হিংসা নিয়ে গল্প । ঈর্ষার পরিণাম

হিংসা নিয়ে গল্প

হিংসা নিয়ে গল্প

হিংসা

এক গ্রামে ছিল দুই ভাই, রবি আর রাজু। তারা এক মায়ের সন্তান হলেও তাদের বাবা ভিন্ন। রবি ছিল বড় ভাই, আর রাজু ছিল ছোট ভাই।

রবি ছিল খুবই মেধাবী আর বুদ্ধিমান। সে পড়ালেখায় খুব ভালো ছিল। আর রাজু ছিল খুবই দুষ্টু আর বেপরোয়া। সে পড়ালেখায় কোনো মনোযোগ দিত না।

রবির বাবা ছিল একজন ধনী ব্যবসায়ী। তিনি রবির পড়ালেখার জন্য সবকিছু করেছিলেন। রবি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে ভালো চাকরি পেল। আর রাজু কোনো চাকরি করল না। সে দিনরাত শুধু বেড়াতে যেত আর মজা করত।

রবির সফলতায় রাজু খুবই ঈর্ষা করত। সে মনে করত, রবি তার চেয়ে ভালো। সে রবির উপর রাগ করত।

একদিন রাজু রবিকে বলল, “তুমি সব সময় আমার উপর গর্ব করো। তুমি মনে করো, তুমি সবচেয়ে ভালো। কিন্তু আমি তোমাকে দেখাব, আমি তোমার চেয়েও ভালো হতে পারি।”

রবি রাজুর কথা শুনে হেসে বলল, “তুমি যদি সত্যিই ভালো হতে চাও, তাহলে পরিশ্রম করো। কিন্তু শুধু ঈর্ষা করে কিছু হবে না।”

রাজু রবির কথায় ক্ষিপ্ত হয়ে গেল। সে রবির উপর হামলে পড়ল। সে রবির গায়ে মারতে লাগল। রবি রাজুর থেকে ছোট হলেও সে খুবই শক্তিশালী ছিল। সে রাজুর মার থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারল। সে রাজুকে ধরে ফেলল।

রবি রাজুকে বলল, “রাজু, তুমি কেন আমাকে মারছ? আমি তো তোমার কিছুই করিনি।”

রাজু বলল, “তুমি আমাকে সবসময় হেয় করো। তুমি মনে করো, তুমি সবচেয়ে ভালো। কিন্তু আমি তোমাকে দেখাব, আমি তোমার চেয়েও ভালো হতে পারি।”

রবি বলল, “রাজু, ঈর্ষা একটি খারাপ জিনিস। ঈর্ষা মানুষকে অন্ধ করে দেয়। তুমি যদি সত্যিই ভালো হতে চাও, তাহলে ঈর্ষা থেকে বেরিয়ে আসো। আর পরিশ্রম করো। তাহলে তুমি সফল হতে পারবে।”

রাজু রবির কথা শুনে কিছুটা বুঝতে পারল। সে রবির কাছে ক্ষমা চাইল। রবি রাজুকে ক্ষমা করে দিল।

রাজু রবির কথা শুনে পরিশ্রম করতে শুরু করল। সে পড়াশোনায় মনোযোগ দিল। আর কিছুদিন পর রাজুও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শুরু করল।

রাজু রবির মতো মেধাবী না হলেও সে খুব পরিশ্রমী ছিল। সে পড়াশোনায় ভালো রেজাল্ট করল। আর ভালো চাকরি পেল।

রাজু এখন রবির মতো একজন সফল মানুষ। সে রবির সাথে ভালো সম্পর্ক রাখে। সে রবির কথা মনে রেখে ঈর্ষা থেকে দূরে থাকে।

এই গল্প থেকে আমরা শিখতে পারি যে, ঈর্ষা একটি খারাপ জিনিস। ঈর্ষা মানুষকে অন্ধ করে দেয়। ঈর্ষা থেকে বেরিয়ে এসে পরিশ্রম করলেই সফলতা পাওয়া যায়।

ঈর্ষার পরিণাম

হিংসা

এক গ্রামে ছিল দুই বন্ধু, অজয় আর সুজয়। তারা দুজনেই ছিল খুবই ভালো মানুষ। তারা দুজনেই খুবই মেধাবী আর পরিশ্রমী ছিল।

অজয় ছিল একজন দরিদ্র পরিবারের ছেলে। তার বাবা ছিল একজন কৃষক। আর সুজয় ছিল একজন ধনী পরিবারের ছেলে। তার বাবা ছিল একজন ব্যবসায়ী।

দুজন বন্ধুই একই স্কুলে পড়ত। স্কুলে তারা সবসময় একসাথে থাকত। তারা একসাথে খেলত, পড়ত, আর বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিত।

স্কুলের পড়াশোনায় দুজন বন্ধুই সমান ভালো ছিল। কিন্তু সুজয়ের বাবা তাকে সবসময় ভালো জিনিসপত্র কিনে দিত। আর অজয়ের বাবা তাকে শুধু প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রই কিনে দিত।

সুজয়ের বাবা তার ছেলেকে সবসময় বলত, “তুমি যেন অজয়ের চেয়ে ভালো হও। তুমি যেন সবসময় সবার সেরা হও।”

সুজয় তার বাবার কথা শুনে অজয়ের প্রতি ঈর্ষা করতে শুরু করল। সে মনে করতে লাগল, অজয় তার চেয়ে ভালো। সে অজয়কে হিংসা করতে লাগল।

একদিন স্কুলের পরীক্ষার রেজাল্ট বের হল। অজয় আর সুজয় দুজনেই ভালো রেজাল্ট করল। কিন্তু অজয় সুজয়ের চেয়ে কিছুটা ভালো রেজাল্ট করল।

সুজয় পরীক্ষার রেজাল্ট দেখে খুবই হতাশ হল। সে অজয়ের উপর রাগ করতে লাগল। সে মনে করতে লাগল, অজয় তার থেকে ভালো রেজাল্ট করেছে শুধুমাত্র তার বাবার টাকার কারণে।

সুজয় অজয়ের সাথে দেখা করে বলল, “তুমি আমার থেকে ভালো রেজাল্ট করেছ শুধুমাত্র তোমার বাবার টাকার কারণে। তুমি নিজের যোগ্যতায় ভালো রেজাল্ট করতে পারোনি।”

অজয় সুজয়ের কথা শুনে হেসে বলল, “আমি আমার যোগ্যতায় ভালো রেজাল্ট করেছি। আমি পরিশ্রম করে এই রেজাল্ট করেছি। আমি তোমার বাবার টাকার জন্য কিছুই করিনি।”

সুজয় অজয়ের কথা শুনে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে গেল। সে অজয়ের উপর হামলে পড়ল। সে অজয়কে মারতে লাগল।

অজয়ের বাবা সুজয়ের মার দেখে সেখানে এসে হাজির হল। সে সুজয়কে ধরে ফেলল।

অজয়ের বাবা সুজয়কে বলল, “তুমি কেন অজয়ের উপর হামলা করছ? সে তো তোমার বন্ধু।”

সুজয় বলল, “সে আমার বন্ধু না। সে আমার শত্রু। সে আমার চেয়ে ভালো। সে সবসময় আমাকে হিংসা করে।”

অজয়ের বাবা সুজয়কে বলল, “হিংসা একটি খারাপ জিনিস। হিংসা মানুষকে অন্ধ করে দেয়। তুমি যদি সত্যিই ভালো হতে চাও, তাহলে ঈর্ষা থেকে বেরিয়ে আসো। আর পরিশ্রম করো। তাহলে তুমিও সফল হতে পারবে।”

সুজয় অজয়ের বাবার কথা শুনে কিছুটা বুঝতে পারল। সে অজয়ের কাছে ক্ষমা চাইল। অজয় সুজয়ের ক্ষমা করে দিল।

সুজয় অজয়ের বাবার কথা শুনে ঈর্ষা থেকে বেরিয়ে আসতে শুরু করল। সে পরিশ্রম করতে শুরু করল। সে পড়াশোনায় মনোযোগ দিল।

এক সময় সুজয়ও অজয়ের মতো একজন সফল মানুষ হয়ে উঠল। সে অজয়ের সাথে ভালো সম্পর্ক রাখে। সে অজয়ের বাবার কথা মনে রেখে ঈর্ষা থেকে দূরে থাকে।

এই গল্প থেকে আমরা শিখতে পারি যে, হিংসা একটি খারাপ জিনিস। ঈর্ষা মানুষকে অন্ধ করে দেয়। ঈর্ষা থেকে বেরিয়ে এসে পরিশ্রম করলেই সফলতা পাওয়া যায়।

হিংসা নিয়ে গল্প । ঈর্ষার পরিণাম

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন