শবে বরাতের ফজিলত আল কাউসার । শবে বরাতের ফজিলত: আল কাউসারের দৃষ্টিকোণ
শবে বরাতের ফজিলত আল কাউসার
শবে বরাত ইসলামের অন্যতম ফজিলতপূর্ণ রজনী। মুসলমানরা এই রাতে রাত জেগে ইবাদত-বন্দেগী করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা ও রহমতের প্রার্থনা করে থাকেন।
আরো পড়ুনঃ ২
পিস চামড়ার বেল্ট ৬০০ টাকা কিনতে এখনই ক্লিক
করুন
আরো পড়ুনঃ
মোটা হওয়ার ইন্ডিয়ান গুড হেলথ কিনতে এখনই ক্লিক
করুন
আল কাউসার পত্রিকা শবে বরাতের ফজিলত সম্পর্কে বারবার আলোচনা করেছে। তাদের আলোচনার মূল ভাবনার নির্যাস নিম্নরূপ:
ফজিলতের প্রমাণ:
- সহীহ হাদিস: শবে বরাতের ফজিলতের ব্যাপারে বেশ কিছু সহীহ হাদিস বর্ণিত হয়েছে।
- হযরত মুয়াজ ইবনে জাবাল (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেন, "আল্লাহ তা'আলা অর্ধ শা'বানের রাতে (শা'বানের চৌদ্দ তারিখ দিবাগত রাতে) সৃষ্টির দিকে (রহমতের) দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষ পোষণকারী ব্যতিত সবাইকে ক্ষমা করে দেন।" (সহীহ ইবনে হিব্বান)
- হযরত আ'লা ইবনুল হারিছ (রা.) থেকে বর্ণিত, উম্মুল মু'মিনীন হযরত আয়েশা (রা.) বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ (সাঃ) রাতে নামাযে দাঁড়ালেন এবং এত দীর্ঘ সেজদা করলেন যে, আমার আশঙ্কা হল, তাঁর হয়তো ইনতেকাল হয়ে গেছে।
- উলামাদের ঐকমত্য: মুসলিম উলামাদের অধিকাংশই শবে বরাতের ফজিলতের ব্যাপারে ঐকমত্য পোষণ করেন।
- মুসলিম উলামাদের অধিকাংশই শবে বরাতের ফজিলতের ব্যাপারে ঐকমত্য পোষণ করেন।
- ইমাম আয-যুহরী (রহ.), ইমাম আন-নববী (রহ.), ইমাম ইবনুল হাজার (রহ.) প্রমুখ বিখ্যাত উলামা শবে বরাতের ফজিলতের সপক্ষে মত দিয়েছেন।
গুরুত্বপূর্ণ দিক:
- ইবাদত-বন্দেগী: এই রাতে রাত জেগে ইবাদত-বন্দেগী করা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ।
- ক্বিয়ামুল লাইল: নফল নামায, তাহাজ্জুদ, দোয়া, তাসবীহ, তেলাওয়াত ইত্যাদি আমল করা উচিত।
- ক্ষমা প্রার্থনা: গোনাহের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা।
- দান-খয়রাত: দান-খয়রাত করার মাধ্যমে দরিদ্রদের সাহায্য করা।
ভ্রান্ত ধারণা ও কুসংস্কার:
- বিশেষ নামাজ: শবে বরাতের রাতে বিশেষ নামাজের কোনো ভিত্তি নেই।
- হালুয়া-রুটি বানানো: হালুয়া-রুটি বানানোর সাথে শবে বরাতের কোনো সম্পর্ক নেই।
- মৃতদের জন্য খাবার বানানো: মৃতদের জন্য খাবার বানানোর কোনো প্রমাণ নেই।
আল কাউসারের পরামর্শ:
- মধ্যমপন্থা: শবে বরাত উদ্যাপনের ক্ষেত্রে মধ্যমপন্থা অবলম্বন করা উচিত।
- প্রমাণের উপর ভিত্তি: শুধুমাত্র প্রমাণিত আমল করা উচিত।
- কুসংস্কার পরিহার: ভ্রান্ত ধারণা ও কুসংস্কার পরিহার করা উচিত।
উল্লেখ্য যে, আল কাউসার শবে বরাতের ফজিলতের ব্যাপারে সঠিক ও ভারসাম্যপূর্ণ দিকগুলো তুলে ধরে থাকে।
শবে বরাতের রাতে আমাদের সকলের উচিত আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা, ইবাদত-বন্দেগীতে মনোনিবেশ করা এবং দান-খয়রাতের মাধ্যমে দরিদ্রদের সাহায্য করা।
আরও জানতে আল কাউসার পত্রিকার শবে বরাত সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রবন্ধ ও আলোচনা পড়ুন।
শবে বরাতের ফজিলত: আল কাউসারের দৃষ্টিকোণ (বিস্তারিত )
- গুরুত্বপূর্ণ দিক:
-
ইবাদত-বন্দেগী:
- এই রাতে রাত জেগে ইবাদত-বন্দেগী করা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ।
- নফল নামায: তাஹাজ্জুদ, চাশতের নামায, ইত্যাদি নফল নামায পড়া।
- দোয়া: আল্লাহর কাছে ক্ষমা, রহমত, জান্নাত প্রাপ্তির জন্য দোয়া করা।
- তাসবীহ: "সুবহানাল্লাহ, ওয়ালহামদুলিল্লাহ, ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াল্লাহু আকবার"
- তেলাওয়াত: কুরআন তেলাওয়াত করা।
-
ক্ষমা প্রার্থনা:
- গোনাহের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা।
- ইস্তেগফার: "আস্তাগফিরুল্লাহাল 'আযিম" বারবার বলা।
-
দান-খয়রাত:
- দান-খয়রাত করার মাধ্যমে দরিদ্রদের সাহায্য করা।
- ফিতরা: ঈদের পূর্বে ফিতরা আদায় করা।
শবে বরাত মুসলিমদের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ রজনী। এটি শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে পালিত হয়। আল কাউসার, একটি জনপ্রিয় ইসলামিক মাসিক, শবে বরাতের ফজিলত সম্পর্কে বিভিন্ন সময়ে আলোচনা প্রকাশ করেছে।
আল কাউসার অনুসারে শবে বরাতের কিছু ফজিলত:
- এ রাতে আল্লাহ তায়ালা সৃষ্টির দিকে রহমতের দৃষ্টি দান করেন।
- এ রাতে আল্লাহ তায়ালা বান্দাদের গুনাহ মাফ করেন।
- এ রাতে আল্লাহ তায়ালা বান্দাদের ভাগ্যলিপি লিখেন।
- এ রাতে জান্নাতের দরজা খোলা থাকে।
- এ রাতে বান্দাদের দোয়া কবুল করার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
আল কাউসার শবে বরাতের রাতে যেসব আমল করার পরামর্শ দেয়:
- রাত জেগে ইবাদত করা।
- নফল নামাজ পড়া।
- কুরআন তেলাওয়াত করা।
- দোয়া ও তওবা করা।
- সদকা ও খয়রাত করা।
আল কাউসার শবে বরাতের রাতে কিছু বিদআত ও কুসংস্কার সম্পর্কেও সতর্ক করে। যেমন:
- এ রাতে বিশেষ নামাজ পড়ার কোন নির্দিষ্ট পদ্ধতি নেই।
- এ রাতে কবর জিয়ারত করা বিদআত।
- এ রাতে 'চাঁদ রাত' পালন করা বিদআত।
আল কাউসার মনে করে শবে বরাত আল্লাহর রহমত ও মাগফিরাত লাভের একটি সুবর্ণ সুযোগ। এই রাতে বান্দাদের উচিত আন্তরিকতার সাথে ইবাদত-বন্দেগী করা এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা ও দান প্রার্থনা করা।
মনে রাখবেন:
- শবে বরাতের ফজিলত সম্পর্কে সহীহ হাদিসের উপর ভিত্তি করে জ্ঞান অর্জন করা গুরুত্বপূর্ণ।
- বিদআত ও কুসংস্কার থেকে সাবধান থাকা উচিত।
- আন্তরিকতার সাথে ইবাদত-বন্দেগী করা才是最重要的。
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন