বিতর্কের শুরুতে কি বলতে হয় । বিতর্কের শুরুতে কি বলতে হবে তা নির্ভর করে বিতর্কের ধরণ, বিষয়, আপনার ভূমিকা (স্বপক্ষ/বিপক্ষ) এবং বিতর্কের নিয়মকানুনের উপর।
বিতর্কের শুরুতে কি বলতে হয়
বিতর্কের শুরুতে, আপনাকে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি উল্লেখ করতে হবে:
১. আত্মপরিচয়:
- আপনার নাম, প্রতিষ্ঠানের নাম, এবং আপনি কোন দলের (পক্ষ/বিপক্ষ) পক্ষ থেকে বিতর্কে অংশগ্রহণ করছেন তা স্পষ্টভাবে বলুন।
২. বিষয়বস্তুর সংজ্ঞা:
- বিতর্কের বিষয়টি স্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করুন।
- প্রয়োজনে, বিষয়টির গুরুত্ব ও প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরুন।
৩. অবস্থান স্পষ্ট করা:
- আপনার দলের অবস্থান স্পষ্টভাবে ও সংক্ষেপে বলুন।
- আপনার দল বিষয়টির পক্ষে/বিপক্ষে কেন তা সংক্ষিপ্তভাবে ব্যাখ্যা করুন।
৪. যুক্তির রূপরেখা:
- আপনার বক্তব্যের মূল যুক্তিগুলির রূপরেখা সংক্ষেপে উপস্থাপন করুন।
- প্রতিটি যুক্তির জন্য আপনার কাছে কী কী প্রমাণ আছে তার ইঙ্গিত দিন।
৫. প্রতিপক্ষের প্রতি শ্রদ্ধা:
- প্রতিপক্ষের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করুন।
- তাদের যুক্তিকে অগ্রাহ্য না করে বরং আপনার যুক্তির মাধ্যমে তার খণ্ডন করার আগ্রহ প্রকাশ করুন।
বিতর্কের ধরণ:
- যদি বিতর্কের ধরণ নির্দিষ্ট থাকে (যেমন, ব্রিটিশ পার্লামেন্টারি, অ্যাসোসিয়েশন ফর ডিবেট, ইত্যাদি) তাহলে সেই ধরণ অনুযায়ী আপনার বক্তব্য গঠন করুন। উদাহরণ: "এই বিতর্ক ব্রিটিশ পার্লামেন্টারি ধরণের অনুসরণ করবে।"
উদাহরণ:
"সম্মানিত সভাপতি, বিচারকগণ, এবং আমার প্রতিপক্ষ, আমি [আপনার নাম], [প্রতিষ্ঠানের নাম] থেকে। আজকের বিতর্কের বিষয় [বিষয়]। এই বিষয়টি বর্তমান সময়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ [কারণ]। আমি আজকের বিতর্কে [পক্ষ/বিপক্ষ] পক্ষ থেকে অংশগ্রহণ করছি। আমার দলের অবস্থান হল [অবস্থান]। আমি আমার বক্তব্যের মাধ্যমে নিম্নলিখিত যুক্তিগুলি উপস্থাপন করব: [যুক্তিগুলির রূপরেখা]। আমি বিশ্বাস করি আমার যুক্তিগুলি [বিষয়] ক্ষেত্রে [পক্ষ/বিপক্ষ] অবস্থানকেই সঠিক প্রমাণ করে। আমি প্রতিপক্ষের যুক্তির প্রতি শ্রদ্ধাশীল, এবং আমার বক্তব্যের মাধ্যমে তাদের যুক্তির খণ্ডন করার চেষ্টা করব।"
কিছু টিপস:
- আত্মবিশ্বাসী ও স্পষ্টভাবে কথা বলুন।
- আপনার বক্তব্য সংক্ষিপ্ত ও গুছিয়ে রাখুন।
- প্রমাণ-পরীক্ষা ও যুক্তিবাদী ভাবনার উপর জোর দিন।
- প্রতিপক্ষের যুক্তি মনোযোগ দিয়ে শুনুন এবং তার উত্তর যুক্তিবাদীভাবে দিন।
- বিতর্কের নিয়মকানুন মেনে চলুন।
"আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে সামাজিক মাধ্যম সমাজের জন্য উপকারী। আমার বক্তব্যের মূল যুক্তিগুলো হলো:
- সামাজিক মাধ্যম মানুষের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি করে। বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সদস্যদের সাথে যোগাযোগের জন্য এটি একটি সহজ মাধ্যম প্রদান করে।
- সামাজিক মাধ্যম জ্ঞান এবং তথ্য ভাগ করে নেওয়ার জন্য একটি সহজ মাধ্যম প্রদান করে। শিক্ষার্থীরা তাদের পড়াশোনার জন্য এটি ব্যবহার করতে পারে এবং সাধারণ মানুষ বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান অর্জনের জন্য এটি ব্যবহার করতে পারে।
মনে রাখবেন:
- বিতর্কের শুরুতে আপনার বক্তব্য স্পষ্ট, সংক্ষিপ্ত, এবং যুক্তিপূর্ণ হওয়া উচিত।
পড়ুনঃ দ্রুত চিকন হওয়ার ওষুধ DETOXI
SLIM কিনতে এখনই ক্লিক করুন
আরো পড়ুনঃ আ দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নাম/ আ দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নাম
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন