সূরা কাফিরুন / Sura Kafirun

সূরা কাফিরুন


প্রিয় পাঠক বন্ধুগণ আসসালামু আলাইকুম আজকের আর্টিকেলটিতে আমরা আপনাদেরকে জানাতে চলেছি কাফিরুন সূরা সম্পর্কে 

আরো পড়ুনঃ সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত

আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রীর নাম কি


সূরা এছাড়া যে কোন সূরা বা যেকোন বিষয় সম্পর্কে সঠিক তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন 

সূরা কাফিরুন

আপনি যদি অনলাইনে কেনাকাটা করতে ভালোবাসেন বা হয়ে থাকেন তাহলে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ কম দামে পাইকারি মূল্যে পাইকারী ও খুচরা পণ্য ক্রয় করতে ভিজিট করতে পারে গাজী ভাই ডট কম ওয়েবসাইটে

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

সূরা আল কাফিরুন পবিত্র ধর্ম গ্রন্থ আল কুরআনের ১০৯ তম সূরা।  সূরা আল কাফিরুন এর আয়াত সংখ্যা 6 টি। সূরা আর কাফিরুন মক্কায়  অবতীর্ণ হয়েছে তাই সূরা আল-কাফির মাক্কী সূরার  অন্তর্ভুক্ত। সূরা আল কাফিরুন এর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার একাত্মবো ও ইবাদতের কথা আল্লাহতালা উল্লেখ করেছেন।

 

সূরা কাফিরুন বাংলা উচ্চারণ

সূরা কাফিরুন

 বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম


قُلْ يَٰٓأَيُّهَا ٱلْكَٰفِرُونَ (1

বাংলা উচ্চারণঃ (1) কুল ইয়াআইয়ুহাল কা-ফিরূন।

অর্থ : বলুন, হে কাফিররা!

لَآ أَعْبُدُ مَا تَعْبُدُونَ

বাংলা উচ্চারণঃ(2) লাআ‘বুদুমা-তা‘বুদূন

অর্থ : আমি তাহার ‘ইবাদাত করি না যাহার ‘ইবাদাত তোমরা কর। 

وَلَآ أَنتُمْ عَٰبِدُونَ مَآ أَعْبُدُ

বাংলা উচ্চারণঃ (3) ওয়ালাআনতুম ‘আ-বিদূনা মাআ‘বুদ।

অর্থ: এবং তোমরাও তাহার ‘ইবাদাতকারী নও যাহার ‘ইবাদাত আমি করি। 

وَلَآ أَنَا۠ عَابِدٌ مَّا عَبَدتُّمْ

বাংলা উচ্চারণঃ 4) ওয়ালাআনা ‘আ-বিদুম মা-‘আবাত্তুম

অর্থ: এবং আমি ইবাদতকারী নয় তাহার ইবাদত তোমরা করিয়া আসিতেছ

وَلَآ أَنتُمْ عَٰبِدُونَ مَآ أَعْبُدُ

বাংলা উচ্চারণঃ (5) ওয়ালাআনতুম ‘আ-বিদূনা মাআ‘বুদ।

অর্থ: এবং তোমরা ও তাহার এবাদতকারী নও যার এবাদত আমি করি 

لَكُمْ دِينُكُمْ وَلِىَ دِينِ

বাংলা উচ্চারণঃ 6) লাকুম দীনুকুম ওয়ালিয়া দীন।

অর্থ : তোমাদের কর্ম ও কর্মফল তোমাদের জন্যে এবং আমার কর্ম ও কর্মফল আমার জন্যে। 

 

সূরা কাফিরুন বাংলা উচ্চারণ

(1) কুল ইয়াআইয়ুহাল কা-ফিরূন। (2) লাআ‘বুদুমা-তা‘বুদূন। (3) ওয়ালাআনতুম ‘আ-বিদূনা মাআ‘বুদ। (4) ওয়ালাআনা ‘আ-বিদুম মা-‘আবাত্তুম, (5) ওয়ালাআনতুম ‘আ-বিদূনা মাআ‘বুদ। (6) লাকুম দীনুকুম ওয়ালিয়া দীন।

 

সূরা কাফিরুন এর শানে নুযুল

সূরা আল কাফিরুন এর মূল বিষয়বস্তু হলো যে আল্লাহ তাআলা  এই সূরায় কাফেরদের বুঝিয়েছেন যাদের ব্যাপারে আল্লাহ তা'আলা জানতেন যে তারা কাফের হয়েই মারা যাবে।   এবং শিরক অবস্থাতেই। সূরা কাফিরুন এর গুরুত্ব বুঝতে পেরে কিছু সংখ্যক মুশরিক  ইসলাম গ্রহণ করেছিল এবং আল্লাহর একত্ববাদে স্বীকৃতি জানিয়েছিলেন।

 কথা হল আল্লাহ ও আল্লাহর একত্ববাদের সাথে অন্য কারো শামিল করা হলো শিরক। এমন কোন কিছুর সাথে আপোষ করা যাবে না যায়। আমাদেরকে শিরকের দিকে নিয়ে যায় মহানবী রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে যখন কাফেররা শান্তি চুক্তির জন্য অনৈতিক প্রস্তাব দেয় যা সম্পূর্ণভাবে তাওহীদের বিপরীতে ছিল তার উত্তরে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছিলেন এটা কখনোই সম্ভব নয় যে আমি তাওহীদের পর থেকে সরে  হীরকের পথ অবলম্বন করব। এবং আরো বলেন আর যদি আল্লাহ তোমাদের ভাগ্যে হেদায়েত না লিখে থাকে তাহলে তোমরাও তাও আল্লাহর উপাসনা থেকে বঞ্চিত হবে। যদি তোমরা তোমাদের দিন নিয়ে সন্তুষ্ট থাকো এবং তা ত্যাগ করতে রাজি না হও তাহলে আমিও নিজের দ্বীন নিয়ে সন্তুষ্ট থাক কেন ত্যাগ করতে যাব

 

সূরা কাফিরুন এর ফজিলত

১. জাবের রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাওয়াফের দু’ রাকা‘আত সালাতে ‘সূরা কাফিরুন ও সূরা ইখলাস’ পড়তেন। [মুসলিম; ১২১৮]

২. ঘুমানোর পূর্বে সূরা কাফিরুন পাঠে রাসূল সালাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম বলেছেন– ‘যখন শয্যা গ্রহণ করবে তখন পাঠ করবে ‘ক্বুল ইয়া আইয়্যূহাল কাফেরূন’- শেষ পর্যন্ত তা পাঠ করবে। কেননা উহার মধ্যে শিরক থেকে মুক্ত হওয়ার ঘোষণা রয়েছে।’ (তবরাণী শরীফ)

৩. আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, “রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ ‘সূরা কাফিরুন ও সূরা ইখলাস’দু’টি সূরা দিয়ে ফজরের সুন্নাত সালাত আদায় করেছেন”। [মুসলিম; ৭২৬]

৬. তাছাড়া জনৈক সাহাবী রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কাছে আরজি করলেন, আমাকে নিদ্রার পূর্বে পাঠ করার জন্যে কোন দো‘আ বলে দিন। “তিনি সূরা কাফিরূন পাঠ করতে আদেশ দিলেন এবং বললেন এটা শিরক থেকে মুক্তিপত্র।” [আবু দাউদ;৫০৫৫, সুনান দারমী;২/৪৫৯, মুস্তাদরাকে হাকিম;২/৫৩৮]

৭. অন্য হাদীসে এসেছে, “রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, সূরা ‘কুল ইয়া আইয়ুহাল কাফিরুন’ কুরআনের এক চতুর্থাংশ”। [তিরমিয়ী; ২৮৯৩, ২৮৯৫] । অর্থাৎ সূরা আল কাফিরুন চার বার পাঠ করিলে একবার কুরআন খতমের সওয়াব পাওয়া যায়। (সুবহানআল্লাহ 

 

সূরা কাফিরুন এর অর্থ

বলুন, হে কাফেরকূল, আমি এবাদত করিনা, তোমরা যার এবাদত কর। এবং তোমরাও এবাদতকারী নও, যার এবাদত আমি করি এবং আমি এবাদতকারী নই, যার এবাদত তোমরা কর। তোমরা এবাদতকারী নও, যার এবাদত আমি করি। তোমাদের কর্ম ও কর্মফল তোমাদের জন্যে এবং আমার কর্ম ও কর্মফল আমার জন্যে।

 

গুগোল সূরা কাফিরুন সম্পর্কে আপনার মূল্যবান মন্তব্য থেকে থাকে তাহলে আমাদের মন্তব্য অপশনে গিয়ে আপনি আপনার মন্তব্যটি জানিয়ে দিতে পারেন ।

আজকের পোস্টটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন 

 

আজকের আর্টিকেলটিতে আরো জানতে পারবেন  সূরা কাফিরুন আরবি ? সূরা কাফিরু বাংলা , সূরা কাফিরুন এর তাফসীর ? সূরা কাফিরুন বাংলা উচ্চারণ ছবি ? সূরা কাফিরুন এর ব্যাখ্যা ? কাফিরুন সূরা ? ইত্যাদি সম্পূর্ণ বিস্তারিত জানতে হলে উপরের সম্পূর্ন পোস্ট পড়ুন আমাদের সাথে থাকুন .।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন