অহংকার নিয়ে কুরআনের উক্তি
পবিত্র কুরআনে অহংকারের কুফল ও পরিণতি সম্পর্কে অনেক আয়াত রয়েছে।
- "অহংকারবশে তুমি মানুষকে অবজ্ঞা করো না এবং পৃথিবীতে গর্বভরে পদচারণ করো না। নিশ্চয় আল্লাহ কোনো দাম্ভিক অহংকারীকে পছন্দ করেন না।" (সুরা লুকমান: ১৮)
আরো পড়ুনঃ ২
পিস চামড়ার বেল্ট ৬০০ টাকা কিনতে এখনই ক্লিক
করুন
আরো পড়ুনঃ
মোটা হওয়ার ইন্ডিয়ান গুড হেলথ কিনতে এখনই ক্লিক
করুন
এই আয়াতে আল্লাহ তায়ালা অহংকারীদেরকে অবজ্ঞা করার এবং তাদের সাথে গর্বভরে কথা বলার নিষেধ করেছেন। তিনি বলেছেন যে, আল্লাহ তায়ালা অহংকারীদেরকে পছন্দ করেন না।
- "এবং আমি আদমকে সৃষ্টি করেছি আমার রূপে এবং তার জন্য আমি সৃষ্টি করেছি তার স্ত্রীরূপে তার থেকেই হাওয়াকে। তারপর আমি তাদেরকে মিলিত করলাম এবং বললাম, তোমরা আমার প্রতি আসীন হও, প্রত্যেকে তাদের জোড়ার প্রতি। অতঃপর তারা আমার প্রতি আসীন হল এবং তারা আমার বান্দা এবং আমার রসূল।" (সুরা আরাফ: ১৮৯)
এই আয়াতে আল্লাহ তায়ালা আদমকে সৃষ্টির সর্বশ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন যে, আদমকে তাঁর নিজের রূপে সৃষ্টি করা হয়েছে। এ থেকে বোঝা যায় যে, মানুষকে অহংকার করার কোনো কারণ নেই।
- "তুমি কি দেখেছো যে, যে ব্যক্তি নিজের সম্পদকে তার প্রতিপত্তি মনে করে?" (সুরা হাক্কা: ২৮)
এই আয়াতে আল্লাহ তায়ালা সম্পদকে অহংকার করার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন যে, যে ব্যক্তি নিজের সম্পদকে তার প্রতিপত্তি মনে করে, সে অবশ্যই অহংকারী হবে।
অহংকার একটি মারাত্মক গুণাবলী। এটি মানুষের অন্তরে কুফুর ও বিদ্বেষের জন্ম দেয়। এটি মানুষের বিবেককে ম্লান করে দেয় এবং তাকে অন্যায় ও অবিচারের পথে পরিচালিত করে।
অহংকারীদের পরিণতি ভয়াবহ। আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে শাস্তি দেবেন এবং তাদেরকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন।
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে অহংকার থেকে বেঁচে থাকার এবং বিনয়ী ও নম্র হওয়ার তাওফিক দান করুন।
অহংকারের কিছু কুফল:
- অহংকার মানুষের বিবেককে ম্লান করে দেয়। এতে মানুষ সত্য ও মিথ্যার পার্থক্য বুঝতে পারে না।
- অহংকার মানুষের মধ্যে অন্যায় ও অবিচারের জন্ম দেয়। অহংকারীরা অন্যদেরকে ছোট মনে করে এবং তাদের সাথে অন্যায় করে।
- অহংকার মানুষের মধ্যে কুফুর ও বিদ্বেষের জন্ম দেয়। অহংকারীরা আল্লাহ তায়ালার প্রতি কৃতজ্ঞতাশীল হয় না এবং অন্যদের সাথে শত্রুতা করে।
অহংকার থেকে বেঁচে থাকার উপায়:
- আল্লাহ তায়ালার নিয়ামতের কথা স্মরণ করা। আল্লাহ তায়ালা মানুষকে অসংখ্য নিয়ামতে ভূষিত করেছেন। এসব নিয়ামতের কথা স্মরণ করলে মানুষ অহংকার থেকে দূরে থাকবে।
- নবী মুহাম্মদ (সা.) এর আদর্শ অনুসরণ করা। নবী মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন একজন অত্যন্ত বিনয়ী ও নম্র ব্যক্তি। তিনি কখনো অহংকার করেননি।
- অহংকার সম্পর্কে কুরআন ও হাদিসের শিক্ষা স্মরণ করা। কুরআন ও হাদিসে অহংকার সম্পর্কে অনেক ভয়ঙ্কর শাস্তির কথা বলা হয়েছে। এসব কথা স্মরণ করলে মানুষ অহংকার থেকে দূরে থাকবে।
আরো পড়ুনঃ লুব্রিকেন্ট জেল কিনতে
এখনই
ক্লিক করুন
আরো পড়ুনঃম্যাজিক কনডম কিনতে এখনই
ক্লিক করুন
আরো পড়ুনঃ দ্রুত চিকন হওয়ার ওষুধ DETOXI SLIM কিনতে এখনই ক্লিক করুন
আরো পড়ুনঃ
ন দিয়ে ছেলেদের নাম / ন দিয়ে ছেলেদের ইসলামিক নাম
অহংকার নিয়ে কুরআনের উক্তি ? পবিত্র কুরআনে অহংকারের কুফল ? অহংকারের কিছু কুফল ? অহংকার থেকে বেঁচে থাকার উপায়
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন