রোজার দোয়া
সেহরির দোয়া:
اللَّهُمَّ إِنِّي نَوَيْتُ صَوْمَ غَدٍ عَنْ أَدَاءِ فَرْضِ رَمَضَانَ هَذِهِ السَّنَةِ لِكَ مِنْ وُجُوبِهِ عَلَى الْمُسْلِمِينَ إِخْلاَصًا وَتَقَرُّبًا إِلَيْكَ يَا أَرْحَمَ الرَّاحِمِينَ
উচ্চারণ:
আল্লাহুম্মা ইন্নী নাওয়াইতু ছওমা গাদিন 'আনা আদায়ে ফরজি রমজানা হাযিহিস সানাতি লিকা মিন ওয়ুজুবিহি 'আলাল মুসলিমীনা ইখলাছান ওয়া তাকাররুবান ইলাইকা ইয়া আরহামার রাহিমীন।
আরো পড়ুনঃ ২
পিস চামড়ার বেল্ট ৬০০ টাকা কিনতে এখনই ক্লিক
করুন
পড়ুনঃ
মোটা হওয়ার ইন্ডিয়ান গুড হেলথ কিনতে এখনই ক্লিক
করুন
অর্থ:
হে আল্লাহ, আমি আগামীকাল পবিত্র রমজানের তোমার পক্ষ থেকে নির্ধারিত ফরজ রোজা রাখার ইচ্ছা পোষণ (নিয়্যত) করলাম। অতএব তুমি আমার পক্ষ থেকে (আমার রোযা তথা পানাহার থেকে বিরত থাকাকে) কবুল কর, নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞানী।
ইফতারের দোয়া:
اللَّهُمَّ إِنِّي أَفْطَرْتُ عَلَى رِزْقِكَ وَأَنْتَ أَكْرَمُ الرَّازِقِينَ
উচ্চারণ:
আল্লাহুম্মা ইন্নী আফতারতু 'আলা রিযক্বিকা ওয়া 'আনতু আকরামুর রাযিক্বীন।
অর্থ:
হে আল্লাহ, আমি তোমারই দেয়া রিজিজের মাধ্যমে ইফতার করছি।
রোজার অন্যান্য দোয়া:
- সাহারির পর:
اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِي سَحَرِنَا وَتَقَبَّلْ مِنَّا صِيَامَنَا وَصَلَّى اللَّهُ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِهِ وَصَحْبِهِ وَسَلَّمَ
- ইফতারের পর:
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ بِرَحْمَتِكَ الَّتِي وَسِعَتْ كُلَّ شَيْءٍ أَنْ تَغْفِرَ لِي ذُنُوبِي وَذُنُوبَ وَالِدَيَّ وَمَنْ لَهُ حَقٌّ عَلَيَّ يَا أَرْحَمَ الرَّاحِمِينَ
- তাওয়ারাতে:
اللَّهُمَّ إِنَّكَ عَفُوٌّ كَرِيمٌ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّي
রোজার فضیلت:
রোজা রাখার মাধ্যমে একজন মুমিন আল্লাহর অশেষ রহমত ও মাগফিরাতের ভাগীদার হতে পারেন। রমজান মাসকে 'মাসে রহমত', 'মাসে মাগফিরাত' এবং 'মাসে নাজাত' বলা হয়। এই মাসে রোজা রাখার মাধ্যমে একজন মুমিন তার পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সকল গুনা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
রোজার নিয়ম
রোজা ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। রমজান মাসের প্রতিটি দিন সুবহে সাদিক (ভোরের আলো ফোটার পর) থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সকল প্রকার পানাহার, স্ত্রী-সঙ্গম এবং অন্যান্য পাপাচার থেকে বিরত থাকাকে রোজা বলে।
রোজার নিয়ম:
১. নিয়ত:
- সুবহে সাদিকের পূর্বে রোজার নিয়ত করা ফরজ।
- নিয়ত মনে মনে করা যায়, তবে মুখে পড়া সুন্নত।
- নিয়তের সহজ বাংলা উচ্চারণ: "আমি আল্লাহর রিযার জন্য আজকের ফরজ রোজা রাখার নিয়ত করলাম।"
২. সেহরি:
- সুবহে সাদিকের পূর্বে সেহরি খাওয়া সুন্নত।
- সেহরির সময় শেষ হওয়ার পূর্বে খাওয়া উচিত।
৩. ইফতার:
- সূর্যাস্ত হওয়ার সাথে সাথে ইফতার করা উচিত।
- খেজুর দিয়ে ইফতার করা সুন্নত।
৪. রোজার কাজা:
- কোন কারণে রোজা ভঙ্গ হলে কাজা আদায় করা ওয়াজিব।
- কাজা রমজান মাসের বাইরে যেকোন সময় আদায় করা যায়।
৫. রোজার ফজিলত:
- রোজা গুনাহ মাফের ও জান্নাত লাভের কারণ।
- রোজা ধৈর্য্য, সংযম এবং সহানুভূতি বৃদ্ধি করে।
রোজা ভঙ্গের কারণ:
- ইচ্ছাকৃতভাবে পানাহার বা স্ত্রী-সঙ্গম করা।
- বমি করানো।
- মুখ দিয়ে জল বা অন্য কোন তরল পদার্থ গিলে ফেলা।
- ধূমপান করা।
- সূর্যাস্তের পূর্বে ইফতার করা।
রোজার বিধি-নিষেধ সম্পর্কে আরও জানতে নিম্নলিখিত লিঙ্কগুলো দেখতে পারেন:
রোজার নিয়ত ও ইফতারের দোয়া । নফল রোজার নিয়ত আরবি
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন