ছোট বিড়াল কি খায় । ছোট বিড়াল বা বিড়ালের বাচ্চা মূলত মাংসাশী প্রাণী। তাদের বয়স এবং স্বাস্থ্যের ওপর ভিত্তি করে খাবার ভিন্ন হতে পারে। নিচে বিড়ালের বাচ্চার খাবার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:
আরো পড়ুন: ছেলেদের পে-নি লম্বা করার ঔষধ ৭৫০ টাকা কিনতে ক্লিক করুন - এখনই ঔষধ কিনুন
ছোট বিড়াল কি খায়
১ থেকে ৪ সপ্তাহ বয়স পর্যন্ত
- এই সময় বিড়ালের বাচ্চারা মায়ের দুধের ওপর নির্ভরশীল থাকে। মায়ের দুধ তাদের প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে।
- যদি মা না থাকে, তবে পশু চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বিড়ালের বাচ্চাদের জন্য বিশেষ ফর্মুলা দুধ খাওয়াতে হবে।
৪ থেকে ১২ সপ্তাহ বয়স পর্যন্ত
- এই সময় বিড়ালের বাচ্চারা দুধের পাশাপাশি অন্যান্য খাবারও খেতে পারে।
- তাদের নরম খাবার যেমন - কাঁটা ছাড়া মাছ, সেদ্ধ মাংস, কিটেন ফুড (Kitten Food) দেওয়া যেতে পারে।
- কিটেন ফুড জলে ভিজিয়ে নরম করে নিতে হবে।
- এই সময় দিনে ৩-৫ বার খাবার দিতে হবে।
- ধীরে ধীরে দুধ খাওয়ানোর পরিমাণ কমিয়ে আনতে হবে।
৩ মাস বা ১২ সপ্তাহের পর থেকে
- এই সময় বিড়ালের বাচ্চারা প্রায় সব ধরনের খাবার খেতে পারে।
- তাদের মাংস, মাছ, ডিম, কিটেন ফুড ইত্যাদি দেওয়া যেতে পারে।
- বিড়াল মাংসাশী প্রাণী হওয়ায় মাংস খাওয়ানো ভালো।
- দিনে ২-৩ বার খাবার দিতে হবে।
- বিড়ালের খাবার তালিকায় যা যা যোগ করা যেতে পারে:
- মাংস: মুরগি, গরু ইত্যাদি মাংস।
- মাছ: স্যামন, টুনা, চিংড়ি ইত্যাদি।
- ডিম: সপ্তাহে একবার ডিমের কুসুম।
- অল্প পরিমাণে ভাত।
- ক্যাট ফুড (Cat Food)।
আরো পড়ুন; লম্বা হওয়ার ঔষধ কিনতে এখনই ক্লিক করুন
যে খাবারগুলো বিড়ালকে দেওয়া উচিত নয়
- পেঁয়াজ, রসুন, কাঁচা প্রাণিজ পণ্য, আঙুর, চকলেট, চা, কফি, চিনি, অ্যালকোহল ইত্যাদি।
এছাড়াও, বিড়ালের বাচ্চার সঠিক খাদ্য তালিকা এবং পরিমাণ নির্ধারণের জন্য পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ছোট বিড়াল কি খায়
ছোট বিড়াল বা বিড়ালের বাচ্চার খাবারের বিষয়টি তাদের বয়সের উপর নির্ভর করে। বিড়ালের বাচ্চার বয়স অনুযায়ী তাদের খাবার হওয়া উচিত। নিচে বিভিন্ন বয়সের বিড়ালের বাচ্চার খাবার সম্পর্কে আলোচনা করা হলো:
- ৪-১২ সপ্তাহ বয়স:
- এই সময় বিড়ালের বাচ্চা দুধের পাশাপাশি অন্যান্য খাবারও খেতে পারে।
- তাদের নরম খাবার যেমন কাঁটা ছাড়া মাছ, নরম সেদ্ধ মাংস ইত্যাদি খেতে দিতে পারেন।
- বিড়ালের বাচ্চার জন্য তৈরি খাবার "কিটেন ফুড" খাওয়াতে পারেন। তবে, খাবারটি নরম করে খাওয়াতে হবে।
- এই সময় বিড়ালের বাচ্চাকে দিনে ৩-৫ বার খাবার দিতে হবে।
পুরুষের ও মেয়েদের সে- ক্স বৃদ্ধি করার ভেষজ ঔষধ কিনতে ক্লিক করুন - এখনি কিনুন
- ১২ সপ্তাহের বেশি বয়স:
- ১২ সপ্তাহ বা ৩ মাসের বেশি বয়সী বিড়াল সব ধরনের খাবার খেতে পারে।
- মাছ, মাংস, ভাত ইত্যাদি খাবার খেতে দিতে পারেন।
- বিড়াল মাংসাশী প্রাণী হওয়ায় তাদের মাংস খাওয়ানো ভালো।
- এই সময় তাদের দিনে ২-৩ বার খাবার দিতে হবে।
বিড়ালের বাচ্চার জন্য উপযুক্ত খাবার:
- কাঁটা ছাড়া মাছ ছোট ছোট টুকরো করে থেঁতলে দিতে পারেন।
- সেদ্ধ মাংস থেঁতলে দিতে পারেন। মাংসের সাথে অল্প পরিমাণে ভাত মিশিয়ে দিতে পারেন।
- বিড়ালের বাচ্চার জন্য বিশেষভাবে তৈরি "কিটেন ফুড" খাওয়াতে পারেন।
- মুরগির মাংস, গরুর মাংস, ডিম, স্যামন, টুনা, চিংড়ি ইত্যাদি খাবার খাওয়াতে পারেন।
- সপ্তাহে একবার ডিমের কুসুম খাওয়াতে পারেন।
Gazivai.com এ ২ পিস চামড়ার বেল্ট মেশিন সহ ৫৫০ টাকা কিনতে ক্লিক করুন - এক্ষুনি কিনুন
যে খাবারগুলো বিড়ালকে দেওয়া উচিত নয়:
- পেঁয়াজ ও রসুন
- কাঁচা মাংস ও মাছ
- আঙুর ও কিসমিস
- চকোলেট
- চা ও কফি
- চিনি ও অ্যালকোহল
ছোট বিড়াল বা বিড়ালছানার বয়স অনুযায়ী তাদের খাবার আলাদা হয়।
নিচে বিভিন্ন বয়সের বিড়ালছানার খাবার সম্পর্কে কিছু তথ্য দেওয়া হলো:
- ০-৪ সপ্তাহ:
- এই সময় বিড়ালছানার প্রধান খাবার মায়ের দুধ। যদি মায়ের দুধ না পাওয়া যায়, তবে পশু চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কিটেন ফর্মুলা খাওয়াতে হবে।
- ৪-১২ সপ্তাহ:
- এই সময় ধীরে ধীরে মায়ের দুধের পাশাপাশি অন্যান্য খাবার শুরু করা যায়।
- নরম খাবার, যেমন - কাঁটা ছাড়া মাছ, সেদ্ধ মাংস (থেঁতলানো) ইত্যাদি দেওয়া যেতে পারে।
- বিড়ালের জন্য তৈরি কিটেন ফুডও এই সময় খাওয়ানো যায়।
- এই সময় ধীরে ধীরে দুধ খাওয়ানো কমিয়ে আনতে হবে।
- ১২ সপ্তাহের পর:
- এই সময় বিড়াল প্রায় সব ধরনের খাবার খেতে পারে।
- মাছ, মাংস, ডিম, কিটেন ফুড ইত্যাদি দেওয়া যেতে পারে।
- যেহেতু বিড়াল মাংসাশী প্রাণী, তাই মাংসের পরিমাণ বেশি রাখাই ভালো।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:
- ছোট বিড়ালকে সবসময় পরিষ্কার ও বিশুদ্ধ পানি দিতে হবে।
- খাবার সবসময় নরম করে দিতে হবে, যাতে তারা সহজে খেতে পারে।
- বিড়ালকে চকলেট, পেঁয়াজ, রসুন ইত্যাদি খাবার দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।
- বিড়ালের বয়স বাড়ার সাথে সাথে খাবারের পরিমাণও বাড়াতে হবে।
- বিড়ালের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে নিয়মিত পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন