কবর জিয়ারতের নিয়ম ও দোয়া । কবর জিয়ারত ইসলামে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি মৃতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো এবং আখেরাতের প্রতি সচেতন থাকার একটি উপায়। কবর জিয়ারত করার সময় কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম এবং দোয়া আছে, যা অনুসরণ করা উচিত।
আরো পড়ুনঃ
পাছা বা নিতম্বের মেদ
কমানোর ঔষধ কিনতে - এখনই কিনুন
কবর জিয়ারতের নিয়ম ও দোয়া
- শান্তিপূর্ণ পরিবেশ: কবরস্থানে যাওয়ার সময় শান্তিপূর্ণ এবং সৌজন্যপূর্ণ আচরণ করা উচিত। উচ্চস্বরে কথা বলা, হাসাহাসি করা বা অন্য কোন অশোভন কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
- পবিত্র অবস্থায়: কবর জিয়ারতে যাওয়ার আগে অজু করে নেওয়া উচিত।
- শুরুতে দোয়া: কবরস্থানে প্রবেশ করার পর সর্বপ্রথম এই দোয়া পড়া উচিত:
- আসসালামু আলাইকুম ইয়া আহলাল কুবুর; ইয়াগফিরুল্লাহু লানা ওয়ালাকুম, আনতুম সালাফুনা ওয়া নাহনু বিল আ-সার।
- অর্থ: হে কবরবাসী! আপনাদের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক। আল্লাহ আমাদের ও আপনাদের সবার মাফ করে দিন। আপনারা আমাদের পূর্বপুরুষ এবং আমরা আপনাদের অনুসারী।
- দরুদ শরীফ ও কুরআন তিলাওয়াত: কবরের পাশে দাঁড়িয়ে দরুদ শরীফ, সূরা ফাতিহা, আয়াতুল কুরসি, সূরা ইখলাস এবং অন্যান্য সূরা তিলাওয়াত করা উচিত।
- মৃতের জন্য দোয়া: মৃত ব্যক্তির জন্য মাগফিরাতের দোয়া করা উচিত।
- হাত না তুলে দোয়া: কবরের সামনে দুই হাত তুলে দোয়া করা উচিত নয়। কবরকে পেছনে রেখে কিংবা কবরের দিকে পিঠ দিয়ে এরপর কিবলামুখী হয়ে দোয়া করতে হবে।
- অন্যান্য: কবরস্থান পরিষ্কার রাখা, কবরের উপর কোন কিছু লিখা বা আঁকা থেকে বিরত থাকা এবং কবরের উপর বসা থেকে বিরত থাকা উচিত।
কবর জিয়ারতের ফজিলত
- আখেরাতের স্মরণ: কবর জিয়ারত আখেরাতের জীবন এবং মৃত্যুর পরের জীবনের প্রতি সচেতন করে তোলে।
- সৎকর্মের প্রতি উৎসাহ: কবর জিয়ারত সৎকর্মের প্রতি উৎসাহিত করে এবং পাপ কাজ থেকে বিরত রাখে।
- মৃতদের প্রতি শ্রদ্ধা: এটি মৃতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর একটি উপায়।
মনে রাখবেন: কবর জিয়ারত করার জন্য কোনো নির্দিষ্ট সময় নেই। তবে জুমার দিন কবর জিয়ারত করলে জিয়ারতকারীর জন্যও তা ক্ষমালাভের কারণ হয়
আপনার আরও কোন প্রশ্ন থাকলে জিজ্ঞাসা করতে পারেন।
দ্রষ্টব্য: এই তথ্যটি সাধারণ ধারণার উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। কোন বিষয়ে সঠিক তথ্যের জন্য কোনো ধর্মীয় পণ্ডিতের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
আরো পড়ুনঃ মেয়েদের যোনি টাইট করার ক্রিম কিনতে এখনই ক্লিক করুন
কবর জিয়ারত: ইসলামী শিক্ষা ও আচরণ
কবর জিয়ারত ইসলামে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি মৃতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো, আখেরাতের স্মরণ করা এবং নিজের আমলের হিসাব নেওয়ার এক অনন্য মাধ্যম।
কবর জিয়ারতের ফজিলত
- আখেরাতের স্মরণ: কবর জিয়ারত মৃত্যু এবং পরকালের কঠিন বাস্তবতাকে স্মরণ করিয়ে দেয়। এতে আমরা আমাদের আমলের দিকে আরো সচেতন হই এবং সৎকর্মের প্রতি উৎসাহিত হই।
- মৃতদের প্রতি শ্রদ্ধা: এটি মৃতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর একটি সুন্দর উপায়। আমরা তাদের জন্য দোয়া করি এবং তাদের আত্মার শান্তির জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি।
- আত্মীয়-স্বজনের সাথে সম্পর্ক সুদৃঢ় করা: কবর জিয়ারত পারিবারিক বন্ধনকে আরো মজবুত করে। আমরা একত্রিত হয়ে মৃতদের জন্য দোয়া করি এবং একে অপরের সাথে সময় কাটাই।
- সামাজিক সম্পর্ক: কবর জিয়ারত সামাজিক সম্পর্ককে আরো ঘনিষ্ঠ করে। এতে সম্প্রদায়ের মানুষ একত্রিত হয় এবং একে অপরের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে।
কবর জিয়ারতের নিয়ম
- শুদ্ধি ও পবিত্রতা: কবর জিয়ারতে যাওয়ার আগে অজু করে নেওয়া এবং পরিচ্ছন্ন পোশাক পরিধান করা উচিত।
- শান্তিপূর্ণ পরিবেশ: কবরস্থানে শান্তিপূর্ণ ও শ্রদ্ধাভরে আচরণ করা উচিত। উচ্চস্বরে কথা বলা, হাসাহাসি করা বা অন্য কোন অশোভন কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
- দোয়া: কবরস্থানে প্রবেশ করার পর এবং কবরের পাশে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন দোয়া পড়া উচিত। এর মধ্যে রয়েছে:
- আসসালামু আলাইকুম ইয়া আহলাল কুবুর; ইয়াগফিরুল্লাহু লানা ওয়ালাকুম, আনতুম সালাফুনা ওয়া নাহনু বিল আ-সার। (হে কবরবাসী! আপনাদের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক। আল্লাহ আমাদের ও আপনাদের সবার মাফ করে দিন। আপনারা আমাদের পূর্বপুরুষ এবং আমরা আপনাদের অনুসারী।)
- দরুদ শরীফ: রাসুলুল্লাহ (সা.) এর উপর দরুদ শরীফ পাঠানো।
- সূরা ফাতিহা, আয়াতুল কুরসি, সূরা ইখলাস: এই সূরাগুলো তিলাওয়াত করা।
- মৃত ব্যক্তির জন্য মাগফিরাতের দোয়া: মৃত ব্যক্তির জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা।
- হাত না তুলে দোয়া: কবরের সামনে দুই হাত তুলে দোয়া করা উচিত নয়। কবরকে পেছনে রেখে কিংবা কবরের দিকে পিঠ দিয়ে এরপর কিবলামুখী হয়ে দোয়া করতে হবে।
- অন্যান্য: কবরস্থান পরিষ্কার রাখা, কবরের উপর কোন কিছু লিখা বা আঁকা থেকে বিরত থাকা এবং কবরের উপর বসা থেকে বিরত থাকা উচিত।
কবর জিয়ারতের সময়
কবর জিয়ারতের জন্য কোনো নির্দিষ্ট সময় নেই। তবে জুমার দিন কবর জিয়ারত করলে জিয়ারতকারীর জন্যও তা ক্ষমালাভের কারণ হয়।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: কবর জিয়ারতের বিষয়ে বিভিন্ন মতবাদ রয়েছে। তাই কোন বিষয়ে সঠিক তথ্যের জন্য কোনো ধর্মীয় পণ্ডিতের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
উদাহরণ:
- পরিবারের সদস্যের মৃত্যুতে: পরিবারের কোন সদস্য মারা গেলে, অনেকেই মৃত ব্যক্তির কবর জিয়ারতে যান। এতে তারা মৃত ব্যক্তির প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং আল্লাহর কাছে তার মাগফিরাত কামনা করেন।
- জামাতে কবর জিয়ারত: অনেক মসজিদ বা ইসলামিক সংগঠন সম্মিলিতভাবে কবর জিয়ারতের আয়োজন করে। এতে বড় সংখ্যক মানুষ একত্রিত হয়ে মৃতদের জন্য দোয়া করে।
উপসংহার:
কবর জিয়ারত ইসলামী শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি আমাদেরকে মৃত্যু এবং পরকালের প্রতি সচেতন করে তোলে এবং আমাদের আমলের দিকে আরো মনোযোগী করে। তাই আমাদের উচিত নিয়মিত কবর জিয়ারত করা এবং মৃতদের জন্য দোয়া করা।
পড়ুনঃ গোপনাঙ্গ
ফর্সা করার ক্রিম কিনতে ক্লিক - এখনই কিনুন
আরো
পড়ুনঃ ওজন কমানোর ইন্ডিয়ান
ঔষধ কিনতে ক্লিক করুন - এখনই কিনুন
আরো পড়ুনঃ মোটা হওয়ার ইন্ডিয়ান গুড হেলথ কিনতে ক্লিক - এখনই কিনুন
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন