খেলাধুলা জায়েয নাজায়েযের মূলনীতি

খেলাধুলা জায়েয নাজায়েযের মূলনীতি


খেলাধুলা জায়েয নাজায়েযের মূলনীতি

খেলা প্রথমত দুই প্রকার: 

প্রথম প্রকার:  যুদ্ধের জন্য সহায়ক হবে৤

 দ্বিতীয় প্রকার:  যুদ্ধের জন্য সহায়ক হবে না৤

যদি যুদ্ধের জন্য সহায়ক হয়¸ আর নিয়ত ভালো থাকে¸ তাহলে তা মুস্তাহাব৤

যেমন: ঘোড়দৌড়¸ সাতারকাটা¸ তীর নিক্ষেপ করা¸ মল্লযুদ্ধ¸ ভারোত্তোলন¸ দৌড় প্রতিযোগিতা ইত্যাদি৤


আর যদি যুদ্ধের সহায়ক না হয় সেটাও ২ প্রকার:

    ১৤  খেলাটি নিষেদ্ধের বিষয় সরাসরি কোন নছ থাকবে৤ 

    ২৤ খেলাটি নিষেদ্ধের বিষয় সরাসরি কোন নছ থাকবে না৤

যদি খেলাটি নিষেদ্ধের বিষয় সরাসরি নছ ( কুরআন¸হাদীসের বর্ণনা) থাকে¸ তাহলে সেটা হারাম৤ যেমন: পাশা খেলা৤  (ছহীহ মুসলিম: হাদিস নং ২২৬০)


 আর সরাসরি নিষেদ্ধের নছ ( কুরআন¸হাদীসের বর্ণনা) না থাকলে সেটা আবার ২ প্রকার: 

      ( ক ) খেলাতে হারাম কোন বিষয়ের উপস্থিতি থাকবে৤

       ( খ ) খেলাতে হারাম কোন বিষয়ের উপস্থিতি থাকবে না৤

যদি হারামের উপস্থিতি থাকে¸ তা হলে সেটা নাজায়েয৤ যেমন: বাজি ধরা¸ সম্পদ  নষ্ট ¸ প্রাণ নাশ হওয়া¸ সতর খোলা থাকা¸ শরয়ী বিধান লঙঘন হওয়া ইত্যাদি৤


আর হারাম কিছুর উপস্থিতি না থাকলে সেটা আবার ২ প্রকার: 

        এক: শারীরের উপকারের নিয়তে খেলা হবে৤ 

         দুই: শারীরের উপকারের নিয়তে নয় বরং ভিন্ন কোন কারণে খেলা হয়৤ 

যদি শারীরের উপকারের নিয়তে খেলে¸ তাহলে তা শর্তসাপেক্ষে জায়েয৤

 শর্তগুলো হলো: 

  (১) শারীরিক উপকার সাধন৤

  (২) ইসলামি শরিয়তের কোনো বিধান লঙ্ঘন না হওয়া৤

 (৩) আর্থিক ক্ষতিসাধন না হওয়া।

  (৪) সম্পূর্ণ জুয়া ও বাজি মুক্ত হওয়া।

আর শারীরের উপকারের নিয়ত ছাড়া খেলা মাকরুহ৤  যেমন: সময় পার করা ইত্যাদ৤

তথ্যসূত্র: তাকমিলায়ে ফাতহুল মুলহিম: খণ্ড: ৪¸ পৃষ্ঠা নং ৪৩৫৤


লেখক: মুফতি শিহাব উদ্দীন হাবিবী

পরিচালক: শরীয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার¸ উত্তরা¸ ঢাকা৤

  খতীব: বাদালদী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ¸ তুরাগ¸ উত্তরা¸ ঢাকা৤খেলাধুলা জায়েয নাজায়েযের মূলনীতি

খেলা প্রথমত দুই প্রকার: 

প্রথম প্রকার:  যুদ্ধের জন্য সহায়ক হবে৤

 দ্বিতীয় প্রকার:  যুদ্ধের জন্য সহায়ক হবে না৤

যদি যুদ্ধের জন্য সহায়ক হয়¸ আর নিয়ত ভালো থাকে¸ তাহলে তা মুস্তাহাব৤

যেমন: ঘোড়দৌড়¸ সাতারকাটা¸ তীর নিক্ষেপ করা¸ মল্লযুদ্ধ¸ ভারোত্তোলন¸ দৌড় প্রতিযোগিতা ইত্যাদি৤


আর যদি যুদ্ধের সহায়ক না হয় সেটাও ২ প্রকার:

    ১৤  খেলাটি নিষেদ্ধের বিষয় সরাসরি কোন নছ থাকবে৤ 

    ২৤ খেলাটি নিষেদ্ধের বিষয় সরাসরি কোন নছ থাকবে না৤

যদি খেলাটি নিষেদ্ধের বিষয় সরাসরি নছ ( কুরআন¸হাদীসের বর্ণনা) থাকে¸ তাহলে সেটা হারাম৤ যেমন: পাশা খেলা৤  (ছহীহ মুসলিম: হাদিস নং ২২৬০)


 আর সরাসরি নিষেদ্ধের নছ ( কুরআন¸হাদীসের বর্ণনা) না থাকলে সেটা আবার ২ প্রকার: 

      ( ক ) খেলাতে হারাম কোন বিষয়ের উপস্থিতি থাকবে৤

       ( খ ) খেলাতে হারাম কোন বিষয়ের উপস্থিতি থাকবে না৤

যদি হারামের উপস্থিতি থাকে¸ তা হলে সেটা নাজায়েয৤ যেমন: বাজি ধরা¸ সম্পদ  নষ্ট ¸ প্রাণ নাশ হওয়া¸ সতর খোলা থাকা¸ শরয়ী বিধান লঙঘন হওয়া ইত্যাদি৤


আর হারাম কিছুর উপস্থিতি না থাকলে সেটা আবার ২ প্রকার: 

        এক: শারীরের উপকারের নিয়তে খেলা হবে৤ 

         দুই: শারীরের উপকারের নিয়তে নয় বরং ভিন্ন কোন কারণে খেলা হয়৤ 

যদি শারীরের উপকারের নিয়তে খেলে¸ তাহলে তা শর্তসাপেক্ষে জায়েয৤

 শর্তগুলো হলো: 

  (১) শারীরিক উপকার সাধন৤

  (২) ইসলামি শরিয়তের কোনো বিধান লঙ্ঘন না হওয়া৤

 (৩) আর্থিক ক্ষতিসাধন না হওয়া।

  (৪) সম্পূর্ণ জুয়া ও বাজি মুক্ত হওয়া।

আর শারীরের উপকারের নিয়ত ছাড়া খেলা মাকরুহ৤  যেমন: সময় পার করা ইত্যাদ৤

তথ্যসূত্র: তাকমিলায়ে ফাতহুল মুলহিম: খণ্ড: ৪¸ পৃষ্ঠা নং ৪৩৫৤


লেখক: মুফতি শিহাব উদ্দীন হাবিবী

পরিচালক: শরীয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার¸ উত্তরা¸ ঢাকা৤

  খতীব: বাদালদী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ¸ তুরাগ¸ উত্তরা¸ ঢাকা৤

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন