কৈ মাছ চাষ পদ্ধতি ।
কৈ মাছ চাষ পদ্ধতি
পুকুর প্রস্তুতি:
- পুকুর ৩-৪ ফুট গভীর ও ৪-৫ ফুট লম্বা হওয়া উচিত।
- পুকুরের মাটি ভালো করে মাড়াই করে নিতে হবে।
- পুকুরের চারপাশে ৩-৪ ফুট উঁচু বাঁধ তৈরি করতে হবে।
- পুকুরে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে।
- পুকুরের জলে সার প্রয়োগ করে পুকুরের খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে।
পোনা সংগ্রহ:
- ভালো মানের পোনা সরবরাহকারীর কাছ থেকে পোনা সংগ্রহ করতে হবে।
- পোনা ৮-১০ সেমি লম্বা হলে চাষের জন্য উপযুক্ত।
- পোনা পরিবহনের সময় সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
মাছ মজুদ:
- পুকুরের আয়তন ও জলের গুণমান অনুযায়ী পোনা মজুদ করতে হবে।
- বিঘা প্রতি ১০০-১৫০ টি পোনা মজুদ করা যেতে পারে।
- পোনা মজুদের পূর্বে পুকুরে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্য সরবরাহ করতে হবে।
খাদ্য প্রদান:
- কৈ মাছ সর্বভুক প্রাণী।
- এদের খাদ্য হিসেবে ধানকুড়া, ভাতের গুঁড়া, মাছের আটা, তেলকুঁড়া ইত্যাদি ব্যবহার করা যেতে পারে।
- খাদ্য নিয়মিত সকাল-বিকেল দুই বেলা প্রদান করতে হবে।
- খাদ্য পুকুরের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে দিতে হবে।
পরিচর্যা:
- পুকুরের জলের গুণমান নিয়মিত পরীক্ষা করে প্রয়োজনে ব্যবস্থা নিতে হবে।
- নিয়মিত খাদ্য প্রদান করতে হবে।
- রোগবালাই হলে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।
- শিকারী প্রাণীর হাত থেকে পুকুর রক্ষা করতে হবে।
মাছ সংগ্রহ:
- মাছ বাজারজাত করার আকারে এলে সংগ্রহ করতে হবে।
- মাছ সংগ্রহের সময় সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
- জীবিত মাছ বাজারে বিক্রি করা ভালো।
কৈ মাছ চাষের লাভ:
- কৈ মাছের চাহিদা বাজারে বেশি।
- কৈ মাছের দাম ভালো।
- কৈ মাছ চাষ তুলনামূলকভাবে সহজ।
- কৈ মাছ রোগ-বালাইতে কম আক্রান্ত হয়।
- কৈ মাছ চাষ পরিবেশবান্ধব।
কৈ মাছ চাষের ঝুঁকি:
- পুকুরে জলের গুণমান নিয়ন্ত্রণে না রাখলে মাছ মারা যেতে পারে।
- রোগ-বালাই হলে মাছের উৎপাদন কমে যেতে পারে।
- শিকারী প্রাণীর আক্রমণে মাছের ক্ষতি হতে পারে।
কৈ মাছ চাষ সম্পর্কে আরও জানতে:
- আপনার এলাকার কৃষি অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন।
- মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের ওয়েবসাইট
মাছ চাষ পদ্ধতি:
পরিবেশ:
- কৈ মাছ আবদ্ধ পানিতে বেশি দেখা যায়।
- কর্দমাক্ত তলার মাটিতে গর্তে, নিমজ্জিত গাছের গুঁড়ির তলায় বা সুড়ঙ্গে বসবাস করতে পছন্দ করে।
- অতিরিক্ত শ্বসন অঙ্গ থাকায় বাতাস থেকে অক্সিজেন নিতে পারে, তাই জীবিত অবস্থায় বাজারজাত করা যায়।
- কম রোগবালাই ও বিরূপ প্রাকৃতিক জলজ পরিবেশে সহনশীল।
পুকুর প্রস্তুতি:
- পুকুরের জল নিষ্কাশন করে পলিমাটি শুকিয়ে ফাটা।
- খামারের মাটি পরীক্ষা করে প্রয়োজনে চুন প্রয়োগ।
- পুকুরে জল ভরে ৭-১০ দিন রেখে পলিমাটি পানিতে মিশে যাওয়ার পর জাল দিয়ে পানি পরিষ্কার করে নিন।
- জলজ আগাছা পরিষ্কার করে ফেলুন।
পোনা সংগ্রহ:
- সরকারি বা বেসরকারি হ্যাচারি থেকে সুস্থ ও রোগমুক্ত পোনা সংগ্রহ করুন।
- পোনা পরিবহনের সময় যত্নবান থাকুন।
মজুদ:
- পুকুরের আয়তন ও জলের গভীরতার অনুপাতে পোনা মজুদ করুন।
- প্রতি একর পুকুরে ১৫০০-২০০০ টি পোনা মজুদ করা যেতে পারে।
- পোনা মজুদের পূর্বে পুকুরে প্রাকৃতিক খাদ্যের ব্যবস্থা করুন।
খাদ্য:
- কৈ মাছ সর্বভুক।
- প্রাকৃতিক খাদ্যের পাশাপাশি চালের গুঁড়া, ভুট্টার গুঁড়া, মাছের আটা, তেলকুঁড়া ইত্যাদি মিশিয়ে খাদ্য প্রদান করা যেতে পারে।
- নিয়মিত খাদ্য প্রদানের ব্যবস্থা করুন।
- খাদ্য পানিতে ছিটিয়ে দিন যাতে সকল মাছ খেতে পারে।
পরিচর্যা:
- নিয়মিত পুকুরের জল পরীক্ষা করে প্রয়োজনে চুন, সার প্রয়োগ করুন।
- পুকুরের জলের গভীরতা নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
- মৃত মাছ পুকুর থেকে অপসারণ করুন।
- রোগবালাই দেখা দিলে দ্রুত পদক্ষেপ নিন।
অন্যান্য তথ্য:
- কৈ মাছ ৪-৫ মাসের মধ্যে বাজারে বিক্রিযোগ্য হয়ে ওঠে।
- পুকুরে একাধিকবার কৈ মাছ চাষ করা সম্ভব।
- কৈ মাছের চাহিদা বাজারে বেশি, তাই এটি একটি লাভজনক ব্যবসা।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস:
- অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের পরামর্শ নিয়ে কৈ মাছ চাষ শুরু করুন।
- সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ ও সহায়তা গ্রহণ করুন।
- পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে কৈ মাছ চাষ করুন।
কৈ মাছ চাষ পদ্ধতি:
পুকুর প্রস্তুতি:
- পুকুরের জল শুকিয়ে মাটি মচমচে করে তৈরি করুন।
- পলিমাটি, গব্বুর সার, চুন ব্যবহার করে মাটির উর্বরতা বাড়ান।
- পুকুরে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল সঞ্চয় করুন।
- জলের pH স্তর ৭.৫ - ৮.৫ এর মধ্যে রাখুন।
- পুকুরে নিয়মিত খাদ্যের উৎস যেমন উইকি, ধানের খড়, সবুজ পাতা ইত্যাদি প্রয়োগ করুন।
পোনা সংগ্রহ:
- সরকারি বা বেসরকারি হ্যাচারি থেকে ভালো মানের পোনা সংগ্রহ করুন।
- পোনা পরিবহনের সময় সাবধানতা অবলম্বন করুন।
মজুদ:
- পুকুরের আকার ও জলের পরিমাণ অনুযায়ী পোনা মজুদ করুন।
- প্রতি একর পুকুরে ৫০০-১০০০ টি পোনা মজুদ করা যেতে পারে।
খাদ্য প্রদান:
- কৈ মাছ সর্বভুক, তাই তাদের খাদ্য হিসেবে উইকি, ধানের খড়, সবুজ পাতা, মাছের আটা, ময়দা ইত্যাদি ব্যবহার করা যেতে পারে।
- নিয়মিত খাদ্য প্রদান করুন এবং খাদ্যের পরিমাণ ধীরে ধীরে বাড়ান।
- খাদ্য পুকুরের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে দিন।
পরিচর্যা:
- পুকুরের জলের গুণমান নিয়মিত পরীক্ষা করুন।
- প্রয়োজনে জলে চুন, সার, অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করুন।
- নিয়মিত খেতখামড়ি করে অতিরিক্ত আগাছা পরিষ্কার করুন।
- শিকারী পাখি ও প্রাণী থেকে পুকুর রক্ষা করুন।
রোগ-বালাই:
- কৈ মাছে তেমন রোগ-বালাই দেখা যায় না।
- তবে, পানির গুণমান খারাপ হলে মাছের বিভিন্ন রোগ হতে পারে।
- রোগ দেখা দিলে দ্রুত পদক্ষেপ নিন এবং প্রয়োজনে মৎস্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
ফসল সংগ্রহ:
- পোনা মজুদ করার ৬-৮ মাস পর কৈ মাছ বাজারে বিক্রয়যোগ্য হয়।
- জাল দিয়ে মাছ ধরে বাজারে বিক্রি করুন।
অতিরিক্ত তথ্য:
- কৈ মাছ চাষ খুবই লাভজনক।
- তুলনামূলকভাবে কম খরচে এই মাছ চাষ করা সম্ভব।
- কৈ মাছের চাহিদা বাজারে অনেক বেশি।
কৈ মাছ চাষে সফল হওয়ার জন্য ধৈর্য্য, পরিশ্রম এবং নিয়মিত পরিচর্যা অত্যন্ত জরুরি।
পড়ুনঃ
মেয়েদের যোনি টাইট করার ক্রিম কিনতে
এখনই ক্লিক করুন
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন