি বোধ করবেন বা ফোলা মাংসপিণ্ড দেখবেন; তখন দেরি না করে আপনার পরীক্ষা করা উচিত । যাতে এটি প্রাথমিক অবস্থায় সারানো যায় । শরীরে অতিরিক্ত কোষ গঠন শুরু হলে এর লক্ষণসমূহ প্রকাশ পায় । বেশি দেরি হলে এ ধরনের টিউমার থেকে ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে ।
সূত্র ওয়েবএমডিড
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন