শবে বরাতের ফজিলত । শবে বরাত এর ফজিলত

শবে বরাতের ফজিলত

শবে বরাতের ফজিলত । ফার্সি ভাষায় "শব" অর্থ রাত এবং "বারাআত" অর্থ মুক্তি। সুতরাং, শবে বরাত অর্থ মুক্তির রাত। এ রাতে আল্লাহ তা'আলা বান্দাদের গুনাহ মাফ করেন এবং তাদের ভাগ্য লিপিবদ্ধ করেন।

আরো পড়ুনঃ পিস চামড়ার বেল্ট ৬০০ টাকা কিনতে এখনই ক্লিক করুন

আরো পড়ুনঃ মোটা হওয়ার ইন্ডিয়ান গুড হেলথ কিনতে এখনই ক্লিক করুন

শবে বরাতের ফজিলত

শবে বরাতের ফজিলত সম্পর্কে হাদিসে বর্ণিত হয়েছে:

  • রাসুল (সাঃ) বলেছেন: "শাবান মাসের পনের তারিখের রাত যখন হয়, তখন রাতের শেষভাগে আল্লাহ তা'আলা জাহান্নামের দিকে তাকান এবং বলেন, 'হে জাহান্নাম! আজ আমি তোমার থেকে এক লাখ লোককে মুক্তি দিচ্ছি যারা ক্ষমা চেয়েছে।'" (তিরমিযী)
শবে বরাত এর ফজিলত


  • আবু মুসা আশ'আরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত: "রাসুল (সাঃ) আমাদেরকে শাবান মাসের পনের তারিখের রাতে রোজা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন এবং বলেছেন, 'এই রাতে আল্লাহ তা'আলা পূর্বের ও পরের বছরের রিযিক বন্টন করেন এবং এই রাতে আগামী বছরের যত শিশু জন্মগ্রহণ করবে এবং যত লোক মারা যাবে তাদের নাম লেখা হয়।'" (মুসলিম)

শবে বরাতের রাতে আমাদের করণীয়:

  • রাত জেগে ইবাদত করা। যেমন: নফল নামাজ, বেশি বেশি কাজা নামাজ আদায়, তাহাজ্জুদ, দোয়া-মুনাজাত, তাসবীহ, কুরআন তেলাওয়াত ইত্যাদি।
  • রোজা রাখা।
  • ক্ষমা প্রার্থনা করা।
  • দান-সদকা করা।
  • গরিব-দুঃখীদের খাবার খাওয়ানো।
  • পরিবার-পরিজন ও মুসলিম উম্মাহর জন্য দোয়া করা।

শবে বরাতের রাতে বর্জনীয়:

  • এই রাতে বিশেষ কোন আমল বা নামাজ ফরজ নয়। তাই রাসুল (সাঃ) ও সাহাবা (রাঃ) কর্তৃক প্রমাণিত নয় এমন আমল করা থেকে বিরত থাকা উচিত।
  • এই রাতে রাত জাগার নামে গান বাজনা, খেলাধুলা, আতসবাজি ফোটানো ইত্যাদি করা যাবে না।
  • এই রাতকে 'লাইলাতুল কদর' বলা ঠিক নয়। কারণ 'লাইলাতুল কদর' রমজান মাসের শেষ দশকে অবস্থিত।

উদাহরণ:

  • শবে বরাতের রাতে রাসুল (সাঃ) কিভাবে ইবাদত করতেন?

হাদিসে বর্ণিত আছে, রাসুল (সাঃ) এই রাতে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে নামাজ পড়তেন। তিনি তাহাজ্জুদের নামাজ পড়তেন এবং বারবার আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতেন।

  • শবে বরাতের রাতে কী কী দোয়া করা যেতে পারে?

এই রাতে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা, রিযিক বৃদ্ধি, সুস্থতা, জান্নাত লাভ,

আশা করি, শবে বরাতের ফজিলত সম্পর্কে এই তথ্য আপনাদের জন্য দরকারী হবে।


শবে বরাত এর ফজিলত


ফার্সি ভাষায় "শব" অর্থ রাত এবং "বারাত" অর্থ মুক্তি। সুতরাং, শবে বরাত অর্থ "মুক্তির রাত"।

এই রাতের ফজিলত অপরিসীম। হাদিস শরীফে এর ফজিলত সম্পর্কে বর্ণিত হয়েছে।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত:

  • ক্ষমা ও মাগফিরাতের রাত: এই রাতে আল্লাহ তা'আলা সৃষ্টিকুলের প্রতি রহমতের দৃষ্টি দান করেন এবং মুশরিক ও হিংসুক ছাড়া সকলকে ক্ষমা করে দেন।

  • রিজিক নির্ধারণ: এই রাতে আগামী এক বছরের রিজিক নির্ধারণ করা হয়।

  • আমলনামা পেশ: এই রাতে গত এক বছরের আমলনামা আল্লাহ তা'আলার দরবারে পেশ করা হয়।

  • মৃত্যু ও জন্ম নির্ধারণ: এই রাতে আগামী এক বছরে কতজন মারা যাবে এবং কতজন জন্মগ্রহণ করবে তা নির্ধারণ করা হয়।

  • দোয়া কবুলের রাত: এই রাতে আল্লাহ তা'আলা বান্দাদের দোয়া কবুল করেন।

শবে বরাতের করণীয়:

  • রাত জেগে ইবাদত করা: নফল নামাজ, তেলাওয়াতে কুরআন, দোয়া, জিকির ইত্যাদি।

  • রোযা রাখা: পরবর্তী দিন রোযা রাখা সুন্নত।

  • দান-সদকা করা: ফকির-মিসকিনদের দান-সদকা করা।

  • ক্ষমা চাওয়া: আল্লাহ তা'আলার কাছে গুনাহের জন্য ক্ষমা চাওয়া।

  • পরিবার-পরিজনের জন্য দোয়া করা: নিজের ও পরিবার-পরিজনের জন্য দোয়া করা।

শবে বরাতের বর্জনীয়:

  • এই রাতকে বিশেষভাবে পালনের জন্য কোন নির্দিষ্ট আমল নেই।
  • এই রাতে বিশেষ কোন নামাজ নেই।
  • এই রাতে কবর জিয়ারত করা নিষেধ।
  • এই রাতে মেলা-উৎসব করা নিষেধ।

মনে রাখা জরুরি:

  • শবে বরাতের ফজিলত সম্পর্কে বর্ণিত হাদিসগুলোর মধ্যে কিছু দুর্বল।
  • তাই, এই রাতের ফজিলত সম্পর্কে অতিরঞ্জিত ধারণা করা উচিত নয়।
  • বরং, আমাদের উচিত আল্লাহ তা'আলার কাছে ক্ষমা চাওয়া, দোয়া করা এবং ইবাদত-বন্দেগীতে মনোনিবেশ করা।

আশা করি এই তথ্যগুলো আপনার জন্য উপকারী হবে।

আরো পড়ুনঃম্যাজিক কনডম কিনতে এখনই ক্লিক করুন

আরো পড়ুনঃ দ্রুত চিকন হওয়ার ওষুধ DETOXI SLIM কিনতে এখনই ক্লিক করুন

আরো পড়ুনঃ আ দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নাম/ আ দিয়ে মেয়েদের  ইসলামিক নাম

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন