![]() |
মেছতা দূর করার ঘরোয়া পদ্ধতি |
মেছতা দূর করার ঘরোয়া পদ্ধতি মেছতা হল ত্বকের উপর বাদামী বা কালো রঙের ছোট ছোট দাগ। এটি সাধারণত মুখের দুই গাল, নাক, কপালে এবং ঠোঁটের উপর দেখা যায়। মেছতার কারণ হল অতিরিক্ত মেলানিন উৎপাদন। মেলানিন হল ত্বকের রঙের জন্য দায়ী একটি পিগমেন্ট।
মেছতা দূর করার ঘরোয়া পদ্ধতি
মেছতা দূর করার জন্য অনেক ধরনের ওষুধ এবং চিকিৎসা রয়েছে। তবে, ঘরোয়া পদ্ধতিও মেছতা দূর করতে কিছুটা সাহায্য করতে পারে।
মেছতা দূর করার ঘরোয়া পদ্ধতি:
- নিম: নিম একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি। এটি ত্বকের তেল নিঃসরণ কমাতে এবং মেলানিন উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। মেছতা দূর করতে নিমপাতার রস বা নিমপাতার পেস্ট ব্যবহার করা যেতে পারে।
- আদা: আদা একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি ত্বকের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে এবং মেলানিন উৎপাদন কমাতে সাহায্য করে। মেছতা দূর করতে আদা বাটা বা আদার রস ব্যবহার করা যেতে পারে।
- লেবু: লেবুতে রয়েছে ভিটামিন সি, যা একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি ত্বকের ব্রণ ও দাগ দূর করতে সাহায্য করে। মেছতা দূর করতে লেবুর রস ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে, লেবুর রসে থাকা অ্যাসিড ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। তাই লেবুর রস ব্যবহারের আগে ত্বকে সামান্য পরিমাণে লাগিয়ে পরীক্ষা করে নিতে হবে।
- টমেটো: টমেটোতে রয়েছে লাইকোপিন, যা একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি ত্বকের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে এবং মেলানিন উৎপাদন কমাতে সাহায্য করে। মেছতা দূর করতে টমেটোর রস বা টমেটোর পেস্ট ব্যবহার করা যেতে পারে।
মেছতা দূর করার জন্য ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহারের নিয়ম:
- উপরে উল্লেখিত যেকোনো একটি উপাদান ব্যবহার করে একটি পেস্ট তৈরি করুন।
- পেস্টটি ব্রণ আক্রান্ত স্থানে লাগান এবং ১৫-২০ মিনিট রেখে দিন।
- এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
- এই পদ্ধতিটি সপ্তাহে ২-৩ বার ব্যবহার করুন।
মেছতা দূর করার জন্য ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহারের সাবধানতা:
- যেকোনো নতুন পণ্য ব্যবহারের আগে ত্বকে সামান্য পরিমাণে লাগিয়ে পরীক্ষা করে নিন।
- যদি ত্বকে কোনো প্রকার অ্যালার্জি বা জ্বালাপোড়ার অনুভূতি হয়, তাহলে তা ব্যবহার করা বন্ধ করুন।
- মেছতা দূর করার জন্য ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহারের পাশাপাশি ত্বকের যত্ন নেওয়াও জরুরি। নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার করুন এবং সূর্যের আলো থেকে ত্বককে রক্ষা করুন।
মেছতা দূর করার জন্য চিকিৎসা:
মেছতা দূর করার জন্য অনেক ধরনের ওষুধ এবং চিকিৎসা রয়েছে। যেমন:
- ঔষধ: টপিক্যাল ট্রিটমেন্ট (যেমন, ট্রেটিনোইন, হাইড্রোকুইনোন, অ্যাজোল অ্যান্টিফাঙ্গাল), সিস্টেমিক ট্রিটমেন্ট (যেমন, ট্রেটিনোইন, রেটিনোয়িক অ্যাসিড, হাইড্রোকুইনোন)
- লেজার থেরাপি: পোরসাইডন লেজার, ফ্রাক্শনাল লেজার, ইত্যাদি
- পিলিং: কেমিক্যাল পিলিং, ডাইমিং পিলিং, ইত্যাদি
মেছতা দূর করার জন্য কোন চিকিৎসা সবচেয়ে কার্যকর তা নির্ভর করে মেছতার তীব্রতা, কারণ এবং রোগীর ব্যক্তিগত অবস্থার উপর। তাই মেছতা দূর করার জন্য কোন চিকিৎসা নেওয়া উচিত তা একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।
আরও পড়ুন: গ্যাস্টিকের ১০ টি ঔষধের নাম ও দাম শিশু ও বয়স্কদের
পুশ আপ ব্রা , বিকিনি, জাঙ্গিয়া , আন্ডারওয়ার সরাসরি কিনতে ক্লিক করুন: - এখনই কিনুন
আরও পড়ুন: কাশির ১০ টি ঔষধের নাম ও দাম শিশু ও বয়স্কদের
আরও পড়ুন: শিশু ও বয়স্কদের ১০ টি কৃর্মির ঔষধের নাম ও দাম
আরও পড়ুন: সর্দির ১০ টি ঔষধের নাম ও দাম শিশু ও বয়স্কদের
আরও পড়ুন: ১০ টি জ্বরের ঔষধের নাম ও খাওয়ার নিয়ম
আরও পড়ুন: লিং-গ মোটা করার ঔষধের নাম ও দাম
আরো পড়ুনঃ সাহাবিদের নামের তালিকা জেনে নিন
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন