জসীমউদ্দীন এর কবর কবিতা

 

জসীমউদ্দীন এর কবর কবিতা

জসীমউদ্দীন এর কবর কবিতা । জসীমউদ্দীন বাংলা সাহিত্যের এক অসাধারণ কবি। তার লেখা কবিতাগুলোতে গ্রামীণ বাংলার সরল সৌন্দর্য এবং মানুষের আবেগের স্পন্দন বাস করে। তার লেখা অনেক কবিতাই আজও পাঠকদের মনে ছুঁয়ে যায়।

আরো পড়ুনঃ মোটা হওয়ার ইন্ডিয়ান গুড হেলথ কিনতে এখনই ক্লিক করুন

জসীমউদ্দীন এর কবর কবিতা

তার অন্যতম জনপ্রিয় কবিতা হল "কবর"। এই কবিতায় কবি নিজের দাদির মৃত্যুর শোক ব্যক্ত করেছেন খুবই সহজ ও সরল ভাষায়। কবিতায় দাদির প্রতি তার অগাধ ভালোবাসা এবং বিচ্ছেদের বেদনা প্রকাশ পেয়েছে। এই কবিতাটি বাংলা কবিতার ইতিহাসে একটি স্থান করে নিয়েছে।

কবিতাটির কিছু উদ্ধৃতি:

  • দাদি যে তোমার কত খুশি হত দেখিতিস যদি চেয়ে! পথ পানে চেয়ে আমি যে হেথায় কেঁদে মরি আঁখিজলে।
  • কবর দেশেতে ঘুমায়ে রয়েছে নিঝঝুম নিরালায়! আমার দাদীর তরেতে যেন গো ভেস্ত নসিব হয়।
  • মাটিরে আমি যে বড় ভালবাসি, মাটিতে মিশায়ে বুক, আয়-আয় দাদু, গলাগলি ধরি কেঁদে যদি হয় সুখ।

কেন এই কবিতাটি এত জনপ্রিয়?

  • সরল ভাষা: কবিতাটিতে ব্যবহৃত ভাষা খুবই সহজ এবং সরল। এতে কোন জটিল শব্দ বা বাক্য ব্যবহার করা হয়নি।
  • আবেগের স্পন্দন: কবিতায় কবির মনের আবেগ খুব স্পষ্টভাবে প্রকাশ পেয়েছে। দাদির প্রতি তার অগাধ ভালোবাসা এবং বিচ্ছেদের বেদনা পাঠকদের মনে ছুঁয়ে যায়।
  • সর্বজনীনতা: মৃত্যু এবং বিচ্ছেদ সবার জীবনেই ঘটে। তাই এই কবিতাটি সবার কাছেই খুব কাছের এবং অনুভূতিপূর্ণ।

কোথায় পাবেন এই কবিতা?

আপনি এই কবিতাটি অনলাইনে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে খুঁজে পেতে পারেন। এছাড়াও, বাংলা কবিতার বিভিন্ন সংকলনে এই কবিতাটি পাওয়া যাবে।

কবিতাটি শুনতে চাইলে: আপনি YouTube এ গিয়ে "কবর কবিতা জসীমউদ্দীন" সার্চ করলে অনেক ভিডিও পাবেন যেখানে এই কবিতাটি আবৃত্তি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: লিংগ উত্থান সমস্যার সমাধান ঔষধ

আপনি কি এই কবিতাটি পড়েছেন? আপনার এই কবিতাটি সম্পর্কে কি মনে হয়?

আপনি যদি এই কবিতাটি সম্পর্কে আরো কিছু জানতে চান, তাহলে আমাকে জিজ্ঞাসা করতে পারেন।

অন্যান্য:

  • আপনি যদি জসীমউদ্দীনের অন্যান্য কবিতা সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে আমাকে জানাতে পারেন।
  • আপনি যদি বাংলা সাহিত্যের অন্য কোন কবি বা কবিতা সম্পর্কে জানতে চান, তাহলেও আমি আপনাকে সাহায্য করতে পারি।

আশা করি এই তথ্য আপনার জন্য উপকারী হবে।

জসীমউদ্দীনের "কবর" কবিতা: একটি বিস্তারিত বিশ্লেষণ

জসীমউদ্দীনের "কবর" কবিতা বাংলা সাহিত্যের একটি স্বর্ণালি পাতা। এই কবিতায় কবি নিজের দাদির মৃত্যুর শোক ব্যক্ত করেছেন, কিন্তু এই শোক ব্যক্ত করা হয়েছে এতই সরল ও সাবলীল ভাষায় যে, পাঠকের হৃদয় স্পর্শ না করে পারে না।

কবিতার মূল বিষয়বস্তু

  • দাদির প্রতি অগাধ ভালোবাসা: কবি তার দাদির প্রতি যে অগাধ ভালোবাসা পোষণ করতেন, তা এই কবিতায় প্রতিফলিত হয়েছে। তিনি দাদিকে হারিয়ে বিষাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন।
  • মৃত্যুর অনিবার্যতা: কবি মৃত্যুর অনিবার্যতাকে স্বীকার করেছেন। তিনি জানেন যে, মৃত্যু জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
  • জীবন ও মৃত্যুর সংযোগ: কবিতায় কবি জীবন ও মৃত্যুর মধ্যকার সংযোগকে তুলে ধরেছেন। তিনি মাটির প্রতি তার ভালোবাসা ব্যক্ত করেছেন এবং দাদিকে মাটিতে মিশিয়ে দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।

কবিতার ভাষা ও শৈলী

  • সরল ও সাবলীল ভাষা: কবিতায় ব্যবহৃত ভাষা খুবই সরল ও সাবলীল। কোন জটিল শব্দ বা বাক্য ব্যবহার করা হয়নি। এতে গ্রামীণ বাংলার সাধারণ মানুষের ভাষার ছোঁয়া পাওয়া যায়।
  • প্রতীক ব্যবহার: কবিতায় কবি বিভিন্ন প্রতীক ব্যবহার করেছেন। যেমন, "মাটি" শব্দটি জীবন ও মৃত্যুর একটি প্রতীক।
  • অনুপ্রেরণা: কবিতাটি অনুপ্রেরণামূলক। এটি পাঠককে মৃত্যুকে স্বীকার করতে এবং জীবনকে আরো ভালোভাবে উপভোগ করতে শেখায়।

কবিতার বিশেষত্ব

  • সর্বজনীনতা: মৃত্যু এবং বিচ্ছেদ সবার জীবনেই ঘটে। তাই এই কবিতাটি সবার কাছেই খুব কাছের এবং অনুভূতিপূর্ণ।
  • সহজ বোধগম্যতা: কবিতাটির ভাষা এতই সহজ যে, যে কেউই এটি বুঝতে পারবে।
  • কাব্যিকতা: সরল ভাষার মধ্যেও কবিতাটিতে এক অদ্ভুত কাব্যিকতা বিদ্যমান।

কবিতার প্রভাব

  • বাংলা সাহিত্যে: এই কবিতাটি বাংলা সাহিত্যে একটি স্থান করে নিয়েছে। এটি অনেক কবি ও সাহিত্যিককে অনুপ্রাণিত করেছে।
  • পাঠকদের মনে: এই কবিতাটি পাঠকদের মনে দীর্ঘস্থায়ী ছাপ রেখেছে। এটি পাঠকদের মনে মৃত্যু এবং জীবন সম্পর্কে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করে।

উদাহরণ:

  • কবিতার এই চরণটি, "মাটিরে আমি যে বড় ভালবাসি, মাটিতে মিশায়ে বুক, আয়-আয় দাদু, গলাগলি ধরি কেঁদে যদি হয় সুখ।" এই চরণটি কবির মাটির প্রতি অগাধ ভালোবাসা এবং দাদির প্রতি তার বিরহের বেদনাকে স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছে।
  • "কবর দেশেতে ঘুমায়ে রয়েছে নিঝঝুম নিরালায়!" এই চরণটিতে কবি তার দাদির শান্ত নিদ্রাকে বর্ণনা করেছেন।

সারসংক্ষেপ:

জসীমউদ্দীনের "কবর" কবিতা একটি সহজ, সুন্দর এবং অনুভূতিপূর্ণ কবিতা। এই কবিতাটি বাংলা সাহিত্যের এক অমূল্য সম্পদ।

আপনি কি এই কবিতাটি পড়েছেন? আপনার এই কবিতাটি সম্পর্কে আরও কোন প্রশ্ন আছে?

পড়ুনঃম্যাজিক কনডম কিনতে এখনই ক্লিক করুন

আরো পড়ুনঃ দ্রুত চিকন হওয়ার ওষুধ DETOXI SLIM কিনতে এখনই ক্লিক করুন

আরো পড়ুনঃ আ দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নাম/ আ দিয়ে মেয়েদের  ইসলামিক নাম

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন