জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে করার নিয়ম , জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে করার নিয়ম ২০২৩ , জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে করার নিয়ম ২০২৪ ,
জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে করার নিয়ম ? ঘরে বসে করবেন নাকি দোকানে গিয়ে আমরা বলব আপনি দোকানে গিয়ে জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে আবেদন করে আসুন কারণ ঘরে বসে আপনি করতে গেলে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে ফলে আপনি আবার বিড়ম্বনায় পড়তে পারেন ?
জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে করার নিয়ম
যেহেতু এই কাজগুলো একটি সিক্রেট বিষয় সুতরাং এগুলো করার সময় আপনাকে অবশ্যই নিরাপদ ব্যবহার করা উচিত একজন অভিজ্ঞ মানুষের সহায়তা নেওয়া উচিত যেন জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে করার সময় অবশ্যই আপনি দোকান তৈরি করে নিন তবে কোন কোন কাগজপত্র গুলো লাগে সেগুলো নিচে থেকে দেখে নিতে পারেন ? আরো পড়ুনঃ ঘুমের ঔষধের নাম ও ছবি দেখে নিন
জন্ম নিবন্ধন করতে কি কি লাগে
নতুন জন্ম নিবন্ধন করতে প্রধানত প্রয়োজন হয় শিশুর ইপিআই টিকা কার্ড বা হাসপাতালের ছাড়পত্র, হোল্ডিং ট্যাক্সের রশিদ অথবা জমির খাজনা পরিশোধের রশিদ। সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও তথ্য সংগ্রহ করেই অনলাইনে আবেদন করতে হবে এবং আবেদন করার সময় নির্ভুলভাবে সকল তথ্য দিতে পারবেন। Gazivai.com এ পে-নি-স লম্বা করার ঔষধ মাত্র ৭৫০ টাকা কিনতে ক্লিক করুন - এখনই ঔষধ কিনুন
জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করার জন্য নিম্মোক্ত কাগজপত্র প্রয়োজন হবে;
জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে করার নিয়ম ২০২৩
শিশুর বয়স ০ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে হলেঃ
ইপিআই (টিকা) কার্ড
পিতা ও মাতার ডিজিটাল বা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন কপি (যদি থাকে)
পিতা ও মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি (যদি থাকে)
বাসার হোল্ডিং নম্বর এবং হাল সনের হোল্ডিং ট্যাক্সের রশিদ
আবেদনকারী পিতা-মাতা/ অভিভাবকের মোবাইল নম্বর
শিশুর বয়স ৪৬ থেকে ৫ বছর হলেঃ
ইপিআই (টিকা) কার্ড / স্বাস্থ্য কর্মীর প্রত্যায়নপত্র (স্বাক্ষর ও সীলসহ)
পিতা ও মাতার অনলাইন জন্ম নিবন্ধন কপি (যদি থাকে)
পিতা ও মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি (যদি থাকে)
প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের প্রত্যয়নপত্র (স্বাক্ষর ও সীলসহ)
বাসার হোল্ডিং নম্বর এবং হাল সনের হোল্ডিং ট্যাক্সের রশিদ
আবেদনকারী পিতা-মাতা/ অভিভাবকের মোবাইল নম্বর
জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে করার নিয়ম ২০২৪
Jonmo nibondhon form online আবেদন ফরম জমা দেয়ার সময় ১ কপি রঙ্গিন পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
৫ বছরের বেশি শিশু বা ব্যক্তির জন্যঃ
বয়স প্রমাণের জন্য চিকিৎসক কর্তৃক প্রত্যয়ন পত্র (বাংলাদেশ মেডিক্যাল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল কর্তৃক স্বীকৃত এমবিবিএস বা তদূর্ধ্ব ডিগ্রিধারী)
সরকার কর্তৃক পরিচালিত প্রথমিক শিক্ষা সমাপনী, জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট বা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক পরিচালিত মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট
পিতা ও মাতার অনলাইন জন্ম নিবন্ধন কপি (যদি থাকে)
পিতা ও মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি (যদি থাকে)
অথবা, জন্মস্থান বা স্থায়ী ঠিকানা প্রমাণের জন্য পিতা / মাতা/ পিতামহ / পিতামহীর দ্বারা স্বনামে স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে ঘোষিত আবাস স্থলের বিপরীতে হালনাগাদ কর পরিশোধের প্রমানপত্র
অথবা, জমি অথবা বাড়ি ক্রয়ের দলিল, খাজনা ও কর পরিশোধ রশিদ। (নদীভাঙ্গন অন্য কোন কারনে স্থায়ী ঠিকানা বিলুপ্ত হলে)
জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে করার নিয়ম ২০২৫
অনলাইন জন্ম নিবন্ধন
নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম পূরণ করার নিয়ম
আমাদের অনেকেই জানেন না জন্ম নিবন্ধন কোথায় করতে হয়। তাই এই ব্লগে আমি সব কিছু বিস্তারিত শেয়ার করলাম।
অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন আবেদনের পুরাতন ওয়েবসাইটটি পরিবর্তন করে নতুন ওয়েবসাইট চালু করা হয়েছে। বর্তমানে জন্ম নিবন্ধন নতুন লিংক হচ্ছে – https://bdris.gov.bd/
জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন।
ধাপ #১: নিবন্ধনাধীর ব্যক্তির পরিচিতি ও জন্মস্থানের ঠিকানা
অনলাইনে আবেদনের জন্য প্রথমে আপনার কম্পিউটার থেকে https://bdris.gov.bd/ এই লিংকে ভিজিট করুন। এখানে নিচের মত একটি পেইজ পাবেন।
নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন
আপনি কোন ঠিকানায় জন্ম নিবন্ধন করাতে চান, এখানে তা বাছাই করুন।
জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম পূরণ
অর্থাৎ যে ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশন থেকে জন্ম নিবন্ধন করতে চান, সেটি নিবন্ধনাধীন শিশু বা ব্যক্তির কোন ঠিকানায় তা এখানে নির্বাচন করে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।
নামের ২ টি অংশ থাকলে ১ম অংশটি নামের প্রথম অংশের ঘরে লিখবেন ও ২য় অংশটি নামের শেষের অংশে লিখবেন।
যদি নামের ৩টি অংশ থাকে ১ম ২টি অংশ নামের প্রথম অংশে লিখবেন এবং শেষ অংশটি নামের শেষের অংশের ঘরে লিখবেন।
যদি নাম ১ শব্দে হয় অর্থাৎ নামের অংশ ১টি হয়, এক্ষেত্রে প্রথম অংশ খালি থাকবে। শুধুমাত্র নামের শেষ অংশে নাম লিখবেন।
একইভাবে ইংরেজিতেও পূরণ করবেন। এছাড়া, অন্যান্য তথ্যসমূহ ও জন্মস্থানের ঠিকানা সঠিকভাবে পূরণ করুন।
সবশেষে ডান পাশের পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।
ধাপ #২: পিতা ও মাতার তথ্য – Father’s and Mother’s Information
এই ধাপে নিবন্ধনাধীন শিশু বা ব্যক্তির পিতা ও মাতার অনলাইন বা ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন নম্বর ও জাতীয়তা দিতে হবে।
জন্ম নিবন্ধন আবেদন
এখানে পিতা-মাতার ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন নম্বর লিখার পর স্বয়ংক্রীয়ভাবে নামসমূহ আসবে। এগুলো আপনি এডিট করতে পারবেন না।
এজন্য, পিতা মাতার জন্ম নিবন্ধনটি ডিজিটাল বা অনলাইন কিনা তা অবশ্যই আগে যাচাই করে নিবেন। বাবা মায়ের জন্ম নিবন্ধন তথ্য অনলাইনে না থাকলে, শিশুর জন্ম নিবন্ধন আবেদন করা যাবেনা।
নিচের লিংক থেকে চেক করে দেখুন জন্ম নিবন্ধন ডিজিটাল কিনা।
জন্ম নিবন্ধন যাচাই
তবে, নিবন্ধনাধীন ব্যক্তির জন্ম তারিখ ২০০০ সাল বা তার পূর্বে হলে, পিতা-মাতার নাম লিখে দিতে পারবেন এবং পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন নম্বর না থাকলেও চলবে।
তথ্যগুলো পূরণ করা শেষে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।
ধাপ #৩: স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা – Present and Permanent Address
এ পর্যায়ে আপনাকে বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানার তথ্য প্রদান করতে হবে। নিচের ছবিটি দেখুন।
জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম পূরণ করার নিয়ম
এখান থেকে, কোনটিই নয় বাটনে ক্লিক করুন। এরপর নিচের ছবির মত ঠিকানা দেওয়ার অপশন পাবেন।
জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম পূরণ করার নিয়ম
স্থায়ী ঠিকানার ক্ষেত্রে, জন্মস্থান ও স্থায়ী ঠিকানা একই হলে চেক বক্সে টিক দিন (লাল বক্সে চিহ্নিত)। এছাড়া বর্তমান ঠিকানার ক্ষেত্রেও স্থায়ী ঠিকানা ও বর্তমান ঠিকানা একই হলে (লাল বক্সে চিহ্নিত) চেক বক্সে টিক দিন।
অন্যথায়, ঠিকানাগুলো নির্বাচন করে দিন এবং গ্রাম, বাসা ও সড়ক নম্বর লিখে দিন। এরপর পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।
ধাপ #৪: আবেদনকারীর তথ্য
এ ধাপে যিনি এই জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করছেন, তার তথ্য দিতে হবে। সাধারণত একটি শিশুর জন্ম নিবন্ধনের জন্য দায়ী ব্যক্তি হচ্ছেন পিতা, মাতা, পিতামহ, পিতামহী, মাতামহ, মাতামহী বা আইনগত অভিভাবক। তাই শিশুর জন্ম নিবন্ধনের আবেদন তারাই করে থাকেন।
তাছাড়া আপনি নিজেও নিজের জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে পারেন। নিজে আবেদন করলে নিজ সিলেক্ট করুন। অথবা, পিতা, মাতা, পিতামহ, পিতামহী ইত্যাদি সিলেক্ট করবেন।
অনলাইন জন্ম নিবন্ধন আবেদন
সবকিছু ঠিক থাকলে ডান পাশের পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন এবং আবেদনটি সম্পন্ন করুন।
ধাপ #৫: নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন পত্র প্রিন্ট
সফলভাবে jonmo nibondhon online ফরমটি সাবমিট হলে আপনি জন্ম নিবন্ধন আবেদন পত্র প্রিন্ট করার অপশন পাবেন। জন্ম নিবন্ধন আবেদন প্রিন্ট করে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ/ পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশন অফিসে জমা দিতে হবে।
আবেদন প্রিন্ট করার সময় খেয়াল করবেন, প্রিন্টে যেন Headers and Footers information গুলো দেখা যায়। কারণ Header Information এ আপনার আবেদনের Application ID থাকবে। এছাড়া Application ID আর কোথাও দেখা যায় না।
যেহেতু Application ID ছাড়া আপনার জন্ম নিবন্ধনের আবেদনটি খুঁজে বের করা যাবে না, তাই জন্ম নিবন্ধন আবেদন প্রিন্ট কপিতে যেন অবশ্যই থাকে।
জন্ম নিবন্ধন আবেদন প্রিন্ট
জন্ম নিবন্ধন আবেদন প্রিন্ট করার সময়, Print Option থেকে More Settings এ ক্লিক করুন। এরপর Headers and Footers অপশনে টিক দেয়া না থাকলে টিক দিয়ে প্রিন্ট করুন।
আবেদনের সাথে অবশ্যই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করে জমা দিবেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন