প্রিয় পাঠক বন্ধুগণ আসসালামু আলাইকুম আজকের আর্টিকেলটিতে আমরা আপনাদেরকে জানাতে চলেছি সূরা হাশর শেষ ৩ আয়াত সম্পর্কে
আরো পড়ুনঃ হুমায়রা নামের অর্থ কি
আরো পড়ুনঃ সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত
সূরা এছাড়া যে কোন সূরা বা যেকোন বিষয় সম্পর্কে সঠিক তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন
আপনি যদি অনলাইনে কেনাকাটা করতে ভালোবাসেন বা একজন অনলাইন ক্রেতা হয়ে থাকেন তাহলে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ কম দামে পাইকারি মূল্যে পাইকারী ও খুচরা পণ্য ক্রয় করতে ভিজিট করতে পারে গাজী ভাই ডট কম ওয়েবসাইটে
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রীর নাম কি
আরো পড়ুনঃ সূরা আল কাফিরুন
সূরা হাশর পবিত্র কোরআন শরীফের একটি গুরুত্বপূর্ণ সূরা। সূরা হাশর পবিত্র আল কুরআনের ৫৯ নম্বর সূরা। সূরা হাশর পবিত্র মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে। সূরা হাশরের আয়াত সংখ্যা ২৪ টি এবং রুকু সংখ্যা তিনটি। সূরা হাশর অর্থাৎ হাশর শব্দের অর্থ একত্র হওয়া, জড়ো হওয়া ইত্যাদি
সূরা হাশর শেষ ৩ আয়াত
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
هُوَ اللَّهُ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ عَالِمُ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ هُوَ الرَّحْمَنُ الرَّحِيمُ
বাংলা উচ্চারণঃ (22 ) হুআল্লা হুল্লাজি লা-ইলাহা ইল্লা হুয়া, আলিমুল গাইবী ওয়াশ শাহাদাতি, হুয়ার রহমানুর রহিম।
তিনিই আল্লাহ তাআলা, যিনি ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই; তিনি দৃশ্য ও অদৃশ্যকে জানেন, তিনি পরম দয়ালু, অসীম দাতা।’ (২২)
هُوَ اللَّهُ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْمَلِكُ الْقُدُّوسُ السَّلَامُ الْمُؤْمِنُ الْمُهَيْمِنُ الْعَزِيزُ الْجَبَّارُ الْمُتَكَبِّرُ سُبْحَانَ اللَّهِ عَمَّا يُشْرِكُونَ
বাংলা উচ্চারণঃ (23)হুআল্লা হুল্লাজি লা-ইলাহা ইল্লা হুয়াল মালিকুল কুদ্দুসুস সালামুল মু’মিনুল মুহাইমিনুল আজিজুল জাব্বারুল মুতাকাব্বির। ছুবহানাল্লোহি আম্মা ইয়ূশরিকুন।
‘তিনিই আল্লাহ তিনি ব্যতিত কোনো উপাস্য নেই। তিনিই একমাত্র মালিক, পবিত্র, শান্তি ও নিরাপত্তাদাতা, আশ্রয়দাতা, পরাক্রান্ত, প্রতাপান্বিত, মাহাত্মশীল। তারা যাকে অংশীদার করে আল্লাহ তা' আলা তা থেকে পবিত্র।’ (২৩)
هُوَ اللَّهُ الْخَالِقُ الْبَارِئُ الْمُصَوِّرُ لَهُ الْأَسْمَاءُ الْحُسْنَى يُسَبِّحُ لَهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَهُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ [الحشر
বাংলা উচ্চারণঃ (24) ইউছাব্বিহু লাহু মা ফিস-সামাওয়াতি ওয়াল আরদ্ব; ওয়া হুয়াল আজিজুল হাকিম।
‘তিনিই আল্লাহ তাআলা, স্রষ্টা, উদ্ভাবক, রূপদাতা, উত্তম নামগুলো তারই। নভোমণ্ডলে ও ভূমণ্ডলে যা কিছু আছে, সবই তার পবিত্রতা ঘোষণা করে। তিনি পরাক্রান্ত প্রজ্ঞাময়। (সুরা হাশর,আয়াত নং : ২৪)
surah hasorer ses 3 ayat
هُوَ اللَّهُ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ عَالِمُ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ هُوَ الرَّحْمَنُ الرَّحِيمُ (22) هُوَ اللَّهُ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْمَلِكُ الْقُدُّوسُ السَّلَامُ الْمُؤْمِنُ الْمُهَيْمِنُ الْعَزِيزُ الْجَبَّارُ الْمُتَكَبِّرُ سُبْحَانَ اللَّهِ عَمَّا يُشْرِكُونَ (23) هُوَ اللَّهُ الْخَالِقُ الْبَارِئُ الْمُصَوِّرُ لَهُ الْأَسْمَاءُ الْحُسْنَى يُسَبِّحُ لَهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَهُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ [الحشر:22-24]
সূরা হাশরের শেষ ৩ আয়াত বাংলা উচ্চারণ
হুআল্লা হুল্লাজি লা-ইলাহা ইল্লা হুয়া, আলিমুল গাইবী ওয়াশ শাহাদাতি, হুয়ার রহমানুর রহিম।(২২) হুআল্লা হুল্লাজি লা-ইলাহা ইল্লা হুয়াল মালিকুল কুদ্দুসুস সালামুল মু’মিনুল মুহাইমিনুল আজিজুল জাব্বারুল মুতাকাব্বির। ছুবহানাল্লোহি আম্মা ইয়ূশরিকুন। (২৩)হুআল্লাহুল খলিকুল বা-রিউল মুছাওওয়িরু লাহুল আসমাউল হুসনা। ইউছাব্বিহু লাহু মা ফিস-সামাওয়াতি ওয়াল আরদ্ব; ওয়া হুয়াল আজিজুল হাকিম।২৪)
হাশরের শেষ তিন আয়াত এর বাংলা অর্থ :
তিনিই আল্লাহ তাআলা, যিনি ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই; তিনি দৃশ্য ও অদৃশ্যকে জানেন, তিনি পরম দয়ালু, অসীম দাতা।’ (২২) ‘তিনিই আল্লাহ তিনি ব্যতিত কোনো উপাস্য নেই। তিনিই একমাত্র মালিক, পবিত্র, শান্তি ও নিরাপত্তাদাতা, আশ্রয়দাতা, পরাক্রান্ত, প্রতাপান্বিত, মাহাত্মশীল। তারা যাকে অংশীদার করে আল্লাহ তা' আলা তা থেকে পবিত্র।’ (২৩) ‘তিনিই আল্লাহ তাআলা, স্রষ্টা, উদ্ভাবক, রূপদাতা, উত্তম নামগুলো তারই। নভোমণ্ডলে ও ভূমণ্ডলে যা কিছু আছে, সবই তার পবিত্রতা ঘোষণা করে। তিনি পরাক্রান্ত প্রজ্ঞাময়। (সুরা হাশর, আয়াত : ২৪)
সূরা হাশরের শেষ ৩ আয়াতের ফজিলত
সূরা হাশর একটি গুরুত্বপূর্ণ সূরা। সুরা হাশরের শেষ তিন আয়াতের অনেক ফজিলত রয়েছে। সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত সম্পর্কে বিভিন্ন হাদিস বর্ণিত হয়েছে -- হযরতে মাকাল বিন ইয়াসির রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত যে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে ব্যক্তি সকালে এবং সন্ধ্যায় আউজুবিল্লাহিস সামিউলা আলীমি মিনাশ শাইতানির রাজীম পড়বে এরপর সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত পাঠ করবে আল্লাহ্ তা’আলা উক্ত ব্যক্তির জন্য ৭০ হাজার ফেরেস্তা নিযুক্ত করে দিবেন। যারা উক্ত ব্যক্তির মাগফিরাতের জন্য দু’আ করতে থাকে সন্ধ্যা পর্যন্ত। আর এ সময়ের তে যদি উক্ত ব্যক্তিটি মারা যায়, তাহলে সে শহীদের মৃত্যু লাভ করে। এবং যে ব্যক্তি এটি সন্ধ্যার সময় পড়বে, তাহলে তার একই মর্যাদা রয়েছে। [তথা মাগরিব থেকে সকাল পর্যন্তের জন্য ৭০ হাজার ফেরেস্তা গুনাহ মাফীর জন্য দু’আ করে, আর সে সময়ে মারা গেলে শহীদের সওয়াব পাবে]। (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৩০৯০; আবু দাউদ, হাদিস : ২৯২২; মুসনাদ আহমদ, হাদিস : ১৯৭৯৫; কানজুল উম্মাল, হাদিস : ৩৫৯৭)
সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত সম্পর্কে যদি আপনার মূল্যবান মন্তব্য থেকে থাকে তাহলে আমাদের মন্তব্য অপশনে গিয়ে আপনি আপনার মন্তব্যটি জানিয়ে দিতে পারেন ।
আজকের পোস্টটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন
এছাড়াও আজকের আর্টিকেলটিতে আরো জানতে পারবেন সূরা হাশরের শেষ 3 আয়াত ? সূরা হাশরের শেষ ৩ আয়াত বাংলা ?সূরা হাশরের শেষ ৩ আয়াতের উপকারিতা ? surah hasorer ses 3 ayat bangla ? সূরা হাশরের শেষ ৩ আয়াত বাংলায় ? ইত্যাদি সম্পূর্ণ বিস্তারিত জানতে হলে উপরের সম্পূর্ন পোস্ট পড়ুন আমাদের সাথে থাকুন .।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন