নির্বাচনী এজেন্ট এর কাজ কি এ সম্পর্কে অনেকেরই প্রশ্ন থাকে চলুন এই প্রশ্নের উত্তর জেনে নেয়া যাক আমাদের আজকের প্রশ্নের উত্তর সংগ্রহ করা এবং বহু বহু আমরা তুলে ধরেছি । আরও পড়ুন: মাথা ব্যথার ১০ টি ঔষধের নাম ও দাম
নির্বাচনী এজেন্ট এর কাজ এই আর্টিকেলটিতে আপনি যদি নতুন হয়ে থাকেন তাহলে আর্টিকেলটি পড়ার পাশাপাশি আপনি যদি অনলাইনে কেনাকাটা করতে ভালোবাসেন দেশের সবচাইতে কম দামে অনলাইনে কেনাকাটার জন্য আপনি ভিজিট করতে পারেন Gazivai.com এ ৫০০ টাকা থেকে মেয়েদের – গুপ্ত - স্থান মেয়েদের পু -শি কিনতে - এখনই কিনুন
নির্বাচনী এজেন্ট এর কাজ কি
নিবার্চনী এজেন্ট নিয়োগ : গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর অনুচ্ছেদ ২১-এর দফা (১) অনুসারে একজন প্রাথীর্ জাতীয় সংসদের সদস্য নিবাির্চত হওয়ার যোগ্য কোনো ব্যক্তিকে তার নিবার্চনী এজেন্ট নিয়োগ করতে পারেন। তবে তাকে নিয়োগসংক্রান্ত লিখিত নোটিশ রিটানির্ং অফিসারের কাছে প্রেরণ করতে হয়। ওই নোটিশে নিবার্চনী এজেন্টের নাম, পিতার নাম ও ঠিকানা উল্লেখ থাকতে হয়।
নিবার্চনী এজেন্টের নিয়োগপত্র প্রাথীর্ যে কোনো সময় লিখিতভাবে বাতিল বা প্রত্যাহার করতে পারেন এবং নতুন কাউকে নিয়োগ দিতে পারেন। যে ক্ষেত্রে প্রাথীর্ কোনো নিবার্চনী এজেন্ট নিয়োগ করবেন না, সে ক্ষেত্রে তিনি নিজেই তার নিবার্চনী এজেন্ট বলে আইনগতভাবে গণ্য হবেন। পোলিং এজেন্ট নিয়োগ : গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর অনুচ্ছেদ ২২-এর দফা (১) এর বিধান অনুসারে প্রত্যেক প্রতিদ্ব›দ্বী প্রাথীর্ অথবা তার নিবার্চনী এজেন্ট ভোট গ্রহণের পূবের্ প্রত্যেক ভোটকক্ষের জন্য পোলিং এজেন্ট নিয়োগ করতে পারবেন। ওই এজেন্ট নিয়োগসংক্রান্ত লিখিত নোটিশ প্রিসাইডিং অফিসারের নিকট প্রেরণ করতে হবে।
নিযুক্তকারী ব্যক্তি কতৃর্ক প্রদত্ত পরিচয়পত্র না দেখালে প্রিসাইডিং অফিসার কোনো পোলিং এজেন্টকে গ্রহণ করবেন না। একটি ভোটকক্ষের জন্য একজন প্রাথীর্ সবোর্চ্চ একজন পোলিং এজেন্ট নিয়োগ করতে পারবেন। নিবার্চনী এজেন্ট ও পোলিং এজেন্টদের দায়িত্ব ও কতর্ব্য : গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর অনুচ্ছেদ ২৮, ২৯, ৩১, ৩৩ ও ৩৬ অনুচ্ছেদে যথাক্রমে প্রতিদ্ব›দ্বী প্রাথীর্, নিবার্চনী এজেন্ট এবং পোলিং এজেন্টদের ভোট গ্রহণের শুরু থেকে ভোটকক্ষে ব্যালট বাক্সের ব্যবহার পদ্ধতি, ভোটকেন্দ্রে অবস্থান, ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠান পযের্বক্ষণ এবং প্রকৃত ভোটারদের শনাক্তকরণ, কোনো কোনো ভোটারের ভোটদানে আপত্তি উত্থাপন, ভোটগণনাসহ ফলাফলের বিবরণী ও অন্যান্য প্যাকেট প্রস্তুত, ওই বিবরণী ও প্যাকেটে স্বাক্ষরদান, বিধি মোতাবেক কেন্দ্র থেকে ভোট গণনার সত্যায়িত অনুলিপি গ্রহণ ইত্যাদি দায়িত্ব পালনে ভ‚মিকা রাখা গুরুত্বপূণর্।
অনুচ্ছেদ ৩৭-এর অধীন বণির্ত রিটানির্ং অফিসার কতৃর্ক ফলাফল একত্রীকরণের সময় প্রতিদ্ব›দ্বী প্রাথীর্ ও নিবার্চনী এজেন্টদের উপস্থিতি প্রয়োজন। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর অনুচ্ছেদ ৩৬-এর (১১) দফার বিধান মতে যদি কোনো নিবার্চনী এজেন্ট অথবা পোলিং এজেন্ট ভোট গণনার বিবরণী ও ব্যালট পেপারের হিসাবের সত্যায়িত অনুলিপির জন্য আবেদন করেন তবে প্রিসাইডিং অফিসার সেই এজেন্টকে সত্যায়িত অনুলিপি প্রদান করবেন এবং অনুলিপি প্রাপ্তির রশিদ বা প্রাপ্তি স্বীকার গ্রহণ করবেন। এজেন্ট যদি প্রাপ্তি স্বীকার করতে অস্বীকৃতি জানায়, তবে তা লিপিবদ্ধ রাখতে হবে। অনুচ্ছেদ ৩৬-এর দফা (১৩) এর বিধান মতে নিবার্চনী এজেন্ট অথবা পোলিং এজেন্ট যদি ভোট গণনার সময় উপস্থিত থাকেন, তবে প্রিসাইডিং অফিসার প্রতিটি বিবরণী ও প্যাকেটের ওপর তাদের স্বাক্ষর নেবেন।
এজেন্ট যদি স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানায়, তবে তা লিপিবদ্ধ রাখতে হবে। নিবার্চনী ব্যয় নিবাের্হর জন্য ব্যাংক একাউন্ট খোলা : গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর অনুচ্ছেদ ৪৪ বিধি অনুসারে প্রত্যেক নিবার্চনী এজেন্টকে অথবা এজেন্ট নিয়োগ করা না থাকলে প্রাথীর্ কতৃর্ক নিজে নিবার্চনী ব্যয় নিবাের্হর জন্য (ব্যক্তিগত ব্যয় ছাড়া) তফসিলি ব্যাংকে পৃথক ব্যাংক একাউন্ট খুলতে হবে। সেই ব্যাংক একাউন্ট থেকে ব্যক্তিগত ব্যয় ছাড়া নিবার্চনসংক্রান্ত ব্যয়ের সমুদয় অথর্ পরিশোধ করতে হবে। নিবার্চনী ব্যয়ের সম্ভাব্য উৎস ও বিবরণী দাখিল : নিবার্চন পরিচালনা বিধিমালা, ২০০৮-এর বিধি ২৯ অনুসারে নিবার্চনী ব্যয় নিবাের্হর জন্য তহবিলের সম্ভাব্য উৎসের বিবরণী ফরম-২০ এ এবং প্রাথীর্র সম্পদ, দায়-দেনা ও তার বাৎসরিক আয়-ব্যয় বিবরণী ফরম-২১-এ দাখিল করতে হয়। বিধিমালার ৩০ বিধি অনুসারে ফরম-২২ এ নিবার্চনী ব্যয়ের রিটানর্ দাখিল করতে হয়। নিবার্চনী ব্যয়ের রিটানর্ দাখিল : গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর অনুচ্ছেদ ৪৪সি এর দফা (১) এর বিধান অনুসারে নিবাির্চত প্রাথীর্র নাম সরকারি গেজেটে প্রকাশিত হওয়ার ত্রিশ (৩০) দিনের মধ্যে প্রাথীর্র নিবার্চনী এজেন্টকে (যিনি এজেন্ট নিয়োগ করেননি তিনি নিজে) ফরম-২২ এ এফিডেভিটসহ সংশ্লিষ্ট রিটানির্ং অফিসারের নিকট নিবার্চনী ব্যয়ের হিসাব দাখিল করতে হবে। রিটানের্র সঙ্গে নিবার্চন পরিচালনা বিধিমালা, ২০০৮-এর বিধি ৩১ অনুযায়ী প্রতিদ্ব›দ্বী প্রাথীর্গণকে নিধাির্রত ফরমে হলফনামা দাখিল করতে হবে।
রিটানির্ং অফিসারের নিকট দাখিলকৃত রিটানর্ ও এফিডেভিটের অনুলিপি ডাকযোগে নিবার্চন কমিশন সচিবালয়েও প্রেরণ করতে হবে। এখানে উল্লেখ্য যে, নিবার্চনে প্রতিদ্ব›িদ্বতাকারী সব প্রাথীের্ক অথার্ৎ বিজয়ী পরাজিত সব প্রাথীের্ক নিবার্চনী ব্যয়ের রিটানর্ দাখিল করতে হবে। বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় নিবাির্চত প্রাথীের্দরও নিবার্চনী ব্যয়ের রিটানর্ অবশ্যই দাখিল করতে হবে। এমনকি কোনো প্রাথীর্র নিবার্চনে কোনো ব্যয় না হলেও তা নিধাির্রত ফরমে উল্লেখপূবর্ক রিটানর্ দাখিল করতে হবে।
দলিলপত্র সংরক্ষণ, পরিদশর্ন ও অনুলিপি প্রদান : গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর অনুচ্ছেদ ৪৪ডি অনুসারে নিবার্চনী ব্যয় নিবাের্হর জন্য সম্ভাব্য তহবিলের উৎসের বিবরণী, নিবার্চনী ব্যয়ের রিটানর্ ও এসংক্রান্ত অন্যান্য বিবরণী এবং দলিল দস্তাবেজ রিটানির্ং অফিসার কতৃর্ক তার অফিসে বা সুবিধাজনক অন্য কোনো স্থানে এক বছর পযর্ন্ত সংরক্ষণ করবেন। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর অনুচ্ছেদ ৪৪ডি এবং নিবার্চন পরিচালনা বিধিমালা, ২০০৮-এর বিধি ২৮ অনুসারে উল্লিখিত সংরক্ষিত দলিল-দস্তাবেজ ও বিবরণী নিধাির্রত ফি প্রদান সাপেক্ষে জনসাধারণের জন্য পরিদশের্নর ও অনুলিপি সংগ্রহের জন্য খোলা থাকবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন