প্রিয় পাঠক বন্ধুগণ আসসালামু আলাইকুম আজকের এই আর্টিকেলটিতে আমরা আপনাদেরকে জানাতে চলেছি সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত সম্পর্কে
সূরা এছাড়া যে কোন সূরা বা যেকোন বিষয় সম্পর্কে সঠিক তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন
আরো পড়ুনঃ সূরা মাউন
আরো পড়ুনঃ সূরা নাস
আপনি যদি অনলাইনে কেনাকাটা করতে ভালোবাসেন বা হয়ে থাকেন তাহলে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ কম দামে পাইকারি মূল্যে পাইকারী ও খুচরা পণ্য ক্রয় করতে ভিজিট করতে পারে গাজী ভাই ডট কম ওয়েবসাইটে
সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত সম্পর্কে আপনাদের কোন মন্তব্য থাকলে নিচে মন্তব্য অপশনে গিয়ে আমাদেরকে মন্তব্যের মাধ্যমে আপনি আপনার মূল্যবান মন্তব্য আমাদেরকে জানিয়ে দিতে পারেন
আরো পড়ুনঃ সূরা ফালাক
সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত বাংলা উচ্চারণ সহ
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
آمَنَ ٱلرَّسُولُ بِمَآ أُنزِلَ إِلَيْهِ مِن رَّبِّهِۦ وَٱلْمُؤْمِنُونَ كُلٌّ ءَامَنَ بِٱللَّهِ وَمَلَٰٓئِكَتِهِۦ وَكُتُبِهِۦ وَرُسُلِهِۦ لَا نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍ مِّن رُّسُلِهِۦ وَقَالُوا۟ سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا غُفْرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيْكَ ٱلْمَصِيرُ( ২৮৫)
বাংলা উচ্চারণ : আ-মানাররাছূলু বিমাউনঝিলা ইলাইহি মির রাব্বিহী ওয়াল মু’মিনূনা কুল্লুন আ-মানা বিল্লাহি ওয়া মালাইকাতিহী ওয়া কুতুবিহী ওয়া রুছুলিহী লা-নুফাররিকুবাইনা আহাদিম মির রুছুলিহী ওয়া কা-লূ ছামি‘না ওয়াআতা‘না গুফরা-নাকা রাব্বানা-ওয়া ইলাইকাল মাসীর।( ২৮৫)
لَا يُكَلِّفُ ٱللَّهُ نَفْسًا إِلَّا وُسْعَهَا لَهَا مَا كَسَبَتْ وَعَلَيْهَا مَا ٱكْتَسَبَتْ رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَآ إِن نَّسِينَآ أَوْ أَخْطَأْنَا رَبَّنَا وَلَا تَحْمِلْ عَلَيْنَآ إِصْرًا كَمَا حَمَلْتَهُۥ عَلَى ٱلَّذِينَ مِن قَبْلِنَا رَبَّنَا وَلَا تُحَمِّلْنَا مَا لَا طَاقَةَ لَنَا بِهِۦ وَٱعْفُ عَنَّا وَٱغْفِرْ لَنَا وَٱرْحَمْنَآ أَنتَ مَوْلَىٰنَا فَٱنصُرْنَا عَلَى ٱلْقَوْمِ ٱلْكَٰفِرِينَ (২৮৬)
বাংলা উচ্চারণ : লা-ইউকালিলফুল্লা-হু নাফছান ইল্লা-উছ‘আহা-লাহা-মা কাছাবাত ওয়া ‘আলাইহা-মাকতাছাবাত রাব্বানা-লা-তুআ-খিযনা ইন নাছীনা-আও আখতা’না-রাব্বানা ওয়ালা-তাহমিল ‘আলাইনা-ইসরান কামা-হামালতাহূ আলাল্লাযীনা মিন কাবলিনা-রাব্বানা-ওয়ালা তুহাম্মিলনা-মা-লা-তা-কাতা লানা-বিহী ওয়া‘ফু‘আন্না-ওয়াগফিরলানা-ওয়ারহামনা-আনতা মাওলা-না-ফানসুরনা-‘আলাল কাওমিল কা-ফিরীন। (২৮৬)
সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত বাংলা অর্থসহ
বাংলা অর্থ : রসূল বিশ্বাস রাখেন ঐ সমস্ত বিষয় সম্পর্কে যা তাঁর পালনকর্তার পক্ষ থেকে তাঁর কাছে অবতীর্ণ হয়েছে এবং মুসলমানরাও সবাই বিশ্বাস রাখে আল্লাহর প্রতি, তাঁর ফেরেশতাদের প্রতি, তাঁর গ্রন্থসমুহের প্রতি এবং তাঁর পয়গম্বরগণের প্রতি। তারা বলে আমরা তাঁর পয়গম্বরদের মধ্যে কোন তারতম্য করিনা। তারা বলে, আমরা শুনেছি এবং কবুল করেছি। আমরা তোমার ক্ষমা চাই, হে আমাদের পালনকর্তা। তোমারই দিকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে।( ২৮৫)
আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যাতীত কোন কাজের ভার দেন না, সে তাই পায় যা সে উপার্জন করে এবং তাই তার উপর বর্তায় যা সে করে। হে আমাদের পালনকর্তা, যদি আমরা ভুলে যাই কিংবা ভুল করি, তবে আমাদেরকে অপরাধী করো না। হে আমাদের পালনকর্তা! এবং আমাদের উপর এমন দায়িত্ব অর্পণ করো না, যেমন আমাদের পূর্ববর্তীদের উপর অর্পণ করেছ, হে আমাদের প্রভূ! এবং আমাদের দ্বারা ঐ বোঝা বহন করিও না, যা বহন করার শক্তি আমাদের নাই। আমাদের পাপ মোচন কর। আমাদেরকে ক্ষমা কর এবং আমাদের প্রতি দয়া কর। তুমিই আমাদের প্রভু। সুতরাং কাফের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদের কে সাহায্যে কর। (২৮৬)
সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত ফজিলত
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন যে ব্যক্তি প্রতিরাতে এ দুটি আয়াত পাঠ করবেন তার জন্য এটাই যথেষ্ট। এর ব্যাখ্যায় কেউ কেউ বলেন এর অর্থ রাতের নামাজ কেউ, বলেন শয়তান থেকে মুক্তি, কেউ বলেন বিপদ আপদ থেকে মুক্তি, কেউ বলেন মানুষ ও জেলের অনিষ্ঠ থেকে মুক্তির উপায়।
নবীজির সালাম বলেছেন আল্লাহ তাআলা সাত আসমান ও জমিন সৃষ্টি করার এক হাজার বছর আগে কুরআন লিখে রেখেছিলেন এবং তার মাঝে দুটি আয়াত অবতীর্ণ করেছেন। বলা হয় যে বাসায় সূরা আল বাকার এর দুই আয়াত পাঠ করা হয় না সে ঘরে শয়তান অবস্থান করে।
রাতের বেলা ঘুমানোর পূর্বে সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত তেলাওয়াত করলে তাহাজ্জুদ নামাজের সবের সমান সওয়াব পাওয়া যায় বলে আশা করা যেতে পারে।
রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করেছিলেন, হে আল্লাহর রাসুল (সা.), কোরআনের কোন সুরা সবচেয়ে বেশি মর্যাদাবান? তিনি বললেন, সুরা এখলাস। এরপর আবার বললেন, কোরআনের কোন আয়াতটি মর্যাদাবান? তিনি বললেন, আয়াতুল কুরসি। এরপর আবার বলেন, হে আল্লাহর নবী, আপনি কোন আয়াতকে পছন্দ করেন, যা দ্বারা আপনার ও আপনার উম্মত লাভবান হবে। নবীজি (সা.) বললেন, সুরা বাকারার ২৮৫-২৮৬ নম্বর শেষ দুটি আয়াত।
জামে তিরমিযী শরীফে একটি হাদীস রয়েছে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “আল্লাহ তা'আলা আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টি করার দু'হাজার বছর পূর্বে একটি কিতাব লিখেছিলেন। যার মধ্যে দু'টি আয়াত অবতীর্ণ করে সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত শেষ করেন। যেই বাড়ীতে তিন রাত্রি পর্যন্ত সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত পাঠ করা হবে শয়তান সেই বাড়ীর নিকটেও যেতে পারবে না। ইমাম তিরমিযী (রঃ) এই হাদীসটিকে গরীব বলেছেন।
এছাড়াও আজকের আর্টিকেলটিতে আরো জানতে পারবেন সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত ছবি ? সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত বাংলা উচ্চারণ সহ pdf ? সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত আরবি ? সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত বাংলা অর্থসহ ?সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াতের ফজিলত ?
প্রিয় পাঠক বন্ধুগণ সুরা বাকারার গুরুত্ব এবং ফজিলত অনেক বেশি। আসুন আমরা এই ফজিলত কোন আয়াত দুটি তোমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি রুটিন তৈরি করে ফেলি।
আমাদের পাঠকগণ আমাদের লেখাটি ভালো লেগে থাকলে আপনারা আপনাদের বন্ধুদের মধ্যে শেয়ার করতে পারেন
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন